Devil love Part 6
#writer_কাব্য_মাহমুদ
তানিশাঃ বজ্জাত এর হাড্ডি, মুখপুড়ি জিরাফ তারমানে তুই বোঝাতে চাইছিস আমি কোন কিছু করেছি তাইতো??
।
সুমিঃ আপু এতো বেশি বকবক করিস কেন?চল তোর বিয়ে তো হবে না অন্যের বিয়ে টাতো দেখে নিই
।
তানিশাঃ ওই শাকচুন্নি তারমানে তুই এটাও চাস যে আমার বিয়ে না হোক(রেগে গিয়ে) .
।
সুমিঃ আপুউউ চুপ কর আর ভালো লাগছে না(চলে গেল)
।
তানিশাঃ(বসে পড়ে) কত শখ ছিল খুব সুন্দর একটা আবোলা ছেলেকে বিয়ে করব সংসার হবে বাচ্চাকাচ্চা হবে নাতি-নাতনির মুখ দেখে বুড়ি হবো কিন্ত এখন তো আমার আর বিয়েই হবে না (ন্যাকা কান্না শুরু) ওই বজ্জাত devil, নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার, লাল বাদর, মুখ পুড়া হনুমান, কালো কুমির, টিকটিকি, নেংটি ইদুর,ডাইনোসর, আমার সব কেড়ে নিল এ্য্য্য্যাাাা
এখন আমি কি করব আম্মুনিইগোওও তোমার মেয়ে শেষ।(যেভাবে কান্না করে আরকি)
।
মাঃ ওই কী হয়েছে আর এখানে বসে কান্না করছিস কেন আসেপাশে কোন খেয়াল আছে(রেগে গিয়ে) (তানিশাকে না পেয়ে তার মা ও খুজতে চলে এসেছে)
।
তানিশাঃ (তানিশা খেয়াল করে দেখে কিছুকিছু লোক তাকে দেখছে আর হাসছে??,বেচারি তো লজ্জায় লাল)
।
তানিশাঃ (আজ আমি যার জন্য এমন অপমানিত ও কান্না করলাম তাকে তো আমি ওত সহজে ছাড়ব না mr,devil অপেক্ষা করুন(মনে মনে)
।
মাঃ কী এতো ভাবছিস চল?
।
তারপর সবাই মিলে বিয়ের অনুষ্ঠান এ ব্যাস্ত এবং অবশেষে বিয়ে সমপন্ন হয়ে মেয়ে বিদাই এর পালা,,
।
মেয়ের মাঃ মা অন্যের বাড়ি যাচ্চিস একটু নিজেকে মানিয়ে নিস,,তাদের পছন্দ অপছন্দ মেনে চলবি, আর সব কথা গুছিয়ে বলবি,কোন দুষ্টুমি চলবে না
।
ছেলের বাবাঃ কী যে বলে বিয়ান সাহেবা আমার বাড়িতে যদি দুষ্টুমি না চলে তাহলে কিন্ত আমি বউমা নেব না হা হা হা
সবাই মিলে আনন্দের হাসি হাসল,,,,এভাবেই যদি প্রত্যেক মেয়ে তার শশুড়বাড়ি যাই তাহলে সবার মনেই একটা আস্থা থাকে যে আমি নিজের বাড়িতে যাচ্ছি,,,,কিন্ত এখন আর হচ্ছে কই,????শশুড়বাড়ি যেয়েই রান্নাকর?
।
আবিরঃ আচ্ছা কাব্য এই মেয়ে এভাবে কান্না করছে কেন??সে তো ইচ্ছা করেই বিয়ে করছে তাহলে তো তাকে খুশি থাকাই উচিৎ (একপাশে দাঁড়িয়ে)
।
কাব্যঃ এটা সবাই করে কারণ সে সারা জীবন এর জন্য এই বাড়ি ত্যাগ করছে তার সকল সৃতি এখানে আছে যে তার মায়াতেই সে এভাবে কান্না করছে,,, তবে আসবে কিন্ত সেভাবে না সবাইকে এক মূহুর্তে দেখতে।
।
আবিরঃ হুম খুব গুছিয়েই বললি কথাটা।
।
কাব্যঃ what the, তারমানে তুই বোঝাতে চাস আমি কথা গুছিয়ে বওওওলতে প্পারি না??(কাব্য তানিশাকে দেখে সে সবার বাইরে এক জাইগাতে দাঁড়িয়ে আছে একা একা)
।
আবিরঃ কীরে তোর আবার কী হলো (অবাক হয়ে)
।
কাব্যঃ আচ্ছা তুই একটু দাড়া(বলেই চলে গেল)
।
আবিরঃ এর আবার কী হলো?? (কিছুনা বুঝে)
।
।
কাব্যঃ এই মেয়ে তুমি এখানে একা কী করছ(তানিশার কাছে এসে)
।
তানিশাঃ আপ্পনিইই (অবাক হয়ে) আপনি এখানে কী করছে আগে সেটা বলেন??
।
কাব্যঃ আমি ছেলে তাই আমি যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি কিন্ত তুমি মেয়ে হয়ে একা এখানে কেন?সবার ভিতরে যেয়ে থাকতে পারনা
।
তানিশাঃ আপনার কী ছিচকে বিড়াল কোথাকার, শুধু ছেলেরাই কী বেড়াতে পারে মেয়েরা পারে না
।
কাব্যঃ হুম পারে কিন্ত এই রাতের এই মিষ্টি অন্ধকারে এই মিষ্টি মেয়েকে দেখে যদি কারোর নজর লেগে যাই(ডেভিল মার্কা ☺ দিয়ে)
।
তানিশাঃ ম্মানে(তুঁতলিয়ে)
।
কাব্যঃ মানে হলো এভাবে একা থাকবে না সবসময় সাথে কাউকে নিয়ে থাকবে তা না হলে তোমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাব
।
তানিশাঃ আপনি কী মেয়ে ধরা নাকি??
।।
কাব্যঃ what the,, মেয়ে ধরাও হয় নাকি??
।
তানিশাঃ নাহলে আপনি আমাকে কেন তুলে নিয়ে যেতে চাইছেন??
।
কাব্যঃ (কী করে বলি তোমার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে আর তোমার নাম ও তো সেটাই তাই আমার বিশ্বাস সেটা তুমিই,,,মনে মনে)
।
তানিশাঃ কী হলো??
।
কাব্যঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছুনা, আচ্ছা তুমি এখন যাও
।
তানিশাঃ (কী ব্যাপার বজ্জাত বেটার কী হলো কিছু বল্ল না) (বিড়বিড় করে)
।
কাব্যঃ কী বললে (রেগে গিয়ে)
।
তানিশাঃ না কিছু না (ধাক্কা দিয়েই দৌড়)
।
কাব্যঃ এই মেয়েকে যদি আমার গলাই ঝুলাই তাহলে তো আমি শেষ ??
অবশেষে সবাই বিদাই নিয়ে নিজ নিজ বাসাই চলে গেল।
সকালে
।
কাব্য ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে আসল
।
বাবাঃ কী ব্যাপার my son ভালো লাগল তো বন্ধুর বিয়ে???
।
কাব্যঃ হুম dad খুব ভালো
।
নীলাঃ আচ্ছা ভাইয়া কাউকে পেয়েছিস ভাইয়া??(আগ্রহ নিয়ে)
।
কাব্যঃ কী
।
নীলাঃ কেন বললাম না বিয়ের বাড়ি বউ পাওয়া যাই(দৌড় দেওয়ার অবস্থা)
।
কাব্যঃ (কথাটি তো মন্দ নয়,,মনে মনে) আচ্ছা বাবা তুমি আমার জন্য যে মেয়ে ঠিক করেছ তার কিন্ত কোন ছবি দেখালে না(কথা ঘুরিয়ে)
.
বাবাঃ ওহ হ্যা ভালো কথা মনে করেছ তো,,,নীলা যাও আমার ট্যাব টি নিয়ে এসো
।
নীলাঃ ট্যাব কেন?
।
কাব্যঃ নিয়ে আই যা(ঝাড়ি দিয়ে?)
।
নীলাঃ ভাইয়া এতো ফাজিল কেন তুই, আমার কোন কথার ans দিলি না আবার ঝাড়ি মারা হু+(ভেংচি দিয়ে) চলে গেল)
.
কাব্যঃ (কথাই পাত্তা না দিয়ে) আচ্ছা বাবা আমি এখনই তাকে দেখতে যেতে চাই আর সাথে engagement সেরে আসতে চাই
।
বাবাঃ এই গিন্নি তোমার ছেলের কথা শুনেছ এ কী বলে
।
মাঃ হুম শুনছি তো,, ছেলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে(খাবার রেডি করতে করতে)
।
কাব্যঃ না মা আমি একটি কারণেই বিয়েটা করব
।
বাবাঃ কী কারণ, শোন আমি কোন কারণ বা অন্য কিছু শুনতে চাই না যদি দেখেছি মেয়েটিকে তুই কষ্ট দিয়েছিস তাহলে সেদিনই তোর এই বাড়িতে শেষ দিন বলে দিলাম
।
কাব্যঃ না বাবা তুমি এসব নিয়ে ভেব না আমি তাকে কোন কষ্ট দেব না
।
নীলাঃ এই নাও বাবা(ট্যাব দিয়ে)
।
বাবাঃ এই যে দেখ এটা হলো তার বাবা+মা,,,,,আর এটা ওর বোন সুমি আর এই হলো তানিশা
।
নীলাঃ ক্কীী ক্কই দ্দেক্কি(থতমত লেগে)
।
বাবাঃ এইযে দেখ এমনভাবে কথা বলার কী আছে??
।
কাব্যঃ আরে এতো সেই বজ্জাত তার মানে এর সাথেই ???এর জীবন তো এবার আমি তেজপাতা করে ছাড়ব ?
.
নীলাঃ ????এতো আমাই বান্ধবী তানিশা এ যদি এই বাড়িতে আসে তাহলে তো আমাদের জীবন সবার শেষ ?
।
বাবাঃ কীরে কেমন লাগছে??
।
কাব্যঃ (এই মেয়েকে শায়েস্তা সাথে প্রেমটাও শেখাব) হুম বাবা তুমি মেয়ের বাসাই ফোন দাও বল আজকে আমরা যাব।
।
বাবাঃ e hey bap ka beta এর জন্যই আমার ছেলেকে আমি এতো ভালোবাসি Thank You very much কাব্য তুমি আজ আমার একটা বড় চাওয়া পূরণ করলে।
।
কাব্যঃ আচ্ছা বাবা তুমি এই মেয়ের ভিতর এমন কী দেখলে যে পছন্দ করলে???
।
বাবাঃ এই বাড়িতে সবাই ভদ্র কেউ কোন রকম দুষ্টুমি করতে পারে না তাই বাড়িটা কেমন লাগে,,,আমি যখন তানিশার বাবার মুখে তানিশার চঞ্চলতার কথা দুষ্টুমির কথা শুনি তখনই বুঝে ফেলি যে আমি যা চেয়েছিলাম আজ আমি তাই পেয়েছি,
।
নীলাঃ কিন্ত বাবা তুমি কি জানো যে এই মেয়ে বজ্জাত এর থেকেও বজ্জাত
।
কাব্যঃ তুই কীভাবে চিনলি???
।
নীলাঃ কারণ ও আমার সাথেই পড়ে,,তোকে যার কথা সেদিন বললাম
।
কাব্যঃ what, তারমানে ???
।
নীলাঃ তারমানে কী??
।
কাব্যঃ না কিছু না,আচ্ছা বাবা তুমি মেয়ের বাসাই ফোন দিয়ে বলে দাও আমরা আজ যাচ্ছি
।
মাঃ তখন থেকে সবাই বকবক করেই যাচ্ছ, বলছি যে মেয়েকি ফুরিয়ে যাচ্ছে নাকি যে দেখার জন্য একেবারে মন পুড়ে যাচ্ছে,, নাকি মেয়েটির প্রেম এ পড়ে গেছে আমার বেটা
।
কাব্যঃ কী যে বল মা,,,আমি এসব কাজ তাড়াতাড়ি ঝেড়ে ফেলতে চাই,কারণ তোমাদের চাওয়া গুলো আমার পূরণ করা একান্তই প্রয়োজন।
।
মাঃ এই শুনেছ তোমার ছেলে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে,,,, এর বিয়ে দিয়ে দাও
।
বাবাঃ হুম সেটাই দেখছি,, আচ্ছা আমি একটু কথা বলে আসছি দাড়াও
।
মাঃ এইযে আমার গুনবতী ছেলে-মেয়ে খেতে এসো
।
নীলাঃ না আব্বু আসুক☺
।
মাঃ উনি কথা বলে আসবে তোরা বস?
।
তারপর সবাই মিলে খেতে বসল
।
নীলাঃ আচ্ছা ভাইয়া তুই কী তানিশাকে পছন্দ করেছিস
।
কাব্যঃ কেন?
।
নীলাঃ না মানে ওই মেয়ে যা বজ্জাত আর ঝগড়াটে তুই তো আবার এসব পছন্দ করিস না।
।
মাঃ ওর পছন্দ দরকার নেই,,বউ আমরা নেব ও নেবে না
।
নীলাঃ (হুম আর আমার জানের উপর উঠে ও কিতকিত খেলবে,মনে মনে)
।
কাব্যঃ সেটা ভাবা লাগবে না,, মেয়েরা বিয়ের পরে অনেক পালটে যাই,সেটা মনে হয় তুই জানিস না
।
নীলাঃ আমার বান্ধবী পাল্টাবে impossible no way
.
কাব্যঃ কেন?? আমাদের অনেক বন্ধু+বান্ধবী তো বিয়ের পর অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে??
।
নীলাঃ (ওই মেয়ে পালটানো আর মহাভারত শুদ্ধ হওয়া এক,মনে মনে)
।
কাব্যঃ কী হলো কিছু বলছিস না কেনো???
।
নীলাঃ না মানে সেটা না হয় দেখা যাবে
।
মাঃ হুম,সব মেয়ে বিয়ের পর একদম আলাদা হয়ে যাই
।
কাব্যঃ কিন্ত তোমার এই মেয়ে পাল্টানো অসম্ভব, এতো পরিমাণ যে কথা ধরতে পারে এখন দেখছি দুই ঝগড়টি কে একসাথে করে দিতে হবে
।
নীলাঃ ভাইয়া তুই কী করে জানলি যে ও ঝগড়া বেশি করে??
।
কাব্যঃ না ম্মান্নে(থতমত খেয়ে)(কী করে বলি ওই পিচ্চি মেয়ের কথা যে বিয়ের বাড়ি কী করেছে)
।
নীলাঃ কী হলো
।
কাব্যঃ না কিছু না
।
বাবাঃ প্রস্তুতি নাও, ওরা যেতে বলছে(কথা বলে এসে)
।
মাঃ যাক তাহলে আমার বাড়িতেও আরও একজন আসছে?
।
নীলাঃ হুম মুখপুড়ি আসছে(জিহ্বাই কামড় দিয়ে)
।।
বাবাঃ মানে??? (অবাক হয়ে)
।
নীলাঃ না মানে ও ক্কিছু না,,তোমরা খাওয়া শুরু কর?
।
বাবাঃ হুম
,
,
,
বাবাঃ তানিশা মা আসবো??
।
তানিশাঃ একি বাবা অনুমতি নেওয়ার কী আছে আসো??(বিছানায় শুয়ে,বই পড়তে পড়তে)
।
বাবাঃ (কাছে এসে বসে) একটু কথা ছিল
।
তানিশাঃ আচ্ছা তুমি কী আমার বাবা??আমার তো সন্দেহ হচ্ছে?
।
বাবাঃ মানে??
।
তানিশাঃ মানে বুঝ না??? সব কথাই এমন পারমিশন নিচ্ছ কেন??
।
বাবাঃ আচ্ছা আচ্ছা আর নেব না যা বলব এবার শুনো….
।
তানিশাঃ হুম বল??
।
বাবাঃ আজ বিয়ের জন্য লোক আসছে??(এবার কী হবে, প্রস্তুতি নাও তানিশার আব্বু)
।।
তানিশাঃ ক্কীইইইই আজ,, আবার বিয়ের লোক???কী করতে আসছে??
।
বাবাঃ কেন??কোন সমস্যা??আর সমস্যা থাকলে কিছু করার নেই আমি তাদের আসতে বলে দিয়েছ?
।
তানিশাঃ কীহ??বলে দিয়েছ
।
বাবাঃ হ্যা, আর আমি যেটা চাই তুমি নিশ্চয় জানো
।
তানিশাঃ হুম বাবা তুমি যা বল।
।
বাবাঃ এইতো আমার লক্ষী মেয়ে,আচ্ছা আমি যাই আর হ্যা তুমি প্রস্তুতি নাও আমি সুমিকে পাঠিয়ে দিচ্ছি
।
তানিশাঃ আচ্ছা ঠিক আছে(আসলে তানিশা তার বাবাকে খুব ভয় করে,কোন সিদ্ধান্তে সে না করতে পারে না)
।
বাবাঃ আচ্ছা আমি তাহলে গেলাম আর সুমিকে পাঠাচ্ছি রেডি হয়ে নাও(বলেই চলে গেল)
।
।
চলবে,,,