devil love part : 25 and last
writer-kabbo mahmud
কাব্যঃ বাবা আমরা তো সব জানিই তাহলে বিয়েটা সুন্দর ভাবে হোক সমস্যা কোথাই???(গাড়ির ভিতরে)
বাবা: হুম সুন্দরভাবে হলে আমরা নাহয় সুন্দর ভাবে করলাম কিন্ত বউমা তো বুঝে ফেলবে যে আমরা সব জানি।
কাব্যঃ সমস্যা কোথাই? জানলে জানবে পরবর্তীতে তোমার বউমাকে বলা হবে যে আমি আমার বাবা-মাকে সব বলেছি
বাবাঃ আমি তোমার কোন কথা শুনছিনা আজ কাহিনিটা এমনটাই হবে
মাঃ হুম_ ভাবতেই অবাক লাগছে আজকে কী হবে কিন্ত আমরা সব জানি(হেসে দিয়ে)
অন্যদিকে****
তানিশার বাবাঃ কী ব্যাপার গিন্নি এখনও তারা আসছে না কেন??? (দুজনে মিলে তাদের আত্নীয়দের সাথে সাক্ষাৎ করে ভিতরে যেতে বলছে)
তানিশার মাঃ আসবে একটু অপেক্ষা কর,,, আমার তো ভাবতেই অবাক লাগছে আমাদের মেয়ে এমন কিছু করবে(হাসিমুখে)
তানিশার বাবাঃ হুম যা করেছে ভালো করেছে। মাঝখান থেকে তাদের উপর দিয়ে যা পরিশ্রম গেলো বাবারে এমন ভাবে মনে হয় কেউ পরিশ্রম করে না
তানিশার মাঃ হুম ভালো আছি:: তোমরা ভালো আছো তো কতদিন পর সাক্ষাৎ হলো খুব ভালো লাগছে
অপরিচিতঃ হুম আমারও খুব ভালো লাগছে তোমাদের দেখে তো আমাদের মেয়েটা কই?? দেখতে দেখতে কতো বড় হয়ে গেল।
তানিশার মাঃ ভিতরে প্রবেশ করো দেখ তাদের বান্ধবীগুলো তাকে ঘিরে বসে আছে
–তানিশার মায়ের কাছে থেকে তারা ভিতরে চলে গেল।
তানিশার মাঃ কী যেন বললে পরিশ্রম??? এটা বুঝো না আমাদের মেয়েকে তারা খুব ভালোবাসে তাই তাকে পাওয়ার জন্য তাদের পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে।
তানিশার বাবাঃ হুম গিন্নি,, আমার মেয়ের দুষ্টুমি গুলো যে পছন্দ করার মতো একজন না একটা পরিবার আছে এটা ভেবেই আমি আরো আনন্দ পাচ্ছি
তানিশারঃ চিন্তা করো না তো,,,আমাদের মেয়ে ভালো থাক……….
**বাকীটা বলতে পারলো না কারণ কাব্যদের পরিবারের সবাই উপস্থিত
কাব্যর বাবাঃ কীরে? আমাদের রেখে কী এতো আনন্দ করা হচ্ছে???
তানিশার বাবাঃ তোদের রেখে না তোদের কথা বলেই আমরা আনন্দ করছি
ভাবছি আমার মেয়েটা কতো সৌভাগ্যবতী।
কাব্যর বাবাঃ দূর খালি দুঃখের কথা এমন চিন্তা করবি না মনে করবি তোর মেয়ে তার আরও এক বাবা+মায়ের বাড়িতে থাকতে গেছে
কিছুদিন ওখানে থাকবে কিছুদিন এখানে
এভাবেই হবে না??
তানিশার বাবাঃ হুম রে খুব হবে আমি আজ খুব খুশী
কাব্যর বাবাঃ হুম হয়েছে নে এবার অতিথী আপ্যায়ন করাত জন্য অন্য লোক এখানে রাখ আর আমাদের নিয়ে চল বউমাকে দেখব
তানিশার মাঃ আস্তে আস্তে বিয়াই সাহেব মেয়ে যদি শুনে ফেলে তাহলে সব শেষ
কাব্যর বাবাঃ হুম তাও বটে
তানিশার বাবাঃ আচ্ছা চলো সবাই।
–সবাই মিলে একটা জাইগাতে বসল
কাব্যঃ বাবা-মা আমি তানিশার কাছে গেলাম তোমরা বসে গল্প করো কেমন??
নীলাঃ আমিও
আবিরঃ আমিও যাবো
কাব্যর বাবাঃ আচ্ছা তোমরা যাও ইনজয় করো একটু পরেই খেলা শুরু হবে
–সবাই হাসতে লাগল আর কাব্য::আবির::: নীলা তানিশার কাছে গেলো
★আজ তানিশাকে খুব সুন্দর লাগছে দেখতে যার বর্ণনা আমার জানা নেই
কানে যে দুল দুলেছে শুনবো বলে,
কপালের টিপ খুলেছে লজ্জা ছলে!
তুমি কি আসবে বলো সঙ্গ দিতে!
ভালোবাসি বলবে বলো আমায় নিতে??
—-মন কেড়ে নেওয়া এই সাজে বসে আছে সে বিয়ের মঞ্চে বান্ধবীদের সাথে রয়েছে তার প্রিয় মুখ ভরে হাসি**
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
নীলাঃ ভাবিইইইই কেমন আছোওও???(দৌড়ে যেয়ে জোড়িয়ে ধরে)
তানিশাঃ ( নীলার এমন ব্যাবহার ও কথা শুনে তানিশা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই) তোর ভাবি মানে??
নীলাঃ ও ইয়েএএ(মাথাই হাত দিয়ে) sorry sorry একটি বেশি বুঝে ফেলেছিলাম। কিছু মনে করিস না।
তানিশাঃ আচ্ছা::::।।।।
নীলাঃ তোকে খুব সুন্দর লাগছে জানিস?? আজ তো সবাই তোকে দেখে ক্রাস খেয়ে যাবে
তানিশাঃ থাক আর পাম দিতে হবে না হুহ:::::
নীলাঃ না পাম দেব কেন?.আসলেই তোকে আজ পুরো অপ্সরী লাগছে??
তানিশাঃ আচ্ছা বস মানলাম। এবার বসে থাক পাশে কিছু কথা বলি
আবিরঃ hi আমি কাব্যর বন্ধু
তানিশাঃ hello. আপনি আবির ভাইয়া তাইনা??
আবিরঃ hummm,,,oi কাব্য এদিকে আই তো!!!!
কাব্যঃ (ফোন নিয়ে কথা বলছিল **ফোন রেখে দিয়ে আবির এর কাছে আসল) কী হয়েছে???
আবিরঃ দেখতো আমাদের ভাবিকে কেমন লাগছে?
কাব্যঃ ;;;;;;;;;;;;;;;
–আর কোন কথা নেই তানিশার দিকে নজর যেতেই কাব্য হা হয়ে তাকিয়ে গেছে কারণ আজ তানিশাকে এতো সুন্দর লাগছে যে কাব্য আজ দুচোখ ভরে দেখে স্থির হয়ে গেছে
**সবাই কাব্যর দিকে তাকিয়ে আছে কিন্ত কাব্যর কোন হুস নেই
**আর এদিকে তানিশা তো লজ্জায় শেষ কাব্যকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে।।।।
আবিরঃ hello(কাব্যর সামনে তুঁড়ি মেরে)
কাব্যঃ হুম
আবিরঃ আরে ওই:::::
কাব্যঃ হ্যা বল(তাও তাকিয়ে আছে তানিশার দিকে)
আবিরঃ কোন গ্রহে গেলি??(কাব্যকে ঝাকি দিয়ে)
কাব্যঃ হ্যা এইতো কী হয়েছে??(স্বাভাবিক অবস্থায় এসে)
আবিরঃ এমন ভাব করছিস যেনো কোনদিন দেখিসনি?? অন্য বউএর দিকে এভাবে তাকাবি না(কানের কাছে মুখ নিয়ে যেয়ে)
কাব্যঃ হুম বুঝতে পেরেছি আচ্ছা ঠিক আছে।।
তানিশাঃ উল্লুক এর ছাঁ এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেনো কোনদিন দেখেনি হুহ
দেখাব মজা (মনে মনে)
কাব্যঃ hello miss tanisha
তানিশাঃ hi vaiya
কাব্যঃ কী????
তানিশাঃ ভাইয়া,,,,,(মুচকি হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ পাজি মেয়ে ভাইয়া বলা না?? বোঝাবো তোমাই বিয়েটা হোক(মনে মনে) হুম আপু শুভ হোক তোমার বিবাহর জীবন
তানিশাঃ thank you vaiya?
কাব্যঃ আবার???
তানিশাঃ কিছু বললেন?
কাব্যঃ না কিছু না
আচ্ছা আমি একটু আসছি ওকে
আবিরঃ আমিও একটু এদিক সেদিক ঘুরে দেখি
নীলাঃ হুম খুজে দেখেন কেউ খুজছে আপনাকেও
আবিরঃ হপ। চুপচাপ বসে থাক(বলেই চলে গেল)
তানিশাঃ আচ্ছা উনি তোর ভাইয়ের কেমন পরিচিত??
নীলাঃ খুব ছোট থেকেই ওরা খুব ভালো বন্ধু একসাথেই থাকে
তানিশাঃ ooh ভালো
–বিভিন্ন কথা আলোচনা তারমাঝে তানিশাকে সবাই দেখতে আসছে এভাবে অনেক্ষন পেরিয়ে যাই
তানিশার বাবাঃ কীরে অনেক্ষনই তো হলো এবার যেয়ে খবরটি দিয়ে দিই??
কাব্যর বাবাঃ কী খবর???
তানিশার বাবাঃ আরে বলে দিই যে বর আসবে না
কাব্যর বাবাঃ ওওহ হ্যা,,, চল চল আহ্ আজ যে কী মজা হচ্ছে
তানিশার মাঃ হুম মাঝখানে আমার মেয়েটা একটু কষ্ট পাবে
তানিশার বাবাঃ কষ্ট মানে? সেইতো এসব করেছে
তানিশার মাঃ হুম, তাও যখন সে এসব সত্য জানতে পারবে কী অবস্থা যে তার হবে
কাব্যর মাঃ হুম সেটা আর বলতে,,,আচ্ছা চলুন তো।
–কাব্যর পরিবারের বাবা ও মা তানিশার পাশে যেয়ে দাঁড়ায় আর তানিশার বাবা-মা তানিশার কাছে যাই
মন খারাপের মুড নিয়ে।
তানিশাঃ কী হয়েছে বাবা???এমন মন খারাপ কেন??(দাঁড়িয়ে পড়ে)
বাবাঃ মারেএ একটা দুঃসংবাদ আছে
তানিশাঃ কী?????
বাবাঃ বরপক্ষ আসবে না(চোখে একটুআধটু পানি নিয়ে)
তানিশাঃ কেন?? (কাপাকাপা কন্ঠে)
বাবাঃ ছেলের নাকি অন্য কোথাও আরও একটা রিলেশন আছে।
তানিশাঃ (যাক প্লান কাজ করেছে ইয়াহুউউউউউউ এবার আমাকেও একটু চালিয়ে যেতে হবে))
–তানিশা নিস্তব্ধ ভাবে বসে পড়ল।
চারিদিকে সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসে অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে
বাবাঃ আমি জানিনা মা এটা কেন হলো::::
তানিশাঃ হুন সব তো আমি জানি কিন্ত এখন কী হবে?? বেটা কাব্য কই কিছু বলে না কেন???(মনে মনে)
**কিছুক্ষন নীরবতার পর কাব্য এসে তাদের এমভাবে দেখে অবাক হয়
কাব্যঃ whatever?? সবাই এমন চুপ কেন?
কাব্যর বাবাঃ (হঠাৎ করে বলে উঠল). এই বিয়ে হবে
–সবাই অবাক চোখে কাব্যর বাবার দিকে তাকিয়ে।
তানিশার বাবাঃ (কাব্যর বাবার কাছে যেয়ে) হবে মানে কীভাব হবে???
কাব্যর বাবাঃ হুম হবে আজ এখানে আর এক্ষনিই আমার ছেলে কাব্যর সাথে। তোর কোন আপত্তি???
তানিশার বাবাঃ না আমার কোন আপত্তি নেই যা আপত্তি আমার মেয়ের তার কোন অসুবিধা আছে কিনা জিজ্ঞেস কর
কাব্যর বাবাঃ মা তোমার কোন আপত্তি আছে??
তানিশাঃ নিরবতা,,
কাব্যর বাবাঃ বলো কিছু এটা ছেলে খেলা না যদি আপত্তি না থাকে তাহলে বলো আর থাকলে কিছু করার নেই
তানিশাঃ (কাঁদোকাঁদো গলাই) আমার কোন আপত্তি নেই। আপনার ছেলেকে বলুন।
কাব্যর বাবা কাব্যর দিকে তাকাই আর কাব্য হ্যা সম্মতি দেই
সবার মুখ আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠে তাড়াতাড়ি করে সবাই হাসিমুখে কাজী সাহেব নিয়ে বসে পড়ে কিছুক্ষন পর তাদের বিবাহ জীবন সম্পন্ন হয়
****বিদাই বেলা******
তানিশার মাঃ কিছু করার নেই মা। কি হতে কি হয়ে গেলো (কান্না করে)
তানিশাঃ সব আমার জন্য মা সব আমার জন্য(কান্না করে)
তানিশার মাঃ না মা এতে কারোর দোষ নেই,,যা হয়েছে ওটা ভুলে যে এখন কী করবি সেটা ভাব নিজেকে ভালো করে চ্যালেঞ্জ কর সেটা মেনে চলবি
তানিশাঃ হুম মা দোয়া করবে।
তানিশার বাবাঃ ভালো করে থাকিস মা আর তাদের মন মতো থাকবি
তানিশাঃ হুম বাবা
–তানিশা তাদের বাবা ও মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে যেটাকে শেষ কান্না বলে।
–বাবা মাকে ছেড়ে দিয়ে তার বোন সুমির কাছে যাই
তানিশাঃ ভালো করে থাকবি কেমন?? আর কেউ তোকে জ্বালাবে না তোর চকলেট ও খাবে না আর হ্যা আমার ঘরে দেখবি অনেক চকলেট আছে সব তোর জন্য
সুমিঃ আপুউউউ হুঁ হুঁ হুঁ (জোড়িয়ে ধরে)খুব মিস করব তোমাই আর তুমি তো বললে ঘরে তালা দিয়ে যাবে।
তানিশাঃ দূর পাগলী। ওটা এমনি বলেছিলাম। আমার রুমে তুই যা মন করবি কিন্ত একটু গুছিয়ে রাখিস কেমন?
সুমি; হুম তুমি চিন্তা করো না
–সবার থেকে তানিশা বিদায় নিয়ে গাড়ীতে বসে
তারপর কাব্যর পরিবারও বিদাই নিয়ে গাড়ীতে বসে পড়ে গাড়ী আপন গতিতে চলতে থাকে কারোর মুখে কোন রকম কথা নেই
কাব্যও কিছু বলতে পারছে না
আর তানিশাও চুপচাপ তার দুষ্টুমিগুলো মনে করছে আর কান্না করছে কিন্ত কাব্য বাধা দিচ্ছে না সে বুঝতে পারছে আজকের দিনে সব মেয়েই এসব মনে করে কান্না করে। তাই সে তানিশাকে মন ভরে কান্না করতে দিচ্ছে।
এখানেই শেষ না গল্প
এবার আসবে
#devil_love (married life) season 2
সাথে থাকছে আরও অনেক কাহিনি
জানতে সাথে থাকুন
ধন্যবাদ।