devil love married life  part : 4

0
5118

devil love married life  part : 4
writer-kabbo mahmud

কাব্য ও আবির বাইরে দাঁড়িয়ে আবির কলিং বেল চাপ দেই কিছুক্ষণ পর মিথি এসে দরজা খুলে দেই। মেয়েটি বেশি রুম থেকে বের হয় না মিশুক ও না চুপচাপ থাকে কেউ তাকে কিছু বলেও না বাবা মা মারা যাওয়ার পর এমন হয়ে গেছে। কাব্য ও আবির বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে সামনে কাব্যর বাবা-মা নীলা আর তানিশা বসা থেকে উঠে দাঁড়াল সবার চোখে পানি আর চিন্তার ছাপ। কাব্য তার মায়ের সামনে যেয়ে দাঁড়াল তার মা ছলছল চোখে তাকিয়ে
কাব্যর দুটি গালে হাত দিয়ে কপালে একটা চুমু দেই

মাঃ আমার ছেলে কি হয়েছিল? কিছু হয়নিতো দেখি (সব শরীর ভালো করে দেখে) তোর কিছু হবেনা কিছুনা (জোড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই)
কাব্যঃ মা তুমি চিন্তা করো কেন? তোমাদের ভালবাসা আর দোয়া তো আমার সাথে আছেই কিছু হবেনা আমার
বাবাঃ অনেক ধকল গেলো একটু ছেলেকে বিশ্রাম নিতে দাও সারাদিন কি খেয়েছে কি খাইনি ঠিক নেই এবার ছেড়ো ফ্রেশ হয়ে আশুক খাওয়ার সময় কথা হবে।
মাঃ হুম আম্মু তুমি যাও ছেলেটিকে রুমে নিয়ে যেয়ে ফ্রেশ করে নিয়ে এসো
তানিশাঃ হুম *চলুন*
-দুজনে মিলে উপরে যাই কাব্য ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসে আর তানিশা চুপচাপ বসে।
কাব্যঃ কী হলো? এভাবে বসে কেন?
তানিশাঃ কিছু না
কাব্যঃ ok
*জামা-কাপড় চেঞ্জ করে
কাব্যঃ চলো নিচে যাই
তানিশাঃ হুম
কাব্যঃ কিছু দেখনি?
তানিশাঃ না
কাব্যঃ ooh ok..
–নিচে এসে সবাই খাবারের টেবিলের সামনে বসে
মাঃ আজ তেমন কিছু রান্না হয়নি যা হয়েছে সেটাতেই খুশী হতে হবে
কাব্যঃ সে আর বটে আমার মা যেটুকু রান্না করে সেটা ভুলার মতো না
আবিরঃ হুম পুরো ঝাক্কাস
নীলাঃ ঝাক্কাস দেখতে হয় খেতে তো ইয়াম্মি লাগে
আবিরঃ হুম খুব বুঝিস
নীলাঃ অনেক।
কাব্যঃ শুনলাম নীলা নাকি প্রেম করছে??
নীলাঃ এএএয়ায়ায়ায়া(ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে)
আবিরঃ এই পেত্নীর গলাই আবার কে ঝুলবে?
কাব্যঃ আমার বোন এর জন্য অনেকে আছে কিন্ত তার মধ্যে একজন খারাপ ছেলে ছিলো যেটাকে কিলিয়ে আসলাম
বাবাঃ মানে??
কাব্যঃ হুম বাবা নীলার পেছনে পড়ে ছিলো আমারই বন্ধ নয়ন কিন্ত ও আমাদের সাথে থাকত না সব সময় খারাপ কাজ করে বেরাতো যার জন্য আমরা তাকে পছন্দ করতাম না। কিন্ত অনেক দিন আগে থেকেই শুনেছিলাম কেউ নীলাকে ডিস্টার্ব করে খোজ নিয়ে দেখলা সেটা নয়ন তাকে নিষেক করি কিন্ত শোনেনা তাই অনেক মেরেছিলাম তারপর আর দেখা হয়নি কিন্ত আজ সে অনেক gang নিয়ে আমাই একটা জাইগাতে আটকে রাখে তারপর তার লোক দিয়ে তাকেই পিটিয়ে চলে আসি।
বাবাঃ সব বুঝলাম কিন্ত তার লোক দিয়েই মার খাওয়ালি মানে?
কাব্যঃ ও তার দলের লোককে যতো টাকা দিয়েছিলো আমি তার থেকে বেশি দিয়েছি
বাবাঃ ভালো করেছো কিন্ত সব কিছু টাকা দিয়ে সমাধান হয়না একটু হাত দিয়েও কাজে লাগাতে হয়।
আবিরঃ হুম সেটা আর বটে
কাব্যঃ যা করেছি এটাই অনেক এখন ১!বছর সামনে আসতে পারবে না।
নীলাঃ ওই কাল্লুর সাথে রিলেশন করার কথা বলছিলি? বেটা খুব জ্বালাত তাই তো কলেজে যাওয়া বন্ধ করে বাসাই থাকি মাঝেমাঝে বান্ধবিদের সাথে সব জেনে নিই।
মাঃ হুম সব বুঝলাম। এখন খেয়ে নাও তারপর ঘুম দাও রাত অনেক হয়েছে। সকালে এটা নিয়ে ভাবা যাবে।
–সবাই খাওয়া শেষ করে নিজ নিজ রুমে চলে যাই।

তানিশা চুপটি করে বসে আছে আর কাব্য রুমের দরজা লক করে তানিশার পাশে যেয়ে বসে।
কাব্যঃ কী হলো কিছু বলছো না যে!!!!
তানিশাঃ কি বলব?
কাব্যঃ আচ্ছা বলা লাগবে না ঘুমাও
তানিশাঃ ঘুম আসছে না
কাব্যঃ তাহলে??
তানিশাঃ ওই তোর কি বুদ্ধি নাই? বুঝিস না আমাই? জানিস কতো টেনশন এ ছিলাম? উল্লুক পেচা,গন্ডার, ডাইনোসর, সাইকো, ডেভিল তোর মাথা ফাটাবো (কাব্যকে জোড়িয়ে ধরে তানিশা কেঁদে দেই)
কাব্যঃ আরে আরে বউটা কী পাগলী হয়ে গেলো নাকি?
তানিশাঃ (কেঁদেই চলেছে)
কাব্যঃ ওই
তানিশাঃ কথা বলবিনা কাঁদতে দে***
কাব্যঃ ok
*৫মিনিট হয়ে গেলো তবুও তানিশা কাব্যর বুকে মাথা রেখে কেঁদে যাচ্ছে
কাব্যঃ এই আর না অনেক হয়েছে। দেখি আমার বউটাকে (মুখটি উপরে তুলে) আহ্ এতো কাঁদতে পারে মুখের অবস্থা শেষ। এবার থামো থামো
-চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে একটা চুমু দেই।
কাব্যঃ যাও ফ্রেশ হয়ে এসো
তানিশাঃ না যাবো না
কাব্যঃ চলো আমার সাথে
তানিশাঃ না
কাব্যঃ দেখি তো….
-তানিশাকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যাই তারপর দুজনে ফ্রেশ হয়ে এসে তানিশাকে সুয়িয়ে দেই।
কাব্যঃ বুকের উপরে উঠো
তানিশাঃ মানে?(অবাক হয়ে)
কাব্যঃ উঠো তো আগে তারপর বলছি।
–তানিশা কাব্যর বুকের উপরে উঠে বুকের উপরে সুয়ে পড়ে।
তানিশাঃ হুম বলো(বুকের সাথে মিশে যেয়ে)
কাব্যঃ এভাবে আমার বুকের উপরে ঘুমাবে আমি প্রতিদিন তোমার চুলের ঘ্রাণ নেব আর বিলি কেটে দেবো কিহ্ দেবেনা এই সুযোগ গুলো?
তানিশাঃ আমি কি স্কুলের মিস নাকি যে পারমিশন লাগবে।
কাব্যঃ হা হা তুমি পারও খুব
তানিশাঃ এমন বডি কীভাবে বানালেন?
কাব্যঃ সিক্রেট
তানিশাঃ বউ এর কাছে সিক্রেট থাকে না
কাব্যঃ আচ্ছা???
তানিশাঃ হুম বলো
কাব্যঃ army ট্রেনিং নিয়েছি।
তানিশাঃ(কাব্যর দিকে তাকিয়ে) মানে? তুমি ওই চাকরি করতে গিয়েছিলে?
কাব্যঃ না আসলে এমনি তাদের ট্রেনিংগুলো আমার ভালো লাগে।
তানিশাঃ আমার এমন শক্ত বডি ওয়ালা জামাই চাই না।আমার বর এর শরীর নরম হবে যেনো আমি তার বুকের সাথে মিশে যাই।
কাব্যঃ o no তাহলে এখন কি করতে হবে?
তানিশাঃ কী?
কাব্যঃ তোমাকে আবার বিয়ে করতে হবে
তানিশাঃ যাহ্ তোমাকেই চাই কিন্ত আর ব্যায়াম করবে না তবে এমন থাকলে সমস্যা নেই কিন্ত এতো ফিট না
কাব্যঃ হুম হিংসে হচ্ছে তাইনা? মেয়েরা চোখ দিবে বলে?
তানিশাঃ আর চোখ দিতে পারবেনা যা চাওয়ার তা পেয়ে গেছি
কাব্যঃ কী চাইতে?
তানিশাঃ আমি??
কাব্যঃ হুম
তানিশাঃ আমি চাইতাম আমার বরটা দেখতে ফিল্মির হিরোর মতো হবে আর আমাই খুব ভালোবাসবে আমার পরিবারের সবাইকে ভালোবাসবে আমাদের ছোট সংসার হবে বাচ্চাকাচ্চা আর তাদের বিয়ে দিয়ে নাতি নাতনীর মুখ দেখে বুড়ি হবো
কাব্যঃ এটুকু?
তানিশাঃ হুম
কাব্যঃ সব তো হয়ে গেছে এভার বেবি নেওয়ার সময় এটাও হয়ে যাক??
তানিশাঃ হবে তো
কাব্যঃ কবে?
তানিশাঃ আমি তো জানি বিয়ে করলেই বাচ্চা হয়
–তানিশার এমন কথা শুনে কাব্য হেঁসে দেই আসলেই তানিশা অনেক বাচ্চামি করতে পারে আর কিছু বোঝেও না।
তানিশাঃ কি হলো হাসার কী আছে?(কপাল কূচকে)
কাব্যঃ নাহ কিছু না
তানিশাঃ তাহলে হাসছ কেন?
কাব্যঃ শুধু বিয়ে করলেই বেবি হয় না
তানিশাঃ তাহলে!!!!!!!!!!
কাব্যঃ বর কে ভালোবাসা দিতে হয় জোড়িয়ে ধরে রোম্যান্স করতে হয় ইত্যাদি
তানিশাঃ ooh তাহলে বাচ্চা হবে না?
কাব্যঃ কে বলেছে হবে না যেগুলো বললাম সেগুলো বললেই হবে।
তানিশাঃ আচ্ছা আমার যখন বাচ্চা লাগবে তখন দেবো
কাব্যঃ এটা কী হলো? কেমন ভাবে যে বোঝে তার ঠিক নেই বুদ্ধু মেয়ে(মনে মনে)
তানিশাঃ একটা কবিতা বলি?
কাব্যঃ এই না না এখন ওটা শুনার মুড নেই
তানিশাঃ কেন? ভালো লাগে না বুঝি?
কাব্যঃ না বলাও যাবে না আমার শুনলেও মেজাজ ঠিক থাকবে না *আচ্ছা বলো আমার বউ বলবে না শুনে থাকি
তানিশাঃ এটা আমার কবিতা না এটা অন্য জন এর।
কাব্যঃ বলো
তানিশাঃ

হৃদয় জুড়ে যত ভালোবাসা শুধু তোমাকে দেবো
ভেবে স্বপ্নীল মনে রঙিন আশা শুধু তোমাকে পাবো
ভেবে মনে জাগে এক রঙিন আশা শুধু তোমাকে ভালোবাসবো
ভেবে হৃদয় জুড়ে যত ভালোবাসা শুধু তোমাকে দেবো ভেবে।

কাব্যঃ আরও একটা বলো
তানিশাঃ ভালো লাগছে? (মুচকি হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ হুম বলো
তানিশাঃ

আমাকে ভালবাসতে হবে না,
ভালবাসি বলতে হবে না.
মাঝে মাঝে গভীর আবেগ
নিয়ে আমার ঠোঁট
দুটো ছুয়ে দিতে হবে না.
কিংবা আমার জন্য রাত
জাগা পাখিও
হতে হবে না.
অন্য সবার মত আমার
সাথে রুটিন মেনে দেখা
করতে হবে না. কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও
খেতে হবে না. এত
অসীম সংখ্যক “না”এর ভিড়ে
শুধু মাত্র একটা কাজ
করতে হবে আমি যখন
প্রতিদিন এক বার “ভালবাসি” বলব
তুমি প্রতিবার
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে একটু
খানি আদর মাখা
গলায় বলবে “পাগলি

কাব্যঃ হুম পাগলি বউ
-তানিশাকে কাব্য বুকের মাঝে চেপে ধরে মিশে নেই আর ভাবে
কাব্যঃ তুমি আমার সব ভুল শেষ না করে দিলে আজও তোমাই আমি কষ্ট দিতাম কিন্ত আল্লাহ আমাই তোমার মতো একটা বউ দিয়েছে ভাবিনি তোমার দুষ্টুমি ভরা চোখ মুখ বলে দেই তুমি কখনো কাউকে খারাপ থাকতে দেবে না।
তানিশাঃ কি হলো ভালো না বুঝি?
কাব্যঃ আমার বউ এর ভাবনা যে এতো সুন্দর ভাবতেই আমার আনন্দ লাগছে
তানিশাঃ আমি শুধু মাত্র তোমাকেই এগুলো শোনাতে চাই শুনবে?
কাব্যঃ হুম(কপালে একটা চুমু দিয়ে)
তানিশাঃ অনেক রাত হয়েছে। আমার ঘুম আসছে ঘুমাও
কাব্যঃ হুম ঘুমাও
*বুকে মাথা রেখে শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে তানিশা আর কাব্য চোখ বুঝে অনেক কিছু তানিশাকে নিয়ে ভাবছে আর মুচকি হাসি দিচ্ছে এভাবে ভাবতে ভাবতে দুজনে গভীর ঘুমে চলে যাই।

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে