বিয়ে মানেই একটা মেয়ের জীবনে আনন্দ সুখময় হয়।
কিন্তু আমার কেনো হচ্ছে না?আমার কেনো হচ্ছে না জানেন।আচ্ছা এসব কথা না হয় আরেকদিন বলি।
আজ আমার বাসর রাত সেটাই তুলে ধরি।
বাসর ঘরে চুপচাপ বসে আছি।মুখটা ভার করে।হাসি বলতেই তিল পরিমাণে নেই মুখে।তবুও ননদ দেবররা এসে হাসি মজা করে যাচ্ছে।যেনো মন খারাপ না করে বসে থাকি।এরই মধ্যে রুমে প্রবেশ করলো আমার সদ্য বিবাহিত বর। তাকে দেখে কেউ ঘর থেকে বের কি দূরে থাক বরং আটশাট হয়ে গেড়ে বসে রয়লো ফুলশয্যার খাটের চার পাশে।মাঝখানে বসে রেখেছে আমাকে। আমি মাথা নিচু করে বসে আছিই তো আছি,তুলে দেখবো যে আমার বরটা কেমন সেটাও ইচ্ছা হচ্ছে না কোনো মতেই।এমন অবস্থা দেখে সে বলে উঠে..
-এই তোরা বের হবি।অনেক রাত তো হলো।এখন শান্তিতে একটু ঘুমাতে দে। তোর ভাবী অনেক ক্লান্ত আজ।কাল এসে কথা বলিস।
এমন ভাবে বললো সবাইকে আর কোনো কথা বলার সাহসই পেলো না তারা।মাথা নিচু করে এক এক করে বের হতে লাগলো তারা। এটা দেখে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো তাদের জন্যে।তারা এতোখন যেটা নিয়ে মজা করছিলো,টাকা না দিলে বের হবে না রুম থেকে।
কিন্তু কেমন বর আমার?রাগান্বিত সরে বলে উঠলো একটু উচ্চ কণ্ঠে।সেটা দেখে ওদের ভিতরে ভয়ে চিফসের প্যাকেটের মতো চুপসে গেছে।তাই আর কথা না বলে চুপচাপ বের হয়ে যাচ্ছিলো। তখনই ডাক দিলো
-সেতু..
এমন ভাবে ডাক শুনলে কার না ভিতরে ধুকভুক করে। সেতু তো (ননদ) পিছু ফিরে দৌড় দেয় আমার বরের কাছে।সাথে দেবররাও দাড়িয়ে পরে।
-জি ভাইয়া।
-এটা ধর(২৫ হাজার টাকা)।
এটা দেখার পর ওদের মুখে বিজয়ের হাসি ফুটেছে, সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
-কি হলো ধর?তুই ১০নিবি আর বাকি বান্দরদের ৫করে দিবি।
এটা বলতে দেরি। কিন্তু ওরা চিল্লিয়ে জরিয়ে ধরতে দেরি হয় নি।
-থ্যাংকু থ্যাংকু থ্যাংকু ভাইয়াটা আমার।?(সেতু)
-লাভ ইউ ভাইয়া?(রিফাত,দেবর)
অন্যরাও জড়িয়ে ধরে চুমু হয়ে চলেছে। একের পর এক।বেচারা বরটা এবার সহ্য করতে না পেরে বলে উঠে। তোরাই যদি এতো চুমু খাস তো,তোদের ভাবী কোথায় খাবে আজ।
আহা এটা বলতে দেরি,আমার কাজিন দেবররা বলে উঠে এক সাথে..
-সিফাত ভাইয়াআআআআআ(আমার বর)?
এমনভাবে বলছে বলে, ওদের ধাক্কিয়ে এবার বের করে দিলো রুম থেকে।দরজা লক করে যখন এক পায়ে দু পায়ে আমার কাছে আসতে লাগলো।ভিতরে আমার তুফান শুরু হয়ে গেলো।এই বুঝি ঝাপিয়ে পরবে আমার উপরে।গুটিসুটি হয়ে, পা টা কুচির নিচে নিয়ে বসে রয়লাম শাড়ির আচলের কোণা নিয়ে হাতের মুঠোতে।
এটা দেখে সিফাত হু হু করে হেসে উঠলো। আমিও অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে আড়চোখে।এমন কি হলো যে,গাধার মতো হাসতে হবে??
হাসতে হাসতে পাশে এসে বসলো ধপাস করে।তখনই ভিতরে ধুকুর ধুকুর শুরু হলো।হঠাৎ হাতটা চেপে ধরে ফেলে দিলো বিছানাতে।তারপর এক এক করে সব কিছু টেনে টেনে খুলতে লাগলো আর আমি নির্বোধের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছি।
যখনই বুকের আচলটা সরিয়ে গলায় হাত দিয়ে আস্তে আস্তে নামতে লাগলো তখনই দিলাম চিৎকার….
চলবে….
বিয়ে
Writer: তানজিন সুইটি
(বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।)
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের (গল্প পোকা ডট কম ) ওয়েব সাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো ডাউনলোড না করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এখনি গল্প পোকা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন => ??????
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.golpopoka.android
বিয়ে এর পরের পর্ব গুলো দিন
Sob ta ses korben
Yes tararari den