Crush যখন বর?Season_2Part_55/56/57

0
2856

Crush যখন বর?Season_2Part_55/56/57
Writer-Afnan Lara

শিশির মুনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে আসলো,,
তনু ঘুমায় শান্তিতে,,
শিশির টান দিয়ে উঠিয়ে বসালো
তনু-কিই???
শিশির-গল্প করবো, সারাদিন এত ঘুমাও কেন
তনু-ঘুম আসে তো কি করবো
তনু-আচ্ছা জানেন কাল নাকি রুনা আসছিলো আমাদের বাসায়,
পরে আবিরের লোকেরা রুনাকে নিয়ে চলে গেসে
শিশির-হাহাহা,কেন?
তনু-কি জানি
শিশির-তুমি আমাকে না বলে একা একা আবিরের বাসায় গেলা কেন
তনু-মুনার কথা মনে পড়তেছিলো খুব
শিশির-আচ্ছা যা হয়সে ভালো হয়সে,
শিশির-ছেলে চাও নাকি মেয়ে
তনু-ছেলে
শিশির-ছেলে কেন
তনু-তাহলে বাপের মত হবে,
শিশির-তুমি চাও তোমার পুত্র বধুকে আমার ছেলে আমার মতো জ্বালাক?
তনু-না, আমার ছেলে আমার মত ভালো হবে
শিশির-ওহ তাহলে আমি খারাপ?
তনু-একটুখানি,
শিশির-কি দেখলা খারাপের?
তনু-ঐ যে আমাকে শুধু জ্বালান
শিশির-ভালো কথা মনে করসো,তোমাকে ২দিন হয়সে জ্বালাই না?
তনু-আমার ঘুম পাচ্ছে,আমি ঘুমাব?
শিশির তনুকে ঝাঁপটে ধরে চুমু দিতে থাকলো,একটা সময় তনুর গলায় কামড় বসিয়ে দিলো,
দরজা নক করলো মুনা
শিশির তনুকে ছেড়ে দিয়ে উঠে গিয়ে দরজা খুললো
মুনা-ভাইয়া একটা কথা ছিলো
শিশির-বল,আয় ভিতরে আয়,
মুনা এসে তনুর পাশে বসলো
মুনা-আমি রাঙামাটি ফুফুর বাসায় গিয়ে কদিন থাকতে চাই
শিশির-ঠিক আছে,আমি তোকে কাল টিকিট এনে দিব,আমি সহ গিয়ে দিয়ে আসবো,
মুনা-আমি একা যেতে পারবো
তনু-না,মেয়ে মানুষ একা এতদূর যাওয়া ঠিক হবে না,আপনি বরং ওকে দিয়ে আসিয়েন
শিশির-হুম,যা প্যাকিং কর
পরেরদিন শিশির আর মুনা রেডি হয়ে নিলো
শিশির তনুর কপালে চুমু দিলো
শিশির-সাবধানে থাকবা কেমন??,
তনু-আচ্ছা,আপনিও
শিশির-আমি আজ গিয়ে কাল সকালেই রওনা দিব
তনু-ওকে
শিশির আর মুনা চলে গেলো,
তনু রান্নাঘরে গিয়ে বুয়াকে help করতেছে,মা নিজের রুমে,
১ঘন্টা পর দরজা নক হলো,
বুয়ার হাতে মরিচ বাটা,তনু গেলো দরজা খুলতে,
দরজা খুলেই তনুর চোখ কপালে,আবির দাঁড়িয়ে আছে,আবির ধাক্কা দিয়ে বাসায় ঢুকে পরলো,তনু ভয়ে কাঁপতেছে,
আবির-ভাবতেছো ছাড়া পেলাম কি করে??সেটা মেইন না তবে তুমি আজ ছাড়া পাবে না,শিশিরের বাচ্চার মা হতে চলেছো না??
তনু-বুবুবয়য়য়ায়া!
বুয়া দৌড়ে এসে দেখলো আবিরকে,
আবির তনুকে ধরে সেন্টার টেবিলে ছুঁড়ে মারলো
বুয়া চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে তনুকে ধরলো,
মা রুম থেকে চলে এলো দৌড়ে,আবির পালিয়ে গেলো
তনু ব্যাথায় কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে,
মা আর বুয়া পাশের বাসার family কে জানিয়ে সবাই মিলে তনুকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এলো,তনুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো,তনুর জ্ঞান নেই,
মা ভয়ে কি করবে বুঝতেছে না,
শিশির এখন গাড়ীতে হবে,এই সংবাদ ওকে জানিয়ে পরে ওর না জানি কি বিপদ হয়,ও আসুক
১ঘন্টা পর doctor বেরিয়ে এলো,মুখ কালো হয়ে আছে তার
মা-কি হয়সে??
Doctor -বাচ্চা ২মাসের, I’m sry আমরা এমন অবস্থায় বেবিকে বাঁচাতে পারবো না,আর যতদূর পারি মাকে বাঁচানোর try করতেছি,
মা মাথায় হাত দিয়ে নিচে বসে পরলো,
তনুর মা-আমার তনুকে বাঁচান
Doctor -জী আমরা চেষ্টা করতেছি
সব শেষে তনু এখন পুরোপুরি শংকা মুক্ত,,যদিও তনুর এখনও জ্ঞান আসেনি,
রাত ৯টায় শিশির তনুকে ফোন দিল,৫বার দিলো কিন্তু কেউ ধরতেছে না কেন
মায়ের number এ কল দিলো,শিশির দের পাশের বাসার একটা মেয়ে ধরলো,টিয়া
টিয়া-শিশির ভাইয়া
শিশির-কে?মা কই
টিয়া-ভাইয়া আমরা সবাই হসপিটালে আসছি
শিশির-কেন?কি হয়সে?মা ঠিক আছে তো?আর তনু?
টিয়া-আসলে
শিশির-কি হয়সে?
টিয়া শিশিরকে সব খুলে বললো,
শিশির কি করবে বুঝতেছে না,তনু ঠিক আছে?
টিয়া-হুম এখন ঠিক আছে তবে জ্ঞান ফেরেনি
শিশির চোখ মুছে আবার বাসে উঠে রওনা দিলো
বাসে বসে কাঁদতেছে শিশির,একজন বাবা হয়ে একজন স্বামী হয়ে আমি পারলাম না বাঁচাতে,শেষ রক্ষা করতে
তনুর রাত ১১টায় জ্ঞান ফিরলো
তনু উঠে পেটে হাত দিলো,ব্যাথা করতেছে,আমার বেবি??আমার বেবি ঠিক আছে তো.?
নার্স গম্ভীর হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,
তনু হাত থেকে ক্যানেলার ছিঁড়ে ফেলে উঠতে গেলো নার্স আটকালো,
তনু-আমার বেবি ঠিক আছে?
নার্স-সরি,বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেসে,আমরা বাঁচাতে পারিনি
তনু একটা শক খেলো,সব কিছু ঝাপসা হয়ে আসছে কেন,তনু আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেললো,
ভোর ৫টায় শিশির হসপিটালে এসে পৌঁছালো,বাইরের করিডোরে মা আর তনুর মা বসে আছে,চোখ বন্ধ করে,রুমে তাকিয়ে দেখলো তনু ঘুমাচ্ছে,নার্স শিশিরকে দেখে এগিয়ে আসলো
নার্স-আপনি শিশির?
শিশির মাথা নেড়ে তনুর কাছে গেলো,তনুর হাত শক্ত করে ধরলো,তনুর হুস নেই,,তনুর পেটে হাত বুলালো,
শিশির কাঁদতে থাকলো,
নার্স-আপনাকে তো শক্ত হতে হবে তা নাহলে আপনার wife কে সামলাবেন কি করে??
শিশির চোখ মুছে ওর পাশে বসলো,নার্স তনুর রিপোর্ট এনে শিশিরকে দিয়ে গেলো,
শিশির রিপোর্ট দেখে পাশে রেখে তনুর হাত ধরলো,ভালো করে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ, তনুর হাতে একটু একটু রক্ত লেগে আছে,শিশিরের চোখের সামনে ঘটনার রুপ বারবার ভেসে উঠছে,কত কষ্টই না তনু পেয়েছে,
কত স্বপ্ন ছিলো তনুর,কি করে সামলাবো আমি তনুকে,,
চলবে♥
(আজ এই পার্ট লিখতে গিয়ে অনেক কেঁদেছি,সত্যি এটা অনেক কষ্টের,)

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_56
শিশির চোখ মুখ মুছে উঠে মায়ের কাছে গেলো,,
মা-তনুকে বুঝাইস এটা ব্যাপার নাহ,পরেও বাচ্চা নিতে পারবে,
শিশির-আবিরকে আমি মেরে ফেলবো,
শিশির কল দিয়ে পুলিশকে সব ইনফর্ম করে দিসে,পুলিশ আবিরকে খুঁজতেছে,,
সবাই বাসায় চলে গেলো,
শুধু শিশির আছে হসপিটালে
পরেরদিন সকাল ১১টায় তনুর জ্ঞান ফিরলো,
চোখ মেলতেই ওর সব মনে পরে গেলো,
চিৎকার দিয়ে উঠে বসলো তনু,
শিশির দৌড়ে এসে তনুর পাশে বসে ওকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে রাখলো
তনু-আমার বাচ্চা, আমাররর
তনু কাঁদতে থাকলো শিশিরকে শক্ত করে ধরে,
শিশির তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো
শিশির-কিচ্ছু হবে না,আমরা আবার শিঘ্রই বেবি নিব,
তনু ফুঁফিয়ে কাঁদতেছে
শিশির-আচ্ছা কি খাবা,আমরা আজ বাইরে গিয়ে খাব কেমন??
তনু শিশিরকে ছেড়ে দিয়ে হাতের ক্যানেলার টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেললো,
শিশির-এটা কি করলা
তনু-বাচ্চাই যখন নেই এসব থেকে কি হবে
তনু সিট থেকে নেমে গেলো
শিশির-তোমার rest প্রয়োজন,নামতেছো কেন
তনু নেমে গিয়ে জানালায় দাঁড়ালো
শিশির-চলো ঘুরতে যাব
তনু কিছু বললো না
নার্স শিশিরের হাতে তনুর শাড়ী দিয়ে গেলো,
শিশির-আপনি যান,আমি করে দিব
নার্স চলে গেলো,
শিশির তনুর হাত ধরে খাটে বসালো,
আস্তে আস্তে তনুকে শাড়ী পরিয়ে তনুকে উঠিয়ে দাঁড় করালো তনু আধমরা হয়ে গেসে,কোনো কথা বলতেছে নাহ,
শিশির তনুকে নিয়ে পার্কে যাওয়া ধরলো,কিন্তু ওর মনে হলো পার্কে বেবিদের দেখলে তনুর মন আরও খারাপ হয়ে যাবে তাই শিশির তনুকে নিয়ে একটা restaurant -এ আসলো,
শিশির খাবার অর্ডার দিলো,তনুর চোখ আরেক দিকে,
একটা family তনুর সিট বরাবর সামনে বসে খাবার খাচ্ছে,তাদের সাথে ছোট একটা বাবু,
তনু বাবুটার দিকে তাকিয়ে আছে,শিশির বুঝতে পেরে পিছনে তাকিয়ে দেখলো বাবুটাকে,
তনুর চোখ দিয়ে পানি যেতে লাগলো অনবরত
শিশির তনুর এই অবস্থা দেখে নিজেকে সামলাতে ওর জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে
শিশির হাত দিয়ে তনুর মুখ মুছে দিলো,
শিশির খাবার মুখে দিসে কিন্তু গিলতে পারছে না কারন তনু এখনও বাবুটার দিকে তাকিয়ে,হাতে চামচ কিন্তু ওর খাওয়ার দিকে কোনো নজর নেই,
শিশির ২চামচ খেয়ে রেখে দিলো,
তনুকে নিয়ে বাসায় আসলো,তবে নিজের বাসায় না তনুদের বাসায়,নিজের বাসায় গেলে তনুর কালকের ঘটনা মনে পরবে,
তনু রুমে এসে খাটে শুয়ে পরলো,
শিশির ল্যাপটপ নিয়ে বসলো,
১০মিনিট পর তনু উঠলো,আলমারি থেকে শাড়ী নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো,,
শিশির দেখলো,কিন্তু ২০মিনিটের মতন হয়ে গেসে তনুর কোনো সাড়া শব্দ নেই কেন??খালি শাওয়ারের sound আসতেছে
শিশির গিয়ে দরজা নক করলো,
শিশির-তনু তনু????
২মিনিট ধরে শিশির দরজা ধাক্কালো কিন্তু তনুর কোনো খবর নাই দেখে দরজা ধাক্কাতে লাগলো জোরেসোরে, ৪বার ধাক্কাতেই দরজা খুলে গেলো,শিশির ভিতরে ঢুকতেই দেখলো তনু নিচে পড়ে আছে অচেতন হয়ে,
শাওয়ারের পানি ওর গায়ে পড়তেছে,শিশির নিচে বসে তনুর মাথা ওর কোলে নিয়ে এলো,
শিশির-তনু তনু!!
তনুকে কোলে তুলে খাটে এনে তাড়াতাড়ি করে শাড়ী change করে ফেললো,
গা ঠান্ডা বরফ হয়ে গেসে,
শিশির কি করবে ভেবে না পেয়ে Doctorকে কল দিল,
Doctor আসতে লেট হচ্ছে শিশির আর থাকতে না পেরে তনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো,ওর নিজের গা ও এখন ঠান্ডা হয়ে গেসে কিন্তু তনুর গা এখনও ঠান্ডা,
Doctor আসলো,একটা ইনজেকশান দিয়ে গেলো,
শিশির তনুর গায়ে কম্বল টেনে দিলো,
মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসলো,
তনুর গায়ে জ্বর, ঘুমের মধ্যে বাবু বাবু করতেছে,
শিশির কাছে গিয়ে বসে ওর হাত ধরলো,কিছুক্ষণ পর তনু চোখ খুললো শিশিরকে ধরে উঠে বসলো,
তারপর কিছুক্ষণ শিশিরের দিকে তাকিয়ে শিশিরকে শক্ত করে ধরে কেঁদে দিলো,শিশির তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো,
শিশির তনুর কানের নিচে চুমু খেলো,তনু নিজের মাথা শিশিরের কাঁধে রাখলো,গা কাঁপতেছে ওর জ্বরে,
শিশির ধরে শুইয়ে দিলো,
খাবার আনলো
শিশির-হুম দেখি আমার রিনতির আম্মু হা করো,,
তনু চোখ মুছে শিশিরের দিকে তাকালো
তনু -রিনতি কে?
শিশির-কেন আমার মেয়ের নাম,যার আসার খবর আগামী ২০দিনের ভিতর পেয়ে যাবা
তনু-মানে?
শিশির-হুম,আমরা আবার বেবি নিব,এখন খেয়ে নাও তো
তনু-খাব না,খিধে নেই
শিশির -তাহলে আমিও খাব না
তনু-আমার ইচ্ছে করসে নাহ,pls জোর করবেন না
শিশির-সকাল থেকে কিছুই খাওনি,এটা খেতেই হবে
শিশির জোর করে ধরে কয়েক লোকমা খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলো,
তনু শিশিরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,
একটু পরেই শিশিরের মনে হলো ওর জামা ভিজে গেসে,তাকিয়ে দেখলো তনু চোখ মুছতেছে,
শিশির-এতটা ভেঙে পড়িও না,আমি যে তোমাকে সামলানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবো তনু
তনু-আমি পারতেছি না ভুলতে
শিশির-আচ্ছা চলো দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসি,কয়েকদিনের জন্য,তোমার মনটাও ভালো হয়ে যাবে
তনু কিছু বললো না
শিশির বাসের টিকিট বুক করে নিলো,,কক্সবাজার যাবে ৭দিনের জন্য,,
পরেরদিন তনু কোনো রকম জামা একটা পরে নিলো,শিশিরের সাথে বাসে বসে আছে,বাইরে জানালার দিকে তাকিয়ে
শিশিরের পাশের সিটে বয়স্ক কাপল বসেছে,
মহিলা-তা মেয়ের মন খারাপ কেন??
মহিলার husband -পালিয়ে বিয়ে নাকি?
শিশির ওদের দিকে তাকালো,
শিশির -নাহ বিয়ে হয়সে অনেকদিন, বাচ্চা নিতে যাচ্ছি?
তনু শিশিরের দিকে চোখ বড়বড় করে তাকালো
মহিলার husband -ফেমিলিতে লোকজন কি বেশি নাকি যে সমস্যা হচ্ছে??
মহিলা-ছিঃ এসব কি বলো
শিশির-ফেমিলি ছোট বাট বউয়ের মন খারাপ,তাই ওটা ভালোর সাথে + আরেকটা কাজ ও করে নিব আর কি
মহিলাটা হুট করে বলে ফেললো তা আর বাচ্চা আগে নেওনি?
মূহুর্তেই তনুর মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেলো,এতক্ষণ ওর হাত শিশিরের হাতের উপর ছিল,হাতটা সরিয়ে আবার জানালার দিকে তাকালো
মহিলা-কি হলো??
শিশির-আসলে,
তারপর ওরা আর কিছু বললো নাহ
চলবে♥

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_57
শিশির তনুকে নিয়ে হোটেলে আসলো
তনু চুপচাপ জামা নিয়ে change করতে গেলো,
দরজা লক করতে যাবে শিশির হাত দিয়ে আটকালো
তনু-কি?
শিশির -তুমি আর কোনোদিন দরজা লক করে বাথরুমে যেতে পারবা না
তনু-তো কি আপনার সামনে change করবো?
শিশির-নাহ যাচ্ছি আমি
তনু change করে বের হলো,
শিশির দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে তনুর দিকে,
তনু একবার তাকালো,
এমন করে তাকিয়ে আছে কেন,
শিশির তনুর হাত ধরলো,
চলো খেয়ে আসি,তোমাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে তোমার জ্বর এখনও যায়নি
শিশিরের এমন হাসি তনুর অন্যরকম লাগলো,
তনু খাচ্ছে,
শিশির এখনও মুখে হাসি নিয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে
তনু-কি হয়সে,এমন করে তাকিয়ে আছেন কেন
শিশির-এমনি,ভালো লাগে দেখতে
তন মুখ বাঁকা করে হাসলো,
শিশির-???
তনু-বাচ্চা হারিয়ে একজন মায়ের চেহারা আর কেমন হতে পারে অন্তত সুন্দর নাহ
শিশির-আমার কাছে সুন্দর কারন আমি এখন আরেকটা বাচ্চার মাকে দেখতেছি,
তনু-মানে
শিশির-আমরা তাড়াতাড়ি বাবু নিব কেমন?
তনু-আর তারপর আবার আবির এসে!
শিশির চুপ হয়ে গেলো,
ঔষধ খাইয়ে তনুকে খাটে শুইয়ে গায়ে কাঁথা টেনে দিয়ে বারান্দাতে গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো শিশির
তনুর ঘুম আসছে না,উঠে বসলো,কিন্তু শিশির কই?বারান্দাতে গিয়ে দেখলো নাহ নেই,
তনু পিছন ফিরতেই শিশিরের বুকের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যাওয়া ধরলো শিশির শক্তকরে ধরে ফেললো,
শিশির তনুর পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলো,
তনু সরতে গেলো শিশির এক হাত দিয়ে বুকে নিয়ে এলো,জড়িয়ে ধরে রাখলো
বারান্দা টা খোলামেলা,বাতাসে তনুর শীত করতে লাগলো,
তনুও শক্তকরে ধরলো শিশিরকে,দুজনেই নীরব হয়ে আছে,
তারপর শিশির তনুকে কোলে তুলে খাটে নিয়ে গেলো,
তনুর মুখ শুকিয়ে আছে,চোখের নিচে কালো দাগ,
আমাকে দেখিয়ে ঘুমানোর ভান করলেও আমি টের পেয়েছি সারাটা রাত ধরে কেঁদেছে তনু,
শিশির হাত দিয়ে চোখের নিচে মুছে দিয়ে ওখানে চুমু খেলো,
গলায় আলতো করে কামড় দিলো,
তনু হঠাৎ শিশিরকে বাধা দিলো
শিশির তাকিয়ে আছে তনুর দিকে,জিজ্ঞাসুচক চোখে
তনু-আমি আর বাবু হারাতে চাই না,
শিশির-হঠাৎ এমন কেন বললা
তনু-আবার গর্ভবতী হলে আবার আবির!…
শিশির থামিয়ে দিলো
শিশির-আর আল্লাহ ছাড়া কারোর সাধ্য নেই আমার বাচ্চার ক্ষতি করার,
শিশির পাশে শুয়ে পরলো,চুপ হয়ে আছে দুজনেই
শিশির উঠে লাইট অফ করতে গেলো
তনু-পর্দা টা টেনে দিয়েন
শিশির-কেন?হালকা আলো আসতেছে ভালই তো
তনু -নাহ, পাশের flat এর লোক দেখা যায়,আমার লজ্জা করে
শিশির তনুর কথার মানে বুঝতে পারলো,
সামান্য হাসি দিয়ে পর্দা টেনে দিয়ে তনুর কাছে আসলো,
শিশির তনুকে কিস করতেছে,হঠাৎ তনুর চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো,শিশির ছাড়লো না,
হাত দিয়ে চোখ মুছে দিয়ে তনুকে আরও চেপে ধরলো,ছোট বয়সে মা হলো,ছোট বয়সে হারালো,এই কষ্ট সয্য করার মতন নাহহ
তনু শুয়ে আছে আরেকদিকে ফিরে,ঘুমিয়ে গেসে
শিশিরকে ধরেনি,
অথচ শিশিরের বুকে শুয়ে পড়া তনুর অভ্যাস,
শিশির-আমার বাবুর এই ক্ষতির জন্য কি আমি দায়ী??তনু কি আমাকে দায়ী ভাবসে,হয়ত আমি দায়ী,আমি থাকলে এমনটা হত নাহ,
আমার উপর তনুর অভিমান জেগে আছে,তা পদে পদে বুঝতে পারতেছি,নিজেকে অপরাধী লাগতেছে খুব,
শিশির আর ঘুমালো না ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে গেলো
তনু নড়াচড়া করতেছে দেখে শিশির বসা থেকে শুয়ে পড়ে ঘুমের ভান ধরলো
তনু উঠে বসে শিশিরের দিকে তাকালো,খাট থেকে নেমে গিয়ে বাথরুমে গেলো,দরজা লাগালো না,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে পরলো সেই ঘটনার কথা,চোখ ভরে পানি পড়তে লাগলো,তনু আয়নায় বারবার সেই ঘটনা দেখতেছে,পিছিয়ে গিয়ে দেওয়ালে সাথে লেগে গেলো,ঝরনা লেগে অন হয়ে গেলো,পানি পড়তে লাগলো তনুর গায়ে
শিশির শাওয়ারের আওয়াজ পেয়ে উঠে বসলো
শিশির-এত সকাল সকাল গোসল করতেছে কেন,এমনিতেও বাসায় তনু দুপুর ছাড়া গোসল করে না
শিশির গেলো দেখতে, তনু গুটিশুটি মেরে নিচে বসে আছে,গা ভিজে গেসে,শিশির থমকে গেলো,অনেকটা বড় শক খেয়েছে তনু
শিশির গিয়ে পাশে বসলো,তনু আড়চোখে তাকালো
শিশির-আমাদের প্রথম বেবিটার জন্য তুমি পরের বেবিটাকে কষ্ট দিচ্ছো কেন?
তনু চুপ
শিশির এক হাত দিয়ে তনুর কোমড় ধরলো,
শিশির-কি??বলো
তনু উঠতে গেলো শিশির চেপে বসিয়ে দিলো
শিশির-পরিবেশটা Romantic না?
তনু -?
শিশির টান দিয়ে তনুর জামা খুলে ফেললো,তনু তো হা করে তাকিয়ে আছে
শিশির-কি এভাবে তাকাও কেন,আমার বউ আমি করতেছি
শিশির তনুকে নিয়ে খাটে নিয়ে এলো,
সকাল ১০টায় ♥তনু শিশিরের বুকে শুয়ে আছে,
শিশির-রাগ ভাঙছে?
তনু অবাক হয়ে তাকালো
শিশির-যাক
তনু শিশিরের বুকে নাক ঘষলো
শিশির-বিকালে তোমাকে নিয়ে হসপিটাল যাব,তোমার জ্বর কমতেছে না
তনু-নাহ ভালো লাগে না,এখানে থাকব
শিশির-গেলে ভালো লাগবে
তনু-ওকে
তনু একটা লং three পিস পরে নিলো,শিশির জিন্স আর শার্ট পরলো,তনু শিশিরকে দেখে হাসলো
শিশির-কি ম্যাম হাসার কিতা আছে?
তনু সামনে এসে কলার ঠিক করে দিলো,শিশির ঠিকঠাক তবে কলার টা ইচ্ছা করেই এমন রাখে যাতে তনু ওর কাছে এসে ঠিক করে দেয়
চলবে♥
(আমার পরীক্ষা ৯তারিখ থেকে,তাই লেট হয়,কেউ কেউ এমন ভাবে ধমক দেন যে লেট হয় কেন এই বাচ্চা মেয়েটা অনেক ভয় পায়?????)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে