#Dont_forget_me (পর্ব – ৫)
আলোকে এত বড় বক্স নিয়ে ঘরে ঢুকতে দেখেই আদিবা জিজ্ঞেস করল-
-কিরে কোথায় গিয়েছিলি? খুঁজে খুঁজে সব হয়রান। আর হাতে এটা কিসের বক্স? কোথায় পেলি?
-আস্তে আপু, আস্তে। এত প্রশ্ন করলে উত্তর দিব কীভাবে?
-আমাদের এত ধৈর্য নেই। তাড়াতাড়ি বল।
-তূর্য ডেকেছিল…
সবাই একসাথে বলল উঠল- “ওওওওওও…”
আলো লজ্জায় লাল, নীল হয়ে গেল। সেটা দেখে সবাই হেসে কুটিকুটি। সবাই মিলে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে লাগল আলোকে। একটা করে প্রশ্ন আসে আর সবাই হেসে গড়াগড়ি যায়। ফারিয়া বলল- আপু বক্সটা খোলো না, দেখি আমাদের রোমান্টিক হিরো কী পাঠালো তোমাকে?
আলো বুঝল বক্স এদের সামনে না খুলে উপায় নেই। তাই বক্সটা খুলল। খুলতেই আলো ভীষণ অবাক হলো কারণ বক্সে দুইটা শাড়ি আছে যা আলো বিয়ে আর বৌ-ভাতের জন্য পছন্দ করেছিল কিন্তু তূর্য সেটা নিতে দেয়নি। শাড়ি দেখে সবাই একসাথে বলল “ওয়াও তূর্য ভাইয়া এত্ত রোমান্টিক! এত সুন্দর সুন্দর শাড়ি?” ফারিয়া একটা খাম পেল। সেটা হাতে নিয়ে সে লাফাতে লাগল, এটা সে দিবে না। নিতে হলে আলোকে মোটা অংকের এ্যামাউন্ট খসাতে হবে এবং এর মধ্যে যা আছে তা ওদের সামনেই পড়তে হবে। আদিবা খুশি হয়ে ফারিয়াকে ৫০০টাকা দিয়ে বলল- দারুণ। অতঃপর আলো এক হাজার টাকা দিয়ে ওর কাছ থেকে খামটা নিল। নিয়ে করুণ মুখে বলল- তোরা সবাই যা না এটা আমি একা খুলি? সবাই একসাথে চেঁচিয়ে বলল- “নায়ায়া”। আলো খামটা খুলল- সেখানে ছোট্ট একটা চিঠি। আদিবা বলল- জোরে জোরে পড় আমরা সবাই শুনব। আলো পড়তে লাগল-
“আমি জানি এই চিঠি তুমি একা পড়তে পারবে না। তোমার উদ্ভট আর ফাজিল মার্কা কাজিনরা তোমাকে চেপে ধরবে তাদের পড়ে শোনাতে। তারা যে রোমান্টিক চিঠি আশা করছিল সেটার গুড়ে বালি দিতেই এই চিঠি। তাদের বলে দাও আজ তোমাকে চিঠি পড়ে শোনাতে ফোর্স করবার শাস্তি আগামীকাল পাবে। আর তোমার চিঠি জমা রাখা আছে, নো টেনশন।
তাসবিহুন আলা খায়ের।
তূর্য”
চিঠি দেখে সবার মুখ চুন হয়ে গেল। আর আলো হা হা করে হাসতে লাগল। বলল- একদম উচিত কাজ হয়েছে। এই না হলে আমার হিরো… সে গুনগুনিয়ে উঠল- “হিরো তু মেরা হিরো হ্যায়…” বাকিরা বলল- “ভিলেন য্যায়সা কাম না কার…” তারপর সবাই হাসতে লাগল।
ফারিয়া বলল- আপু, তূর্য ভাইয়া যেমন ছেলে… আগামীকাল ঠিক আমাদের শাস্তি দিয়ে বসবে! প্লিজ আপু কিছু করো?
-আমি কী করব? তোদের ঝামেলা তোরা সামলা।
-আপু… এমন করো না প্লিজ?
এই সময় বড় মামী এসে সরকার দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আড্ডায় মসগুল থাকা সকলকে ছত্রভঙ্গ করে দিল ধমক দিয়ে। সকাল সকাল উঠতে হবে, না ঘুমালে চলবে?
আলো তখন শুয়ে পড়ে ভাবতে লাগল তূর্য এটা কেন করল? শাড়ি দুটো তো তখনই নিতে পারত শুধু শুধু বাড়তি শাড়ি কেন কিনল? আর শাড়ি দুটো আজই কেন এভাবে দিতে হলো? নিশ্চই এর মধ্যে কিছু প্রশ্ন লুকিয়ে আছে! তূর্য সব কিছুতে একটা পাজল রাখতে পছন্দ করে এটাও তেমনই কিছু নিশ্চই। আলো অনেক ভেবে দেখল, তূর্য নিজের খুশির সাথে আলোর খুশিটাও দেখতে চাইছে।সেই সাথে এটাও চাইছে আলো কার পছন্দটা বেশি প্রাধান্য দেয়? কী করে সে দুজনের ভালোলাগার কম্বিনেশন করে? আলো সংকটে পড়ল… শাড়ি দেখে খুব খুশি হয়েছিল যে, বিয়েতে নিজের পছন্দেরটা পরবে কিন্তু এখানে তো এখন গিট্টু দেখা যাচ্ছে!
পরদিন বিয়েতে আলোর কাজিন আর বন্ধুদের তূর্য ভীষণ ভাবে নাজেহাল করল। তাদের প্রতিজ্ঞা করিয়ে ছেড়েছে আর কখনো আলোকে এভাবে পঁচাবে না। তবে যত যাই হোক সবাই খুব আনন্দ করেছে।
রাতে তূর্য তার ঘরে ঢুকে আলোকে বলল-
-বাতি নিভিয়ে দেই?
আলো মনে মনে বলল- ঘরে ঢুকেই বাতি নেভাতে চাইছে! ব্যাটার মতলব কী? তারপর একটু ভীত গলায় বলল- আপনার ঘরে আপনি অন্ধকারেও অভ্যস্ত কিন্তু আমি তো অভ্যস্ত নই!
আলোর গলার স্বর শুনে তূর্য মুচকি হেসে বলল- ডার্টি মাইন্ড, মনে মনে কী ভেবেছ সেটা আমি ঠিকই বুঝেছি।
আলো চোখ সরু করে বলল- বেশি বোঝা ভালো না। বেশি বুঝলে বেশি ভুল।
-ও তাই!
-হ্যাঁ তাই।
-ভুল দিয়েই শুরু করি তাহলে?
আলো আতংকিত গলায় বলল- মানে? কী শুরু করবেন?
-আবার?
-আপনিই আবার।
তূর্য হেসে বলল- আমার ঘরে তুমি অভ্যস্ত কিনা সেটা বিষয় না। বিষয় হলো, আমি বলতে চেয়েছি… তূর্য একটু এগিয়ে এলো তারপর মৃদু গলায় বলল- আমার ঘরে অলরেডি চাঁদের আলো হয়ে আলো বাসা বেঁধেছে। বাতি কেন জ্বালাব?
তূর্যর কথায় আলোর মুখে ভালো লাগার যে অনুভূতিটা দেখা গেল সেটা মুহূর্তেই সে চেপে গিয়ে বলল- সবই পয়সা বাঁচানোর জন্য ফ্লার্ট করা!
তূর্য চোখ বড় করে বলল- মাই গড তুমি এত আনরোমান্টিক!
“মোটেও না” বলে আলো তূর্যর আরও একটু কাছে এসে বলল- ভালোবাসেন?
তূর্য ওর কোমর জড়িয়ে ধরে বলল- বোঝনা?
-উহু, বুঝি না।
তূর্য ওর হাত টেনে ধরে বলল- চলো… তূর্যর ঘরে বেশ বড় একটা বারান্দা আছে। যেটা ওর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। বারান্দাটা সে নিজের পছন্দে ইন্টেরিয়র করিয়ে নিয়েছে। তূর্য দুহাতে আলোর চোখ ধরে ওকে সেখানে নিয়ে গেল। একটা ছোট গোল সেন্টার টেবিলের পাশে দুটো চেয়ার পাতা রয়েছে। টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে তূর্য হাত সরিয়ে নিতেই আলো দেখল টেবিলের উপর ৩টা গাছ। সে প্রায় চিৎকার করে বলল- এগুলো তো “don’t forget me” ফুলের গাছ!!!
-হুম, তুমি এটা খুঁজছিলে।
-হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কী করে জানেন?
-যাকে বউ বানাব তার পছন্দ অপছন্দের খোঁজ রাখব না? তোমার ইচ্ছে ছিল বিশেষ দিনে কেউ একজন তোমাকে এটা দিয়ে চিরদিনের জন্য মনে জায়গা করে নিক।
-হাউ কিউট!
-হুম জন্ম থেকেই।
-কবে থেকে আমাকে ফলো করে যাচ্ছেন?
-যবে থেকে তুমি দুকাপ চা নিয়ে ছাদে আসতে শুরু করেছ। আচ্ছা আমি তো পাবলিককে “Don’t forget me” গাছ দিয়ে চিরস্থায়ী হলাম কিন্তু পাবলিক আমার জন্য কী করল?
-পাবলিক কী করবে সেটা রাজপথে গিয়ে তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন। আমি তো এসব চিরস্থায়ী ব্যাপার স্যাপারে বিশ্বাসী নই।
-O wow! So… I have many other options?
আলো চোখ পাকিয়ে বলল- “many other options”! সোজা ট্রাকের নিচে ফেলে দিয়ে আসব।
তূর্য হাসতে হাসতে বলল- really?
-এখন কী ট্রাকের নিচে ফেলে দিয়ে প্রমাণ করব?
-না থাক, এত সিরিয়াস হবার দরকার নেই, I believe you. ও, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করা হয়নি।
-কী?
-আজ আমার পছন্দের শাড়িটা পরলে যে?
-আপনি তো এটাই চেয়েছিলেন?
-বাহ্ ইন্টেলিজেন্ট গার্ল! তারপর আলোর দিকে ঝুকে বলল- আমার তো অনেক কিছুই চাইতে ইচ্ছে হয়। এই যেমন এই মুহূর্তে ইচ্ছে হচ্ছে…
-কী?
-তুমি আমাকে শক্ত করে একবার জড়িয়ে ধরো।
আলো “ধ্যাৎ…” বলে মুখ নামিয়ে ফেলল। এরপরই খেয়াল করল টেবিলের উপর বেশ কিছু বই রাখা, সব কটা হুমায়ূন আহমেদের বই। গুনে দেখল ১২টা বই আছে। সে চাপা উত্তেজনা নিয়ে বলল- এত্তগুলা বই! এগুলোও কী আমার?
-হুম, আজকের দিনে আমার পছন্দ বুঝতে পরার জন্য।
তূর্যর প্রতি প্রচন্ড ভালো লাগা কাজ করতে লাগল আলোর। বলল- আপনি আর কী কী জানেন আমার পছন্দের?
-আছ যখন আস্তে আস্তে সবই বুঝতে পারবে। যেগুলো জানি না সেগুলোও জেনে ফেলব ইনশাআল্লাহ।
আলো যত তূর্যকে দেখছে তত অবাক হচ্ছে। ওকে দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে ও কাউকে এত গভীরভাবে ভাবতে পারে। লাইফ পার্টনার হিসেবে তূর্য অবশ্যই তার জন্য উত্তম মনে হচ্ছে। প্রথম থেকেই দুজন দুজনকে বুঝতে পারছে এরচেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?
পরদিন সকালে ঘাড় ব্যথা নিয়ে আলোর যখন ঘুম ভাঙল। হঠাৎ ঘাড় ব্যথা কেন হলো সেটা ভাবতেই খেয়াল করল সে তূর্যর বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিল। বুঝতে পারল এইজন্যই বেকায়দায় ঘাড় ব্যথা হয়েছে! সে দ্রুত উঠে গেল। তূর্য তখন চোখ বন্ধ রেখেই বলল-
-এত তাড়াহুড়া করে উঠছ কেন? আমি কিছু টের পাইনি সেটা ভাবার কারণ নেই। তুমি চাইলে আরও কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারো।
-আমার এত ঘুম নেই। সাড়ে ন’টা বাজে! অনেক বেলা হয়ে গেছে… কেউ যদি ডাকতে শুরু করে এখন?
-আমার বাড়ির লোক এত বেরসিক নয় যে ডেকে তুলবে। তূর্য এটা বলে শেষ করতেই দরজায় নক পড়ল। বাইরে থেকে ওর কোনো কাজিনের গলা পাওয়া গেল- “ভাইয়া তোমরা উঠেছ? মামী ডাকছে, নাশতা করবা না? ওঠো?”
আলো চাপা হাসিতে বলল- এবার বোঝা গেল?
-এটা আমার বাড়ির লোক না। গলা শুনলে না?
-সে যে-ই হোক উঠুন। আমি দরজা খুলছি… তূর্য সাথে সাথে আলোর হাত টেনে ধরে চেঁচিয়ে বলল- এই কে দরজা ধাক্কায়? কী চাই?
-ভাইয়া খোলো… নাশতা করবে না?
-বিয়ের পরে গরম গরম খাবার খাওয়ার নিয়ম নেই। খাবার ঠান্ডা হতে হতে যখন ফ্রিজ হয়ে যাবে তখন আসবি। এর আগে ডাকলে মেরে নাক ফাটিয়ে ফেলব। তারপর আলোকে কাছে টেনে নিয়ে বলল- আমার ঘুম শেষ না হওয়া অব্দি কোত্থাও যাওয়া চলবে না।
বেলা ১১টার দিকে ওরা নাশতার টেবিলে আসল। ওদের দেখেই সবাই মুখ চেপে হাসতে লাগল! এক ভাবি তো বলেই বসলেন- তোমাদের তো বিয়ে হওয়া উচিত ছিল ২২ডিসেম্বর, একটু আরাম করে ঘুমাতে পারতে। আর হলো কিনা এই জুন মাসে যখন রাত শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে যায়! আহারে… বলে সে খুব দুঃখ সূচক শব্দ করতে লাগল। আলোর মনে হলো লজ্জায় সে মারা যাবে অথচ তূর্যর কোনো হেলদোল নেই! উল্টো সে বলল- ভাবি নেক্সট টাইম আর এই ভুল করো না, কেমন?
ভাবি মুচকি হেসে অবাক হবার ভান করে বলল- নেক্সট টাইম!!
আলো তখন আড়চোখে তূর্যকে চোখের আগুনে ভস্ম করে দিতে চাইল। তূর্য সেটা একবার দেখে বলল- হ্যাঁ ভাবি। একবার বিয়ে করে বিয়ের কিছু বোঝা যায় নাকি? কত কিছু শেখার আছে… তাছাড়া পুরুষ লোকের বিয়ে হবে ৪বার। একটাতে কী হয়?
ততক্ষণে আলোর মেজাজ প্লেট আর চামচের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে টকাস টকাস শব্দ করতে লাগল আর বাকিরা হেসে গড়িয়ে পড়তে লাগল। এমন সময় তূর্যর বাবা মোতাহার উদ্দিন ডাইনিং এর পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলেন সবাই খুব হাসাহাসি করছে তিনি থেমে বললেন-
-কিরে খাওয়ার মাঝে এত হাসাহাসি কিসের? চুপ করে খাও সবাই। খাওয়াটা একটা ইবাদত সেটা ভুলে যাস না।
তূর্যর ভাবি তখন বলল- চাচাজান তূর্য বলছিল ৪টা বিয়ে করবে একটাতে নাকি কিছু বুঝতে পারছে না। পাত্রী দেখা শুরু করব নাকি আবার?
বাবার সামনে তূর্য কিছু বলবার সাহস পেল না। কিন্তু মোতাহার উদ্দিন হাসি চেপে বললেন-
-বিয়ে করেছ কয়েক ঘন্টা হয়েছে মাত্র এখনই এধরনের তামাশা কেন? আলো বেচারা তো মন খারাপ করবে। বলে তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। ভাবি তখন বললেন-
-এই তূর্য তোর বাবার কী হয়েছেরে? আসার পর থেকে উনাকে কেমন যেন মনে হচ্ছে… ঠিক বোঝা যাচ্ছে না! কিছু একটা নিয়ে খুব টেনশন করছেন এটা বোঝা যাচ্ছে।
-মনেহয় অফিসের ঝামেলাটা নিয়ে টেনশন করছে। চিটাগং এর অফিসে একটু ঝামেলা হচ্ছে সেটা নিয়েই টেনশন যাচ্ছে একটু।
-ও…
রিসিপশনে আলো তার নিজের পছন্দের শাড়িতে সেজেছে। তূর্য অবাক হয়ে বলেছিল-
-মাই গড! আমার মাইন্ড পড়ছ নাকি?
আলো মুচকি হেসে বলল- পৃথিবীর সকল স্ত্রী তার হাজবেন্ডের মাইন্ড পড়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
-শীট… সবই আমাদের পাজরের বাঁকা হাড় দিয়ে তোমাদের তৈরি করার ফল! আর এইজন্যই সহ্য হোক বা না হোক ৪টা অনুমতি থাকার পরও একটা নিয়েই জীবন পার করতে হয়! আহারে পুরুষ…
-আসলে আল্লাহপাক জানেন, ষাঁড়ের মত ঘাড় ত্যাড়া পুরুষদের কন্ট্রোল করবার জন্য মেয়েদেরকে বাঁকা হাড় দিয়েই গড়তে হবে।
আলো আর তূর্য দুজনেই বুঝে গেছে তাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা চমৎকার। তাই তাদের জীবনটা চমৎকার ভাবেই শুরু হলো। কিন্তু এই চমৎকার ভাবটা যে অতি ক্ষণকালীন সময়ের জন্য সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। তাদের বিয়ের কিছুদিন পরই ঘটে গেল ওদের জীবনের সবচেয়ে বড় অঘটন!!!