আমার পাগলি প্রেমিকা ১০ম পার্ট
……#জেএইসজনি..
.
.
.
সাইদঃ রাতে শুয়ে আছি, তখন আনিসার কথা মনে পরলো,,
তাই আনিসার নাম্বারে ফোন দিলাম,,
.
দুবার রিং হোওার পর রিসিব করলো,
আনিসা ঃহ্যালো,কে বলছেন,
ওর কন্ঠ শুনে বুঝলাম, কুচ গরবর হে,
কান্না করেছে মনে হয় অনেক,,
ভাঙ্গা কন্ঠে আবার বললো, কি হলো কথা বলছেন না কেনো, কে আপনি,,
আমিঃআমি সাইদ,,
আমার নামটা শুনে, আনিসা তেলেবেগুনে জলে উঠলো,,
আনিসা ঃআমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেনো,,
সাইদঃ তো কার কাছে দিবো,,
আনিসা কিছুটা চাপা কান্না করে বললো,কেনো,আপনার পরি আছেনা, তার কাছে ফোন দিবেন,
সাইদঃ সেতো আমাকে ভুল বুঝেছে, শুধুমাএ একটা মিথ্যা কথা বলেছি বলে,,এখন আমাকে বকা দিচ্ছে,,
আনিসাঃ ডং করবেন না আমার সাথে,,
সাইদঃ আচ্ছা, তুমিকি বোকা, কিচ্ছু বোঝ না,,
আনিসা এবার কেদে দিয়ে বললো হ্যা
আমি বোকা হোয়েছে, ফোন রাখেন,,
,টুটটুটটুট….
.
আনিসা কল কেটে দিলো,
.
সাইদঃ যা বাবা, কেটে দিলো,, রেগে আছে খুব,,
ফোনটা পাসে রেখে শুয়ে পরলাম,,
.
কিছু সময় পর ফোনটা আবার বেঝে উঠলো,
হাতে নিয়ে দেখি আনিসা ফোন দিয়েছে,
আনমনে হেসে দিলাম আমি
রিসিব করে চুপ করে থাকলাম,,
.
আনিসাঃ কি হলো, কথা বলেন না কেনো,,
সাইদঃ কি বলবো, তুমি তো আর কথা বলবে না,
আনিসাঃবললাম না, বেশি ঢং করে কথা বলবেন না,,
সাইদঃও,আমি ঢং করে কথা বলি, ঠিক আছে, আমি তো ঢং করে কথা বলি, আমার সাথে কথা বলা লাগবে না,,
এই বলে,কলটা কেটে ফোন বন্ধ করে সুয়ে পরলাম,, দেখি ও কি করে,,,
,,,
সাকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম,,
আসলে রাতে ঠিক মতো ঘুম হয়নি তো তাই,,
.
আড়মোরা দিয়ে হালকা চোখ মেলে জাপসা জাপসা দেখতে লাগলাম,
কেউ আমার পায়ের কাছে বোসে আছে,,, ভাবলাম ভাইয়া হবে হয়তো,
তাই চোখটা আবার একটু বন্ধ করলাম,,
তখনই কে জেনো পায়ে জোরে একটা চিমটি কাটলো,,
উ করে চিৎকার করে উঠে বসলাম,,
.
পায়ের কাছে লোকটাকে দেখেতো আমি ভিষম খেলাম,,
পায়ের কাছে আর কেউ নয়, আমার ঘুম কেরে নেওয়া পরি আনিসা,,
.
আনিসা আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,,
চোখটাও ফুলা,,,
.
সাইদঃ তু তুতি এখানে,,
আনিসা ঃ তো,
সাইদঃ ভাইয়া কোথায়,
আনিসা ঃওনাকে অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি,
আমিঃও,
আনিসাঃও কি হুম, ও কি,,রাতে ফোন কাটলেন কেনো,,
সাইদঃ ভাবলাম তুমি বিরক্ত হও বুঝি, তাই কেটে দিলাম,,
আনিসা কিছুটা কান্না কান্না ভাব করে বললো,হ্যা এখন কত কিছু ভাববেন,, থাকেন আপনি, আমি যাই,,
সাইদঃ ও উঠে যেতে চাইলে আমি ওর হাত দরে টান দিয়ে আমার উপর এনে ফেললাম,,
ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমি বললাম, এত জিদ কেনো তোমার,,
আনিসা কিছুটা রেগে বললো, ছারেন আমাকে, আপনি আপনার পরিকে কে গিয়ে দরেন, ছেরে দেন আমাকে,
সাইদঃআমিতো আমার পরিকে দরেছি,,
আনিসাঃ কে আপনার পরি, আমি কারো পরিনা,,
সাইদঃআনিসাকে একটু চেপে দরে বললাম, হাহাহা পাগলি একটা,তুমি বোঝনা,
আচ্ছা একটা কথা বলোতো, তুমি কি আমাকে ভালোবাসো, ?
.
আনিসা ঃকিছুটা অভিমান করে বললো,….না,
সাইদঃ আমি কিছুটা আহত ভঙ্গিতে বললাম, ও আমি তো ভাবলাম তুমি হয়তো আমাকে ভালোবাসো,,
এই বলে আনিসাকে যেই বুক থেকে উঠাতে যাবো, তখনই আনিসা বুকে একটা জোরে চিমটি কাটলো,,
সাইদঃআউ, কি করলে এটা, ব্যাথা পেয়েছিতো,
আচ্ছা এবার উঠো,,
আনিসাঃআবার একটা দিবো কিন্তু,,
.
কিছুখন পর,,
আনিসাঃনাস্তা করছেন,,
আমি ঃনা,,
আনিসা উঠে যেতে চাইলে আমি বললাম, থাকো না এইভাবে জড়িয়ে আর একটু, ভালো লাগছে তো,
.
আনিসা আর কিছুক্ষণ থেকে উঠতে উঠতে বললো, হইছে এবার উঠে ফ্রেস হোন আমি নাম্তা রেডি করছি,, নাস্তা খেয়ে আপনাকে নিয়ে আমদের কলেজে যাবো,,
.
আমি উঠে ফ্রেস হোতে চোলে গেলাম,,
ফ্রেস হোয়ে এসে দেখি নিলা নাস্তা রেডি করেছে,, তাই খেতে বসলাম,,
.
আনিসা কিছুটা অভিমানের সুরে বললো, একা একাই খান, আমি যে কাল হোতে না খেয়ে আছি তার কোনো খোজ নেই,
,
সাইদঃএদিকে আসো,
আনিসাঃ না লাগবেনা, আপনি একাই খান,,
সাইদঃ আমি ওকে টেনে পাসে বসালাম ,এবার হা করো,,,
আনিসাকে, খাইয়ে দিলাম,,
,,
চলো এবার তোমার কলেজে,,
.
রিক্সা নিয়ে আমি আর আনিসা ওর কলেজে চোলে গেলাম,,,
,,.
কলেজে গিয়ে দেখি,, ভাবি আর মিরা বোসে আছে মাঠে,,,
আমাদের এক সাথে দেখে, ভাবি অবাক না হলেও মিরা কিছুটা অবাক হোয়েছে,,
আনিসা আমার হাত দরে কলেজে ভিতর আসলো,,
.
নিলাঃ কি রাগ তাহলে কমেছে,,
সাইদ ঃ না কমে যাবে কোথায়,,
নিলাঃ কিরে আনিসা, শেষ পর্যন্ত আমার দেবর কে বেছে নিলি,,
.
আনিসা বেস লজ্জা পেয়ে গেলো,,
মিরাঃ কিরে আনিসা, তুই আমাকে না বলে এটা করতে পারলি,,
.
আনিসাঃতুই করিস নি মুটি, তুইতো তো আমাকে না বলে রা….
মিরাঃ হইছে থাম থাম,
.
নিলাঃ তা আমার ভাইটা কি খাবে,,
সাইদ ঃআবাদতো কিছুই খাবো না,, ওকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি,,
..
নিলাঃ আচ্ছা যাও,,
,,
আমি আর আনিসা একসাথে ঘুরতে বের হলাম,,
সারাদিন ঘুরলাম,, তারপর বাসায় চোলে আসলাম,,
.
দেখতে দেখতে সাইদের যাওয়ার সময় হোয়ে গেলো,
.
রাতে আমি আর সাইদ খেতে বসেছি, তখন সাইদ বললো,,
সাইদঃ ভাইয়া কাল আমি চোলে যাবো,,
আমিঃসে কি,, আর কিছুদিন পরে যা, ,
সাইদ ঃ না ভাইয়া, তুমি তো যানোই বাসায় ছেলে বলতে আমি একজনই, তুমি তো থাকো এখানে,
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,.
খাবার খেয়ে সাইদ ঘুমাতে গেলো,,.
.
সাইদঃকাল চোলে যাবো, আনিসাকে যানানো দরকার,,, তাই আনিসার মোবাইলে কল দিলাম,,
.
আনিসা ঃএত ক্ষনে মনে পড়লো আমার কথা,,
সাইদঃ শোনো কাল আমি চোলে যাবো,
আনিসা চুপ হোয়ে আছে,,
সাইদঃ কি হলো কথা বলছো না কেনো,,
আনিসা কান্না চাপিয়ে রেখে বললো,, ইচ্ছা হয়েছে এসেছেন ইচ্ছা হোয়েছে চোলে যাবেন,, আমাকে বলার কি আছে,,
সাইদঃ বুঝলাম ও খুব অভিমান করেছে,,
আচ্ছা রাগ করো না,আবার আসবো তো,,কি হলো কথা বলছোনা কেনো,,
.
আনিসা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্ন করছে
সাইদঃকান্না করছো কেনো,,
আবার আসবো তো, আচ্ছা কাল পার্কে দেখা করো সকালে,,
আনিসা কিছুই বললো না, ফোনটা কেটে দিলো,, হয়তো কান্না করবে,,
.
পরদিন সকালে দুজন পার্কে বসে আছি,,
আনিসা কিছুই বলছে না, চুপ করে আছে,,
সাইদঃ আমি আনিসাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে বসে আছি,,
সাইদঃ কি হোয়েছে মন খারাফ, আরে আমিতো আবার আসবো, তাছারা মোবাইলেতো কথা হবেই,,এবার একটু হাসো,,
.
আনিসাঃতাহলে আমাকে কথা দিতে হবে খুব তারাতারি আসবেন,,
সাইদঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,
.
বিকালে সাইদ কে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আমি নিলা আর আনিসা গেলাম বাস স্ট্যান্ডে,,
.
সাইদঃ আচ্ছা ভাইয়া আমি গেলাম, ভালো থেকো,
ভাবি তুমিও ভালো থেকো,,
আমিঃসাবধানে যাস , আর মা-বাবাকে আমার সালাম যানাস,
,,
সাইদঃ ভাইয়ার সামনে আনিসার সাথে কথা বলতে পারছি না, সেটা ভাবি বুঝতে পারলো,, তাই ভাইয়াকে নিয়ে অন্যপাশে চোলে গেলো,
আমি আনিসার কাছে গেলাম ,,
মেয়েটা কেদে দিবে এখনই মনে হয়,,
কাছে যেতেই সত্যিই জড়িয়ে দরে কেদে দিলো,,
সাইদঃ আরে পাগলি কাদছো কেনো, খুব তারাতারি চোলে আসবো তোমাকে দেখতে,,
আনিসার মুখটা উচু করে কপালে একটা চুমু দিলাম,,
এবার আসি, ভালো থেকো,,
আনিসাঃ সাবধানে যাবেন,, গিয়ে আমাকে কল দিবেন,,
সাইদঃ আচ্ছা যাই,খোদা হাফেজ,,
.
সাইদ চোলে গেলো, আর আমরা আমাদের মতো চোলে আসলাম,,
.
এভাবেই দিন গুলো চলতে লাগলো,
,
দু দিন পর নিলার কলেজে চোলে গেলাম,,
নিলা আমাকে দেখে বললো, কি ব্যাপার আপনি হঠাৎ ,,,
আমিঃক্যানো খারাফ লাগছে,
নিলাঃ ধ্যাত, সবসময় উল্টা বোঝে, আপনি আসবেন আমাকে বলেন নি সেইটা বলছি,,
আমিঃ তোমাকে দেখতে মন চাইলো তাই চোলে এসেছি,,চলো,,?
নিলাঃ কোথায়?
আমিঃ ঘুরবো,
.
নিলা আর কিছু না বলে আমার সাথে গাড়িতে গিয়ে বসলো,,
ওকে নিয়ে বড় একটা শফিংমলে ডুকলাম,,
নিলাঃএখানে আসলেন কেনো,
আমিঃ কেনাকাটা করবো,,
নিলাঃও,,
.
ওকে নিয়ে একটা শাড়ির দোকানে গেলাম,,
নিলাঃএখানে আসলেন কেনো, এটা তো মেয়েদের,,
আমি ঃ আমি আমার জানটার জন্য কেনাকাটা করতে আসছি,,
.
এই শাড়ি দেখান তো,
আচ্ছা নিলা তোমার কেমন শাড়ি পছন্দ, এখান থেকে পছন্দ করো,,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
আমার কিছু লাগবেনা,, কিছুই চাওয়ার নেই, শুধু একটা জিনিস চাই সেটা হলো আপানাকে,,
আমিঃ হইছে এত ভালোবাসা দেখাতে হবে না, এখন পছন্দ করো,,
নিলাঃ আপনার পছন্দই আমার পছন্দ,,,
আমিঃ আচ্ছা, তাহলে এই কালো শাড়িটা দেখো,, খুব মানাবে তোমায়,,
নিলাঃহ্যা খুব ভালো,,
এইটা প্যাক করে দেন,,
,,
ওখান থেকে সোজা একটা রেস্টুরেন্টে চোলে গেলাম, নিলার পছন্দ মতো খাবার ওয়াডার দিলাম,,
দিনটা ওকে নিয়ে গুরেফিরে কাটিয়ে দিলাম,,
,,,
কিছুদিন পর,,
আমি অফিসে বসে কাজ করছি,,
বিকাল হবে,মনে হয়,,
তখন নিলা কল দিলো,,
.
আমিঃ হ্যা নিলা বলো,,
.
নিলা তরিগরি করে বললো আব্বা আম্মা আসছে,,
,,
নিলার কথা শুনে ঘাবরে গেলাম, ওর কথায় কিছুটা খুশি আর ভয় শুনতে পেলাম,,
আমিঃ কি বলো এসব, তোমার বাবা কবর থেকে উঠলো কিভাবে,,
নিলাঃ আরে গাদা আপনার বাবা মা মানে আমাদের বাবা মা,,,
.
এবার আমি ভয় পেয়ে গেলাম,,
আমিঃ বলোকি বাবা মা ওখানে গেলো কি করে,, আর আসলে তো আমাকে জানাতো,,দেখো এরা অন্য কোনো লোক,,
নিলাঃ আরে না, ওরা আমাদের বাবা মা ই,,সাথে সাইদ ও আছে,,
.
এবার তো পুরো গেছি,, আল্লা গেছি,
নিলাঃ কি হলো চুপ করে আছেন ক্যানো,,আপনি তারাতারি আসেন, আমার খুব ভয় করছে,,
নিলাঃ আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না আমি আসছি,,
.
আমি তরিগরি করে নিলাদের বাসায় চোলে গেলাম,,
ভিতরে গিয়ে দেখি বাবা মা তাদের মাঝে নিলাকে নিয়ে বোসে আছে,,
নিলাকে মা এক হাত দিয়ে বুকে মাজে দরে রেখেছে,,সামনে নিলার মার সাথে কি যেনো কথা বলছে আর হাসছে,
.
আমি কাছে যেতেই, মা উঠে এসে আমার কান দরলো,
আমিঃ আহ মা লাগছে তো,
মাঃলাগুক,তুই এখানে এসে মেয়ে পছন্দ করেছিস, অথচ আমাদেরর বলিস নি,,সাইদ যদি না বলতো তাও তো জান্তাম না,,
.
নিলা সহ সবাই আমাদের মা ছেলের কান্ড দেখে হাসছে,,
.
আমিঃ সরি মাই ডিয়ার মাদার,,
মাঃ হোয়েছে আর ডং করত হবে না,, তবে মেয়েটাকে কিন্তু আমার খুব পছন্দ হোয়েছে,,
নিলার মার দিকে তাকিয়ে বললো,,
“বেয়াইন সাহেবা,আজ থেকে নিলা কিন্তু আমার ও মেয়ে,, কিরে হবি না আমার মেয়ে,,
..
নিলা নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা নারিয়ে হ্যা বললো,
মাঃ পাগলি মেয়ে আমার,, মার কাছে এত লজ্জা পেতে হয়,,
.
মা তার হাত থেকে একটা আংটি খুলে নিলার হাতে পরিয়ে দিলো,,
মানে আংটি বদলের কাজ টা সেরে ফেললো,,তারপর হাত থেকে মা তার নিজের হাতের বালা দুটো খুলে বললো,, দেখি মা তোর হাতটা,, সুন্দর করে নিলার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো, এই বালা জোরা আমাদের বংশের গৌরব, ,আমার শাশড়ি আমাকে দিয়েছিলো,, আজ আমি তোকে দিলাম,, এর মান রাখবি কিন্তু,
.
নিলা খুশিতে মাকে জড়িয়ে দরে কেদে দিলো, এত সহজে মেনে নিবে তা কখনো ভাবে নি,,
মা নিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, ছি এই খুশির দিনে কেউ কাদে, পাগলি একটা,
.
নাহ সাইদ কে তো একটা থ্যাংকস দেওয়া দরকার, ও আমার অনেক বড় উপকার করলো,,
.
আমি সেখান থেকে উঠে বাসার ভিতরে সাইদকে খুজতে লাগলাম,,
কোথায়ও খুজে না পেয়ে অবশেষে বারান্দায় গেলাম,,
.
সেখানে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখেতো আমি অবাক……..
…
…….চলবে….