ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ২/শেষ
লেখকঃJoy Khan
নিলীমাঃ হুম আমি ঠিকি বলছি। আমি আজ থেকে এই বাসায়ই থাকব।
আমিঃ দেখ নিলীমা এখন তুমি সব কিছু বোঝ আর তোমার এধরনের পাগলামি করার কোন মানে হয় না
নিলীমাঃ কি বললেন আপনি আমি পাগলামি করছি। ঠিক আছে আমি পাগল। আর আমি আপনাকে পাগলের মত ভালবাসি।
ওর কথা শুনে আম্মু বলল
আম্মুঃ ঠিক আছে মা তুই কোন চিন্তা করিস না জয়ের সাথেই তোর বিয়ে দিব।
আমিঃ আম্মু কি বলছ এইসব
আম্মুঃ ঠিকইতো বলছি। তুই ওকেই বিয়ে করবি।
আমিঃ কিন্তু ও তো আমার ছাত্রী।
নিলীমাঃ ছাত্রী হয়েছি তো কি হয়েছে। ছাত্রীদের কি স্যার রা বিয়ে করতে পারে না
আমিঃ না পারে না
নিলীমাঃ আপনি বললেই হলো। আমাদের জুবায়ের স্যার তার ছাত্রীকে বিয়ে করেছে।
আমিঃ তো
নিলীমাঃ আপনিও আমাকে বিয়ে করবেন।
আমিঃ দেখ নিলীমা
আব্বুঃ ঐ তুই এত কথা বলছিস কেন আমরা নিলীমাকেই ঘরের বউ বানাবো। ওকে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে।
আমিঃ কি বল এইসব।
আব্বুঃ যা বলছি ঠিকি বলছি সামনের সপ্তাহে তোদের বিয়ে।
আমিঃ আব্বু তুমি
আব্বুঃ আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না আর নিলীমা মা তুমি এখন বাসায় যাও আমি তোমার বাবা মার সাথে কথা বলে তোমাদের বিয়ের সব কিছু ফাইনাল করি।
নিলীমাঃ ঠিক আছে বাবা।
একথা বলে নিলীমা হাসিমুখে চলে গেল আর আমি আমার রুমে চলে আসলাম।
কিছুই ভাল লাগছে না শেষ পর্যন্ত ছাত্রীকে বিয়ে করতে হবে।ধুর ভাল লাগে না।
সন্ধ্যায় আম্মু আমার রুমে এসে বলল
আম্মুঃ কিরে কি ভাবছিস
আমিঃ কিছু না আম্মু
আম্মুঃ আমি জানি তুই নিলীমাকে নিয়েই ভাবছিস। জানিস মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে। তাই তোর সাথে এরকম পাগলামী করে। তুই মেয়েটাকে কষ্ট দিস না।
আমি আম্মু কথা শুনে চুপ করে থাকলাম।
একটুপর আম্মু চলে গেল।
এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেল। আজ আমাদের বিয়ে। অবশেষে বিয়ে করে নিলীমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে এলাম।
এখন আমি বাশোর ঘরের দরজার সামনে দারিয়ে আছি ভিতরে ঢুকব কি ঢুকব না তা চিন্তা করছি। তারপর কি মনে করে যেন ঢুকে গেলাম।
আমার অস্তিত্ব টের পেয়ে নিলীমা খাট থেকে নেমে এসে আমাকে সালাম করল তারপর আবার খাটে গিয়ে বসল।
আমি নিলীমাকে বললাম।
আমিঃ দেখ নিলীমা তোমাকে আমি স্ত্রীর অধিকার দিতে পারব না
নিলীমাঃ স্যার আপনি এই কথা না বলে বলেন তুমি জোর করে আমার দেহ পাবে কিন্তু মন পাবে না
আমিঃ কি বল এইসব।
নিলীমাঃ হি হি হি।
আমিঃ হাসছ কেন।
নিলীমাঃ আপনি আমাকে স্ত্রীর অধিকার দিবেন না কেন। আপনার কি কোন গার্লফ্রেন্ড আছে
আমিঃ না।
নিলীমাঃ ভাল আর থাকলেও কাজ হতো না।
আমিঃ মানে
নিলীমাঃ মানে টানে কিছু না। আমি এখন আপনার বউ আপনি শুধু আমাকে ভালবাসবেন।
আমিঃ দেখ নিলীমা তুমি কিন্তু বারাবারি করছ
নিলীমাঃ স্যার আপনি আমার সাথে এখও আগের মত করে কথা বলেন কেন ভুলে যাবেন না আমি এখন আপনার বউও
আমিঃ বউ তো কি হয়েছে
নিলীমাঃ হয়নি তবে এখন হবে
একথা বলে নিলীমা খাট থেকে নেমে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃ নিলীমা ছার আমাকে
নিলীমাঃ উহু ছারব না। আর আমি আমার স্বামীকে ধরেছি।
আমিঃ নিলীমা আমা
নিলীমা আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ওর নরম ঠোট দুটো দিয়ে আমার ঠোটদুটো চেপে ধরল।
ওর ঠোটের ছোয়া পেয়ে আমার কেমন যেন ভাললাগা কাজ করছিল।
এভাবে কিছুক্ষন থাকার পর নিলীমা আমাকে ছেরে দিল।
আমিঃ তুমি এটা কি করলে নিলীমা
নিলীমাঃ টিটুয়েন্টি খেলা যখন শুরু হয় তখন খেলয়াড়রা যে প্রাক্টিস করে না সেটা করলাম।
আমিঃ কি বলছ এইসব।
নিলীমাঃ হুম ঠিকি বলছি।
আমিঃ দেখ নিলীমা
নিলীমাঃ আচ্ছা স্যার আপনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন আমি সুন্দর কি না
আমি ওর দিকে তাকিয়ে যেন মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ওকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। ওর চোখে কাজল দেয়া ঠোটে হল্কা লিপিষ্টিক লেপ্টানো চুলগুলো ছারা। ওকে একদম পরীদের মত লাগছে কিন্তু আমি অবাক হলাম ও মুখে কোন মেকাপ করে নি।
আমি যখন ওকে দেখায় ব্যাস্ত হয়ে পরেছিলাম তখন ওর ডাকে আমার ঘোর কাটল
নিলীমাঃ স্যার কোথায় হারিয়ে গেলেন।
আমিঃ ক কই হারিয়ে গেলাম।
নিলীমাঃ তাহলে হা করে কি দেখছিলেন।
আমিঃ তুমি মুখে মেকাপ কর নি কেন
নিলীমাঃ কারন আপনি মেকাপ পছন্দ করেন না।
আমিঃ তুমি কিভাবে জানলে
নিলীমাঃ আপনার আম্মু বলেছে।
আমিঃ তাই নাকি। আর জান মেয়েদের মেকাপ না করলেই সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। মানুষের আল্লাহর প্রদও চেহারাই কত সুন্দর তাই না।
নিলীমাঃ হুম স্যার।
আমিঃ আমার না ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো।
নিলীমাঃ আমার ও ঘুম পাচ্ছে আমিও ঘুমাবো।
আমিঃ তুমি কোথায় ঘুমাবে।
নিলীমাঃ আপনার বুকে
আমিঃ কিহহ।
নিলীমাঃ অবাক হওয়ার কিছুই নেই আমি আপনার বুকেই ঘুমাব।
আমিঃ বুকে ঘুমাবে মানে
নিলীমাঃ বুকে ঘুমাব মানে বুকে ঘুমাবো এখন আপনি শুয়ে পরুন।(রেগে)
তারপর নিলীমা জোর করে আমাকে শুইয়ে দিল। আর ও আমার বুকে শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আর বলল
নিলীমাঃ স্যার আপনি কি আমাকে ভালবাসবেন না।
আমিঃ
নিলীমাঃ কি হল স্যার বলেন না।
আমিঃ এখন ঘুমাও তো।
নিলীমাঃ আমার ঘুম আসছে না আমাকে ঘুম পারিয়ে দেন।
আমিঃ আমি পারব না
নিলীমাঃ স্যার আপনি এমন কেন। আমার মত এত সুন্দর একটা মেয়ে আপনার এত কাছে আছে তাকে আপনি একটু ছুতে ও চাচ্ছেন না।
আমিঃ ছুতে তো মন চাচ্ছে কিন্তু কেন যেন পারছি না(এইরে কি বলতে কি বলে ফেল্লাম)
নিলীমাঃ সত্যি
আমিঃ না
নিলীমাঃ আমি জানি আপনি আমাকে ভালবাসতে শুরু করেছেন(আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
আমিঃ জি না।
আপনি বললেই হলো আমি বুঝেছি।
আমিঃ কি বুঝেছ
নিলীমাঃ কিছুনা। এবার আমাকে একটু আদর করে দেন না
আমিঃ পারব না।
নিলীমাঃ প্লিজ স্যার।
তারপর আমি নিলীমার কপালে আলতো করে একটা চুমু খেলাম।
আমিঃ এবার হয়েছে
নিলীমাঃ উহু
তারপর আমি নিলীমার গালে কপালে ও ঠোটে চুমু খেলাম।
তারপর নিলীমাকে বললাম
আমিঃ এই তোমার ঠোটের লিপিষ্টিক এরকম লেপ্টে আছে কেন
নিলীমাঃ আপনিইতো এরকম করেছেন (লজ্জা পেয়ে)
আমিঃ বাহ আমার লজ্জাবতি দেখি লজ্জাও পায়
নিলীমাঃ যাহ দুষ্টু।
আমিঃ তা মেডাম এখন কি টিটুয়েন্টি খেলা আরাম্ভ করব নাকি
নিলীমাঃ একটু আগে তো কথাই বলছিলেন না এখন এত কথা কিভাবে বলছেন হুম
আমিঃ তুমিইতো বলতে বাদ্ধ করছ।
নিলীমাঃ হি হি হি।
তারপর আমরা দুজন এক অজানা ভালবাসার সাগরে হারিয়ে গেলাম।
সকালে নিলীমার ডাকে আমার ঘুম ভাঙল।
নিলীমাঃ স্যার উঠেন।
আমিঃ এত সকালে
নিলীমাঃ এত সকাল কই অনেক বেলা হয়েছে উঠুন
আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি এই মাএ নিলীমা গোসল করে এসেছে ওকে আর সুন্দর লাগছে। তাই আমি ওকে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম
নিলীমাঃ স্যার কি করছেন ছারেন
আমিঃ এই আমি এখন তোমার স্যার নাকি আমি তো তোমার স্বামী
নিলীমাঃ উহু আপনি আমার স্যার ও আবার স্বামী ও।
আমিঃ এই তুমি আমাকে আপনি করে বলছ কেন
নিলীমাঃ আমি আপনাকে আপনি করেই বলব
আমিঃ কেন
নিলীমাঃ আপনি বলায় অন্য রকম একটা সন্মান থাকে।
আমিঃ তাই পাগলী (কপালে একটা চুমু খেয়ে)
নিলীমাঃ হুম।
এভাবে কিছুক্ষন থাকার পর আমি পাগলীটাকে ছেরে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
এভাবে দিন কাটতে লাগল।
একদিন আমি নিলীমাকে বললাম
আমিঃ এই তুমি আর কেলেজে যাও না কেন আর পড়তে ওতো বস না
নিলীমাঃ আমি আর কলেজে যাব না।
আমিঃ কেন
নিলীমাঃ আমি কলেজে গেলে বাসার কাজ করবে কে আর আপনি কার সাথে সময় কাটাবেন
আমিঃ এই তুমি কি সব কাজ কর নাকি আম্মুইতো সব করে আর তিন চার ঘন্টায় আমার কিছু হবে না।
নিলীমাঃ তবুও।
আমিঃ না কাল তেকে কলেজে যাবে।
নিলীমাঃ আচ্ছা যাব যদি আপনি আমাকে প্রতিদিন দিয়ে আসেন এবং নিয়ে আসেন।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
নিলীমাঃ আর একটা কথা আমাকে কিন্তু প্রতিদিন কোলে বসিয়ে পড়াতে হবে হুম।
আমিঃ আচ্ছা পরাব।
পরদিন নিলীমা আমার কোলে বসে আমার বুকে মাথা বই হাতে নিয়ে বসে আছে
আমিঃ কি হল পড় নিলীমাঃ না পরব না
আমিঃ কেন
নিলীমাঃ যদি আদর করে দেন তাহলে পরব।
আমিঃ দুষ্ট মেয়ে পরার সময় ও আদর লাগবে
নিলীমাঃ হুম লাগবে।
তারপর আর কি আদর দিতেই হলো।
আজকে ওকে কলেজে নামিয়ে দেয়ার জন্য বের হবো তখন নিলীমা বলল
নিলীমাঃ একটা পাপ্পি দেন
আমিঃ কেন
নিলীমাঃ বাহ রে আমি তিন চার ঘন্টা কলেজে থাকব তখন আপনার কথা মনে পরবে না তাই
তারপর আমি ওকে কাছে টেনে এনে ওর কপালে একটা চুমু খেলাম।
নিলীমাঃ কপালে দিলে তো হবে না
আমিঃ কেন
নিলীমাঃ এখানে দিতে হবে(ঠোট দেখিয়ে)
আমি ওকে আর কাছে টেনে এনে ওর ঠোটে একটা চুমু খেলাম।
আসলে ও যদি আমার জিবনে না আসত তাহলে আমি বুঝতেই পারতাম না যে জীবন এত সুন্দর হয়।
এখন প্রতিদিন ওকে কলেজে যাওয়ার সময় আর পড়তে বসার সময় আদর দিতে হয়।
সমাপ্ত
বিদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ন কাল্পনিক।
Very nice