মাস্টারমশাই পর্ব-০২

0
2

#মাস্টারমশাই (২)
#নুসরাত_জাহান_মিষ্টি

“ডুইবা ম র।”
দাদীর কথাটি শিউলির কানে বেশ গভীরভাবে বেঁধে গেল। যদিও এমন কথা সে আগেও শুনেছে। তবে এবার একটু বেশি খারাপ লাগলো। কারণ এর আগে দাদীর কটুক্তির প্রতিবাদ করতো শিউলির বাবা। প্রানপ্রিয় স্ত্রীর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি মেয়েকে বড্ড বেশি ভালোবাসতে শিউলির বাবা। কিন্তু এবার বাবাও বোধহয় ভেঙে পড়লেন। তার রূপহীন মেয়ে জন্য সুপাত্র যে খুঁজে পাবেন না সেটা বুঝেই বোধহয় ভেঙে পড়লেন। সারাজীবন মেয়েকে ঘাড়ে বোঝারূপে বহন করার যন্ত্রণা বাবার চোখে স্পষ্ট দেখলো শিউলি। এটা তার সহ্য হলো না। একদম সহ্য হলো না।

তাই তো দাদীর কথাটি মস্তিষ্ক নিয়ে বের হয়। গ্রামের স্কুলটার পাশে বিশাল এক পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের গভীরতা খুব। শিউলি সাতার জানে না। এই পুকুরে ডুব দিলে হয়তো তার বাবা এবং দাদীর সকল দুঃখ মুছে যাবে। এটা ভেবে শিউলি সেই পুকুর পাড়ে এসে দাঁড়ায়। জীবনের সব চাওয়া পাওয়ার হিসাব শেষবারের মতো কষে নিয়ে সেখানে ডুব দিতে নেয়। সেই মূহুর্তে এসে কেউ তার হাত ধরে। শিউলি কেঁপে উঠে। সে চমকে পিছনে ঘুরে তাকায়।লোকটিকে দেখে আনমনে বলে উঠে,“মাস্টারমশাই?”

“তুমি শিউলি ফুল না?
হাশেম চাচার মেয়ে? আমার স্কুলের সবচেয়ে ফাঁকিবাজ মেয়েটা?”
মাস্টারমশাই শেষ কথাটি মজারস্বরে বলে। শিউলি তার কথার জবাব না দিয়ে কেঁদে দেয়। মাস্টারমশাই অবাক হয়ে যায়। সে এই গ্রামে এসেছে দু’মাশ হলো। স্কুলের মধ্যেই একটি ঘরে সে থাকে। সুদর্শন পুরুষ, সেই সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার মাস্টারমশাইকে সবার চোখে খুবই চমৎকার মানুষ হিসাবে পরিচয় করিয়েছে। এই গ্রামের প্রায় মানুষই তাকে পছন্দ করে। তাদের ছেলে, মেয়েদের ভালো শিক্ষার জন্য আলাদা করে প্রাইভেট পড়াতেও দিচ্ছে তার কাছে। এই দু’মাসে শিউলিকে স্কুলে খুব কম দেখলেও মাস্টারমশাই তার সম্পর্কে বেশ ভালোই জানে। লোকমুখে অনেক কথাই কানে এসেছে। তাই তার বুঝতে অসুবিধা হয় না শিউলি কেন এই কাজ করতে যাচ্ছিলো? তাই খুবই ঠান্ডা শীতল গলায় বলে,“তুমি খুব সুন্দর শিউলি ফুল।
লোকের কথায় নিজের মূল্যবান জীবনটাকে ঠকিও না। সবার চোখ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না। বুঝলে শিউলি ফুল?”

শিউলি হতবাক হয়ে যায়। সে পুকুর পাড়েই বসে পড়ে। মাস্টারমশাইয়ের বলা কথাটি খুবই সামান্য ছিলো। এই বাক্যে প্রেমে পড়ার মতো কিছুই ছিলো না। তবুও শিউলি তার প্রেমে পড়ে গেল। সে মুগ্ধতার দৃষ্টিতে মাস্টারমশাইয়ের দিকে তাকায়। যদিও এখানে মুগ্ধ হওয়ার কিছু নেই। তবে শিউলির মুগ্ধ এবং প্রেমে পড়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তার এত বছরের জীবনে প্রথমবার কেউ একজন বললো,“তুমি খুব সুন্দর শিউলি ফুল।”

‘শিউলি ফুল।’ কত সুন্দর ডাক! কত চমৎকার কন্ঠ! অবহেলিত শিউলির জন্য এই কন্ঠ, এই ডাক সবটা কিশোরী হৃদয়ে প্রেম জাগিয়ে তোলার মতো। তাই তো এক মূহুর্তে সে তার মন মাস্টারমশাইকে দিয়ে দিলো। সে অনেকটা আবেগ নিয়ে বলে,“প্রথমবার আমাকে কেউ সুন্দর বললো মাস্টারমশাই। আমি সত্যি সুন্দর?”

শিউলির প্রশ্ন শুনে মাস্টারমশাই অবাক হয় না। সে শিউলির পাশে বসে। খুবই কোমল গলায় বলে,“সৃষ্টির সবই সুন্দর। পার্থক্য এটাই আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সব সৌন্দর্য দেখতে পাই না।”

“আমি সত্যি সুন্দর?”
শিউলি মাস্টারমশাইয়ের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে আবার প্রশ্ন করে। মাস্টারমশাই মুচকি হেসে বলে,“হ্যাঁ। খুব সুন্দর।”

“তবে দাদী যে বলে মুখপুরী, কালী? পাশের বাড়ির ময়নার মা যে বলে, তুই কয়লার মতো? কয়লার জায়গা যেমন আবর্জনায় তেমন তোরও।”
একটু থেমে শিউলি আবার বলে,“স্কুলে আমার কোন বন্ধু নেই। যারা আছে সবাই আমাকে কালী, পেত্নী, কয়লা, নোংরা বলে ডাকে। সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। আমি ভীষণ কুৎসিত। সবার চোখে আমি এত কুৎসিত হলে আপনার চোখে সুন্দর কেন হলাম মাস্টারমশাই?”

“তুমি আসলেই সুন্দর শিউলি ফুল। তোমার কথাবার্তা তোমার নিষ্পাপ হৃদয় ফুটে উঠেছে। তোমার মতো নিষ্পাপ মানুষেরাই তো প্রকৃত সুন্দর।”
একটু থেমে মাস্টারমশাই আবার বলে,“জগতটা বড় নোংরায় ভরা শিউলি ফুল। তাই এই জগতে অন্যের চোখে নয় বরং নিজের চোখে নিজেকে সুন্দর হতে হয়। তুমি যদি নিজে নিজেকে ভালোবাসো তবে সবাই তোমায় ভালোবাসবে। তাই কারো জন্য নিজের জীবনটাকে এতটা ঘৃণা করো না যে তাকে শেষ করে দেওয়ার মতো ভুল করবে।”

মাস্টারমশাইয়ের সব কথায় মুগ্ধতা ছড়ায়। শিউলির কিশোরী হৃদয় তার কথার মায়ায় পড়ে যায়। পড়বে না কেন? এভাবে কেউ তো তার সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলে না। কখনো বলেনি। বাবা তাকে ভালোবাসলেও সেই ভালোবাসা সেভাবে কখনো প্রকাশ করেনি। হ্যাঁ কখনো তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি, কেউ করলে প্রতিবাদ করেছে। তবে তার সঙ্গে বসে যে দু’টো মনের কথা বলবে সেটাও বলেনি। তাই শিউলির মায়া পড়ারই কথা। মাস্টারমশাই শিউলির উদ্দেশ্য বলে,“স্কুলের বন্ধুরা হাসাহাসি করে বলে ঠিকমতো আসো না? আসলেও সবার শেষে গিয়ে বসো?”

শিউলি মাথা নাড়ায়। তার ভীষণ লজ্জা হয়। সবাই যখন তাকে কটু কথা বলে তখন তার খুব খারাপ লাগে। তার কাছে সব আছে। সবার মতো হাত, পা, মাথা। শুধু যেটা নেই সেটা সাদা গায়ের গড়ন। তাই বলে তাকে সবাই অবহেলা করবে। এই অবহেলা মেনে নিতে পারে না শিউলি। তার খুব কষ্ট হয়। মাস্টারমশাই বুঝতে পেরে বলে,“আজ ম রতে যাচ্ছিলে কেন?”

“আবার পাত্রপক্ষ আমাকে অপছন্দ করেছে। তাই দাদী খুব বাজে কথা বলেছে। সে ম রতে বললো। তাই মনে হলো ম রে যাই। তাহলে তো কেউ কথা শোনাবে না।”
এটা শুনে মাস্টারমশাই খুব ঠান্ডা মাথায় শিউলিকে বোঝায়। সে যা করছে ভুল করছে। খুব ভুল। শিউলি খুব মনোযোগ দিয়ে মাস্টারমশাইয়ের কথা শোনে। মাস্টারমশাই তাকে এরপর থেকে নিয়মিত স্কুলে আসতে বলে৷ তাকে তার ভালো লাগা অনুযায়ী কাজ করতে বলে। তার কাছে পড়ার কথাও বলে। তার কথা,“তুমি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হলে দেখবে আজ যারা তোমায় কথা শুনতে ছাড়ছে না। তারাই তোমার গুনগান করবে।”

শিউলির মাস্টারমশাইয়ের কথা খুব ভালো লাগে। চমৎকার মানুষ। চমৎকার বাচনভঙ্গি। সব কিছুতে শিউলি মুগ্ধতা খুঁজে পায়। অতঃপর তার জীবনে পরিবর্তন আসে। মাস্টারমশাইয়ের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে শিউলি পরবর্তী দিন থেকে স্কুলে নিয়মিত আসা শুরু করে। সে এসে শেষে না বসে প্রথমে বসে। এতে অবশ্য সবাই তাকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছিলো, কথা শোনাচ্ছিলো। তবে সেই সময়ে মাস্টারমশাই তার পাশে দাঁড়ায়। যে প্রথমে আসবে সে সামনে বসবে, এটাই নিয়ম। মাস্টারমশাইয়ের জন্য সবাইকে থেমে যেতে হয়। সেদিন রাতে শিউলি বাবার কাছে গিয়ে মাস্টারমশাইয়ের কাছে প্রাইভেট পড়ার কথা জানায়। তার বাবা রাজি হয়। যদিও দাদী এটা নিয়েও ভীষণ কথা শোনায়। তবে শিউলি সেসবে গুরুত্ব দেয় না।

অতঃপর শিউলির নতুন এক জীবন শুরু হয়। সে নিয়মিত স্কুলে যায়, ব্যাচে মাস্টারমশাইয়ের কাছে পড়তে যায়। তবে সেখানে কিছুটা ঝামেলা হয়। কেউ তার সঙ্গে পড়তে চাচ্ছিলো না। স্কুলের বিষয়টা মেনে নিলেও প্রাইভেটে মানতে চাচ্ছিলো না। এসবে শিউলিও মনে কষ্ট পায়। তার কষ্ট হচ্ছে দেখে মাস্টারমশাই তাকে আলাদা পড়ানোর কথা জানায়। যদিও সে চাইলেই সবাইকে চুপ করিয়ে দিতে পারতো। তবে তার মনে হয় সবার সঙ্গে রোজ পড়লে শিউলিকে কিছু না কিছু কটু কথা শুনতে হবে। তাই আলাদা পড়াই ভালো। এটাও ভীষণ ভালো লাগে শিউলির। ধীরে ধীরে সে লোকের কথায় গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কারণ তাকে সামলানোর জন্য মাস্টারমশাই ছিলো। যে তাকে বুঝিয়েছে, পৃথিবীর সব মানুষ সুন্দর। মাস্টারমশাই তো বলেন,“আমার এত স্টুডেন্টের মাঝে তুমি সেরা শিউলি ফুল। তুমি সবার চেয়ে ভালো।”

এই ছোট ছোট কথায় শিউলি বেশ খুশি হয়। সে ধীরে ধীরে মাস্টারমশাইয়ের প্রেমের গভীরে হারিয়ে যেতে থাকে। যদিও তার মনে ভয়ও জন্মায়। মুখে মাস্টারমশাই যতই বলুক সে সুন্দর, মন থেকে মানে তো? তাকে মাস্টারমশাই পছন্দ করবে। এসব ভেবে ভয় হতো শিউলির। মাস্টারমশাই অবশ্য তার চেয়ে অর্ধেকের কম বয়স হওয়া কিশোরীর হৃদয়ের কথা বুঝতে পারে। তবে তার ডাকে সাড়া দিতে চায় না। তার মনে হয় শিউলি অবুঝ। কারো থেকে ভালো ব্যবহার না পাওয়ায় সে মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এটা আবেগ। শুধুমাত্র তার হৃদয়ের আবেগ। তাই আকারে ইঙ্গিতে এসব থেকে দূরে থাকতে বলে মাস্টারমশাই। বোকা শিউলি সেটা বুঝতে পারে না। যার জন্য নানা অবুঝপনা করে। তার বাচ্চামোগুলো কোথাও গিয়ে মাস্টারমশাইয়ের হয়তো ভালো লাগে। তাই তো সেও জড়িয়ে যায়। তবে তার মনে হয় এটা ভুল। তাই তো একদিন শিউলিকে ডেকে বলে,“তোমার আর পড়তে আসতে হবে না শিউলি ফুল।”

“কেন?”
শিউলি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে। মাস্টারমশাই শান্ত গলায় বলে,“তোমাকে আমি আলাদা পড়াই। যখন পড়াই তখন তুমি আর আমি ছাড়া এখানে কেউ থাকে না। তবে অদৃশ্য ভাবে একজন এখানে থাকে। যে আমাদের ভুল পথে পা বাড়াতে সাহায্য করে। তুমি এখন খুব ছোট শিউলি। তুমি এসব বুঝবে না। তবে আমাদের মনে হয় এখন এভাবে পড়ানো উচিত নয়। তোমার যদি একান্তই পড়ার ইচ্ছা হয় তবে ব্যাচে এসো।”

এতক্ষণে শিউলি এই কথা শুনে কান্না করে দেয়। সে বুঝতে পারে মাস্টারমশাই তার অনুভূতিকে প্রত্যাখান করছে। মাস্টারমশাই শিউলির কান্না দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। সে তাকে সামলানোর চেষ্টা করে। বোঝানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু শিউলি বুঝে না। সে না পেরে বলে,“আমি আপনাকে ভালোবাসি মাস্টারমশাই। আপনি আমার জীবনে আসার পর থেকে যত পাত্র আমাকে দেখতে এসেছে তাদের আমারই পছন্দ হয়নি। আমি নিজে অনিচ্ছা নিয়ে তাদের কাছে গিয়েছি। এর আগে অবশ্য এমন হয়নি। আগে আমারও ইচ্ছা করতো কোন এক পাত্র আমাকে পছন্দ করুক। কিন্তু এখন আর চাই না। শুধুমাত্র আপনার জন্য মাস্টারমশাই।”

“এটা হয় না শিউলি ফুল।”

“কেন? আমি অসুন্দর বলে? আপনার মতো সুদর্শন পুরুষের সঙ্গে আমাকে মানায় না বলে?”
শিউলির কথা শুনে মাস্টারমশাই চমকে যায়। সে না বলে উঠে। তার চোখে কখনো শিউলিকে বাজে লাগেনি। কারণ সে বাহ্যিক রূপ দিয়ে কাউকে বিচারই করে না। এখানে শিউলি পাগলামি করে৷ সে মাস্টারমশাইয়ের প্রত্যখান মেনে নিতে পারছে না। মাস্টারমশাই তাকে বোঝায়, তাদের বয়সের ব্যবধান খুব। সেই সঙ্গে সে তার শিক্ষক। এসব হয় না। শিউলি এসব কিছুই বুঝতে চায় না। সে বড্ড অবুঝ হয়ে উঠে। অতঃপর মাস্টারমশাইকেও হার মানতে হয়। কিশোরী শিউলির কাছে হার স্বীকার করতে হয় মাস্টারমশাইকে। শিউলির সঙ্গে এতটা সময় কাটানোর পর তার প্রতি সেও দূর্বল হয়ে পড়েছে। ভীষণ দূর্বল। তাই সে না পেরে দূর্বলতা প্রকাশ করে ফেলে। অতঃপর শুরু হয় শিউলি এবং মাস্টারমশাইয়ের সুন্দর এক প্রণয়ের। যেখানে রূপ, গুন, বয়স কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এটাই তো সত্যিকারের ভালোবাসা।

____
একদিন রাতে শিউলি মাস্টারমশাইয়ের দেওয়া এক মুঠো চুড়ি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সেই রাতটা তার কাছে বড্ড আবেগের ছিলো। মাস্টারমশাইয়ের দেওয়া প্রথম উপহার বলে। সে মাস্টারমশাইয়ের ভালোবাসায় পুরোপুরি ডুবে গেছে৷ যাবে না কেন? তার মতো একজনকে কেউ এত গভীর ভালোবাসা দিচ্ছে। ভালোবেসে কাছে টানছে। এটা তার জন্য অনেককিছু। তার দেওয়া এই সামান্য উপহার তার কাছে অমূল্য। তাই তো সেই চুড়ি নিয়ে সারারাত ছেলে মানুষি করে কাটায় সে। ভোর রাতে চুরি বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারে না। সকাল হতে না হতে দাদী ডাকে ঘুম ভাঙে। দাদী চিৎকার দিয়ে বলে,“মুখপুরী ঘুমাচ্ছে। ওরে মুখপুরী ওঠ। গ্রামে ভয়াবহ কান্ড ঘইটা গেছে। ভয়াবহ।”

শিউলি ঘুম জড়ানো চোখে বলে,“কী হয়েছে?” তার দাদী খুব বিষ্ময় নিয়ে বলে,“আরে স্কুলের পাশের পুকুরটায় জলিলের বউয়ের লাশ পাওয়া গেছে। সে কী ভয়াবহ কান্ড? সবাই লাশ দেখতে যাইতাছে। ঘুম থেইকা উইঠা চল।”

“লাশ?”
শিউলি হতভম্ব হয়ে যায়। সে এক লাফে ঘুম থেকে উঠে বসে। বিষ্ময় নিয়ে দাদীর দিকে তাকিয়ে থাকে।


চলবে,
(ভুলক্রটি ক্ষমা করবেন।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে