আমার পাগলি প্রেমিকা ৮ম পার্ট
…….#জেএইসজনি
.
.
.
.
আনিসা ঃআচ্ছা কোথায় যাবেন,
সাইদঃ চলুন কোনো পার্কে,
আনিসাঃআচ্ছা চলুন,
একটা রিক্সা নিয়ে যেতে লাগলো,
রিক্সায় বসে সাইদ বললো,
সাইদঃ রাতে কি আপনার ঘুম হোয়েছিলো,
আনিসাঃআপনার হোয়েছিলো,
সাইদ ঃআমি আগে পশ্ন করেছি তাই আপনি আগে বলবেন
আনিসাঃ না আপনি,
সাইদঃআচ্ছা বলছি,, রাতে এক ফোটাও ঘুম হয় নি আমার ,, আপনার হোয়েছে,
আনিসা সাইদের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসিদিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো জানিনা,,
.
কিছুক্ষন নিরবতার পর আনিসা বললো, আপনার হাতের কিঅবস্থা দেখি,
সাইদঃ দুর থেকে কি দেখা যায় নাকি, হাত দরে দেখেন,
নিলা আমার কথায় হাতটা দরে দেখতে লাগলো,
আমি আনিসার হাতটা সেই হাত দিয়ে ই আলতো করে চেপে দরলাম।
আনিসা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আবার লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো,, তবে হাত ছারানো কোনো চেষ্টা করলো না,
এবার আমি আনিসার পাচ আঙুল আমার পাচ আঙুলের ভিতর নিয়ে আকরে দরলাম,
এবার আনিসা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,,
রিক্সা চলছে, আর আমরা দুজন দুজনের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি হাসছি,,
আনিসাও আমার হাতটা আলতো করে চেপে দরলো,,অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
এ যেনো এক অন্য রকম অনুভুতিতে সিহরিত হচ্ছি.
.
পার্কের সামনে এসে রিক্সা থামলো,
,,
আনিসা ঃকি ব্যাপার নামবেন না
সাইদঃহ্যা,
আনিসাঃতো হাতটা ছারুন,,
আমি হাতটা ছেরে দিলাম, আনিসা অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,,
.
রিক্সা ভাড়া দিয়ে পার্কের ভিতর ঢুকলাম,,
আমি ঃ কি খাবেন,
আনিসা ঃবাদাম হলে ভালো হয়?
.
আমি কাছ থেকে বাদাম নিলাম,
দুজন একটা ব্যান্চে বসে বাদাম খাচ্ছি,,
কারো মুখেই কোনো কথা নেই, শুধুই নিরবতা,,
আমিঃআচ্ছা আপনি আপনি করে বলতে ভালো লাগছে না, তুমি করে বলি?
আনিসা ঃআপনার ইচ্ছা,,
আমিঃতোমাকেও বলতে হবে,,
আনিসা ঃ আমি বলতে পারবো না,
আমিঃ কেনো,
আনিসিঃ জানি না,,
আমি ঃআচ্ছা চলো, ওই দিকে হাটি,,
,,
আমি আর আনিসা হাটছি,, আনিসা খুব লজ্জা পাচ্ছে আমার সাথে হাটতে,,ওকে দেখেই তা বুঝা যাচ্ছে,
.
আনিসা হঠাৎ বললো, আপনার যে হবু ভাবি আছে যানেন,
আমিঃ বলো কি,, থাকে কোথায়, কি করে?
আনিসাঃ আমি বলতে পারবো না, আপনার ভাইকে জিগাসা করেন?
আমিঃ আজ গিয়েই জিগাসা করবো,
,
আনিসার সাথে আরো কিছুক্ষন ঘুরে চোলে আসলাম।
..
রাতে অফিস থেকে ফিরে, সাইদের সাথে খেতে বসলাম,
আমিঃ তো সাইদ, কি রকম দেখলি আসপাস,,
সাইদঃএক দিনে কি আর সব দেখা যায়,, তবে ভালোই লাগলো,, ঘুরতে,,
আমিঃভালো,,
সাইদঃআচ্ছা ভাইয়া এখানে নাকি আমার হবু ভাবি আছে,,,
,, কথাটা শুনে গলায় ভাত আটকিয়ে গেলো,,
আমিঃতোতোকে কে বললো,,
সাইদঃ আমার কাছে লুকোচুরি করে লাভ নেই,আমি ভাবি কে দেখবো।
আমিঃদেখার কি আছে,,
সাইদঃঅনেক কিছুই আছে,,আমি দেখবো ব্যাস,, তা কালই,
আমিঃআচ্ছা দেখিস,, কাল বিকালে নিয়ে যাবো,, এখন খা,,
..
রাতে নিলার কাছে ফোন দিলাম।
.
নিলাঃকি জনাব এখন মনে পরলো আমার কথা,,
আমিঃ মনে তো পরেই কি করবো,, ডিউটিতে থাকিতো,,
নিলাঃ রাতে খেয়েছেন,,
আমি ঃহ্যা এই মাএ খেলাম,,তুমি খাইছো,,
নিলাঃ না,খাবো,,
আমিঃ আচ্ছা শোনো মা তো আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে দিছে,,
.
আমি এ কথা বলতেই নিলা চুপ করে গেলো,
আমিঃ কি হলো নিলা,,
.
নিলা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদতে কাদতে বললো, আমি জানতাম এরকম কিছু হবে, আপনি শুধু শুধু আমার মন নিয়ে খেলেছেন,,
আমিঃ আরে কি আবল তাবল বকছে, কান্না থামাও, আর আমার পুরো কথা সোনো
নিলাঃ কি শুনবো, কি শুনার আর বাকি রেখেছেন,, আপনি আর কথা বলবেন না আমার সাথে,,
আমি ঃ নিলা, হ্যালো হ্যালো,…. টুট টুট…
নিলা কলটা কেটে দিলো,,
পাগলিটা পুরো কথা না শুনে রেগে গেলো,,
.
পর দিন দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি,তখন নিলার আম্মুর মোবাইল থেকে কল আসলো,,
আমি কল দরে সালাম দিলাম,,
নিলার মাঃ হ্যালো, বাবা জনি, তোমার আর নিলার ভিতর কিছু কি হোয়েছে,,
.
আমিঃ কই নাতো, কেনো,,
নিলার মাঃ কাল রাত থেকে মেয়েটা কিছু খাচ্ছে না,, শুধু কেদেই যাচ্ছে,, জিগাস করছি কিছু বলছেও না,,
আমিঃআসলে হোয়েছে কি আম্মা,,(তার পর রাতে ঘটে যাওয়া সব বললাম)
নিলার মাঃ তোমাদের পাগলামি বুঝিনা বাপু,, তোমার পাগলি কে এসে তুমি থামিয়ে যাও,
আমিঃ আপনি চিন্তা করবেন না, আমি আসছি,,
.
নিজ বাসায় এসে সাইদ কে বললাম,
চল.
সাইদ ঃ কোথায়?
আমিঃতুইনা তোর ভাবি কে দেখবি বোলেছিলি,
সাইদঃহ্যা দেখবো, তুমি না বোলেছিলে বিকালে যাবে,,
আমিঃনা এখন যাবো,
সাইদ ঃআচ্ছা আমি একটু রেডি হোয়ে আসি,
আমি ঃ হোইছে এত সাজতে হবে না,, ওর ছোটবোন নেই,,
সাইদঃ তুমি ও না ভাইয়া,, চলো।
.
আমরা দুই ভাই নিলার বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম,,
.
কিছুক্ষন পর নিলার বাসায় পৌছে গেলাম।
বাসায় ঢুকতেই নিলার মা সামনে পরলো,,
নিলার মাঃ তুমি আসছো বাবা,,
আমিঃ হ্যা, নিলা কোথায়,,
নিলার মাঃতোমার পাগলি রুমে বসে কান্না করছে গিয়ে দেখো,, ( সাইদ কে দেখিয়ে)এইটা কে
আমিঃ আমার ছোট ভাই, সাইদ,
নিলার মা ঃআরে বাবা তুমি দারিয়ে কেনো বসো বসো।
সাইদ নিলার মায়ের সাথে বসে কথা বলতে লাগলো,, আমি নিলার রুমের দিকে আগাতে লাগলাম,,
.
রুমের ভিতর গিয়ে দেখি সত্যিই নিলা কান্না করছে, পাসে মিরা আর আনিসা বসে আছে,,
আমাকে দেখে তারা রুম থেকে বের হোয়ে যেতে যেতে বললো, আপনার মহারানি কে আপনি সামলান, আমরা বাহিরে গেলাম,,
নিলা মাথা উঠিয়ে বললো, আনিসা ওনাকে চোলে যেতে বল,আমার কাউকে দরকার নেই,,
.
আনিসা আর মিরা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হোয়ে গেলো,,
.
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে দেখি, কেদে কেদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে,
আমি নিলার মুখে হাত দিতেই নিলা হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,, যান যান
আমার কাছে আসছেন কেনো,, আপনার মার দেখা মেয়েদের কাছর যান,,
আমি ওর মুখ টা দুহাত দিয়ে দরে বললাম,আরে পাগলি, “মেয়ে দেখেছে বলেকি বিয়ে হোয়ে গেছে নাকি,,
নিলাঃবিয়ে হয়নি হোতে কতক্ষন
আমিঃকি পাগল পাগল কথা বলো যে তুমি,,
আমার ছোট ভাই সাইদ এসেছে তোমাকে দেখতে,,
নিলাঃআমাকে কি দেখবে,, ওনাকে ওনার নতুন ভাবি কে দেখিয়ে আনেন,
,
আমি নিলাকে আলতো করে জড়িয়ে দরে বললাম, কি যে বলো না তুমি,
.
নিলা এবার আমার বুকের ভিতর মুখ ঘুজে দিয়ে জোরে কেদে দিয়ে বললো,,
আপনাকে ছারা আমি থাকতে পারবো না. পারবো না, একদম মরে যাবো।
আমিঃ পাগলি একটা, আমি পারবো, আমিও তো পারবো না তোমায় ছারা থাকতে,,
.
কাল থেকে নাখেয়ে আছো এখন খেয়ে নেও,
মিরা কে বলে ভাত এনে নিলা কে খাইয়ে দিলাম,,,
.
এখন ফ্রেস হোয়ে নেও, তোমার দেবর
তোমার সাথে দেখা করবে,,
নিলা আমার কথায় হেসে দিয়ে ফ্রেস হোতে চোলে গেলো,,
অন্যদিকে নিলার মা নাস্তা রেডি করে মিরাকে বললো, এই নাস্তা গুলো ছেলেটাকে নিয়ে দে,,
আনিসাঃ এই একদম হাত দিবি না এগুলোতে,, আমার কাছে দে আমি নিয়ে যাচ্ছি,,
মিরাঃব্যাপার কি হ্যা, দে আমি নিয়ে যাই,,
আনিসা ঃ কোনো ব্যাপার নেই,, তোর নেওয়ার কোনো দরকার নেই, তুই আন্টির সাথে রান্না ঘরে কাজে সাহায্য কর,,
মিরা ঃআমি তোর সাথে আসি,,
আনিসা ঃ বললাম না আসার দরকার নেই তুই যা,,
.
আনিসা মিরাকে দাক্কা দিয়ে রান্না ঘরে পাঠিয়ে দিলো,
.
এবার আনিসা নিজের চুল গুলো ঠিক ঠাক করে নিজেকে সুন্দর করে ওন্না দিয়ে পেছিয়ে সাইদের সামনে নাস্তা নিয়ে গেলো,,
সাইদ তো অবাক আনিসা কে দেখে,
সাইদ দারিয়ে গিয়ে বললো, তুমি এখানে,
আনিসাঃপরে বলবো আগে নাস্তা করে নিন, নিজ হাতে নাস্তা বানিয়েছি।
সাইদ ঃতুমিও নেও,,
আনিসাঃনা আপনি খান,
সাইদঃআরে নেওতো,,
সাইদ জোর করে আনিসা কে খাইয়ে দিলো,,
তারপর তারা তাদের আলাপচারিতা করতে লাগলো,,
.
অন্যদিকে নিলা ফ্রেস হোয়ে আমার কাছা আসলো,, ওকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছে,
তাই জিগাসা করলাম,,কি ব্যাপার চিন্তিত মনে হচ্ছে তোমাকে,
.
নিলা আমার কাছে এসে আমার শার্টে তার আঙুল দিয়ে মোরাতে মোরাতে বললো, আমার না ভয় করে,
আমিঃকিসের ভয়,,
নিলাঃআপনার ভাই কি বলে না বলে,,
আমিঃ থুর পাগলি,
কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, এবার ভয় কমেছে,
নিলা মাথা নারিয়ে হ্যা বললো,
.
নিলার মাথায় সুন্দর করে ওর্না পেচিয়ে দিয়ে বললাম, “এবার যাও,, আমি মোবাইলে কিছু কথা বলে আসছি,,
নিলা মিরাকে সাথে নিয়ে সাইদের কাছে গেলো,,
সাইদ দুজন দেখে বললো, কোনটা ভাবি,
আনিসাঃ বলুন তো কোনটা আপনার হবু ভাবি,,
সাইদ নিলার কাছে গিয়ে বললো, আমার যদি অনুমান ঠিক হয় তাহলে এই সুইট কিউট মেয়েটা আমার ভাবি,,
নিলা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো,,
.
সাইদঃএত লজ্জা পেলে চলবেনা ভাবি, তোমার এক মাএ দেবর আমি,
.
আমি কথা শেষ করে ওদের কাছে গেলাম,,
আমি ঃকিরে ছটু তোর ভাবিকে দেখেছিস,,
সাইদঃএমন কিউট ভাবি কোথায় পেলে তুমি ভাইয়া,,
.
আমি নিলার পাসে গিয়ে বসতেই নিলা লজ্জায় আমার বুকের ভিতর মুখ লুকালো,,
আমি সাইদ কে বললাম, এভাবে কেউ বলে,,
সাইদ ঃ সত্যি ভাইয়া একেবারে পরির মতো আমার ভাবি টা,, এরকম একটা পরি আমার জন্য এনে দিও,,
.
পাস থেকে মিরা বললো, আমাদের আনিসা কি কমনাকি,, একে চলবে না,,
.
আনিসা লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে উঠে চলে গেলো,,
আমিঃ আচ্ছা নিলা তোমার আম্মুকে ডাক দেও আমরা চোলে যাবো এখন,,
.
নিলা বুকের ভিতর থেকে মাথা বের করে বললো,
কি বলেন এসব, ছোট ভাইয়া আজ প্রথম এসেছে আমাদের বাসায়, না খাইয়ে যেতে দেবো নাকি,,
সাইদঃভাবি ছোট ভাইয়া ডাক এইটা আবার কি, নাম দরে তুমি বলে ডাকবা, না হয় ভাইয়ার মতো ছটু বলে ডাকবা,,
নিলঃ ঠিক আছে আমার ছোট লক্ষি ভাই,, তবে না খেয়ে কিন্তু যেতে পারবে না,,
সাইদঃনা, একদমই না,তোমার হাতে না খেয়ে কি যাবো,,
সাইদ আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ভাইয়া আমি কিন্তু না খেয়ে যাবো না,,
.
আমি আর কি বলবো, থাক তুই তোর ভাবির কাছে,, নিলা আমি গেলাম,, অফিসে কাজ আছে,,
নিলাঃ না আপনি কোথাও যাবেন না, এক সাথে খেয়ে তারপর যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা, পাগলামি করো না, আর্জেন্ট কাজ আছে, যেতে হবে,,
নিলাঃযেতে পারবেন এক শর্ত,এখানে এসে খেতে হবে,,
আমিঃআচ্ছা,
নিলাঃ আমি কিন্তু না খেয়ে আপনার জন্য বসে থাকবো,,
আমিঃ আচ্ছা মহারানি যাই এখন,,
.
নিলা আমার সাথে সাথে বাহির পর্যন্ত আসলো,,
আমি বিদায় জানিয়ে চোলে আসলাম অফিসের কাজে,…..
.
…….চলবে…….
.
.
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।