devil love married life part : 5
writer-kabbo mahmud
কাব্যঃ এইযে মেয়ে উঠো:::::
তানিশাঃ নাহ আর একটু বাবা
কাব্যঃ what???বাবা!!!!
তানিশাঃ no ans:::
কাব্যঃ(বিরক্তিভাব নিয়ে) এই যে আমার রুপবতী,গুনবতী,দুষ্টুবতী,মিষ্টিবতী বউ ঘুম হয়েছে?
তানিশাঃ (তাকানোর পর) ওহ্ হ্যা আমি তো আমার স্বামীর বুকের উপরে মনে নেই
কাব্যঃ তাই? তাহলে একটু আগে কোথাই ছিলে?
তানিশাঃ কলেজে যাওয়ার জন্য মা ডেকে ডেকে পারে না তাই বাবা এসে ডাকত তাই সেটাই ভেবেছিলাম
কাব্যঃ আহারে এতো পিচকি মেয়েকে বিয়ে করলাম বাল্যবিবাহ হলো নাতো?
তানিশাঃ নাহ্ আমার বয়স ১৮+হয়ে গেছে
কাব্যঃ তাই??
তানিশাঃ হুম
কাব্যঃ এবার উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও নিচে সবাই অপেক্ষা করছে।
তানিশাঃ (বুকে চুমু দিয়ে)নাহ আর একটু থাকি?
কাব্যঃ এখনো একটু???
তানিশাঃ হ্যা
কাব্যঃ আচ্ছা ঘুমাও
–তানিশা কাব্যকে বাহুডোরে জোড়িয়ে ধরে চোখ বুজে আছে আর কাব্য অপলক ভাবে তানিশার দিকে চেয়ে আছে।
কাব্যঃ আসলেই এটা সর্ব সত্য যে বাবা-মা সন্তানের ক্ষতি চাই না কিন্ত ভালো করতে গিয়ে যে তোমরা আমার এতো একটা ভালো কাজ করে দিলে যে আমি তোমাদের কি বলব ভেবে পাই না। তানিশার মতো একটা বউ পেয়ে আসলেই আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি ও যেটা চাই আমি বুঝতি পারছি নিজের ভিতরে ফিল কাজ করছে আসলেই এটা স্বামী আর স্ত্রীর ভালোবাসা
*কাব্য ঠোটের কোণাই একটুকরা হাসি নিয়ে মনে মনে তানিশাকে নিয়ে অজানা কথা ভাবছে।
**সকাল ১০.৩৭ কাব্য সময় দেখছে আর তানিশাকে দেখছে কী করবে ভেবে পাচ্ছে না এমন কেন করছে বুঝতেও পারছেনা
কাব্যঃ অনেক ঘুমিয়েছো। সবাই কী ভাবছে কে জানে। (মনে মনে) এইযে এলিয়েন *এলিয়েন এর চোখে তো ঘুম থাকেনা
তানিশাঃ (আতংকিত হয়ে) এই কথাটি আপনাকে কে বলল??(কাব্যর দিকে চেয়ে)
কাব্যঃ আমি বলছি।
তানিশাঃ না মানে এটা বললে আমি রেগে যাই তাই আপনি কিভাবে জানলেন এটা?
কাব্যঃ নীলা বলেছে।
তানিশাঃ তবেরে (উঠে বসে) আজ ওর একদিন কি আমার। চলো ফ্রেশ হয়ে নিচে যাই(অস্থিরতা নিয়ে)
কাব্যঃ আচ্ছা চলো
–তানিশা নিচে নেমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো আর কাব্য বসে বসে ভাবছে।
কাব্যঃ দুষ্টুমি পেলে আর ঠিক থাকতে মন চাইনা?
**কাব্য মনে মনে হেসেই যাচ্ছে
কিছুক্ষণ পর।
তানিশাঃ যাও তুমি ফ্রেশ হয়ে এসো আমি নিচে যাই।
কাব্যঃ বউ এর একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি
তানিশাঃ কী?
কাব্যঃ আপনি থেকে তুমি
তানিশাঃ হয়ে যাই। এখন যান
কাব্যঃ ওকে
–কাব্য উঠে যেয়ে ফ্রেশ হতে গেলো আর তানিশা নিচে চলে গেলো।
*নিচে এসে দেখে নীলা,আবির,আর তাদের বাবা-মা সবাই বসে আছে কিন্ত একটা জিনিস তানিশা বুঝতে পারছেনা সবাই তার দিকে এভাবে চেয়ে আছে কেন? যেটা দেখে তানিশা কিছুই বুঝতে পারছে না।
তানিশাঃ ক..কি? হয়ে..ছে? সবাই আমার দিকে এভাবে!!!!!!
মাঃ কিছুনা তুমি এসো আমার পাশে বসো
-তানিশার বসে যাওয়ার পরেও সবাই তানিশার দিকে চেয়ে আছে।
নীলাঃ আজ এতো দেরী কেন উঠতে?
তানিশাঃ এই রে সেরেছে এর জন্য এমন করছে??(জিহ্বাই কামড় দিয়ে)
নীলাঃ কি হলো?
তানিশাঃ না ম…মানে!!**কী বলি এখন?
নীলাঃ বল
তানিশাঃ সেটা তোমার ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করো।
*কিছুক্ষণপর কাব্য খুব সুন্দরভাবে রেডি হয়ে নিচে আসল। এসেই থমকে যাই সবার এমন কার্যকালাপ দেখে,
কাব্যঃ what? সবাই এভাবে তাকিয়ে কেন?
বাবাঃ নাহ কিছুনা
কাব্যঃ বলো কি?
আবিরঃ কী রে বেটা এতো দেরী কেন? ঘুম ভাঙেনা?
কাব্যঃ সেটা ও কে জিজ্ঞেস কর(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে)
নীলাঃ কী ব্যাপার?
তানিশাঃ আমি কি করব?উনিই তো আমাই যেতে দিচ্ছিল না আমাই চেপে ধরে ছিলো।
কাব্যঃ কী???(ভ্যাবাচেকা খেয়ে)
তানিশাঃ হুম আপনি তো আমাই জোরিয়ে ধরে বললেন আরও একটু থাকো
কাব্যঃ সবার সামনে আমাই ফেলুদা বানানো হচ্ছে? দেখাবো মজা(মনে মনে)
নীলাঃ তারপর?
তানিশাঃ তারপর শুনবে??
নীলা+আবিরঃ হুমম………..
তানিশাঃদুজনে বিয়ে করে নাও বুঝবে।
আবিরঃ কী????(আসমান থেকে পড়ে)
তানিশাঃ সেটা বুঝাতে চাইনি।বলছি দুজনে নিজ নিজ মনের মানুষ খুজে বিয়ে করে নাও। তাহলে বুঝবে,
নীলাঃ আমার এখন না তবে আবির ভাইয়ারটা চেষ্টা করা যেতে পারে। কী ভাইয়া???
আবিরঃ দেখ তোরা খুজে পেলে হবে।
বাবাঃ হুম তাহলে আবারো আমার আরও একটা ছেলের বিয়ে এটা তো আরও জমজমাট হবে।
নীলাঃ হ্যা কিন্ত একে কে পছন্দ করবে??
তানিশাঃ আসলেই এতোদিনে একটাও পাইনি মনে হয় এখন কীভাবে পাবে?
নীলাঃ তাহলে(তানিশাকে ইশারা করে)
তানিশাঃ হুম বুঝেছি ডাল কো দেখনা পারেগা।
মাঃ হয়েছে কথা?? পাত্রী চাই? আল্লাহু যদি রাখে তাহলে হবে এবার চলো সবাই খাওয়ার সময় পার হয়ে গেছে কখন থেকে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি।
নীলাঃ হুম চলো চলো আমারও খুব খুধা পেয়েছে।
*সবাই খাবার টেবিলে বসে:::::
বাবাঃ কাব্য তাহলে গতকাল যে তোমাই ফোন করেছিলো সে অফিসের না?
কাব্যঃ হুম। ওহ্ হ্যা আমি তো ভুলেই গেছি আজ একটু অফিসে যাবো সবার সাথে দেখা করতে অনেকদিন যাওয়া হয়নি।
বাবাঃ হুম যাও তবে বউমাকে সাথে করে নিয়ে যাও।
কাব্যঃ আজ না অন্য একদিন আজ আমি আর আবির যাবো
মাঃ হ্যা দুজনেই যাবে তার সাথে বউমা ও যাবে সারাদিন রুমে থাকার চেয়ে একটু ঘুরে আসুক
নীলাঃ আমিও যাবো তাহলে?
তানিশাঃ বেশ মজা হবে।(আগ্রহী হয়ে)
কাব্যঃ তাহলে আবার কী সবাই রেডী হয়ে নাও
আবিরঃ ভাবির রেডি হতে সময় লাগবে না কিন্ত নীলার (বলেই হেসে দেই)
নীলাঃ মানে?
আবিরঃ মানে এখনো তোর বিয়ে হয়নি তাই স্টাইলিশ থাকতে হবে
মাঃ না আজ আমি বউমা আর নীলা দুজনে সাজিয়ে দেবো। কী ভালো হবেনা?
তানিশাঃ ইয়েএএ আমি তো আজ খুব খুশী
-সবার মাঝে হাত উপরে তুলে কথা বলাই থমকে যাই সবাই সাথে তানিশাও নিজেকে ঠিক করে ফেলে আর ভাবে আমি নিজের বাসাই নেই। সবাই কেমন করে তানিশার দিকে তাকিয়ে
তানিশাঃ s…o.rrr..y(থতমত খেয়ে)
সবাইমিলেঃ ????????
বাবাঃ আমরা তোমার থেকে এগুলোই আশা করি মা। সবসময় এমন থাকবে আমাদের হাসাবে ভালো রাখবে কী পারবে না?
তানিশাঃ হুম আমাই পারতে হবে।(আনন্দে উচ্ছাস)
কাব্যঃ ok, আমি এদিকে থাকছি তোমরা এসো।
-সবার খাওয়া শেষে আবিরও রেডি হয়ে চলে আসে আর তানিশা ও নীলা তার মায়ের সাথে যাই।
মাঃ আজ তোমাদের যেভাবে সাজাবো তোমরা সেভাবেই সেজে থাবে পারবে?
তানিশাঃ হুম মা পারব
মাঃ আজ নতুন রুপে সাজবে তোমরা। জীবনে অনেক কিছু করেছো এখন থেকে সব পাল্টাতে হবে যিনি সৃষ্টি করেছে এবার তার পথে চলতে হবে আমরা সবাই কিছুটা হলেও চলি কিন্ত কাব্য কে এখনো সেভাবে নিয়ে আসতে পারিনি তাই বউমা সেই দায়িত্ব তোমার।
তানিশাঃ হুম।
মাঃ তাহলে যাও নীলা তুমি এটা নাও আর বউমা এটা যাও পরিধান করে এসো।
–কিছুক্ষণের মধ্যে দুজনে সেগুলো পরে রেডি হয়ে আসল।
মাঃ বাহ দুজনকে অনেক সুন্দর লাগছে মাশাল্লাহ্।
তানিশাঃ আসলেই মায়ের রুপ অনেক আমি খুব ভাগ্যবতী যে এমন পরিবার এমন জীবন পেয়েছি(মা কে জোড়িয়ে ধরে)
মাঃ হয়েছে এবার এসো একটু ঘুরে এসো
নীলাঃ মা কলেজে যেয়ে পরিবর্তন হয়ে যেয়ে আর এসব নিয়ে ভাবিনি তবে এখন আর ভুল হবেনা
মাঃ সবার স্বাধীনতা দরকার তবে আমি এই স্বাধীনতা তোমাই দিয়ে ভুল করেছিলাম তাও কিছু বলিনি এখন যেহেতু বুঝেছো তাই দ্বীন জীবন তোমাদেরই ঠিক করতে হবে।
নীলাঃ হুম। তানিশা চল
তানিশাঃ ওই ভাবি বল ভাবি
নীলাঃ হা হা হা হুম ভাবি চলো–
–দুজনেই বাইরে চলে গেলো কাব্য ও আবির গাড়ীতে বসে।
আবিরঃ বস এরা কারা??
কাব্যঃ আমি কীভাবে জানব??
আবিরঃ আমাদের বাসার ভেতর থেকেই আসছে
কাব্যঃ আসুক।
আবিরঃ হুর(বিরক্তি নিয়ে)
-নীলা ও তানিশা তাদের সামনে আসাই কাব্য ও খেয়াল করে কিন্ত চিনতে পারছেনা।
দুজনেই গাড়ীর মধ্যে উঠে বসে/////
নীলাঃ চলো ভাইয়া::::
কাব্যঃ ভাইয়া????????
নীলাঃ চিনতে পারছিস না? আমি নীলা আর এটা ভাবী।
–কাব্য ও আবির অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে আর কাব্য তানিশাকে দেখে অবাক কারণ তানিশার চোখ দুটো আজ অনেক মায়াবী লাগছে।
চোখ ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না কারণ তাদের মা আজ পর্দা করার পোশাক দিয়েছিল। হ্যা আজ তারা দুজনেই পর্দা করে।
তানিশাঃ কী হলো চলুন!!
নীলাঃ ভাইয়া ভাবিকে দেখা হলে চল আর ভালো লাগছেনা খুব উত্তেজিত কতদিন পর ঘুরিতে যাবো।
কাব্যঃ হুম।।।। বাহ্ পর্দাই তোমাকে আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে(মনে মনে)
-সবাই মিলে বিভিন্ন কথা আনন্দে গাড়ী নিয়ে প্রথমে অফিসে যেয়ে সবার সাথে সাক্ষাৎ করে ঘুরে বেরাবে।
চলবে,,