18.8 C
New York
Sunday, October 5, 2025

Buy now







Dangerous_Villain_Lover part 12

Dangerous_Villain_Lover
part 12
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে বসে আছে একবার নিজের দিকে তাকাচ্ছে তো একবার চিন্তা করছে স্যার কী বলল? স্যার আমাকে ভালোবাসে। এটা কি করে সম্ভব ওর্র যা বলছিল সব সত্যি এর জন্য স্যারের বিহেভ আমার অদ্ভুত লেগেছিল। চিন্তায় এসে যাচ্ছে সেই কলেজে থেকে এসে এভাবেই ভেবে চলেছে দরজা বন্ধ করে বাইরে থেকে কতো ডাকলো সবাই কিন্তু ছোঁয়া দরজা খুলে নি ওর মাথা এখন ও ভন ভন করছে স্যারের বলা কথা গুলো। রিফাত ভাইয়ার সাথে দেখে স্যার এতোটা রিয়েক্ট করে ভাবা যায় এসব কতো রেগে ছিলো হাতে চোখ পরলো ব্যাথা হয়ে আছে। কারো সামনে যাচ্ছে না কি ভাবে যে সবার থেকে পালিয়ে এসেছে এই ঘর পযর্ন্ত আল্লাহ জানে স্যার এই গালে কামড় দিয়েছে দাগ স্পর্শ জেসি টিয়া জিগ্গেস করেছিল। কোন রকম মিথ্যে বলে পালিয়েছি। বাড়িতে আম্মুর আববুর সামনে গেলে ও এক বিপদে পরবো না এর থেকে ঘরেই বসে থাকি আজ খাবোই না ডাকুক যত ইচ্ছে। ছোঁয়া বিছানায় দিকে এগিয়ে গেল শুয়ে পরার জন্য।

শুয়ে পরেছি কিন্তু ঘুম আসছে না কি বিপদে পরলাম ঘ ড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দশটা বাজে ছোঁয়া উঠে বসলো না বের হতেই হবে কিন্তু কিভাবে যে কি করে না খেয়ে ঘুম আসবে না উঠে বাইরে উকিঁ দিলো আম্মু নাই তারাতারি কিচেনে চলে এলো খাবার নিয়ে যেই আসতে যাবে সামনে দেখি আম্মু। আম্মুকে দেখেই একটা মন ভুলানো হাসি দিলাম এ কোথায় থেকে এলো একেতো তখন দেখলাম না।

– আম্মু তুমি !

– হুম মা আমি তোমার খাবার নিয়ে বসে আছি।

– ওহ আচ্ছা এই যে নিয়েছি আমি রুমে যাই।

– না এখানে বসে খাও আর দেখি তোমার গালে কিসে কামরেছে দেখি।

এটা শুনে আর দাড়ালাম না পেছনে ঘুরেই দৌড় আর চিৎকার করে বললাম,, আম্মু আমার ঘুম পাচ্ছে রুমে খেয়ে শুয়ে পরবো কাল তোমার সাথে কথা বলছি কেমন?

– না ছোঁয়া দেখি তোমার কি হয়েছে?

– কিছু হয়নি আম্মু।

রুমে এসে জোরে ধম নিলাম। আল্লাহ খুব জোর বাচিয়ে দিয়েছে।

পরদিন
ছোঁয়া বাইরে দাড়িয়ে আছে জেসির জন্য জেসি আসার সাথে সাথে দুজনে হাটা দেয় কলেজ পথে জেসি বারবার জিগ্গেস করছে কালকের কথা অবশেষে আর না বলে পারলাম না সব খুলে বললাম সব শুনে যেন অবাকে চোটে আমাকে রাস্তায় দার করিয়ে হা করে আছে।

– এই কিহলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

– দোস্ত স্যার তোরে ভালোবাসে রে কি সুন্দর পোলাডা আমার তো হিংসে হচ্ছে তোর ভাইয়ের সাথে দেখে এই অবস্থা।

– জানিস তখন কতো ভয়ংকর লাগছিল আমি তো ভ য়ে কাপা কাপি করেছি।

দুজনে রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে এসব বিভেচনা করছি হঠাৎ কিছু লোক আমাদের ঘিরে ধরে আমি আর জেসি তো ভ য়ে শেষ গোন্ডা টাইপের লোক আমাদের জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। আমরা ছুটার চেস্টা করছি কিন্তু পারলাম না। কিছু একটা মুখের সামনে ধরে আর কিছু মনে নেই। যখন চোখ খুলি নিজেকে একটা রুমে পাই অবাক করা বিষয় রুমে আর ও অনেক মেয়ে আছে যাদের বয়স আমার মতো আমি চোখ খুলতেই একজন পাশে এসে জিগ্গেস করে কেমন লাগছে এখন। আমি কথা না বলে জেসি কে খুজতে লাগি আমার পাশেই জেসি ওর ও জ্ঞান আসছে চোখ খুলেই আমাকে দেখে জিগ্গেস করলো।

– আমরি কোথায় আছে রে ছোঁয়া এরা কারা।

– আমি জানি না কিছু।

ওই মেয়ের সাথে কথা বলেই আমার পায়ের তলে থেকে মাটি সরে গেল। জেসি তো চিৎকার করে কাদা শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ একটা বন্ধুক হাতে লোক রুমে প্রবেশ করলো আর বলল যে না কাদি কাদলে খবর করে ছারবে চুপচাপ থাকতে বলে চলে গেল লোকটি। ওই মেয়ে ও বলল এরা নাকি পাচার কারি তাদের কে ও পাচার করার জন্য ধরে এনেছে আজ সন্ধ্যায় হবে।

ছোঁয়া ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো তিনটা বাজে। চোখ বড় বড় করে একে অপরের দিকে তাকায় কারণ আমরা কলেজের যাচ্ছিলাম দশটার দশ মিনিট আগে আর এখন তিনটা এতো ক্ষণ ছিলাম বেহুশ।

– জেসি আমাদের এখানে থেকে যে করেই হোক পালাতে হবে চল টাই করি।

– কি ভাবে করবি কতো লোক পাহারা দিচ্ছে দেখতে পাচ্ছিস।

– হুম কিন্তু এভাবে চুপ করে বসে কি বিক্রি হবি।

– না আমার কি হবে রে ছোঁয়া শেষে কিনা বিক্রি হবো। আমাকে বাচা তুই আমার জানের কি হবে ও তো আমাকে একদিন না দেখলেই পাগল হয়ে যায়।

বলেই কান্না শুরু করলো।

– তুই তোর ফালতু পেচাল বাদ দিবি আর ভাব কি করে পালানো যায়।

– আমি কি ভাববো আমার মাথায় কিছু আসবে না রে বোন তুই ভাব আমার মতে কিছু করতে পারবো না।

-ধূর চুপ থাক।

ছোঁয়া ভেবে চলেছে কি করে পালানো যায় রুমে জানালা একটা এ কেমন রুম রে বাবা সব মেয়েরা বসে আছে আমি জেসি কে নিয়ে ওদের কাছে গেলাম। আর সব বললাম ওরা খুশি হলো পালানো র কথা শুনে কিন্তু মূহুর্তে মুখ শুকিয়ে ফেলল কারণে এতো পাহারার লোক তাতে পালানো মুশকিল।

তাও সাহস করলাম আমি। একটা রিক্ম নিতে ই হবে। সব বলল ভয় নিয়ে একটুআশায় রাজি হলো সবাই।
রাএি কে অজ্ঞানের আটটিং করতে বলল শুরু হলো চেচামেচি আমরা সবাই চিৎকার করছি যাতে দরজা যারা আছে তাদের ভেতরে আনার জন্য আর সফল হলাম ও সবাই বলতে চারজন এসেছে দেখের জন্য কি হয়েছে। আমরা দরজার কাছে ছিলাম তারা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই সব গুলো রুমে বাইরে বেরিয়ে দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিলাম।

?

সবার মুখে হাসি কিন্তু বেশিক্ষণ টিকলো না এই হাসি রুমের বাইরে তো এসেছি কিন্তু সামনে যে আর ও বড় বিপদ রাকবে কে জানতো দশ জনের মতো লোক আমাদের গিরে ধরলো এরা নিশ্চয়ই বাইরে ছিলো এদের কথা মনেই ছিলো না। ভয়ে সবাই শেষ এখন আমার ও ভ য় করছে ভয়ে সব সাহস শেষ আমি কাপছি জেসি তো কাদে দিয়েছে। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওরা জিগ্গেস করছে এই পালানোর বুদ্ধি কে দিয়েছে কেউ মুখে বলে নি কিন্তু আমার দিকে তাআনোতে হয়তো বুঝে গেছে আমি এবার শেষ লোকটা হাতের বন্ধুক আমার মাথায় ধরলো। ভ য়ে আমি চোখ বন্ধ করে আছি এই বুঝি শেষ নিশ্বাস ছারতে হবে আর আম্মু আববুকে দেখা হবে না চোখ দিয়ে পানি পরছে হঠাৎ স্যারের মুখটা ভেসে উঠলো। কালকেই স্যার আমাকে ভালো বাসি বলল আর আজই স্যার কে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
অতি ভয় আর রক্তে আমি দিশেহারা হয়ে যায় আজ ও তাই হচ্ছে জেসি না না কিছু বলে আমাকে ছেড়ে ইতে বলছে কিন্তু কে শুনে কার কথা হঠাৎ গুলির শব্দের সাথে সাথে আর চোখ বন্ধ হয়ে গেল একবার চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম কিন্তু বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না।

চলবে…….

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......

Related Articles

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Stay Connected

20,625ভক্তমত
3,633অনুগামিবৃন্দঅনুসরণ করা
0গ্রাহকদেরসাবস্ক্রাইব
- Advertisement -spot_img

Latest Articles