Crush যখন বর?Season_2শেষ_পর্ব
Writer-Afnan Lara
শিশির তনুর হাত ধরে হোটেল থেকে বের হলো,,,
দুজনেই সমুদ্রের কিনারায় হাঁটতেছে,,বাতাসে তনুর ওড়না উড়ে শিশিরের মুখে পড়তেছে,শিশিরের মনে আছে একদিন একসাথে হাঁটার সময় তনুর ওড়না গিয়ে শিশিরের মুখে পরায় শিশির ওড়না টান দিয়ে নিয়ে গেসিলো আর দেয়নি ওড়না টা,এখনও আছে ওড়না টা শিশিরের ড্রয়ারে,
শিশির আর তনু বালিতে গিয়ে বসলো,
তনু শিশিরের কাঁধে মাথা রাখলো
তনু-একটা কথা বলি
শিশির-হুম বলো
তনু-আমি এখানে থাকতে চাই বাবু হওয়া পর্যন্ত আমার বাড়ি যেতে ভয় লাগে
শিশির-এখানে একা সামলাতে পারবা?
তনু-আপনি আছেন তো
শিশির-ওকে দেখছি
শিশির ২দিনের ভিতরেই Cox’s bazar-এ ফ্ল্যাট একটা নিয়ে নিলো,তনুকে নিয়ে সেখানে উঠলো,,
তনুর খুশি দেখে কে,হেঁটে হেঁটে সব রুম দেখতেছে তনু,
শিশির কতটা দিন পর তনুর মুখে হাসি দেখলো
দেখতে দেখতে ১৫টা দিন কেটে গেলো,,
শিশির ভিডিও কলে বসে অফিসের কাজ করতেছে আর তনু বারান্দায় শিশিরের shirt মেলতেছে,
হঠাৎ মাথাটা ঘুরে উঠলো,
তনু গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে পানি খেলো,
শিশির তনুর দিকে তাকালো
শিশির-শরীর খারাপ লাগছে??
তনু-একটু
শিশির-rest নাও,
তনু-হুম
১ঘন্টা পর শিশির কাজ সেরে তনুর কাছে গেলো,তনুকে দেখতে,তনু ঘুমাচ্ছে,,
শিশির আর জাগালো না,
শিশিরের ফোনে কল আসলো,
শিশির-হ্যালো
পুলিশ-মিঃ শিশির আমরা আবিরকে খুঁজে পেয়েছিলাম,Cox’s bazar এ
শিশির-পেয়েছিলাম??????
পুলিশ-আসলে আবির একটা জঙির লোক,ওকে আমরা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলসিলাম বলে ও আমাদের সিনিয়র অফিসারকে শুট করতে নিসিল বাধ্য হয়ে আমরা ওর উপর গুলি চালাই,ও মরেনি,আমরা ওকে treatment দিয়ে সুস্থ করেসি,ওর সাথে যুক্ত বাকিদের খবর জানার জন্য কিন্তু ওদের দলের নিয়ম ধরা পড়লে সুইসাইড করবে
আবির নিজের শরীরের চামড়ার ভিতরে লুকানো বিষ বের করে খেয়ে সুইসাইড করেছে,
শিশির-হোয়াট!!!!!
পুলিশ-হুম,
শিশির ফোন রাখলো তনু মাথায় হাত দিয়ে উঠলো,
তনু-কি হয়সে?চিৎকার দিলেন কেন
শিশির-এমনি কিছু না,এখন কেমন আছো?
তনু কিছু বলতে যাবে এক দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলো,বমি করতেছে
শিশির-কি হলো,দাঁড়াও doctor কে কল দিচ্ছি
তনু শিশিরের হাত ধরে ফেললো
তনুর মুখে হাসি
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে থম হয়ে রইলো,তারপর টান দিয়ে তনুকে জড়িয়ে ধরলো
তনু কিছুক্ষন পর শিশিরের হাত ছেড়ে দিলো,মুখটা কালো হয়ে গেলো
শিশির-কি হয়সে
তনু-আবির যদি এখানেও চলে আসে
শিশির-লাভ নেই,সেটা আর জীবনেও হবে না
তনু-মানে
শিশির-আবির মারা গেসে
তনু-কিহ!
শিশির তনুকে সব বললো,
তনু-জঙি,বাবারে বাবা,মুনা জানে?
শিশির-অনেক কষ্ট পাবে
তনু-হুম,
শিশির-আমি জানিয়ে দিচ্ছি
শিশির কল দিয়ে জানালো,মুনাকে কাঁদলো তারপর বললো ভাইয়া আমার গর্ভে আবিরের সন্তান
শিশির কিছুক্ষন চুপ হয়ে রইলো
তনু পাশে থেকে শুনলো কথাটা
শিশির-বাচ্চাটা..
মুনা-ও তো কোনো দোষ করেনি ভাইয়া
তনু-মুনা শান্ত হও,নিজের এবং বাচ্চার খেয়াল রাখো কেমন??
তনু শিশিরকে এনে সোফায় বসালো
তনু-শুনুন,আমাদের বাসার ঐদিকে নিলয়ের কথা আপনার মনে আছে??
শিশির-হুম
তনু-ও মুনাকে অনেক লাইক করে আমাকে বলসে,ওর সাথে কথা বলে দেখবেন যদি ও মুনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়
শিশির -দেখতেছি
শিশির আর তনু নিলয়ের সাথে কথা বললো,
অদ্ভুত ♥নিলয় রাজি হলো,
শিশির আর তনুর সেদিনই রওনা দিলো
পরেরদিন ছোটখাটো একটা আয়জনে মুনা আর নিলয়ের বিয়েটা হয়ে গেলো,মুনার খুশিটা বোঝা যাচ্ছে না আবির মারা যাওয়াতে
শিশির নিলয়কে জড়িয়ে ধরলো
শিশির-আমার বোনটাকে ভালে রাখিস
নিলয়-রাখবো,যতদিন বেঁচে আছি
৮মাস পর সবাই হসপিটালে,,মুনার মেয়ে হয়েছে,,সবাই কত খুশি,,
শিশির তনুর কাছে,তনুকে একা রেখে আসেনি,আবির না থাকুক অন্য বিপদ হলে?তনুকে আর সেই বিষাদ দিন শিশির দেখাতে চায় নাহ
তনু-আমার তো আর কয়েকদিন পরই ডেট তাই না
শিশির-হুম,,
তনু ঘুমিয়ে গেসে শিশির তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,আর ডোরবেলের দিকে তাকিয়ে আছে,
কত জ্বালাতো শিশির এই মেয়েটাকে,একদিন না জ্বালালে যেন শান্তিই হতো না
আর এখন তার ঘরের বউ,কিছুদিন পর তার বাচ্চার মা হবে,আর সে বাবা
জ্বালানোটা কিন্তু কমেনি,হবে তার সাথে ভালোবাসা টা mix হয়সে,
এই এত গুলা মাসে তনুর সব কষ্টে শিশির ছায়ার মত ছিলো,ভয় হতো যদি আবার ও?আমার তনুকে তো তাহলে বাঁচাতে পারবো না আমি,আর তাই ছায়ার মত থাকতাম ওর সাথে
মুনার বাবু কান্না করতেছে,তনু দাঁড়িয়ে দেখতেছে,
মুনা-কয়েকদিন পর তোমারটাও এমন কাঁদবে
তনু মুচকি হাসলো,
হঠাৎ ঘামাতে লাগলো তনু,রুম থেকে এসে নিজের রুমে আসলো,আজ শিশির অফিসে,
এত ঘামাচ্ছি কেন,,পেটটাও কেমন করতেছে,ব্যাথা করতেছে,আস্তে আস্তে ব্যাথাটাও বাড়তেছে
দুপুরে♥♥♥♥♥
মুনা-ভাইয়া,তাড়াতাড়ি হসপিটালে চলে আয়,ভাবীর পেইন শুরু হয়সে,আমরা হসপিটালে আসছি
শিশির এক মূহুর্ত দেরি না করে হসপিটালে চলে আসলো
doctor -যে ডেট দিসি তার আগেই বাচ্চা হবে,এটা একটু রিস্ক
শিশির শক্ত হয়ে গেসে,বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো
মুনা-ভয় পেও না ভাইয়া
শিশির-আমি একবার তনুকে দেখবো
তনু কাঁদতেছ সিটে,শিশির তনুর কান্না সয্য করতে পারে না,তাও তনুর কাছে গেলো,একহাত তনুর গলার পাশে নিয়ে ওকে ধরলো,নাকে চুমু দিলো,আরেক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো
শিশির-don’t worry, আমি আছি তো??
নার্স-আপনি চাইলে থাকতে পারেন
শিশির থেকে গেলো
Doctor -সিজার করতে হবে
শিশির তনুর মুখের দিলে চেয়ে রইলো পুরোটা সময়,তনুর হুস নেই,কবেই ইনজেকশান দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলসে,
হঠাৎ বাচ্চার কান্নার আওয়াজে শিশির কেঁপে উঠলো,চোখ খুললো,নার্স doctor সবার মুখে হাসি,শিশির আস্তে আস্তে নার্সের হাতের দিকে তাকালো,যেন আরেকটা তনু নার্সের কোলে,কিন্তু চোখটা আমার মত
নার্স-ছেলে হয়সে, Congratulations
শিশির বাবু কোলে নিলো,,আবেগে কেঁদে দিলো শিশির,চোখ মুছে তনুর দিকে তাকালো
নার্স-উনার জ্ঞান ফিরবে কিছুক্ষন পর
সবাই তো বাবুকে কোলে নিতেছে আর খুশিতে হসপিটালে হইহুল্লড়,
তনুর জ্ঞান ফিরলো,চোখ খুলতেই দেখলো শিশির হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে তনুর দিকে,কোলে বাবু,তনু উঠার চেষ্টা করলো
শিশির -উঠিও না
শিশির বাবুকে তনুর পাশে শুইয়ে দিলো
তনু বাবুকে জড়িয়ে ধরলো
শিশির ওদের দুজনেকে জড়িয়ে ধরলো
আজ তনু শিশির পরিপূর্ণ,,
মুনা আর নিলয় পরিপূর্ণ
তনুর ছেলের নাম আরিয়ান,মুনার মেয়ের নাম রুশা
সেইকি ঝগড়া দুজনের,,একদম শিশির আর তনুর মত
আর ঐদিকে শিমুল আর রুনা বিয়ে করে আরেকটা বাবু ও নিসে,ওদের এখন ২টা বাবু,
রুনা পরকিয়া করে,আরেকটা ছেলের সাথে
শিমুল ও কম না,সে তার কলিগের সাথে প্রায় রুমডেট করে?????
♥♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥♥♥