devil love married life part : 7
writer-kabbo mahmud
**কাব্যর বুকের উপরে তানিশা মাথা রেখে দুজনে একে উপরে গল্প করছে★
কাব্যঃ আজ তোমাকে পর্দাই অনেক সুন্দর লাগছিলো।
তানিশাঃ পর্দাই সবাইকেই সুন্দর লাগে।
কাব্যঃ কিন্ত এটা করে কেন?
তানিশাঃ তুমি কি তোমার বউ এর সৌন্দর্য অন্য কাউকে দেখাবে?
কাব্যঃ কখনো না
তানিশাঃ তার জন্যই পর্দা করতে হবে আমাই। কোন নারীর সৌন্দর্য একমাত্র তার স্বামী ছাড়া অন্য কারোর দেখাই হক নেই।
কাব্যঃ বাহ্ তুমি এসব কিভাবে জানলে?
তানিশাঃ কেন?মুসলমান এর মেয়ে হয়ে এটুকু জানবো না?
কাব্যঃ তাহলে এতোদিন মেনে চলোনি কেন?
তানিশাঃ জানিনা তবে আমার মনে হয় আর ১০টা মেয়েদের স্টাইল দেখে আমিও তেমন হয়ে গেছিলাম। তবে এখন ঠিক হবো ইনশাল্লাহ।
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ তুমি কি আমাই শুধু মাত্র এই পৃথীবিতেই চাও নাকি পরকালেও?
কাব্যঃ হঠাৎ এমন কথা?(ভ্যাবাচেকা খেয়ে)
তানিশাঃ না মানে সবাইকেই তো মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
কাব্যঃ আমি তোমাকে সবখানে চাই(আরো জোরে চেপে ধরে)
তানিশাঃ তাহলে তোমাই নিজের ধর্ম মেনে চলতে হবে।
কাব্যঃ মেনে চলি তো।
তানিশাঃ কী কী মানো??
কাব্যঃ এই যে আমি মুসলমান।
তানিশাঃ মুসলমান হিসেবে যা যা করণীয় সেগুলো করো?
কাব্যঃ উম.. না
তানিশাঃ এখন থেকে করবে যদি আমাই সারাজীবন আখিরাত -পরকাল পেতে চাও*
কাব্যঃকী কী করতে হবে?
তানিশাঃ ইসলামের পথে সম্পন্নভাবে চলতে যা যা করতে হয়।
কাব্যঃ হুম করব। কিন্ত তাও তুমি একটা লিস্ট বানিয়ে দাও কি কি করব।
তানিশাঃ ok,শোনো :::::
*ভোরবেলা উঠে ফজরের নামায সহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে এক ওয়াক্ত নামায বাদ দিলে শাস্তি।
*সবার সাথে ভালো ব্যাবহার অবশ্য এটা ঠিক আছে।
*দাঁড়ি গুলো রেখে দিবে।
*স্টাইল ভালো তবে বেশি না। প্যান্ট টাখনুর উপরে থাকবে
কাব্যঃ তা না হলে?
তানিশাঃ
তা না হলে? আল্লাহু বলেছেযে ব্যাক্তি টাখনুর উপরে পোশাক পরিধান করেনা তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তার মুখ ও আমি দেখব না* আর এই ভুল করলে প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে তোমার পাপ হবে যে পাপের কোন ক্ষমা নেই।
কাব্যঃ তুমি কিভাবে ছেলেদের বিষয় জানলে?
তানিশাঃ ঠিক জানিনা তবে শুনেছি।
কাব্যঃ তারপর??
তানিশাঃ
*তারপর টুপি চেনো? সেটা মাথাই দিয়ে রাখবে
*কোরআন তেলাওয়াত করবে
*সবাইকে ইসলামিক পরামর্শ দেবে
*সত্য কথা তো বলো জানি তবে মিথ্যা লুকাবেনা
এগুলো আগে পালন করো তারপর আরও আছে
কাব্যঃ হুম* অবশেষে আমি ধার্মিক বউও পেয়ে গেলাম।
আর কী কী গুণ আছে তোমার মধ্যে?
তানিশাঃ জানিনা তবে মা আমাকে এটুকু কাজ দিয়েছে। বলেছে এতোদিন যা করেছ জানিনা এখন থেকে সবাই মিলে তোমার সৃষ্টি কর্তার পথ মেনে চলবে। তাই আমি তার কথা না মেনে থাকতে পারলামম না।
কাব্যঃ good, শুধু এটুকুই বলেছে? বলেনি খুব জলদি নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চাই???
তানিশাঃ যাহ্ (কাব্যর বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে) এটা এখন না পরে।
কাব্যঃ আচ্ছা এটা এখন না তবে আমার আদর?
তানিশাঃ পাবে
কাব্যঃ কখন? আমার এখনই চাই।
তানিশাঃ লাগবে??
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ আচ্ছা নাও রোম্যান্টিক ডেভিল:::::::
–তারপর আবার কী দুজনেই ভালোবাসার সাগরে ডুব দিলো স্বামী-স্ত্রীর মধুর ভালোবাসা।
★★★★
ভোরবেলা তানিশা কাব্যর বুকের উপরে থেকে উঠে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে এসে ফজরের নামাজ পড়ে তারপর কুরআন তেলাওয়াত করে।
এক মধুরসুর আজ তাদের বাসাই রাঙিয়ে দিচ্ছে যেটা কাব্যর মা বুঝতেপারে কারণ তিনিও ঘুম থেকে উঠেছে।
মাঃ আমাদের বাসাই কুরআন তেলাওয়াত??? আমি আর কাব্যর বাবা ছাড়া তো কেউ করেনা!!!
–কাব্যর মা আস্তে আস্তে তেলাওয়াত সুনে এগিয়ে এসে দেখে এটা কাব্যর রুমে থেকে আসছে।
মাঃ তবে!!! বউমা?
-তার মার বুঝতে আর বাকি নেই মন খুলে মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেলো।
কিছুক্ষণপর কাব্যর ও ঘুম ভেঙে যাই চোখমেলে তাকিয়ে সে অবাক।
কাব্যঃ এসব আমি কী দেখছি? একটা মেয়ের এতোটা চেঞ্জ???কি আছে এই মেয়ের মধ্যে?…..
-হাজারো প্রশ্ন তানিশার দিকে চেয়ে মনে মনে ভাবছে। আর তানিশা মন দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করছে।
*****
*****
*****
–কাব্য অনেক আগ্রহ নিয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে কুরআন তেলাওয়াত শুনছে। অনেকক্ষণপর তানিশা উঠে বসে জায়নামাজটি ভাজ করে নিজেকে গুছিয়ে কাব্যরদিকে চোখ যেতেই খেয়াল করে কাব্য তারদিকে একভাবে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে।
তানিশাঃ কি হলো?.এভাবে তাকিয়ে আছো যে?
কাব্যঃ……………
তানিশাঃ এই যে মশাই
কাব্যঃ হুম(কোন হুশ নেই)
তানিশাঃ (কাব্যর গালে হাত দিয়ে) কী ভাবছো??
কাব্যঃ না কিছু না(বাস্তবে এসে)
তানিশাঃ এতো তাড়াতাড়ি উঠলে যে?
কাব্যঃ এমনিই। আচ্ছা আমাই ডাকলে না কেন?
তানিশাঃ কেন তুমি কেন উঠবে?
কাব্যঃ আমিও তোমার মতো হতে চাই তুমি যে নিজেকে এতো চেঞ্জ করতে পারো ভাবতেই পারিনি।
তানিশাঃ নারীকুল এমনিই তাদের এক থাকতে নেই।
কাব্যঃ কুরআন তেলাওয়াত ও পারো?
তানিশাঃ হুম কেন তুমি পারোনা?
কাব্যঃ হুম ছোট থাকতে শিখেছিলাম এখনো মনে আছে হয়তো।
তানিশাঃ মনে হারালে চলবেনা আআবার শিখতে হবে।যাও উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও।
কাব্যঃ হুম।
-কাব্য ফ্রেশ হতে যাই আর তানিশা নিচে যেয়ে দেখে তার শাশুড়ি মা রান্না করছে আজ তিনি মুখে হাসি নিয়ে কাজ করছে যেটা তানিশা বুঝতে পারছেনা
।
মাঃ ধন্যবাদ মা তোমাকে।
তানিশাঃ কেন?(অবাক হয়ে)
মাঃ এতোদিনপর এই বাসাই কুরআন তেলাওয়াত হলো এতো মধুরসুরে।
তানিশাঃ আমি চাইছি আপনার পথ অবলম্বন করে চলতে আপনি শুধু আমাই বুঝিয়ে দেবেন।
মাঃ এইতো এটাই আমি চেয়েছিলাম আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। আমি এভাবে সারাজীবন চলতে চাই।
তানিশাঃ আচ্ছা মা আজ এতো রান্না কেনো?
মাঃ তোমাদের জন্য সারপ্রাইজ না শুধুমাত্র তোমার জন্য আছে।
তানিশাঃ কী সারপ্রাইজ?? (আনন্দে লাফিয়ে উঠে)
মাঃ হা হা হা সারপ্রাইজ কী বলতে আছে?
তানিশাঃ হুম তাও ঠিক আচ্ছা ঠিক আছে।
-রান্নার কাজ সেরে সবাইমিলে ব্রেকফাস্ট শেষকরে বিভিন্ন বিনোদন নিয়ে বসে সবাই।
নীলাঃ আবির ভাইয়া ভাবিকে কবে নিয়ে আসবে?
আবিরঃ আমি কিভাবে বলব? তোরা ঠিক কর আমি এর মধ্যে নেই?
নীলাঃ হুম বউ নিবে তুমি আর পরিশ্রম আমাদের?
আবিরঃ আচ্ছা আমার লাগবে না তোরা নিয়ে নে।
বাবাঃ মেয়ের নাম্বার নিয়েছ??
আবিরঃ না ম….আনে!
বাবাঃ মানে মানে না মেয়ের নাম্বার আমাই দাও
নীলাঃ কেন বাবা মেয়েটাকে তোমার লাগবে?(জিহ্বাই কামড় দিয়ে)
বাবাঃ এটা কেমন কথা মামুনি?
নীলাঃ না মানে নাম্বার চাইছো!!!!!!!!!
বাবাঃ এটা বুঝতে হবেনা এটা আমি আর তোমাদের মা বুঝে নেবো দাও
আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে নেন
-আবির নাম্বারটি তার বাবাকে দেই।
বাবাঃ আর হ্যা শুনে রাখো আজ কিন্ত বাসাই আমাদের আপনজন আসছে?
মাঃ একজন না তিনজন/////
নীলাঃ কে???
বাবাঃ না না বলা যাবে না।
কাব্যঃ বাবা অফিসের কাজ কিন্ত পেছনে পড়ে আছে অনেক।
বাবাঃ কোন কথা থেকে কোন কথা নিয়ে আসে দেখো তো!! কাজের কথা রাখো তোমার কাজ তুমি করোনা। পারলে এখন ফ্যামিলির দিকে মন দাও। আল্লাহ্ যা করে ভালো করে যা দিয়েছে এটুকুই চাই ওতো টাকার দরকার নেই।
নীলাঃ হুম। আচ্ছা মা উনারা কখন আসবে?
মাঃ সময় দাও এখন ৯.২৩টা বাজে ১০.৩০ চলে আসবে।
আবিরঃ আমি বুঝে নিয়েছি কে আসবে।
নীলাঃ বুঝিলে ভালো কিন্ত বললে খবর আছে:::::
কাব্যঃএভাবে শুধু কথাই চলবে কাজ নেই?
নীলাঃ ভাইয়া তোর কী কাজ ছাড়া আর কিছু চলেনা??
তানিশাঃ হুম বদমাইশ এর কাজ বেশি হা হা হা।
-সবাইমিলে হাসাহাসি করছে আর কাব্য রেগেমেগে শেষ।
কাব্যঃ আমার রাগানো তাইনা??দেখাচ্ছি(মনে মনে)
তানিশাঃ আচ্ছা নীলা পড়াশোনা কেমন চলছে?
নীলাঃ সেটা আমি কেন বলব তুইও জেনে নে;;;?
তানিশাঃ হুম আমারো পড়াশোনা শুরু করতে হবে।
বাবাঃ হ্যা মা এই ধাপটুকু পার করো তারপর দেখা যাবে।
তানিশাঃ হুম।
কাব্যঃ তানিশা আমার ঘড়িটা কোথাই?একটু খুজে দাও চলোতো
তানিশাঃ বালিশের পাশে।
কাব্যঃ এ কীভাবে জানল!!!!! কি করি এখন??? তোমার ১২টা তো বাজাতেই হবে একটা বুদ্ধি তো চাই *****(মনে মনে)
-সবাই কাব্যর দিকে লক্ষ্য করে আছে ★
তানিশাঃ আর কিছু.??
কাব্যঃ নাহ্ আচ্ছা একটু রুমে চলো কাজ আছে।
তানিশাঃ কী???
কাব্যঃ চলোনা;:::
তানিশাঃ কি কাজ???
কাব্যঃ চলো(তানিশার হাত ধরে)
কাব্য ও তানিশা বাদে সবাইঃ হুঁমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম
-সবার এমন কাজ আর কাব্যর কথা শুনে তানিশা বেচারী লজ্জাই লাল আর কাব্য মিটমিট করে হাসছে???
তানিশাঃ পাজী বর তোর একদিন কি আমার একদিন দেখে নেবো????
–সবাই এমন seen দেখে হাহাহা করে হাসতে লেগে যাই। হাসির মাঝে কলিংবেল বেজে উঠে। সবাই হাসি বন্ধ করে।
নীলাঃ এখন আবার কে আসল?
মাঃ তোমাদের বুঝতে হবেনা বউমা উঠো দাড়াও
তানিশাঃ কেন?
মাঃ উঠোনা।
-তানিশা উঠে দাঁড়াই আর তার মা এসে তানিশার চোখদুটি ধরে দরজার কাছে নিয়ে যেয়ে দরজাটি ধীরে ধীরে খুলে দেই এবং সাথে তানিশার চোখদুটি খুলে দিয়ে তার মা বলে উঠে
মাঃ সারপ্রাইজ ☺☺☺☺☺☺☺☺
চলবে।