devil love married life
writer-kabbo mahmud
::::::::::::last part:::::::::::::
তানিশাঃ আম্মু????
তানিশার মাঃ হুম মামুনিই কেমন আছো?
তানিশাঃ (জোড়িয়ে ধরে) তোমরা কী আমাই খারাপ থাকতে দাও?দেখনা কতো ভালবাসার একটা ঘরে রেখে গেলে যে এখন এই বাধন ছেড়ে আর যেতেই পারব না।
তানিশার মাঃ বাহ্ আমার মেয়ে কতো বড় হয়ে গেছে।(আনন্দের হাসি দিয়ে)
তানিশার বাবাঃ শুধু আম্মু কে নিয়ে থাকলে হবে? আমরা নেই??
তানিশাঃ কে বলেছে নেই আমার আব্বুকে ছাড়া চলবেই না। আমার সবাইকে চাই কাউকে হারাতে পারব না তোমরাই তো আমার সব।(চোখের কোণে একবিন্দু পানি নিয়ে)
কাব্যর মাঃ থাক অনেক হয়েছে বাবা মা এর ভালবাসা নেওয়া এবার আমাদের দিকে একটু দেখো।
তানিশাঃ হুম। আচ্ছা আম্মু সুমি কোথাই?
সুমিঃ আমাকে কিভাবে পাবি?দুজনেই তো আমাই ঢেকে রেখেছে???(মুখ গোমড়া করে)
তানিশাঃ ওলে লে দেখি দেখি আমার বোনটি কে ? (কাছে যেয়ে) কেমন আছিস?
সুমিঃ যেমন রেখেছো।
তানিশাঃ আমি কি করলাম??
সুমিঃ করোনি?
তানিশাঃ কি?
সুমিঃ (ঝাপটে এসে জোড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই) কিছু করোনি? জানোনা তোমার সাথে আমার একবেলা ঝগড়া না করলে পেটের ভাত হজম হয়না? আমার চকলেট যদি কেউ একজন না খাই তাহলে আমারও খেতে মন চাইনা যানো তুমি চলে এসে আমি চকলেট খাওয়া বাদই দিয়েছি। খুব মিস করি আপু তোমাকে।
-দুই বোন মিলেই একে-উপরকে জোড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই।
তানিশাঃ হুর পাগলি সময় যেমন থেমে থাকেনা তাই আমাদেরও থেমে থাকতে নেই। সময় এর সাথে সাথে পরিস্থিতি ও পালটে যাই।
(সুমির চোখের পানি মুছে দিয়ে) চল এবার ভিতরে চল। আম্মু চলো সবাই।
-সবাইমিলে রুমের ভিতরে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আবার নিচে আসে তারপর একসাথে মিলে সবাই বসে। সবাই আজ হাসিমুখে আনন্দের জোয়ারে আড্ডাতে বসে।
এভাবেই আড্ডা দেই এই মাঝে খাওয়া দাওয়া, নিজের ইবাদত করা।
সবকিছুর মাঝে দিন থেকে রাত আবারো দিন সবাই সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট করে আড্ডাতে বসে তারপর কথার মাঝে দিয়ে তানিশার বাবা মা তানিশা ও কাব্যকে নিয়ে যেতে চাই। যেটা কেউ না বলবে না কারণ এটাই নিয়ম। দুজনেমিলে রেডি হয়ে নেই এবং সবার সাথে হাসিমুখে বিদাই নেই। তানিশা আজ অনেক খুশি কারণ কতোদিন পর সে তার প্রিয় রুমটিকে দেখবে। নিজের করে সব কিছু পাবে, সে কতো আনন্দ.
বাসাই পৌছাতে বিকেল হয়ে গেলো। সবাই নিজ নিজ রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। তারপর নিচে এসে কথা বলে কাব্য,তানিশার বাবা, আর সুমি। তানিশা ও তার মা রান্নাকরছে একসাথে আড্ডা জমিয়ে।
রান্না শেষহয়ে গেলে সবাই একসাথে মিলে রাতের ডিনার শেষ করে নিজ নিজ রুমে যাই। কাব্যর বুকে তানিশা সুয়ে মাঝে মাঝে দুষ্টুমি হাসাহাসি আবার কথা এগুলোর মাঝে ভালোবাসা চলতে থাকে তারপর দুজনে ঘুমিয়ে যাই।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার দিন গুলো কিছুদিন সেখানে থেকে আবার চলে আসে *তানিশার মন খারাপও ছিল অনেক কান্না করেছে তবুও সে জানে আমাই যেতে হবে তাই দুজনেই বাসাই চলে আসল। সারাদিন মন খারাপ করে ছিলো আর কাব্যও কিছু বলছেনা সেও চাই তার বাবা-মা কে নিয়ে কিছু ভাবুক। কিছুক্ষণপর তারা নিচে যাই এবং বিভিন্ন কথার মাঝে তানিশার মন ভালো হয় যাই। আবারো দুষ্টুমি শুরু। কিছু কথা কিছু দুষ্টুমি এভাবেই তারা দিন পার করছে। এর মাঝে কাব্য ও আবির অফিসে জয়েন করে আর তাদের বাবাকে আর যেতে দেই না। দুজনেই সব ঠিক করে নেই। আর এদিকে কাব্যর বাবা-মা লুকিয়ে লুকিয়ে আবিরের ব্যাপারটা ঠিক করে সব কিছু ঠিক করে ফেলে কিন্ত কেউ কিছু জানেনা।
একদিন সবাইকে বলে দিলেও আবির এর কাছে থেকে লুকাই। বিয়ের সব ব্যাবস্থা তারা সবাইমিলে করে ফেলে কিন্ত আবির কিছুই বুঝতে পারছেনা।
***
***
একদিন তাহিয়া আবিরকে ফোন দেই তখন আবির আর কাব্য অফিসে ছিলো ফোন দিয়ে বলে আজ রাতে আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আমাই না জানিয়ে আমার পরিবার এমন করছে যদি শেষবারের মতো আমাই দেখতে চাও তাহলে……… এখানে চলে এসো।
এমন কথা শুনে আবির কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা যেন সব স্তব্ধ হয়ে গেছে। আবির কাঁদোকাঁদো গলাই যেয়ে কাব্যর সামনে সব বলে এবং কাব্যও আবিরের সামনে একটু খারাপ মুড নেই। কিন্ত তাহিয়া সব কিছু জানে।
**
বিয়ের সব গোছগাছ করা হয় গেছে অপরদিকে এই রাতে কাব্য আর আবির চলে আসে বিয়ের অনুষ্ঠানে। আবির লক্ষ্যকরে তাহিয়াকে দেখতে পুরো অপ্সরী লাগিছে বিশেষকরে তাহিয়ার চোখদুটো নীল যেটা যেকারোর ক্রাস কিন্ত ওর ভেতরে সবকিছু সাধারণ কোন স্টাইল বলতে নেই।
★(মেয়েদের জামা-কাপড়ের নাম জানিনা তাই ঠিক বলতে পারব না কি পড়ে সেজেছে?)★
*বিয়ের মঞ্চে তাহিয়ার শরীরে শুধুমাত্র মুখোমুন্ডল বের হয়ে আছে বাকি সব পর্দাই আবির যেটা একভাবে তাহিয়ার দিকে চেয়ে লক্ষ্য করছে আর তাহিয়া তার বান্ধবী ও আশেপাশের আত্নীয়দের সাথে কথা বলছে তার মুখে কোন চিন্তার ছাপ নেই।
***
তাহিয়ার এমন হাসাহাসি দেখে আবির রেগে গেছে *একদিন তাহিয়ার সাথে থেকেই আবির দুর্বল হয়ে পড়েছে তাই সে কিছুতেই তাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবতে পারছেনা।
আবির রাগের মাথাই কিছু বুঝতে পারছেনা আর কাব্য আবিরের পাশে দাঁড়িয়ে মিটমিট করে হাসছে।
*
কিছুক্ষণপর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু পাত্রী বসে আছে কিন্ত পাত্রনেই
আবির একভাবে বিয়ের মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তাহিয়াকে দেখছে কিন্ত কাব্য তার পাশে নেই।
**
চারিপাশে মানুষের গুনগুন শব্দ তার মাঝে গানবাজনা চলছে। কিন্ত কাব্যর family সবাই এখানে উপস্থিত কারণ তারাই তো এসব করেছে কিন্ত আবিরের কোন হুস নেই।
**
কাব্যঃ কিরে এখানেই থাকবি?
আবিরঃ হুম আসলেই তো এখানে কেন থাকব আমি?আমার তো আর এখানে থাকার মানে হয়না।(ছলছল চোখে)
কাব্যঃ হুম চল এখানে থেকে।
আবিরঃ হুম
কাব্যঃ কিন্ত বাসাই না হাজার হোক একজন এর বিয়ে তাই হাসি মুখেই তাকে বিদাই দিই চল আমার সাথে।
-কাব্য আবিরকে একটা রুমে নিয়ে যেয়ে বরের সাজে সাজিয়ে দেই। সে নিজের আবিরকে কাপড় পড়িয়ে দেই ?এমনটা আজকে না অনেকদিনই কাব্য+আবির এমন করে।
**
বরের সাজ সেজে আবিরকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে কিন্ত সেদিকে আবিরের কোন হুস নেই।
কাব্য আবিরকে সাথে করে নিয়ে এসে তাহিয়ার পাশের বসিয়ে দেই।
কাব্যঃ পাশে দেখতো কে?
*আবির পাশে তাকিয়ে থমকে যাই।
আবিরঃ এখানে কেন আমি?
কাব্যঃ বুঝছিস না? বউ এর পাশে তো বর থাকে তাই এর তাহিয়ার পাশে যেহেতু তুই তাহলে তুই তাহিয়ার বর।
আবিরঃ তারমানে!!!!!
কাব্যঃ হুম তুই ঠিকই ধরেছিস এটা আমাদের কাছে থেকে উপহার(মুচকি হাসি দিয়ে) কেমন দিলাম??
-আবির কাব্য কে বকবে নাকি কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা বসা থেকে দাঁড়িয়ে কাব্যকে ঝাপটে ধরে কাব্যও আবিরকে জোড়িয়ে ধরে।
আবিরঃ তুই আমার দোস্ত নারে আমার ভাই -আমার আপন ভাই খুব ভালোবাসি তোকে(কাঁদোকাঁদো গলাই)
কাব্যঃ আরে আরে face খারাপ হলে photo ভালো উঠবেনা এবার একটু বউএর পাশে বসে গল্প করো।
-কাব্য আবিরকে বসিয়ে দেই সাথে সবাই তাদের এমন সিন দেখে এবং অবাক হয় কিন্ত কাব্য একটু স্পেশাল ভাবে ক্যামেরাতে সবার ছবি তোলে। আর তার বাবা-মা +তানিশার বাবা-মা সবাই সাথে আছে আর মেয়েপক্ষের বাবা-মা সহ সবাই একসাথে আড্ডা জমিয়ে মিলামিশা করছে।**
**
তানিশা আর নীলা দুজনে তাহিয়ার এক পাশে বসে আছে এবং তাদের সাথে তাদের বান্ধবী সহ আছে কিন্ত তানিশা ও নীলা দুজনেই পর্দা সম্পন্ন যেটাতে দুজনকে আজ খুব সুন্দর লাগছে কিন্ত একটা জিনিস পরিবর্ত নেই যেটা তানিশার দুষ্টিমি চাইলেও এর পরিবর্ত হবেনা কারণ এটার জন্যই তো সবাই তাকে এতো ভালোবাসে।
***
৪বছর পর
***——
এই চারটি বছর তাদের কাছে যেনো ছিটেফোঁটা খুব সহজে চলে গেলো আবির ও কাব্য একে উপরের প্রতি খুব নির্ভরশীল আর তাদের পরিবার বলতে *
সবাই একসাথে থাকে তানিশার বাবাকে অনেক আগে থেকেই কাব্য আর কাজ করতে দেইনা সবকিছু কাব্য ঠিক করে আর সুমি এখন পড়াশোনা করছে কেননা তার সখ ডক্টর হওয়া।
**তানিশা আর তাহিয়া?? তাদের দুষ্টুমি দেখে কে সবসময় একসাথে তাদের পরিবার মাতিয়ে রাখে কিন্ত একবছর আগে নীলার একজন ছেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। কিন্ত দেশের বাইরে চলে গেছে কেননা তার হাসবেন্ড বিজনেসম্যান আর নীলা এখনো পড়াশোনা করছে।
আরও একটা স্যারপ্রাইজ আছে যেটা শেষেই বললাম????
**
তানিশার ও তাহিয়ার দুজনেরই বেবি হয়েছে??
তানিশার মেয়ে ও তাহিয়ার ছেলে।
দুজনের নাম
{এদের দুজনের নাম আপনারাই বলুন}
[আমি আর পারছিনা তাই হাল ছেড়ে দিলাম জানিনা★★ধন্যবাদ★★
সমাপ্ত
very nice story
Sotti tumi khub sundor story lakho.. just vaba jai na.. lhub sundor.. story pora ame to tomar prema pkra gaalam.
Hii ame tomar akane new akjon.kintu tomar story ta amar khub valo laglo
Nice story
So sweet story
So sweet story