আমার পাগলি প্রেমিকা ৯ম পার্ট
……#জেএইসজনি
.
.
.
আমিঃ আচ্ছা নিলা তোমার আম্মুকে ডাক দেও আমরা চোলে যাবো এখন,,
.
নিলা বুকের ভিতর থেকে মাথা বের করে বললো,
কি বলেন এসব, ছোট ভাইয়া আজ প্রথম এসেছে আমাদের বাসায়, না খাইয়ে যেতে দেবো নাকি,,
সাইদঃভাবি ছোট ভাইয়া ডাক এইটা আবার কি, নাম দরে তুমি বলে ডাকবা, না হয় ভাইয়ার মতো ছটু বলে ডাকবা,,
নিলঃ ঠিক আছে আমার ছোট লক্ষি ভাই,, তবে না খেয়ে কিন্তু যেতে পারবে না,,
সাইদঃনা, একদমই না,তোমার হাতে না খেয়ে কি যাবো,,
সাইদ আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ভাইয়া আমি কিন্তু না খেয়ে যাবো না,,
.
আমি আর কি বলবো, থাক তুই তোর ভাবির কাছে,, নিলা আমি গেলাম,, অফিসে কাজ আছে,,
নিলাঃ না আপনি কোথাও যাবেন না, এক সাথে খেয়ে তারপর যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা, পাগলামি করো না, আর্জেন্ট কাজ আছে, যেতে হবে,,
নিলাঃযেতে পারবেন এক শর্ত,এখানে এসে খেতে হবে,,
আমিঃআচ্ছা,
নিলাঃ আমি কিন্তু না খেয়ে আপনার জন্য বসে থাকবো,,
আমিঃ আচ্ছা মহারানি যাই এখন,,
.
নিলা আমার সাথে সাথে বাহির পর্যন্ত আসলো,,
আমি বিদায় জানিয়ে চোলে আসলাম অফিসের কাজে.
নিলা এসে সাইদের সাথে কথা বলতে লাগলো,,
.
সাইদঃতা ভাবি তোমাদের শুরু হোয়েছিলো কিভাবে,
নিলাঃধ্যাত লজ্জা করে বলতে,, পরে বলবো।
সাইদঃএত লজ্জা পাও কেনো, আমিইতো, তোমার একমাএ দুষ্ট দেবর,,
নিলাঃওর নাকটা টেনে দিয়ে বললাম,, দুষ্টই তো, দুষ্ট না হলে বড় ভাইয়ের প্রেমের কথা জিগাসা করে,,, তা তোমার গালফ্রেন্ড কয়টা,,
সাইদঃ কপাল জোরা লাগলো নাগো ভাবি, একটাও জুটাতে পারলাম না,
নিলাঃ আচ্ছা আমি রান্ন ঘরে গেলাম
আমার দু্ষ্ট দেবর টাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবো, ,আমি মিরাকে পাঠাচ্ছি বোসে গল্প করো,,
সাইদঃ আচ্ছা,,
.
নিলা রান্না ঘরে চোলে গেলো,,
.
সাইদঃ ভাবি রান্না ঘরে চোলে গেলো তাই আমি উঠে আনিসা কে খুজতে লাগলাম,, মেয়েটা লজ্জায় কোন দিকে চোলে গেলো কে জানে,,
খুজতে খুজতে অবশেষে বারান্দায় পেলাম,
একা দারিয়ে আছে,,
.
ওর পাসে গিয়ে বললাম
একা একা কি করো,,
.
আনিসা হঠাৎ আমার কথা শুনে চমকে উঠলো পাসে ফিরে আমাকে দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে চোলে যেতে লাগলো,,তখনই ওর হাত খফ করে দরে বললাম, এত লজ্জা পেলে চলে,, এখানে আসলাম তোমার সাথে গল্প করবো বলে, আর তুমি চোলে যাচ্ছো,,
আনিসাঃ আমার সাথে কি গল্প করবেন,
সাইদঃঠিক আছে তা হলে মিরার সাথে গিয়ে গল্প করি,,
ওর হাত ছেরে দিয়ে যেই চোলে আসতে যাবো, তখনই আনিসা আমার হাত চেপে দরে বললো,, আমি না বলেছি নাকি,,
সাইদঃতাহলে গল্প করবে,
চলো ওখানে বোসে গল্প করি।
.
সাইদঃআমি আর আনিসা দুটো চেয়ার টেনে বারান্দায় বসলাম।
..
সাইদঃ আচ্ছা তুমি যেনো কিসে পড়ো,
আনিসা ঃবি. বিএ সেকেন্ড ইয়ার,
সাইদঃও,আচ্ছা তুমি মাথা নিচু করে রেখেছো কেনো,, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলো,,
আনিসা আরো লজ্জা পেয়ে বললো, আমি পারবো না,
সাইদঃ আরে তাকাও, কিছু হবে না,,
আনিসা ঃ পারবো না,
সাইদঃআমি ওর হাতটা আলতো করে চেপে দরে বললাম, এবার তাকাও
আনিসা একবার তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেললো,,
আমি হেসে দিলাম,,
সাইদঃআচ্ছা তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই,
আনিসা ঃজি না, নেই, আপনার আছে,,
সাইদঃহ্যা আছেতো একদম পরির মতো,
.
আনিসা আমার কথা সুনে অবাক হোয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,, হাসিমাখা মুখটা মুহুর্তেই অন্ধকারে ছেয়ে গেলো,,
.
এতক্ষন লজ্জায় তাকাতে পারে নি, আর এখন ঠায় চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে,, চোখে বিন্দু বিন্দু পানি জমতে শুরু করেছে,,
.
আনিসা উঠে দারালো,
সাইদঃ কি ব্যাপার কোথায় যাচ্ছো গল্প করবে না,,
আনিসা ঃ আমার কাজ আছে আমি যাচ্ছি,,
আনিসা হয়তো চোখের পানি লুকাতে চোলে যাচ্ছে,,
.
একটা জিনিস বুঝে গেছি, এই মেয়ে আমার মাঝে হাড়িয়ে গেছে,,,
..
নিলা ভাবি রান্না শেষ করে খাওয়ার জন্য ডাক দিলো,,
একা বসলাম খেতে,,
সাইদঃকি ব্যাপার ভাবি, তুমিও বসো,,
নিলাঃনা, তোমার ভাই আসুক ?
সাইদঃ বাব্বা, এত ভালোবাসা,, এত ভালোবাসা কেনো,,
নিলাঃতুমি যখন কাউকে ভালোবাসবে তখন বুঝবে, কেনো এত ভালোবাসা,
আমিঃতোমার কথা অনুযায়ী তো ভালোবেসে দেখতে হয়,,
তখনই আনিসার কথা মনে হলো,
আচ্ছা ভাবি আনিসা কোথায়,,
আনিসাঃ চোলে গেলোতো,
সাইদঃ মিছ মিরা আপনি বসেন না,,
নিলাঃ হ্যা সত্যিইতো, তুই দারিয়ে আছিস কেনো,, তোর সাহায্য করা লাগবে না, তুই সাইদের সাথে বস।,,
সাইদঃ আচ্ছা ভাবি মিছ আনিসা কেনো গেলো,,
নিলাঃ কে যানে ভাই,, কয়েক বার না করে ছি,আমার কোনো কথাই শুনলো না, মন খারাফ করে চোলে গেলো, কি হোয়েছে কে জানে,, মুখটা পুরো অন্ধকার করে ছিল,
সাইদঃ ও!
নিলাঃ আচ্ছা সাইদ তুমি খাও,আমি কল করে দেখি তোমার ভাই এখনো কেনো আসছে না, এই মিরা তুই ওকে একটু বেরে দিস।,,
,,
আমি গাড়িতে উঠেছি তখন নিলা ফোন দিয়েছে,,
আমিঃহ্যা নিলা বলো,
নিলাঃ কোথায় আপনি, আপনার জন্য বসে আছি, তারাতারি আসুন,,
আমিঃএইতো গাড়িতে বসেছি, এখনি চোলে আসবো,
নিলাঃ তারাতারি আসুন,আমি অপেক্ষা করছি,,
.
আসার পথে ওর জন্য কয়টা গোলাপ কিনে নিলাম,
.
কিছুক্ষন পর নিলার বাসায় গিয়ে পৌছালাম,,
নিলা বাসার গেইটে দারিয়ে আছে, অদির আগ্রহ নিয়ে,,
কাছে যেতেই নিলা বললো,, এত ক্ষন লাগে আসতে,,
.
আমি নিলার দিকে গোলাপ গুলো বাড়িয়ে দিলাম,,
নিলা গোলাপ গুলো দেখে খুব খুশি হলো,, আলতো করে আমাকে জড়িয়ে দরে বললো, কোথায় পেলেন এগুলো,,
আমিঃআমার পাগলিটার জন্য এনেছি,,
নিলা, আহ্লাদে শুরে বললো, হোয়েছে, খেতে আসুন,,
আমিঃসাইদ খেয়েছে,
নিলাঃ হ্যা,
ভিতরে গিয়ে দেখি সাইদ মিরার সাথে বসে কথা বলছে,,
.
সাইদ নিলার হাতে ফুল দেখে বললো,
একজন থেকে দেখি একজন কম না, একজন না খেয়ে অপেক্ষা করছে আরেকজন ফুল নিয়ে এসেছে,
ভাবি কে তো পার্মানেন্টলি ভাবি বানিয়ে নিয়ে যেতে হয়,,
আমিঃহোয়েছে আর পাকনামি করতে হবে না, খেয়েছিস,
সাইদঃহ্যা ভাইয়া আমরা খেয়েছি,,
শুধু তোমার পেয়ারি খায়নি,,
,,
খেতে বসলাম,, নিলা আমাকে খাবার বেরে দিতে লাগলো,, তাই ওকে টান দিয়ে পাসে বসিয়ে দিলাম,
নিলাঃ আহা কি করছেন,,
আমিঃকিছুনা, হা করো,,
নিলাঃ না আপনি খান, আপনার খাওয়ার দিষ্টাব হবে,,,
আমিঃ আমার হাতে খাবে বলেতো দারিয়ে আছো,,আমি বুঝি না,,
নিলা খেতে খেতে বললো, কচু বুঝেন
আমিঃও বুঝেছি, আমার হাতে খেতে ভালো লাগে না, তাইতো, আচ্ছা তোমার খাওয়া লাগবে না, আমিই খাচ্ছি,
আমি যেই খাবার আমার মুখে দিতে যাবো, তখনই নিলা আমার ভাত বর্তি হাত টেনে নিয়ে তার মুখে ভরে নিলো,, মুখে ভাত নিয়েই হাতে একটা কামর মেরে দিলো,,
আমি হালকা ব্যাথা পেয়ে ওহ করে উঠলাম,,
আমিঃকি করলে এইটা,?
নিলাঃ এইটা বেশি বুঝার শাস্থি,,,
আমি নিলাকে খাইয়ে দিতে দিতে বললাম, পাগলি একটা ,
নিলা মুখে ভাত নিয়ে বললো, হু আপনার পাগলি,,
.
নিলাকে খাইয়ে দিয়ে সুন্দর করে মুখটা মুছে দিলাম,,
আমিও খেয়ে উঠলাম,,
যাওয়ার সময় হোয়ে গেছে তাই নিলাকে বললাম,,
নিলা আচ্ছা আমরা চলি,,
নিলা ঃআরেকটু থেকে যাননা,,
আমিঃনা গো, আজ যেতে হবে,,
এই সাইদ চল,,
সাইদঃ দারাও ভাইয়া ভাবির সাথে একটু কথা আছে,
ভাবি একটু এদিকে আসো,,
.
নিলাঃকি হোয়েছে আমার ছোট ভাইটার,,
সাইদঃ ভাবি মানে হোয়েছে কি ওই একটু
নিলাঃকি হোয়েছে, নির্ভয়ে বলে ফেলো,,
সাইম ঃনা মানে ভাবি, তোমার বান্ধুবি আনিসার নাম্বার টা যদি দিতে,,
নিলা ঃ কাহীনি কি হ্যা,
সাইদঃ কিছু না,, দেওনা একটু,,
নিলাঃ কিছু চলছে নাকি,,
সাইদ কিছুটা লজ্জিত হোয়ে বললো, ধ্যাত কিযে বলো না তুমি ভাবি,
নিলাঃ তাইতো বলি মেয়েটা কেনো এমন করে চোলে গেলো,,
সাইদ ঃদেওনা একটু,,
নিলাঃ আচ্ছা নেও,018285956……
সাইদঃসুইট ভাবি আমার,,আসি,
নিলাঃদেখো ভাই আমার, আনিসা কিন্তু সেই রাগী,, পড়ে পুরে যেওনা,
.
সাইদ গিয়ে গাড়িতে বসলো,
আমি নিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চোলে আসবো, তখন নিলা পিছন থেকে আমার হাত টেনে দরলো,,
আমিঃ কি হলো,,
নিলাঃ আমার আদরটা,,
আমিঃকাছে আসো,,
নিলা কাছে আসলে, ওর কপালে একটা চুমু দিলাম,
,,
তারপর আমি গাড়ি নিয়ে বাসায় এসে পরলাম।
.
.
সাইদঃ রাতে শুয়ে আছি, তখন আনিসার কথা মনে পরলো,,
তাই আনিসার নাম্বারে ফোন দিলাম,,
.
দুবার রিং হোওার পর রিসিব করলো,
আনিসা ঃহ্যালো,কে বলছেন,
ওর কন্ঠ শুনে বুঝলাম, কুচ গরবর হে,
কান্না করেছে মনে হয় অনেক,,
ভাঙ্গা কন্ঠে আবার বললো, কি হলো কথা বলছেন না কেনো, কে আপনি,,
আমিঃআমি সাইদ,,
আমার নামটা শুনে, আনিসা তেলেবেগুনে জলে উঠলো,,
আনিসা ঃআমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেনো,,
সাইদঃ তো কার কাছে দিবো,,
আনিসা কিছুটা চাপা কান্না করে বললো,কেনো,আপনার পরি আছেনা, তার কাছে ফোন দিবেন,
সাইদঃ সেতো আমাকে ভুল বুঝেছে, শুধুমাএ একটা মিথ্যা কথা বলেছি বলে,,এখন আমাকে বকা দিচ্ছে,,
আনিসাঃ ডং করবেন না আমার সাথে,,
সাইদঃ আচ্ছা, তুমিকি বোকা, কিচ্ছু বোঝ না,,
আনিসা এবার কেদে দিয়ে বললো হ্যা
আমি বোকা হোয়েছে, ফোন রাখেন,,
,টুটটুটটুট….
.
আনিসা কল কেটে দিলো,
.
সাইদঃ যা বাবা, কেটে দিলো,, রেগে আছে খুব,,
ফোনটা পাসে রেখে শুয়ে পরলাম,,
.
কিছু সময় পর ফোনটা আবার বেঝে উঠলো,
হাতে নিয়ে দেখি আনিসা ফোন দিয়েছে,
আনমনে হেসে দিলাম আমি।
….
………চলবে….