Contract_Marriage part :1

0
7064

Contract_Marriage part :1
writer-Jubaida Sobti

(নিলার পরিচয়)
গায়ের রঙ ধবধবে সাদা ‘লম্বা কালো চুল। উচ্চতা ৫”৩
আর ওজন ৫৪ কেজি।নিলার চোখ গুলো তার মায়ের মতো মায়াবী ‘বাদামি চোখের মণি। একাদশ শ্রেণী পাস করে এখন বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র খুজছে।
ছোট বেলায় নিলার জন্মের সময় তার মায়ের ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়াতে তার মা মারা যায়। নিলার বয়স যখন ৭ বছর তখন তার বাবা হার্ট হয়ে মারা যায়।
মা-বাবাহীন নিলাকে তার মামা নিজে মামার বাড়িতে নিয়ে চলে যায়।নিলার মামা তার মামির বাবার বাড়িতেই থাকত তার পরিবার ও নিলাকে নিয়ে। নিলার মামার পরিবারে ছিল তার মামি তার দুটো মামাতো বোন ‘(মমিতা-শ্রেয়া) একটি মামাতো ভাই(মাসুদ) ও তার স্ত্রী। এবং নানা-নানি।
নিলা তার মামার আপন মেয়ে নয় বোনের মেয়ে বলে নানি নিলাকে তেমন ভালবাসে না। মমিতা নিলার ৫ বছরের বড় তার হাজবেন্ড বেকার বলে তাকে নিয়ে তার বাবার বাড়ী থাকতে হয়।মমিতার হাজবেন্ড নিলার দুলাভাই এর নজরটা তেমন নিলার ভাল লাগতো না। কেমন যেন তার চোখের চাওনিটা। আর শ্রেয়া নিলার ২ বছরের ছোট। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। নিলা শ্রেয়াকে নিজের ছোট বোনের মতো করে ভালবাসত।?তেমনি শ্রেয়া ও নিলাকে খুব ভালবাসত।
(আবিরের পরিচয়)
উচ্চতা ৫”১০ ‘গায়ের রঙ ফর্সা। মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর আগে। বাবার ব্যবসায়ে হাত না বাড়িয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানো তার কাজ।অনেক মেয়েরা আবিরের জন্য পাগল কিন্তু আবিরের এসব মেয়েদের গণার সময় নেই।
আবির শুধু একজনকেই চাই তার নাম হল (তারা)।
কিন্তু তারা আবিরকে শুধু একজন ভাল বন্দু মনে করে।
তারার বাবার সপ্ন তারা পড়ালিখা করে ডাক্তার হবে।সে তার বাবার সপ্ন পুরনে ব্যস্ত।
(হক) পরিবারের সব চেয়ে ছোট ছেলে আবির হক। বাবা গোল্ড ব্যবসায়ি। আবিররা তিন ভাই আবির সবচেয়ে ছোট। কেউকে ভয় না পেলে ও আবির তার বাবাকে ভীষণ ভয় পায়।তার বাবার কঠোর শাসন এর কারনে আবির তার বাবার নাম দিয়েছে (হিটলার)। অবশ্য তার দেওয়া নামটি তার বাবা আবিরের মা ও দাদিমা থেকে শুনেছে তাও আবিরকে কিছু বলেনা।আর মনে মনে হাসে।আবিরের বাবা চায় যে তার বাকি দুই ছেলের মতো আবির ও জিম্মাদার মানুষ হোক।
আবিরকে পরিবারের সবাই খুব ভালবাসে তার চালচলন গুলো ছিল চঞ্চল প্রকৃিতির। আবিরের বড় ভাবি আবিরকে একটু বেশি ভালবাসে এবং আবির ও।আবির তার বড় ভাবিকে আদর করে (ভাবি ডিয়ার) বলে ডাকে।?
আবিরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক মেয়ে দেখিয়েছে তার বাবা কিন্তু সবসময় আবির কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে কনের পক্ষকে রিজেক্ট করে দিত। যার কারনে আবিরের বাবা আবিরের উপর অনেক নারাজ।?
আজ সোমবার সকাল ‘আবির ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রুমে এসেছে।এসে দেখে তার ভাবি ডিয়ার তার জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছে।
আবির: আরে ভাবি ডিয়ার গুডডডড মর্নিং।?
ভাবি ডিয়ার: হুম নাস্তা রেখে যাচ্ছি। খেয়ে রেডি হয়েনে। আজ বাবা বলেছে রেস্টুরেন্ট এ তোকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে যাবে।?
আবির : আরে ভাবি এই হিটলার এর বুঝি আমার জন্য মেয়ে দেখা ছাড়া আর কাজ নেই।?
ভাবি ডিয়ার : আবির দেখ সবসময় তুই নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে ভেংগে দিস। মেয়ের পক্ষের কোনো খারাপ দিক না পেয়ে ও বাবার থেকে তোর কারণে মিথ্যা কথা বলতে হয়।?
আবির : কিন্তু ভাবি,,,,?
ভাবি ডিয়ার : কোনো কিন্তু নয়।?
অন্যদিকে নিলাকে রেডি করছে আজ বর পক্ষকে দেখাতে নিয়ে যাবে। নিলার জন্য এটা খুশির কিছু নয়। এভাবে তাকে ২৩ বার দেখানো হয়েছে ২৩বার তাকে রিজেক্ট করেছে। নিলা মনে মনে ভাবছে এবার ও তেমন হবে আরকি।নিলা সেই দিন গুলির কথা মনে পরে গেল। সমাজে এখনো এমন মানুষগুলি বেচে আছে। যারা মেয়েদের মন দেখে না তার সুন্দর্য দেখে আর সারাদিন খেটে কাজ করতে পারবে কিনা তা দেখে।যৌতুকে কি কি দিতে পারবে তা দেখে।যদি তাদের পরিমান মতো না মিলে তাহলে মেয়ে রিজেক্ট।?
নানি : এই জন্মে আর এই নিলার বিয়ে হবেনা মনে হয়।
না জানি আর কতদিন মেয়েটাকে নিয়ে আমাদের টাকা পয়সা খরচ করতে হবে।?
শ্রেয়া : উফফ নানি তুমি চুপ করবে। দেখবে নিলা আপুর জন্য রাজকুমার ঠিক চলে আসবে।?
নিলাকে যে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গেল মেয়ে দেখানোর জন্য আবিরকে ও সেই রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গেল।
আবিরকে মেয়ে দেখালো মেয়ে সুন্দর কিন্তু আবির বিয়ে করবেনা। সে কিন্তু তার গার্লফ্রেন্ড তারার জন্য মেয়ে রিজেক্ট করছে না। আবিরের এখন বিয়ে করার ইচ্ছে নেই সে তো তারাকে এখনো বলেওনি যে সে তারাকে ভালবাসে।কিভাবে বলবে তারা সবসময় পড়ালিখা নিয়ে ব্যস্ত।
অন্যদিকে নিলাকে বরপক্ষ দেখেছে পছন্দ করেছে কিন্তু মেয়ের মা-বাবা নেই।তাই একটু কনফিউজড ছেলের পক্ষ।মেয়ের কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি।
আবিরের পরিবারের ও আবিরের জন্য দেখা মেয়েটি পছন্দ হয়েছে মেয়েদেখা শেষ বাসায় গিয়ে ফোন করে মতামত জানিয়ে দিবে বলে বাসায় ফিরার জন্য প্রস্তুত।
এমন সময় আবির হেটে যাওয়ার সময় হাতের সাথে বাড়ি খেয়ে পাশের টেবিলে বসে থাকা নিলা মেয়েটির গায়ে জুসের গ্লাসটা? পড়ে যায়। নিলা ভয় পেয়ে যে না চিৎকার করে উঠলো সবাই আবির আর নিলার দিকে তাকিয়ে আছে? আবির ও ভয় পেয়ে গেল।?
চলবে….?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে