Devil love Part 5

0
4919

Devil love Part 5
#writer_কাব্য_মাহমুদ

কাব্যঃ just wait and watch miss tanisha scoundrel Girl,,,


আবিরঃ আচ্ছা রাগ কমিয়ে এখন চল,শুভ্র মন খারাপ করে আছে

কাব্যঃ (কাব্য কিছুক্ষনপর মেজাজ ঠিক করে) আচ্ছা চল।

তারপর তারা সিড়ি দেয়ে নিচে নামতেই

আবিরঃ ওইযে সেই মেয়েটা। দেখেছিস বজ্জাত মেয়ে এমন ভাবে আছে মনে হচ্ছে কিছুই করেনি। (সিড়ির কাছে দাঁড়িয়ে)

কাব্যঃ মেয়েটির দিকে তাকিয়েই হাাা (হ্যা মেয়েটি তানিশাই কিন্ত বাতাসের কারণে তানিশার চুলগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে যেটি কাব্য দেখেই হা,,কারণ তানিশাকে এভাবে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে,,আর তারউপরে আজ সে খুব সুন্দর করে সেজে এসেছে যার কারনে তাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে))

আবিরঃ কীরে কি হলো???

কাব্যঃ (আবির এর কথাই কাব্যর ধ্যান ভাঙে) না কিছু না,,,,আচ্ছা মেয়েটি কি এখানে একা এসেছে??,,,আর ওর হাতে ওটা কী??

আবিরঃ না ওর পরিবার এর সবাই এখানে এসেছে। আর হাতে কী সেটা কীভাবে বলব লাইটিং এর কারণে বোঝা যাচ্ছে না।

কাব্যঃ আচ্ছা ক্যামেরাটি দে।

আবিরঃ এইরে ক্যামেরা তো আমি ওয়েটার এর কাছে দিয়ে এসেছি,,,আচ্ছা চল।

আবিরঃ excuseme,আপনার কাছে যেই ক্যামেরাটি দিয়েছিলাম সেটা কই??
.
Waiter: sir,একটি মেয়ে আমার কাছে এসে ক্যামেরাটি জোর করে নিয়ে নিল but আমি দিতে চাইছিলাম না উনি বল্ল আমার পরিচিত লোক এর ক্যামেরা তাই আমি দিয়ে দিলাম

আবিরঃ কে সে????

waiter,sir ওইযে ওই মেয়েটিকে দেখছেন

কাব্য+আবির আবার তানিশার দিকে তাকিয়ে দেখে যে তানিশা ক্যামেরা নিয়ে কী করছে

কাব্যঃ তুমি আমার ক্যামেরায় হাত দিয়েছ কেন??(দাঁতে দাঁত চেপে)
.
তানিশাঃ (তানিশা দেখে এখন তার সামনে একটি আস্ত ডেভিল দাঁড়িয়ে,,রেগে পুরো আগুন) এই নিন আপনার ক্যামেরা(বলেই দৌড়)

কাব্য+ আবির নিস্তব্ধ দর্শক এর মতো দাঁড়িয়ে দেখছে

আবিরঃ আচ্ছা এ কি মেয়ে নাকি অন্য কিছু এভাবে কোন মেয়ে দৌড় দেই?
.
কাব্যঃ (কাব্যতো একভাবে তানিশার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে),,,,জানিনা এই মেয়ের ভিতর কী আছে কিন্ত এর প্রত্যেকটি কথা,চলাফেরা যেনো আমার খুব ভালো লাগছে,,,(মনে মনে)

আবির: কিরে কী হলো??

কাব্যঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছু না চল(তারপর তারা শুভ্রর কাছে যেয়ে)

শুভ্রঃ কীরে এতক্ষন কোথাই ছিলি??

কাব্যঃ এতো একটু ব্যাস্ত ছিলাম,,,আচ্ছা এবার তাহলে শুরু করি,,আর ভাবি একটু small দেন???

কাব্য সবার ছবি তুলতে লাগল আসলে সে সব দিক থেকে পারফেক্ট যাকে all-rounder বলে


তানিশাঃ (দৌড় এ এসে) উফঃ বাবা বাচলাম?,,বেটা বজ্জাত devil, নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার, লাল বাদর, মুখ পুড়া হনুমান, কালো কুমির,,এমন বাচ্চা মেয়ের দিকে কেউ এভাবে তাকাই?????আমার জানতো এখনি বেরিয়ে যেতো,,,

বাবাঃ কীরে মা কী হয়েছে কান্না করছিস কেন??(তার বন্ধুর কাছে বসে থাকা অবস্থায় তানিশাকে দৌড়ে আসতে দেখে)

তানিশাঃ বাবা ডেভিল????(জিহ্বাই কামড় দিয়ে)

বাবাঃ কে ডেভিল আর কার কথা বলছিস??

তানিশাঃ না না কেউ না আসলে, আচ্ছা বাবা আমার যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছ তার নাম কী???

বাবাঃ কেন??

তানিশাঃ না মানে একটু বল না??

বাবাঃ নাম নাহিল মাহমুদ কাব্য

তানিশাঃ ক্কীইইই(তুতলিয়ে)

বাবাঃ হ্যা আর আগামীকাল তোকে দেখতে আসবে

তানিশাঃ কীইইইইইইইইইইহহহহহহহ(অবাক হয়ে)
না এটা হতে পারে না

বাবাঃ কী হতে পারে না,,আর তুই কিন্ত বলে দিয়েছিস যে আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত ??

তানিশাঃ আচ্ছা বাবা তুমি যাও???

—-তারপর তানিশার বাবা চলে গেল

তানিশাঃ এবার কী হবে আমার কাব্যর কী হবে ????? ও আম্মুনিই গোও (ন্যাকা কান্না)

সুমিঃ কীরে আপু কী হয়েছে???

তানিশাঃ অপদার্থ, অকর্মা,তুই কী পারবি আমাকে সাহায্য করতে???

সুমিঃ কী সাহায্য বল??????

তানিশাঃ আমার বিয়েটা তুই করে নে।

সুমিঃ ক্কীইই

তানিশাঃ হ্যা,,কেন পারবি না বুঝি??? জানি পারবি না তাহলে জিজ্ঞেস করছিস কেন মুখপুড়ি

সুমিঃ তোর সাথে কথা বলা আর জাতীয় সংসদ এ বক্তব্য দেওয়া সমান থাক তুই

তানিশাঃ কেউ আমার কথা ভাবে না, ???আমি এখন কী করব??
.
.
.
কাব্যঃ আচ্ছা আবির তুই একটু দেখ আমি একটু ওয়াশরুমে যাব,,,,
.
আবিরঃ আচ্ছা(কাব্য আবির এর হাতে ক্যামেরা দিয়ে)

কাব্যঃ আচ্ছা আন্টি ওয়াশরুম কোথাই??

আন্টিঃ এইতো বাবা ওইদিকে(শুভ্রর মা)

কাব্যঃ আচ্ছা(বলেই চলে গেল,)কাব্য যেতে যেতে পাশে একটি মেয়ে ছিল কিন্ত সেদিকে খেয়াল না করে যাওয়ার সাথে সাথেই মেয়েটি সামনে ঘুরে আর তখনই কাব্যর সাথে সামনি হয়ে কাব্যর শরীরের সাথে মেয়েটি ধাক্কা খাই,আর মেয়েটির লিপ্স ??কাব্যর শার্ট এর সাথে লেগে যাই কিন্ত কাব্য সেদিকে কোন খেয়াল করে না?

তানিশাঃ কোন উল্লুক, ভাল্লুক,ক্যাবলাকান্ত, পেঁচা, পাগলছাগল, রে দেখে চলতে পারিস না(না দেখেই বলে দিল)
.
কাব্যঃ what the,,,,,এই মেয়ে তোমার কী কোন কাজ নেই শুধু ঝগড়া কর।

তানিশাঃ আপনি বলার কে? (ঝাড়ি দিয়ে)

কাব্যঃ (এমনিই মেজাজ বিগড়ে আছে এর মেয়ের উপর তার উপর আবার ঝাড়ি) just stop it (রেগে গিয়ে) তানিশাকে কাব্য হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে,,,,,,,,,,,,,, উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মমা,,,,,,,,,,,, মনে থাকে যেন (বলেই সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল,,,আর এদিকে তানিশা পাথর এর মতো দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,হ্যা মেয়েটি তানিশাই ছিল)


কাব্যঃ এই মেয়ে তুমি এখনও এখানে কী করছ??(তানিশার সামনে দাঁড়িয়ে)

কাব্যঃ কী হলো??

তানিশাঃ (কিছুক্ষণ নিরবতার পর) আচ্ছা আপনি একটু আগে এটা কী করলেন আর কেন করলেন??(ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে)

কাব্যঃ কই কী করলাম

তানিশাঃ কী করলেন জানেননা, আপনি একটু আগে আমার মুখ এর সাথে আপনার মুখ লাগালেন কেন ছিঃ কী বিছ্রি গন্ধ আপনার দেখছি রুচি বলে কিছু নেই,ইয়াক্কথু(রাগ ও ঝাড়ি দিয়ে,)

কাব্যঃ কী বললে(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ কী বললাম শুনতে পাচ্ছেন না???

কাব্যঃ মিষ্টি টি দেওয়া মনে হয় কম হয়েছিল না??(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ম্মান্নে(তুতলিয়ে) ক্কী বলতে চাইছেন আপনি??

কাব্যঃ কী বলতে চাই জানোনা আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ অপমান করার সাহস পাই নি তাই তোমাকে আমি ওটা শাস্তি সরুপ দিলাম আর তুমি কোথাকার থার্ডক্লাস মেয়ে এসে আমাকে অপমান করলে, তার প্রতিশোধ তো আমিই নেবোই miss tanisha বজ্জাত এর হাড্ডি(কাছে এগোতে এগোতে)

তানিশাঃ কী প্রতিশোধ নেবেন আপনি(পেছনে হাটতে হাটতে) আর এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন????? আর শাস্তি কি কাউকে এভাবে দেই?
.
কাব্যঃ কেন?? ওইযে বললে না যে আমার রুচি বলে কিছু নেই, তাই আমার রুচির দরকার নেই আমি ওই অরুচিকর জিনিসটা আবার খাব??,,,আর তুমি তো মেয়ে তাই তোমাকে এভাবেই শাস্তি দেওয়া যাই,,এর বেশি কিছু নেবে নাকি??
.
তানিশাঃ ক্কী (এগোতে এগোতে দেওয়াল এর সাথে লেগে গেছে)

কাব্যঃ হুম এটা আমার খুব ভালো লেগেছিল,,,,আর তোমারও ভালো লেগেছিলা মনে হয় তা না হলে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে না//////(দেওয়াল এর সাথে হাত দিয়ে)

তানিশাঃ দেখুন ভালো হচ্ছে না কিন্ত আর এখানে অনেক মানুষ আছে,কেউ দেখে ফেলবে?
.
কাব্যঃ what????? তারমানে তুমি চাইছো আমরা সবার আড়ালে যেয়ে এসব করি?? কিন্ত এখানে তো কেউ নেই আর কেউ আসবেও না কারণ এই ওয়াশরুমে সবাই আসে না,,,,তাই এখানেই করি(কাছে এগোতে)।।

তানিশাঃ(উনি আমার এতো কাছে আসছে কেন??আবার কী সেটা করবে???)৷ নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়াহহহহহহহহ এটা আর হতে পারে না(ধাক্কা দিয়েই দৌড়)

কাব্যঃ (তাল সামলে) এটা কী হলো,, এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু?? আবির ঠিকই বলেছে কোন মেয়ে এভাবে সহজে দৌড় দিতে পারে না,,,,,,কিন্ত এর সব দুষ্টুমি আমার এতো ভালো লাগছে কেন???? নাহ কাব্য এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না(মনে মনে)

(বলেই চলে গেল)

এক দৌড়ে এসে এক পাশে দাঁড়িয়ে,,,,,,(কিছুক্ষণ পর)

সুমিঃ কীরে আপু কোথাই ছিলি এতক্ষণ?? (তানিশাকে দেখে)

তানিশাঃ কেন?

সুমিঃ কেন মানে?? আর তুই এভাবে হাপাচ্ছিস কেন?? মনে হচ্ছে আবার কিছু করে দৌড় দিয়েছিস।
.
তানিশাঃ ক্কি করব আবার এমনি ভালো লাগছে না,, কেন তোর কী তাতে??

সুমিঃ আমার কিছুই না, আর তুই তো কোন বিচ্ছেদ না বাদিয়ে এভাবে দৌড় দিস না,,

তানিশাঃ বজ্জাত এর হাড্ডি, মুখপুড়ি জিরাফ তারমানে তুই বোঝাতে চাইছিস আমি কোন কিছু করেছি তাইতো??

চলবে

ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে