Devil love Part 7

0
4919

Devil love Part 7
#writer_কাব্য_মাহমুদ

বাবাঃ আচ্ছা(বলেই চলে গেল)
।।
তানিশাঃ এটা কী হলো??আম্মার কাব্বুর ক্কী হব্বে(থতমত খেয়ে)(কিছুক্ষণ নিরবতার পর) না আমি এই বিয়ে কিছুতেই করব না? কিন্ত এখন কী করব?(একটু ভেবে চিনতে) idea আরে তানিশা এতো simple একটা বুদ্ধি তোর মাথাই আসে না কীভাবে চলবি(নিজেই নিজেকে প্রসংসা করে) সব মেয়ে যেমন বিয়ে না করে পালিয়ে যাই সেরকম তুই ও যাবি,kiya bat hey, (আনন্দে এটিএম card ???)

সুমিঃ ওই কোথাই যাবি তুই???(রুম এর পাশে দাঁড়িয়ে)

তানিশাঃ ন্নায়ায়া মান্নে(ভয় পেয়ে,,)

সুমিঃ কী না মানে না মানে করছিস, সোজাসুজি বল না হলে কিন্ত খবর আছে?(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ ওই তোর কী রে বজ্জাত মুখপুড়ি, শাকচুন্নি কোথাকার, আমি কী তোর ছোট নাকি যে সব কাজের হিসাব তোকে দেব,যা করতে আইছিস তাই কর(রেগে,ওচিল্লিয়ে)

সুমিঃ (oh no আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম, আমি কার সাথে কথা বলছি যে কী না কথার অর্থই বোঝে না,(মনে মনে)

তানিশাঃ ওই এতো কী মন্ত্র পাঠ করছিস?? যা করতে এসেছিস তাই করে চলে যা

সুমিঃ হুম,তোকে রেডি করাতে এসেছি

তানিশাঃ কেন আমার আবার রেডি হওয়ার কী আছে??

সুমিঃ মানে??তোকে আজ দেখতে আসবে আর তুই বলিস রেডি হওয়ার কী আছে???

তানিশাঃ kiya michibbat hey tanisha tu to geya এই রাক্ষস গুলো তোকে একটু বাচতেও দেবে না(মন খারাপ করে)

সুমিঃ আচ্ছা আপু আমি তো কিছু করতে পারব না তাই বলছিলাম যে আমাকে যেই কাজ দিয়েছে সেটা করেই নাহয় চলে যাই(মিষ্টি সুরে,,তা ছাড়া তো আর নিস্তার নেই)

তানিশাঃ কী করবি তুই???

সুমিঃ কেনো রেডি করাতে আসলাম

তানিশাঃ ওহ আচ্ছা,,কিন্ত তুই চাইলে একটা কাজ করতে পারিস,মানে আমার একটি উপকার ?

সুমিঃ কী??

তানিশাঃ আমার বিয়েটা তুই করে ফেল,ঠিক যেমন নাটক এ হয়,নিজের বিয়ে অন্য মেয়ের সাথে হয়?(excited হয়ে)

সুমিঃ কীহহহ আপু একটু বুঝে দেখ আমার কী এখনও সেই বয়স হয়েছে(চিন্তিত হয়ে)
।।
তানিশাঃ ওহ তারমানে বয়স হলে করতি(মন খারাপ করে)

সুমিঃ (আগেও বলেছিলাম তোমার সাথে কথা বলা আর জাতীয় সংসদ এ বক্তব্য দেওয়া সমান,,মনে মনে)

তানিশাঃ কীরে কী ভাবছিস??

সুমিঃ না কিছু না,,,আচ্ছা রেডি হয়ে নে এটা পরে দেখব ok
.
তানিশাঃ আচ্ছা(আনন্দে পঞ্চমুখ) আমার আজ মনে হচ্ছে যে আজ আমার একটি বোন আছে☺

সুমিঃ কেন?এর আগে ছিলাম না বুঝি??

তানিশাঃ হুম ছিলিস, নে এবার যা করতে এসেছিস সেই কাজ কর??


অন্যদিকে কাব্য ও তার পরিবার সবাই মিলে আনন্দের সাথে আসছে,
আর অন্য দিকে তানিশার বাসাই সব কিছু complete মানে আপ্যায়ন করার জন্য সব?

নীলাঃ আচ্ছা ভাইয়া ওখানে যেয়ে যেনো আবার মেয়েকে দেখে হা করে থাকিস না??(গাড়িতে বসে)

কাব্যঃ what the, তোর কী মনে হয় এই কাব্য মেয়েদের দেখে হা করে থাকে??
.
নীলাঃ না মানে করিস না, তবে আমার বান্ধবী কিন্ত খুব সুন্দর, সাথে বান্দর স(মুখ চেপে ধরে)

কাব্যঃ কী বললি?

নীলাঃ না কিছু না

বাবাঃ জানো আজ কিন্ত আমার খুব খুশি লাগছে যে এরকম মেয়ে আমার বাসাই বউ হয়ে আসবে?

নীলাঃ হুম খুব ভালো লাগছে না,, পরে বুঝবে(দাতে দাত চেপে)

মাঃ কী বুঝবো আর এসব কী কথা নীলা,,তুই আবার কার মতো হয়েছিস,তখন থেকে বকবক করছিস

কাব্যঃ তোমার মেয়ে devil teacher নীলা হয়েছে

নীলাঃ মানে???তুই ও তানিশার গল্প পরিস??

কাব্যঃ কেনো আমি তো সবার গল্পই অবসর সময়ে পড়ে থাকি

নীলাঃ ওহ



অতঃপর তারা সবাই নিজ গন্তব্যে পৌছাল,,,
.
টিং টিং টিং
কলিংবেল চেপে,,,,
.
(তানিশার বাসার কাজের লোক দরজা খুলে)


কাব্যর বাবাঃ কী আসতে বলবেন না নাকি??(দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে)
.
তানিশার বাবাঃ আরে কী বলেন স্যার আসুন আসুন,

একটি কথা বলি,,,,আমি সবার ছোট,, তাই আমার মাথাই এতো বুদ্ধি নেই যে আমি এতো ভেবে ভেবে অনেক বড় করে part দেবো,,,,হ্যা বড় part দিতে পারব কিন্ত অনেক ভাবতে হবে যা আমার পক্ষে সম্ভব না
,তাই ছোট করে দিলাম

কাব্যর বাবাঃ কী আসতে বলবেন না নাকি??(দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে)

তানিশার বাবা : আরে কী যে বলেন স্যার আসুন আসুন,

কাব্যর বাবা : shut up (ঝাড়ি দিয়ে)এই যে মিস্টার তৌহিদ ইসলাম আপনার সাহস হয় কী করে আমাকে স্যার বলার(একদম রেগে গিয়ে)

—আশেপাশের সবাই ভয় পেয়ে গেছে, কারণ হঠাৎ করে এমন করল কেন?কেউ কিছু বুঝে উঠছে না?

তৌহিদ : না মানে স্যার,আমি কী ভুল কিছু বলে ফেললাম(ভয় পেয়ে)

পারভেজ : অবশ্য ভুল বলেছেন আর এই ভুল এর শাস্তি একটাই(রেগে গিয়ে)(পারভেজ মাহমুদ কাব্যর বাবা)

–সবাই তো এবার শেষ ভাবছে এমন কী ভুল করল যে শাস্তি দেবে!!

তৌহিদ: বলুন কী শাস্তি (বেচারি ভয় পেয়ে গেছে নিজের বস এর কাছে কোনদিন কোন ভুল করেনি আর আজ এমন কী করল যে শাস্তি পাবে)

পারভেজ: এই শাস্তি থেকে মুক্ত পাওয়ার উপায় একটাই আছে

তৌহিদঃ কী?(❓)

পারভেজ: শাস্তি হলো (কিছুক্ষণ নিরবতার পর,কিন্ত সবাই তো ভয়ে চুপসে আছে) শাস্তি হলো আমাকে বিয়াই আর আমার বউ কে বিয়ান বলে ডাকতে হবে(তানিশার বাবা কাধের উপর একটা বাড়ি মেরে বল্ল) কেমন দিলাম বিয়াই সাহেব

–সবার যেন এবার প্রাণ ফিরে এলো, মনে হচ্ছিল যেন এখনই আবার ১৯৭১ সালের যুদ্ধ হবে

পারভেজ : কী হলো সবাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেন আমি কী ভুল কিছু বললাম(আতংকিত হয়ে)
.
–একটু নিরবতার পর সবাইমিলে এক আনন্দের হাসি হেসে উঠল,

তৌহিদঃ কী যে বলেন ভুল কেন বলবেন আমারই ভুল হয়েছে,আর আমারও বোঝা উচিৎ ছিল(মুচকি হাসি দিয়ে)

পারভেজঃ হুম মনে থাকে যেন(কড়া গলাই) হা হা হা

আফরোজাঃ এই তুমি তো খুব বড় ফাজিল,এমন কেউ করে আমরা তো মনে করেছিলাম কি না কি(কাব্যর মা)

পারভেজঃ কী আবার যা করার তাই করলাম(একটু হেসে)আমার বউমা এতো ফাজিল হবে তাহলে আমাদের ও তো একটু হওয়া উচিৎ কী বলো??

আসমাঃ তার মানে আপনি সব জানেন??(প্রশ্নবোধক ভাবে তাকিয়ে আছে তানিশার মা কাব্যর বাবার দিকে)

পারভেজঃ হুম জানতাম, আসলে আমি ঠিক এমনই একটি মেয়ে চেয়েছিলাম যে আমার পুরো বাড়ি জুড়ে দুষ্টুমিতে ভরে রাখবে

আসমাঃ তার মানে আমার মেয়ের কপালে আল্লাহ এতো ভালো একটা জিনিস রেখেছিল,আমি ভাবতেই পারছি না তানিশার আব্বা,আল্লাহ কোন মানুষদের সাথে পরিবার এর সাথে করতে চলেছে

পারভেজঃ ?বলছি তারিফ হয়ে গেলে একটু বসতে বলুন,বুড়ো হয়ে গেছি আর দাড়াতে পারছি না ?(একটু দুষ্টুমি)

আসমাঃ এই দেখেন তখন থেকে শুধু প্যাচাল পেরেই চলেছি,বসুন বসুন

-সবাই মিলে বসে

তৌহিদঃ আচ্ছা আমাদের জামাইবাবু কই??(জানার আগ্রহী নিয়ে)

পারভেজঃ সে তো বাইরে কথা বলছিল এখনিই আসবে

তৌহিদঃ আচ্ছা,,,,তো আপনাদের পরিবার সম্পর্কে আমার তেমন কিছু জানা নেই আসলে আমি সেভাবে জিজ্ঞেস করি নি, যদি বলতেন??

পারভেজঃ আমার পরিবার বলতে আমার wife, দুটো ছেলে মেয়ে (কাব্য+নীলা) নীলা এবার inter 2nd study করছে

তৌহিদঃতাই নাকি আমার মেয়েও তো,তারমানে দুজনে এবার একসাথে ??

আফরোজাঃ আমি কিন্ত আমার বউমাকে আরও পড়াতে চাই,যদি আপনারা অনুমতি দেন

আসমাঃ এটা তো আমাদের সৌভাগ্য, এতে আবার অনুমতি নেওয়ার কী আছে

পারভেজঃ আচ্ছা আমার বউমাকে নিয়ে আসুন?

তৌহিদঃ জামাই আসুক,ততক্ষণে আমরা একটু কথা বলি

পারভেজঃ না কথা বলার জন্য এখনও সারাজীবন আছে,আল্লাহ যদি বাচিয়ে রাখে তবে অনেক কথা হবে,,আগে আমার বউমাকে নিয়ে আসুন

তৌহিদঃ যাও তো তানিশাকে নিয়ে এসো (তানিশার মাকে উদ্দেশ্য করে)

আসমাঃ আচ্ছা যাচ্ছি(বলেই চলে গেল)

তৌহিদঃ আপনারা কিছু মুখে দিন বিন+বিয়ান, এভাবে বসে আছেন কেন?

আফরোজাঃ হুম দিচ্চি,আচ্ছা নীলা তোমার ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে এসো তো, এতো কী কথা বলে সারাক্ষণ,আর আবিরকেও তো নিয়ে আসা হলো না,, ও আসলে আর এমন করত না (বিরক্তিভাব নিয়ে)

নীলাঃ হুম যাচ্ছি,,,(জানিনা আমার কপালে কী আছে,যা হওয়ার সেটা তো হবেই,মনে মনে)(বলেই চলে গেল),,,

পারভেজঃ একটা রিকুয়েস্ট ছিলো রাখবেন??

তৌহিদঃ আরে রিকুয়েস্ট এর কী আছে বলে ফেলুন

পারভেজঃ এই আপনি জিনিসটা কেমন লাগছে তাই বলছিলাম আর কী(বলেই থেমে গেল)

তৌহিদঃ কী???

পারভেজঃ বলছিলাম,যদি আপনি কথাটা বাদ দিয়ে তুই বলা যেত বন্ধুর মতো(আবদার করে)

তৌহিদঃ আরে এতে আবার অনুমতি নেওয়া লাগে তুই ও না(হা হা হা হা)

–সবাই মিলে হাসতে লাগল

আফরোজাঃ শুধু আপনারাই কী আনন্দ করবেন??এখনও তো আমাদের কিছুই দেখলেন না!!

পারভেজঃ কী হিংসা হয়,আমাদের মতো হতে চাও, তাহলে 7up খাও হা হা হা??

তৌহিদঃ ওইতো জামাই এসে গেছে ?

–কাব্য দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সামনে এগোতেই হাাাা কাব্যর চোখ তো উপরে(মানে সিড়ির উপরে ?)

–কাব্য ও তানিশার বাবা কিছু বুঝতে পারে না, কাব্যকে দেখে সিড়ির দিকে তাকিয়ে আছে, তারা সবাই মিলে তাকানোর পরে দেখে যে

–সিড়ি দিয়ে তানিশা নামছে,,,,দেখতে পুরো পরী,এতোটাই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে যে রুপ এর বর্ণণা আবার কী দেব

—আর এদিকে সবাই তো কাব্যকে দেখে মিটমিট করে হাসছে,কারণ তানিশা নিচে নেমে চলে এসেছে তাও কাব্যর এখনো ঘোরকাটে নিই,

নীলাঃ (নীলা তো তানিশাকে দেখে ভয়ে শেষ, কে জানে কী হবে , তার আর নিস্তার নেই,)

পারভেজঃ কী হলোরে নীলা, কাব্যকে নিয়ে আই

নীলাঃ হুম,,এই ভাইয়া চল(কাব্যর ঘোর কাটতেই দেখে সবাই তার দিকে তাকিয়ে হাসছে, কাব্য নিজেকে সামলে নিয়ে তাদের কাছে এসে বসে)

–আর এদিকে,,(তানিশা কাব্য+নীলা নাম শুনতেই চমকে উঠে,কারণ তার সবচেয়ে পরিচিত ও দুশমন নাম হলো এই দুজন,,,কলেজ লাইফ এ নীলা তাকে জ্ঞান দেই,আর কাব্য সে তো সেদিন থেকে যা বুঝিয়েছে আর মনে হারাই নি তানিশার,,তাও তানিশা মাথা নিচু করে রেখেছে)

আফরোজাঃ বউমা মুখটি উঁচু করো তো?

–তানিশা মাথা নিচু থেকে মাথা উচু করতে যেয়ে সামনের দিকে তাকাতেই



চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে