devil love married life part : 6
writer-kabbo mahmud
কাব্যরা সবাইমিলে অফিসে পৌছানোর পর ভিতরে প্রবেশ করাই সবাই উঠে দাঁড়াই আর সালাম দিতে থাকে তারা হাসি মুখে তাদের উত্তর দিছে তারপর সবার মাঝে দাঁড়িয়ে
কাব্যঃ কেমন আছেন আপনারা সবাই? অনেকদিনপর আসলাম এখানে।
সবাইমিলেঃ জ্বী স্যার আমরা অনেকভালো আছি আপনারা সবাই কেমন আছেন?
কাব্যঃ হুম ভালো। তো আশা করি আপনাদের কাজ একটি পরিবারের মতো সবাই গুছিয়ে করবেন আর আমরা শুধু সাপোর্ট দিয়ে যাবো। আপনারাই আমাদের আপন সব চেয়ে।
একজনঃ আপনাদের কাছে থেকে এতো ভালোবাসা পেয়ে এখন আমাদের আর কোন সমস্যা নেই আমরা সবাই একটা পরিবার তাই সব কাজ একসাথে মিলেমিশেই করি☺।
কাব্যঃ ধন্যবাদ তোমাদের।
একটি মেয়েঃ আবির তুমি বিয়ে করেছো??
-সবাই অবাক চোখে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আর মেয়েটি ছলছল চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
আবিরঃ না তো? কে বল্ল তোমাই?
মেয়েটিঃ সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি দুজন মহিলা মানে sir এর wife আর তোমার।
আবিরঃ এসব কী বলছো? আর কান্না করছো কেন?
মেয়েটিঃ না কিছুনা আসলে কিছুদিন ধরে চোখে সমস্যা হচ্ছে(চোখের পানি মুছে)
কাব্যঃ ooh হ্যা বলা হয়নি”’ এটা আমার wife। আমি দুঃখিত যে আমাদের বিয়ে সেভাবে হয়নি তবে খুব সুন্দরভাবে আবারো সেলিব্রেট করব। আর এ আমার বোন আসলে ধর্ম জিনিসটা এমন তাই কিছুটা তারা মেনে থাকার চেষ্টা করছে। আপনারা কেউ কিছু মনে করবেন না।
–তানিশা আর নীলা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে সবাই নতুন তাই কাউকে কিছু বলছেনা।
কাব্যঃ সবার বুঝা হয়ে গেলে এবার একটু বিশ্রাম নিন সবাই। আর আমরা অফিসটি ঘুরে দেখি ok…
আর আবির ও কে আসতে বল
-সবাইমিলে কাব্যর কেবনে গেলো। কেবিনটি অনেক সুন্দর করে সাজানো যেখানে কাব্য মাঝেমাঝে এসে থাকত আর সময় কাটাতো।
কাব্যঃ তোমার নাম কি??(মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে)
মেয়েটিঃ no answer……
কাব্যঃ কী হলো বলো:::
মেয়েটিঃ তাহিয়া ইসলাম
কাব্যঃ আবির কে ভালোবাসো??
আবিরঃ ওর সাথে আমার কোন কথাই হয়নি তাহলে ভালবাসা কিভাবে!!!!!
কাব্যঃ সেটা তোকে বুঝতে হবেনা। তুমি বলো আবিরকে ভালোবাসো??
মেয়েটিঃ হুম(মাথা নিচু করে)
কাব্যঃ বেশ ভালো এবার আমাদের খালি খালি বসে থাকার চেয়ে এদের লাভ স্টোরি শুনি কি বলো??(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে) আর তোমরা মুখটি এখন বের করতে পারো।
তানিশাঃ হুম বেশ ভালোই হয়েছে।
আবিরঃ এই মেয়ে তুমি কি হ্যা?? এসব কি বলছ?
কাব্যঃ ওই চুপ(মুখে হাত দিয়ে) তুমি বলো কিভাবে এই বুদ্ধুর প্রেমে পড়লে??
তাহিয়াঃ শুনুন ?
অফিসের চাকরীটা উনিই আমাই দিয়েছিলেন। আর আমারুনার ব্যাবহার খুব ভালো লেগেছিলো।প্রতিদিন কাজের মাঝেমাঝে উনার প্রতি খেয়াল হতো যখনই দেখতাম উনার কাজগুলো খুব গোছালো থাকত আর আমার পছন্দমত বলতে আমার এমন ছেলেই চাই বা মনে টানে যে সব সময় শান্ত স্বভাব ও ভালোভাবে থাকবে তাই উনার মধ্যে আমি সব গুণ পেয়েছি কিন্ত মাঝখানে কিছুদিন উনি অফিসে আসলেন না আমিও খুব উনাকে মিস করতাম তারপর অনেকদিন হয়েগেলো আরও চিন্তা বেড়ে গেলো যে উনার কিছু হলো না তো। আজ হঠাৎ এভাবে আসতে দেখে আমি মনে করেছিলাম…………………
নীলাঃ কী????
তাহিয়াঃ উনার বিয়ে হয়ে গেছে??
*কথাটি বলেই কান্না শুরু করে দেই আর আবির বেচারা যা জীবনে শুনতে চাইনি সেটা আজ শুনল সে তো কিছু বলতে পারছেনা আর কাব্য ও তানিশা এমন কাহিনি শুনে মিটমিট করে হাসছে।
তানিশাঃ কি সুন্দর প্রেম কাহিনীগো ইসস(তাহিয়ার কাছে এসে)
কাব্যঃ আবির এটা তুই মোটেও ঠিক করিসনি এমন ভালবাসাকে দূরে ঠেলে রাখার কোন অধিকার তোর নেই।
আবিরঃ আ..মি ক..কি করবো?
তানিশাঃ ভাইয়া আপনার হাতটি দেন
(আবিরের হাতটি নিয়ে এসে তাহিয়ার হাতের সাথে রেখে) সব হয়ে গেছে??
নীলাঃ হয়ে গেছে:::
তানিশাঃ এবার বিয়েটা বাকি চলো সবাই অনেক বসেছি এবার ঘুরতে।
আবিরঃ হুম চলো**
কাব্যঃ ওই থাম।
*তাহিয়াকে হাত ধরে নিয়ে যেয়ে।
কাব্যঃ আজ থেকে এই বান্দরকে মানুষ তৈরি করার দায়িত্ব তোমার যা ইচ্ছে করো কিন্ত দুঃখ দিও না কেমন?
তাহিয়াঃ হুম(মাথা নিচু করে একটা বাকা ঠোটের হাসি দেই)
কাব্যঃ চলো সবাই আর মুখটি ঢেকে নাও।
–সবাই অফিদ থেকে বিদাই নিয়ে চলে আসল।??????নীলাঃ আমরা এখন কোথাই যাবো??
তানিশাঃ জানিনা তুমিই বলো!!
নীলাঃ চলো (ইকো পার্কে) যাই:::
তানিশাঃ আবার??
নীলাঃ হুম চলনা খুব মজা হয় ওখানে☺☺☺
ভাইয়া চলো
কাব্যঃ okkk…
–তিনজন বিভিন্ন কথা বলছে আর আবির ও তাহিয়া চুপচাপ বসে কারণ তাদের একদম পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে তাই দুজনেই লজ্জাই লাল।
কিছুক্ষণপর তারা নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে গেল। ইকো পার্ক যেখানে অনেক অনেক ফুলগাছ এবং ঔষুধিক গাছের সমাহার আর পার্ক হিসেবে যা যা থাকার দরকার। জায়গাটি সরকারি তাই অনেক উন্নত।
**সবাই এক সাথে মিলে প্রবেশ করে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াল। সবাই চারিদিকের দৃশ্য দেখছে যেনো প্রকৃতি তাদের মনটাকে আকর্ষণ করছে।
নীলাঃ ভাইয়া ভাবি চলো আমার সাথে একটু
–নীলা দুজনের হাত ধরে নিয়ে অনেকদূর চলে যাই।আবির আর তাহিয়া পাশাপাশি দাঁড়িয়ে।
তাহিয়াঃ আমাই লজ্জা পেলে চলবেনা sir বলে গেলো আহহহ(মুখ চেপে ধরে) আমি তো ভুলেই গেছি উনি আমার ???(মনে মনে)
আবিরঃ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে? নাকি বসবে কোথাও??
তাহিয়াঃ যাক বাবুটার লাড্ডু ফুটেছে।(বিড়বিড় করে)
আবিরঃ এখনো ফোটেনি। চাইলে ফুটতে পারে!!
তাহিয়াঃ আমি ফুটিয়ে দিই??(কাধের উপরে হাত রেখে একগাল হাসি দেই)
আবিরঃ এতো চেঞ্জ হয়ে গেলো? এই মেয়ে তো আমাকে খেয়ে ফেলবে ?এখনই সব লজ্জা হাওয়া(মনে মনে) না লাগবেনা।
তাহিয়াঃ আচ্চা চলুন জাইগাটি ঘুরে দেখি।
আবিরঃ হুম
-দুজনে হেটে যাচ্ছে তখনই তাহিয়া আবিরের হাতটি চেপে ধরে আর আবির অন্যমনস্ক হয়ে।
তাহিয়াঃ কি ভাবছেন?
আবিরঃ তুমি সত্যিই আমাই ভালোবাসো?
তাহিয়াঃ পরিবারের জন্য চাকরিটা করছি কখনো প্রেম করিনি কিন্ত মনে মনে একজনকে ঠিক করে রাখি তার চরিত্র ইত্যাদি কিন্ত এসব এর সাথে তুমি মিলে গেলে।
আবিরঃ আমার কোন ফিলিংস নেই তোমার প্রতি।
তাহিয়াঃ লাগবে না করে নেবো
আবিরঃ এ্যা?
তাহিয়াঃ হ্যা চলোতো গল্প করতে করতে হাটি।
দুজনে হাত ধরে একে-উপরকে জানতে জানতে যাচ্ছে আর তাদের এক পাশে তানিশা,নীল, ও কাব্য তাদের সব দেখছে আর হাসছে।
নীলাঃ দুজনকে খুব মানিয়েছে।
কাব্যঃ হুম। বান্দরটা এবার ঠিক হোক
**হা হা হা তিনজন মিলে আবিরের সব কিছু দেখছে আর হাসছে। কিছুক্ষণপর তারা সবাই একসাথে হলো তাহিয়াও ফ্রি হয়ে গেলো সবার সাথে। ঘুরে বেড়ানো,তার মাঝে সেল্ফি, কিছু খাওয়া-দাওয়া। আর ইত্যাদি এসবের মাঝে বিকেল হয়ে যাই।
আবিরঃ বাসাই যাবে না?
তাহিয়াঃ???
আবিরঃ কি হলো?
তাহিয়াঃ আমার তো মনে নেই? এবার কী হবে??
কাব্যঃ সমস্যা নেই বলবে কাজের চাপ ছিলো। আমাকে ফোন দিলে হ্যা বলে দেবো
তাহিয়াঃ আচ্ছা।(শান্ত মনে)
নীলাঃ ভাইয়া চলো বাসাই চলে যাই অনেক ঘুরেছি বাসাই হয়তো বাবা-মা চিন্তা করছে।
কাব্যঃ হুম চল। আর তাহিয়া আমাদের সাথে এসো তোমাকেই বাসাই পৌছে দিচ্ছি।
তানিশাঃ বলার কি আছে না চাইলেও ও কে আসতে হবে তাইনা?
তাহিয়াঃ হুম…
-সবাই মিলে গাড়িতে বসে কাব্য গাড়ী চালাতে শুরু করল। তাহিয়াকে বাসাই পৌছে দিয়ে তারাও সবাই বাসাই রওনা দিলো। বাসাই পৌছাতে রাত হয়ে যাই।
তারপর→← সবাই তাদের বাবা-মা এর সাথে সাক্ষাৎ করে ফ্রেশ হয়ে এসে খাবারের টেবিলে বসে।
আর সারাদিনের গল্প সব তাদের বাবা-মা এর সাথে শেয়ার করে আর আনন্দ করে। এমনকি আবিরের কথা বলাতে আবির বেচারা তো লজ্জাই শেষ সেও ভেবে পাচ্ছেনা যে এসব তারা কিভাবে জানল যা লুকিয়ে করেছে সেগুলো দেখে ফেলেছে। এভাবে আড্ডা দিয়ে সবাই ঘুমোতে যাই।
চলবে