contract_marriage★
part- 8
part- 8
writer-Jubaida Sobti♥
নিলা : জি!! আমি ঠিকাছি।
আবির : ঠিকাছো মানে? কি নিয়ে টেনশন করছো কোনো আমি যা বলেছি তা নিয়ে নয়তো??
নিলা : না তা নিয়ে নয়।
আবির : আচ্ছা তোমার মামা মামিকে বলেছো?
নিলা : না বলতে পারিনি।?
দাদি : নিলা!! খেয়াল রাখিস হ্যাঁ। আমরা তাহলে আজ আসি। আর শোন কোনো টেনশন করবি না। সব ঠিকঠাকই হবে। তবে হ্যাঁ আবির তোকে কোনো টেনশন দেই নাকি?
নিলা : না দাদি!
দাদি : দিলে কিন্তু আমাকে বলবি।
চল আবির।
(এই বলে দাদি আর আবির চলে যায়)।
নিলা সুস্থ হয়ে উঠে ধীরেধীরে। তবে এর মাঝে অনেক চেষ্টা করেছে নিলা মামা মামীকে বলার জন্য।
কিন্তু নিলা ব্যর্থ হয়।
আবির আর নিলার বিয়ের কার্ড চলে এসেছে।
আবির এর এসব অসহ্য লাগছে।
আবির নিলাকে ফোন দিলো।
আবির : নিলা তুমি বলেছো?
নিলা : দেখেন আমি মামা মামিকে কিছু বলতে পারবো না। আপনার যদি এতো দরকার হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই বলেন আপনার পরিবারকে।
আবির : তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো যে তুমি কিছু করতে পারবা না তাই তো?
নিলা : জি!!! তাই।
আবির : ঠিকাছে তাহলে আমিই বলছি বাবাকে।
এই বলে আবির ফোন কেটে দিলো।
আবির তার বাবা এবং পরিবারের সবাইকে ঢাকে।
আবির : বাবা আমি নিলাকে বিয়ে করতে পারবো না।
বাবা : কেন?
আবির : বাবা আমি তারা কে ভালবাসি আর আমি ওকেই বিয়ে করবো।
বাবা : আবির তুই কি বলছিস তুই জানিস?
আবির : হ্যাঁ বাবা আমি জানি। আর এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন।
বাবা : ঠিকাছে তাহলে আমার ফাইনাল ডিসিশন ও শোনে নে। যদি এই বাড়ীতে থাকতে চাস তাহলে নিলাকে বিয়ে করতে হবে আর যদি না চাস তাহলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যা।
দাদি : কি বলছিস কি তোরা।পাগল হয়ে গেছিস নাকি তোরা।
বাবা : মা তুমি জানো না!!! ওর এসব আবদার গুলো রেখে রেখে আমি ওকে মাথায় তুলে ফেলেছি।
আবির : ঠিকাছে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।চিন্তা করো না।
বাবা : দাড়া ” বেরিয়ে যাচ্ছিস ভালো কথা। তবে এই বাড়ীর কিছু সাথে নিয়ে যেতে পারবি না।
আবির : মানে!
বাবা : তোর বাইকের চাবি ” কারের চাবি ” ক্রেডিট কার্ড সব রেখে যা।
আবির সব টেবিলের উপর রেখে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
দাদি : (কেঁদে কেঁদে) কয়েক সাপ্তাহ পরে ছেলেটার বিয়ে আর তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তুই কেমন বাপ?
বাবা : মা তুমি ঐসব বুঝবা না। কয়দিন ওকে বাসা থেকে দূরে থাকতে দাও তারপর বুঝবে ও।
আবির তার বন্ধুদের কল দিয়ে সব বলে কোনো বন্ধুর সাহায্য না পেয়ে সে পার্কের একটি চেয়ারে বসে আছে।
নিলা বুঝতে পারে যে আবির হয়তো এতোক্ষনে তার পরিবারকে বলে দিয়েছে।নিলা বুঝতে পারে সকালে আবিরের পরিবার ফোন দিয়ে বিয়ে কেন্সেল করে দিবে। নিলা তার এই মুখ মামা মামিকে কি করে দেখাবে। মামা মামীর কষ্টের চেহারাটা সে কি করে দেখবে।
তাই নিলাও ডিসিশন নিয়েছে সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
নিলা একটি চিঠি লিখে ড্রইং রুমের টেবিলে রেখে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
নিলা হাটতে হাটতে পার্কের পাশে চলে আসে।
নিলাকে আবির দেখে ফেলে।
আবির: নিলা তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো
নিলা : জি! আমি নাইট ওয়াকিং এ বেরিয়েছি।তাই।
আবির : তুমিকি আমাকে বোকা পেয়েছো?
নিলা : তবে আপনি কী করছেন এইখানে?
আবির : বাবা বের করে দিয়েছে নিলা আমাকে।
নিলা : ওহ!
আবির : বাদ দাও!! আসো তোমাকে বাসায় পৌছে দি।
নিলা : আরে না সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো আপনি চিন্তা করবেন না।
আবির : সত্য বলছো তো??
নিলা : হ্যাঁ মিথ্যা কেন বলবো। বাই।?
এইবলে নিলা চলে গেল একা। কিন্তু আবির ও নিলার পিছু পিছু গেল। নিলা না দেখার মতো।
কিছু দূর হেটে যাওয়ার পর নিলাকে কিছু বাজে ছেলে ইপ্টিজিং করতে লাগলো। তবে নিলা অনেক ভয় পেয়ে গেল।
সে পিছন ফিরে দৌড়াতে গিয়ে দাক্ষা খেয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে গেল।চোখ খুলে নিলা দেখে আর কেউ নয় সেটা আবির।
আবিরকে দেখে নিলার বুকে সাহস আসলো। নিলা আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে।
আবির : আরে ডার্লিং এতো রাগ করতে হয়। হয়েছে তো। এবার ক্ষমা করে দাও।
আমার চাচা আর্মি যে টা তাকে কল দিয়েছি সে আসছে আমাদের পিক আপ করতে। আজ ওনার বাসায় থাকতে বলেছে।
নিলা আবিরের কথা গুলো শুনে হাসবে কি কাঁদবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।?
আবির নিলাকে নিয়ে ঐ জায়গা থেকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে বসালো।
আবির : নিলা সত্য করে বলোতো তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো? নিলা আমার থেকে লুকিয়ে কি লাভ?
চলবে…..
নিলা : জি!! আমি ঠিকাছি।
আবির : ঠিকাছো মানে? কি নিয়ে টেনশন করছো কোনো আমি যা বলেছি তা নিয়ে নয়তো??
নিলা : না তা নিয়ে নয়।
আবির : আচ্ছা তোমার মামা মামিকে বলেছো?
নিলা : না বলতে পারিনি।?
দাদি : নিলা!! খেয়াল রাখিস হ্যাঁ। আমরা তাহলে আজ আসি। আর শোন কোনো টেনশন করবি না। সব ঠিকঠাকই হবে। তবে হ্যাঁ আবির তোকে কোনো টেনশন দেই নাকি?
নিলা : না দাদি!
দাদি : দিলে কিন্তু আমাকে বলবি।
চল আবির।
(এই বলে দাদি আর আবির চলে যায়)।
নিলা সুস্থ হয়ে উঠে ধীরেধীরে। তবে এর মাঝে অনেক চেষ্টা করেছে নিলা মামা মামীকে বলার জন্য।
কিন্তু নিলা ব্যর্থ হয়।
আবির আর নিলার বিয়ের কার্ড চলে এসেছে।
আবির এর এসব অসহ্য লাগছে।
আবির নিলাকে ফোন দিলো।
আবির : নিলা তুমি বলেছো?
নিলা : দেখেন আমি মামা মামিকে কিছু বলতে পারবো না। আপনার যদি এতো দরকার হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই বলেন আপনার পরিবারকে।
আবির : তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো যে তুমি কিছু করতে পারবা না তাই তো?
নিলা : জি!!! তাই।
আবির : ঠিকাছে তাহলে আমিই বলছি বাবাকে।
এই বলে আবির ফোন কেটে দিলো।
আবির তার বাবা এবং পরিবারের সবাইকে ঢাকে।
আবির : বাবা আমি নিলাকে বিয়ে করতে পারবো না।
বাবা : কেন?
আবির : বাবা আমি তারা কে ভালবাসি আর আমি ওকেই বিয়ে করবো।
বাবা : আবির তুই কি বলছিস তুই জানিস?
আবির : হ্যাঁ বাবা আমি জানি। আর এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন।
বাবা : ঠিকাছে তাহলে আমার ফাইনাল ডিসিশন ও শোনে নে। যদি এই বাড়ীতে থাকতে চাস তাহলে নিলাকে বিয়ে করতে হবে আর যদি না চাস তাহলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যা।
দাদি : কি বলছিস কি তোরা।পাগল হয়ে গেছিস নাকি তোরা।
বাবা : মা তুমি জানো না!!! ওর এসব আবদার গুলো রেখে রেখে আমি ওকে মাথায় তুলে ফেলেছি।
আবির : ঠিকাছে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।চিন্তা করো না।
বাবা : দাড়া ” বেরিয়ে যাচ্ছিস ভালো কথা। তবে এই বাড়ীর কিছু সাথে নিয়ে যেতে পারবি না।
আবির : মানে!
বাবা : তোর বাইকের চাবি ” কারের চাবি ” ক্রেডিট কার্ড সব রেখে যা।
আবির সব টেবিলের উপর রেখে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
দাদি : (কেঁদে কেঁদে) কয়েক সাপ্তাহ পরে ছেলেটার বিয়ে আর তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তুই কেমন বাপ?
বাবা : মা তুমি ঐসব বুঝবা না। কয়দিন ওকে বাসা থেকে দূরে থাকতে দাও তারপর বুঝবে ও।
আবির তার বন্ধুদের কল দিয়ে সব বলে কোনো বন্ধুর সাহায্য না পেয়ে সে পার্কের একটি চেয়ারে বসে আছে।
নিলা বুঝতে পারে যে আবির হয়তো এতোক্ষনে তার পরিবারকে বলে দিয়েছে।নিলা বুঝতে পারে সকালে আবিরের পরিবার ফোন দিয়ে বিয়ে কেন্সেল করে দিবে। নিলা তার এই মুখ মামা মামিকে কি করে দেখাবে। মামা মামীর কষ্টের চেহারাটা সে কি করে দেখবে।
তাই নিলাও ডিসিশন নিয়েছে সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
নিলা একটি চিঠি লিখে ড্রইং রুমের টেবিলে রেখে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
নিলা হাটতে হাটতে পার্কের পাশে চলে আসে।
নিলাকে আবির দেখে ফেলে।
আবির: নিলা তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো
নিলা : জি! আমি নাইট ওয়াকিং এ বেরিয়েছি।তাই।
আবির : তুমিকি আমাকে বোকা পেয়েছো?
নিলা : তবে আপনি কী করছেন এইখানে?
আবির : বাবা বের করে দিয়েছে নিলা আমাকে।
নিলা : ওহ!
আবির : বাদ দাও!! আসো তোমাকে বাসায় পৌছে দি।
নিলা : আরে না সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো আপনি চিন্তা করবেন না।
আবির : সত্য বলছো তো??
নিলা : হ্যাঁ মিথ্যা কেন বলবো। বাই।?
এইবলে নিলা চলে গেল একা। কিন্তু আবির ও নিলার পিছু পিছু গেল। নিলা না দেখার মতো।
কিছু দূর হেটে যাওয়ার পর নিলাকে কিছু বাজে ছেলে ইপ্টিজিং করতে লাগলো। তবে নিলা অনেক ভয় পেয়ে গেল।
সে পিছন ফিরে দৌড়াতে গিয়ে দাক্ষা খেয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে গেল।চোখ খুলে নিলা দেখে আর কেউ নয় সেটা আবির।
আবিরকে দেখে নিলার বুকে সাহস আসলো। নিলা আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে।
আবির : আরে ডার্লিং এতো রাগ করতে হয়। হয়েছে তো। এবার ক্ষমা করে দাও।
আমার চাচা আর্মি যে টা তাকে কল দিয়েছি সে আসছে আমাদের পিক আপ করতে। আজ ওনার বাসায় থাকতে বলেছে।
নিলা আবিরের কথা গুলো শুনে হাসবে কি কাঁদবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।?
আবির নিলাকে নিয়ে ঐ জায়গা থেকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে বসালো।
আবির : নিলা সত্য করে বলোতো তুমি এতো রাতে এইখানে কি করছো? নিলা আমার থেকে লুকিয়ে কি লাভ?
চলবে…..