দুষ্টু বউ পর্ব– ১ম
jealous boy
!.
!
আম্মু আম্মু ঐ মেয়েটা নাকি
আমার সাথে শুবে।।
আমার বিছানায়। কেমন লাগে
বলো।। এমনিতেই আমার রাতে
লুঙ্গি ঠিক থাকে না, তার উপর
আবার এই মেয়ে যে দুষ্টু।। না না
আম্মু, আমার রুমে আমি একা
থাকবো।।
.
তখন থেকে আমি আম্মুকে বলেই
যাচ্ছি, বলেই যাচ্ছি কিন্তু আম্মু
কিছু বলছে না। শুধু মুচকি মুচকি
হাসছে।।
বিরক্ত হয়ে শুতে আসলাম।। কিন্তু
সেই মেয়েটা আমার বিছানা দখল
করে আছে।। কি পাজিরে ভাই,
কিছু বল্লেই সাপের মত ফনা তুলে।
কিছু বলতে পারি না।
না জানি কি করে বসে।। কিছু
বলার আগেই আন্টি আন্টি করে
আম্মুকে ডাকে। আর কি সব
বানিয়ে বানিয়ে বলে আম্মুর
হাতে আমাকে জব্দ করে।।
এই পাজি মেয়েটাকে আম্মু আমার
গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে।।
.
একদিন যেই ক্লাসে একটু কলম
চেয়েছিলাম বলে কেমনই না
করলো।। আমাকে সারা ক্লাস
ভেঙিয়েছে।।।
.
আম্মুযে কি করলো, পাজি আর
ফাজিল মেয়েটারে আমার গলায়
ঝুলিয়ে দিলো।
.
.ক্লাসের সবাই যদি জানে
আমাদের দুজনের বিয়ে হইছে,
তবেতো শেষ।। তার উপর আবার
আমি মাত্র ১৬ বছর বয়সি। এত
পিচ্চি বয়সে বিয়ের কথা বল্লে
কেমন যেন হাসে।। যাইহোক
সাত পাঁচ না ভেবে ওকে
ডাকলাম।।
.
-ওই শোন।
.
-কি হইছে? (এমন ভাব নিলো যেন
রুমটা ওর)
.
-আমার রুমে, আমারই বিছানায়
শুয়ে বলছো কি হইছে?
.
-তোর রুম,? তোর বিছানা? নাম
লেখা আছে?
.
-নাম লিখা লাগবে না, এগুলো
আমার
.
– বল্লেই হলো আমার,, এগুলো
আমার, আমি আগে শুইছি আমার।।
.
কিসের পাল্লায় পড়লামরে বাবা,
আমার বিছানা দখল করে, বলছে
তার বিছানা।।
এই ছিলো আমার কপালে। বাসর
রাতে নাকি কত রোমেন্টিক কথা
বার্তা বলে, বউ আর বর।।
আমার বউ, ইস যেন ধানি লঙ্কা।।
কি আর করার, শীতের ভেতর ছোট
লেপটা নিয়ে পাশাপাশি শুয়ে
আছি, কিন্তু লেপটা যেন তার
একাই লাগবে।। টেনে পুরোটা
নিজেই দখল করে রেখেছে। তাই
বিরক্ত হয়ে বল্লাম-
.
-দেখ ভাল হচ্ছে না কিন্তু
.
-অই অই তুই আমারে কি ভাল
দেখাবিরে?
.
-তোরে ধইরে পিটামু।
.
-ইইইইইইই,,, আইছে বীরপুরুষ,,রাত্র ে
নিজের লুঙ্গি ঠিক রাখা পারে
না, আসছে আমার সাথে পাঙ্গা
লইতে।।
কিছু বল্লাম না, এ মেয়ে দেখি
সবই জানে, ইজ্জতের ১২ টা
বাজিয়ে দিবে নইলে।। ঘুমানোর
চেষ্টা করছি আর ভাবছি,,
১৬ বছরে কোন ছেলে যেন বিয়ে
না করে নইলে আমার মত ফাইসা
যাইবো।।।
.
মাঝরাতে কেনযানি ঘুমটা ভেঙে
যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি ও
ঘুমিয়ে আছে, এলোচুলে যেন ওর
প্রতি কেমন যেন একটা আকর্ষন
হচ্ছে,, ইচ্ছে করছে ওর এলো চুল
গুলো ঠিক করে দিই।।
ডিম লাইটের আলোতে, ওকে যেন
সর্গের পরীর মত লাগছে।।
আমি ছুয়ে দিতেই, চ্যা চ্যা করে
চিল্লায় ও।।
.
–অই অই মায়া মানুষের শরিরে হাত
দেস? আন্টি আন্টি..
(বলতে বলতেই চেচায়, আমি হাত
দিয়ে মুখটা চেপে ধরতেই সজরে
কামড় বসিয়ে দেয়।।)
–মা গো বাবা গো,,, আমাকে
কামড় দিয়ে মেরে ফেল্লো গো।।
এবার ও আমার মুখ চেপে ধরে।
আমি কিছু বল্লাম না।।
.
–কিরে কামড় দিবি না? (ও)
.
-না দিবো না,, আমি তোর মত
ফাজিল না।।
.
–আমি ফাজিল হইলে তুই
ফাজিলের জামাই,, হি হি হি
.
-হাসিছ না হাসিছ না, হাতটা
জইলে গেছে
.
–কই দেখি দেখি
.
—না দেখা লাগবো না, কামড়
দিয়া অহন আবার ঢং
.
-কি আমি ঢং করি?
.
-তা নাইলে কি,, যা ঘুমা আমারেও
ঘুমাইতে দে।।
.
সেদিনের মত ঘুমিয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুমথেকে উঠে দেখি,
পাজিটা ঘুমাচ্ছে।। ইচ্ছে হচ্ছিলো
পাতিলের তলাটা ঘষে সাদা
মুখটা কালো করে দিই। কিন্তু
দিলাম না।।
ঘড় থেকে উঠে আমার নিত্য
দিনের অভ্যাস সূর্যটা দেখা, তাই
দেখতে বেরুলে, সবাই আমার
দিকে তাকিয়ে হাসে। কিছু বুঝে
উঠার আগে তুমুল হাসি।। অতিপতি
করে আয়নার সামনে গিয়ে দেখি!
গালে পাওডার, ঠোঁটে
লিপিষ্টিক, কপালে টিঁপ। এগুলো
বজ্জাতটার কাজ।। বজ্জাত
মেয়েটার আজ খবর করছি,, আজ ওর
একদিন কি আমার একদিন।। বলতে
বলে বেশ রেগে মেগেই রুমে
গেলাম কিন্তু কোথাও খুজে
পেলাম না।। শেষে দেখি আম্মুর
পেছনে গিয়ে লুকিয়েছে।।। একি
সর্বনাস হলো আমার। আমার
আম্মুটাকেও দখল করে ফেলেছে।।
এ মেয়েকে যে করেই হোক দ্রুত
তাড়াতে হবে।।…..(চলবে)