devil love part:19
writer-kabbo mahmud
তানিশার বাবাঃ কী থেকে কী হয়ে গেল গিন্নি?(মন খারাপ করে)
,
তানিশার মাঃ (অবাক হয়ে) তোমার আবার কী হলো??
,
তানিশার বাবাঃ কী হলো বুঝ না?? একবার ভেবে দেখ! সেদিন তোমার মেয়েকে আমরা হাটা-চলাফেরা শিখালাম
সব কিছু বুঝাতাম আর আজ সে কি না আমাদের ছেড়ে চলে যাবে
,
তানিশার মাঃ হুর? তুমিও না কি যে বলো!
শোন কোন মেয়েই সারাজীবন এভাবে বাপের বাড়ি থাকে না যেমন আমি নেই।
আর ওর তো বিয়েরর বয়সও হয়ে গিয়েছে,তাহলে সমস্যা কি?
,
তানিশার বাবাঃ হুম সমস্যা নেই। কিন্ত আমি কিছুতেই যে আমার মেয়েকে ছাড়া থাকতে পারব না?
,
তানিশার মাঃ আরে আরে দুঃখ কি শুধু তুমি একা পাবে? আমার কি কষ্ট হয় না? আর তোমার মাথাই কি এই বুদ্ধি হয় নিই যে সব মেয়ের আসল ঘর তার স্বামির সংসার।আর বাপের বাসাই তো কিছু জ্ঞান আর শিক্ষা নিয়ে যাই সেখানে ভালো করে থাকার জন্য।
,
তানিশার বাবাঃ (তানিশার বাবা তানিশার মা এর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে)
আছে)
,
তানিশার মাঃ কি হলো? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
,
তানিশার বাবাঃ তুমি এতো ভালো করে বোঝাতে পার কিভাবে আমাই??
,
তানিশার মা; বাপের বাসাই থেকে শিখে এসেছি। যেমনটা তোমার মেয়ে যাবে?
,
তানিশার বাবাঃ কিন্ত একটা সমস্যা
,
তানিশার মা; কী???
,
তানিশার বাবাঃ তোমার কী মনে হয় আমাদের মেয়েটা এসব আদব-কায়দা শেখানে করবে?? আমার তো মনে হয় তাদের জীবন তেজপাতা করে ছাড়বে?
,
তানিশার মাঃ (হেসে দিয়ে) তুমি মনে হয় ভুলে গেছ যে তোমার মেয়ের এই দুষ্টুমিগুলো পছন্দ করেই তাকে বউ হিসেবে নিয়ে যেতে চাইছে
,
তানিশার বাবাঃ হুম “আমি তো ভুলেই গেছিলাম। আচ্ছা বুঝলাম কিন্ত তারা কই। তাদের তো আসার নাম-গন্ধ কিছুই নেই.
,
তানিশার মাঃ আসছে হয়তো
,
তানিশার বাবাঃ হুম, আচ্ছা যদি একবার তানিশা জানে যে তার বিয়ে কার সাথে হচ্ছে তাহলে কী হবে বলোতো?
,
তানিশার মাঃ কী হবে জানোনা?? আমরা প্রাণ খুলে হাসব। আর আমার মেয়ে মন খুলে রাগবে?
,
–দুজনে মিলে আনন্দের হাসি হাসতে লাগল??
,
–কিছুক্ষণ পর কলিংবেল বেজে উঠল
,
তানিশার মাঃ মিথি দেখ তো কে আসল এই সময়?
,
তানিশার বাবাঃ এই ভুলে গেছ? ও স্কুলে
,
তানিশার মাঃ ওহ তাইতো, তুমি বসো আমি দেখছি কে আসল!!
,
–আসলে মিথিকে তানিশার বাবা ছোট থাকতে রাস্তাই পেয়েছিল, সেখান থেকে নিয়ে এসে বড় করেছে।
এখন তাদের বাসার কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাও করে কিন্ত সে কথা বলতে পারে না কিছু বললে বুঝতে পারে।
,
–দরজা খুলার পর কাব্যর মা হতভম্ব হয়ে যাই,তানিশার মার সামনে একজন পুরুষ ও মহিলা দাঁড়িয়ে আছে,হাতে কিছু জিনিসপত্র আছে।
,
মহিলাটিঃ কি হলো ভিতরে আসতে দেবেন না??
,
তানিশার মাঃ আরে আসুন আসুন(থতমত খেয়ে)
,
–ভিতরে এসে সবাই মিলে একসাথে বসল।
,
মহিলাটিঃ আসা করি সবাই ভালো আছেন? আর আমাদের নিশ্চয় চিনতে পারছেন না?
,
তানিশার বাবাঃ হুম আল্লাহ ভালো রেখেছে, কিন্ত হ্যা আমরা আসলে আপনাদের ঠিক চিনতে পারলাম না,
,
লোকটিঃ আরে আরে এ যখন চিনতে পারছে না তাহলে আমাদের বউমা কীভাবে চিনবে বিয়ান???
,
–তানিশার বাবা+মা একে উপরের দিকে তাকিয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে।
,
মহিলাটিঃ হুম তাইতো দেখছি।
,
লোকটিঃ অবাক হওয়ার কিছু নেই আমরা কাব্যর বাবা-মা
,
–কাব্যর বাবা-মার দিকে দুজনে তাকিয়ে এবার কোনরকম বুঝতে পারল যে এরা আসলেই কাব্যর বাবা-মা
,
–কিন্ত চেনা অসম্ভব, সহজে কেউ বুঝতে পারবে না যে এরাই কাব্যর বাবা-মা কারণ কাব্যর মা সম্পন্ন ভাবে পর্দা করে আছে আর কাব্যর বাবা দাড়িঁ লাগিয়ে, পাঞ্জাবি-পায়জামা পড়ে সাথে মুখে পান রয়েছে যার জন্য চেনা খুবই অসম্ভব।
,
কাব্যর বাবাঃ আর অবাকে হয়েন না এবার একটু হাসুন আমার তো কান্না পাচ্ছে এভাবে পান খেতে?
,
–সবাই মিলে কাব্যর বাবার কথা শুনে হেসে দিয়েছে। ??
,
তানিশার বাবাঃ যা বলেছেন বটে! আমরা তো পুরো আতংক খেয়ে গেছি। এমন একটি কাজ করবেন আমরা তো ভাবতেই পারিনি?
,
কাব্যর বাবাঃ হুম আর আতংক হওয়ার কিছু নেই,কিন্ত একটি কথা আমারে আপনি কেন?? তুই বল তুই আমরা এখন ভাই-ভাই কী বলিস?এবার আসল কাজে আসি,,, কই আমার বউমা কই?
,
তানিশার মাঃ একটু অপেক্ষা করুন আমি নিয়ে আসছি?…(তানিশাদের রুমের কাছে যেয়ে) কী তোমাদের হলো?
,
সুমিঃ হুম মা আসছি”
,
–কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে সুমি তানিশাকে তার মার সামনে দাড় করালো।
,
–তানিশাকে দেখে তো তার মা পুরো অবাক,, অবাক হওয়ারই কথা কারণ তানিশা আজ খুব সুন্দর করে সেজেছে আর এতোই সুন্দর লাগছে যে, যে কেউ দেখলে চোখ দুটি সরিয়ে নিতে পারবে না,
,
তানিশার মাঃ বাহ্ (অবাক হয়ে) আমার মেয়ে এতোটা সুন্দর?আমি তো এর আগে সেভাবে খেয়াল করি নিই, মাসাল্লাহ কারোর নজর না লেগে যাই,, চলো সবাই চলে এসেছে++
,
–মা এর কথা শুনে তানিশা মুচকি একটা হাসি দেই।
,
–তানিশাকে নিয়ে তার বোন ও মা নিচে নামছে আর তানিশাতো আজ সেইরকম খুশী কারণ সে যে তার মনের মানুষকে এতো সহজে আর সবার মত পোষণ করে পেয়ে যাবে এটা ভেবেই সে আরও আনন্দিত হচ্ছে।
,
–নিচে নামার পর–
,
কাব্যর মাঃ এদিকে এসো বউমা(মিষ্টি সুরে)
,
–(তানিশা)কাব্যর মার কাছে যেয়ে
তানিশা: আসসালামু আলাইকুম “”
,
কাব্যর মাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম শোন মা আমরা সবাই ধর্ম মেনে চলি তাই আমাদের এমনভাবে চলতে হয়।তুমি কিছু মনে করো না কেমন? আর হ্যা বিয়ের পর তোমাকেও এভাবে চলতে হবে।
,
তানিশাঃ মাথা নড়িয়ে হ্যা সম্মোন্ধন করে।
,
কাব্যর বাবাঃ হুম কিন্ত একটা কথা ইসলামে নিষেধ আছে মাদক গ্রহন করা ব্যাক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করে না তাই আমিও এই পাণ খাওয়া আজ থেকে বন্ধ করে দিলাম কেমন?(না ছেড়ে উপাই নেই?কোনদিন সেবণ করার অভ্যাস নেই?,(মনে মনে)
,
কাব্যর মাঃ আচ্ছা আচ্ছা(হেসে দিয়ে) তাহলে এবার ভালো কাজটি সেরে ফেলি কী বলেন??
,
তানিশার বাবাঃ হুম সমস্যা নেই
,
কাব্যর মাঃ (বক্স থেকে আংটি বের করে) দেখি মা আমার পাশে বসে হাতটি বাড়িয়ে দাও তো,,
,
–তানিশা কাব্যর মায়ের পাশে বসেছে হাতটি বাড়িয়ে দিল—
,
–আংটি পরিয়ে দেওয়ার পর–
,
কাব্যর মাঃ আমি তোমাকে বউমা হিসেবে নিয়ে যাব কিন্ত কিছু নিয়ম তোমাকে মেনে চলতে হবে- নিজের ধর্ম মেনে চলবে আর আমাদের মাঝে সব সময় দুষ্টুমি চলতে থাকবে কারণ আমরা এটা পছন্দ করি কেমন?
,
–তানিশা হ্যা সম্বোধন দেই
,
তানিশাঃ এরাও কী ওই ডেভিল কাব্যর বাবা-মায়ের মতো??? (অবাক হয়ে) আল্লাহ আমার কপালে ভালোই রেখেছ শুকরিয়া তোমার কাছে(আনন্দিত হয়ে) সবাই কীভাবে যে বোঝে আমি দুষ্টুমি ছাড়া থাকতে পারি না(মনে মনে)
,
কাব্যর মাঃ বেশ আমার ঘরের একমাত্র বউ তুমি তাই ভালো-মন্দ সব তোমাকেই বুঝে নিতে হবে,
,
–তানিশার মা কিছু মিষ্টি সামনে রেখে
,
তানিশার মাঃ আল্লাহর রহমতে একটি ভালোকাজ সম্পন্ন হলো,মিষ্টি মুখ না করে থাকা যাই?নিন সবাই–
,
–সবাই মিলে আনন্দের সব কিছু কথা বলতে লাগল।
,
কাব্যর মাঃ (কাব্যর বাবার কানের কাছে যেয়ে) এই তুমি এখানে অন্য অভিনয়ে আছো সত্যির কাব্যর বাবার রুপে না তাই তানিশার বাবার সাথে অন্য রকম ব্যাবহার করো নাহলে তানিশা বুঝে যাবে)
,
কাব্যর বাবাঃ আচ্ছা আচ্ছা
,
কাব্যর মাঃ তো এবার কথা হলো আমার ছেলে বিজনেস এর কাজে খুব ব্যাস্ত তাই আসতে পারল না, বউমা তুমি চিন্তা করবে না তুমি মনে হয় আমার ছেলেকে দেখ নিই, সমস্যা নেই বিয়ের পর দেখে নিও আমার ছেলে খুব সুন্দর ও স্মার্ট ?
,
–তানিশা তো লজ্জাই কিছু বলতে পারছে না?
,
কাব্যর বাবাঃ হুম তোমার কথা খুব বলেছিলা আমাদের?
,
–এভাবে সকলে মিলে বিভিন্ন কথা আলাপ-আলোচনা করে সবাই হাসি মনে কথা বলতে থাকল,,
১.৩০ পর
,
কাব্যর বাবাঃ অনেক হলো এবার আমাদের উঠতে হবে বিয়াই মশাই(তানিশার বাবার দিকে তাকিয়ে তানিশাকে ইশারা করে বল্ল)
,
তানিশার মাঃ সেকি?? আর একটু থাকেন!
,
তানিশার বাবাঃ আর একটু বসি না খুব ভালই তো লাগছে?
,
কাব্যর বাবাঃ না আজ আর না খুব হবে কথা একটু অপেক্ষা করুন।? তো কাব্যর মা তুমি বলো বিয়ে কবে??
,
কাব্যর মাঃ ওহ হ্যা বলাই তো হয়নি? আমি ঠিক করেছি আর এক সপ্তাহ পর আমি আপনাদের মেয়েকে আমার মেয়ে হিসেবে নিয়ে যাব? আপনারা কী বলেন?
,
তানিশার বাবাঃ আপনাদের ইচ্ছা,, আমরা রাজী☺
,
কাব্যর বাবাঃ আলহামদুলিল্লাহ। আচ্ছা তাহলে এবার আমাদের যেতে দিন?
,
তানিশার বাবাঃ আচ্ছা আর বাধা দেব না,
,
কাব্যর মাঃ তুমি কিছু মনে করো না মা বিয়ের আগে ছেলে পক্ষ থেকে ছেলের সাথে কিছু কথা বলতে হয় কিন্ত তুমি সেই সুযোগটি পেলে না,(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে)
,
তানিশাঃ কী বলেন? আমি কিছু মনে করি নিই, আর সমস্যা হতে পারে। আমি উনার সাথে কথা বলে নেব
,
কাব্যর মাঃ আমার লক্ষী বউমা?
আচ্ছা বিয়াইন আমরা এখন উঠি, চলো তুমি
,
তানিশার মাঃ হুম। আর বাধা দেব না ? চলুন।
,
–তারপর কাব্যর বাবা-মাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসল
তারপর
,,
চলবে