হেমন্তের নীড় পর্ব-০৬

0
6

#হেমন্তের_নীড়
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
পর্ব-০৬
৯.
শুদ্ধ বেশিরভাগ সময় বাইরে পাঞ্জাবি পরে। তার মুখে ঘন একটু বড় বড় দাড়ি। আমার দাদু এবং বাবা কেউই তার এই গেট আপ পছন্দ করেন না। বাবা তাকে দেখলেই রাগে জ্বলে উঠেন এবং বলেন, ‘দেখো, মুখে কেমন জংলীদের মতো দাড়ি রেখেছে। কোনো ছাটাই বাছাই নেই।’ অথচ ওদের কে বোঝাবে এই গেট আপেই তাদের মেয়ে ওই জংলীর প্রেমে পরেছে। ওই দাড়িতে তাকে জংলী নয়…. বরং ভীষণ আলাদা রকমের সুদর্শন এবং আকর্ষনীয় দেখায়। তার সৌন্দর্যতার অনুপাত যেকোনো তুর্কি, তামিল নায়কদের হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমার মূর্খ বাপ-দাদা তা বোঝে না। যাইহোক সেই দুঃখের কালো স্রোতের প্রতিমুখে আরো একটি স্রোতের ধারা রয়েছে। যার রং একদমই কালো নয় বরং সাদা। আমার জন্মদাত্রী শুদ্ধ’কে বাড়াবাড়ি রকমের পছন্দ করেন।

শুদ্ধকে পছন্দ-অপন্দের উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ ছাড়া বাড়ির বাকি সদস্য নিউট্রাল। তারা শুদ্ধকে অপছন্দও করেন না আবার অতিভক্তিও করেন না। দেখা হলে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন। সে বাদ যাক আমার মায়ের শুদ্ধ’কে পছন্দ করার অন্যতম একটি কারণ হলো শুদ্ধ তাকে সবসময় সালাম দেন। দিনে যদি ৬০ বার শুদ্ধ’র সাথে দেখা হয় তিনি সালাম দিবেন। একবার কথার শুরুতে, আরেকবার কথার শেষে৷ এছাড়াও আরো কারণ রয়েছে যা আমার জানা নেই।হয়তো মায়ায়! শুদ্ধর চেহারাটাই তো একটা মায়ার গোডাউন। সে যাই হোক বলতে গেলে, আমার মা শুদ্ধের প্রতি অন্ধভক্ত। প্রতিদিন একবার শুদ্ধের খোঁজ-খবর নেওয়া তার জন্য বাঞ্ছনীয়।

আমার মাতৃদেবীর কাছে আমার আরাম আবার বড্ড অপ্রিয়। তো যথারীতি শ্রাবণের এই মাঝ দুপুরে আমার আরামকে হারাম করে মাতা মহোদয় আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি গড়িমসি করে আড়মোড়া ভেঙে যেতে যেতে ১০ মিনিট লেট করলাম। মায়ের পেছনে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঘুরে আমার দিকে এমন একটা লুক দিলেন যেনো আমি তার খাবারে লবণ বেশি দিয়েছি।

‘বলো?’

‘বাটি’টা শুদ্ধর কাছে দিয়ে আয়। শুদ্ধর গলা ব্যাথা। ঠান্ডা লেগেছে। কোনো কিছুই নাকি খেতে ইচ্ছে করছে না তাই রান্না করেনি।’

আমি বাটির ঢাকনা তুলে দেখলাম ভেতরে শুটকি ভর্তা, আলু ভর্তা আর পেয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ মিশিয়ে একটা ভর্তা। লেবু দিয়ে চটকে খেতে কি যে মজা লাগবে! আমি ঠোঁট উল্টে জননীকে বললাম,

‘ভর্তা খাবে শুধু? ভাত দিয়েছো কই?’

‘ও কেমন জানিস না? এই ভর্তাই গ্রহণ করবে কি না দেখ!’

আমি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এক ছুটে ছাদে চলে এলাম। ইশশ… খুব দেরি করে ফেলেছি। এরজন্যই বলে মায়ের এক ডাকে ছুটে আসতে। মায়ের ডাককে অবজ্ঞা করে ১০ মিনিট দেরি না করলে তো আরো দশ মিনিট আগে শুদ্ধকে দেখতে পারতাম। চিলেকোঠার ঘরে টোকা দেওয়ার ৫-৭ মিনিট পর শুদ্ধ বেরিয়ে এলেন নাক মুছতে মুছতে। আমি ভ্রু কুচকে শুধালাম,

‘আপনি কি নক করার সাথে সাথে দরজা খুলতে পারেন না?’

শুদ্ধর গলায় মাফলার প্যাঁচানো। ভারী এবং ভাঙা স্বরে তিনি জবাব দিলেন, ‘না, পারি না।’

‘হ্যাঁ, আপনি তো আবার কিছুই পারেন না। ধরুন।’

‘কি?’

‘খাবার। আম্মু পাঠালো।’

শুদ্ধ ভ্রু কুটি করে আমার দিকে মিনিট পাঁচেক তাকিয়ে থেকে যে উত্তর করলেন তা শুনলে আমার দুঃখে পাঠকদের মরে যেতে ইচ্ছে করবে।

‘তুমি কি যাবে নাকি আমি তোমার মুখের উপর দরজা বন্ধ করবো, তরু?’

যথাক্রমে আমারও হাসিহাসি মুখটা ফাঁটা বেলুনের মতো চুপসে গেলো।

‘এমন করেন কেনো? আম্মু কত শখ করে পাঠালো!আমি কত শখ করে এই ছাদে বয়ে আনলাম। আর আপনার কি ব্যবহার! আপনার ব্যবহার দেখলে আমার বমি আসে।’

‘তো করো কিন্তু দূরে দাঁড়িয়ে। আমার ঘরের সামনে করলে তোমাকে দিয়েই পরিষ্কার করাবো।’

‘আপনি এতো পাষাণ কেনো?’

‘আর তুমি এতো বোকা কেনো?’

‘সে তো আমি জন্ম থেকেই।’

অসুস্থ শুদ্ধ অল্পতেই আজ হতাশ হলেন। ক্লান্ত শ্বাস ফেলে বললেন,

‘আমার ঘরে চাল, ডাল, মশলা সব আছে। পারলে রান্না করে দিয়ে যাও।’

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লাম। চোয়াল আমার ঝুলে পরলো। অবাক নয়নে মিনিট দশেক শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে থেকে তাকে হতভম্ব করে দিয়ে আমি এক দৌড়ে নিচে চলে আসলাম। আমি নিশ্চিত সে মনে মনে আমাকে ‘তারছিড়া বলদ’ ডাকলো। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এসব শুনে আমি অভ্যস্ত। মায়ের কাছে বাটি’টা ধরিয়ে আমি আমার রুমে আসলাম। মুখে পাউডার মাখলাম, ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক দিলাম। কি ভেবে যেনো একটা হলুদ শাড়িও পড়লাম। এতো রং রেখে হলুদ শাড়ি পরার অর্থ কি বলুন তো?আমি জানি পাঠকগণ বলতে পারবেন না। ওই যে বলেছিলাম, শুদ্ধ সবসময় সাদা লুঙ্গি, সাদা গেঞ্জি পরে হলুদের বর সেজে বসে থাকে তাই আমিও আজ একটু হলুদের কনে সাজলাম।

আমি আবার শাড়ি পড়তে এক্সপার্ট। এক মিনিটে শাড়ি পরে দু মিনিটে ফুল রেডি হয়ে উৎফুল্ল মনে চিলেকোঠায় গেলাম, দরজা খোলা ছিলো বিধায় ঢুকে পরলাম। শুদ্ধ তখন গোসলে ঢুকেছে। এই মূহুর্তে এসে আমি লজ্জায় লাল-নীল হয়ে মুখের উপর হাত দিলাম। ইশশ.. শুদ্ধ যখন এসে দেখবে তার জন্য আমি শাড়ি পরেছি তখন কি ভাববে? আমার লজ্জার মাঝেই শুদ্ধ বেরিয়ে এলো। কিন্তু সে আজ লুঙ্গি পরেনি। পরেছে একটা সাদা টাউজার আর কালো রঙের গেঞ্জি। তাকে দেখেই আমার ঠোঁট’টা আপনা আপনি উলটে গেলো। এটা কি হলো? তার জন্য আমি গায়ে হলুদের কনে সাজলাম আর সে আজ বর সাজলো না? আল্লাহর ৩৬৫ দিন সে বর সেজে বসে থাকে। আর আজ তার এই গেটাপ কি মানা যায়?

শুদ্ধ আমাকে ঘুরে ঘুরে দেখলেন মিনিট খানিক। আমি লজ্জায় আরো কুকরে গেলাম। যখন লজ্জার, সরমের সর্বোচ্চ সীমানায় তখন এক বাজখাঁই ধমকে আমার কানে তালা লেগে যাবার জোগাড়।

‘এই মেয়ে, শাড়ি পড়ে এসেছো কেনো? তোমার বিয়ে হচ্ছে এখানে? এক্ষুণি যাও চেঞ্জ করে এসো। শাড়ি পরে তুমি আমার বাসায় রান্না করতে পারবে না। নো। নেভার।’

তার সাফ সাফ বক্তব্য। আমার মন’টা ভেঙে খানখান করে দিলো একবারে। আমি জানি পৃথিবী উল্টে গেলেও এই বক্তব্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।

আমি ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কষ্টের সাগরে সাতার কাটতে কাটতে নিজঘরে এলাম। আয়নার সামনে দাড়ালাম। বাহ! কী সুন্দর লাগছে আমাকে। যে মেয়েকে ঠোঁটে সামান্য লিপস্টিক দিলেই পরীর মতো লাগে, সে-ই তো অপ্সরা। কিন্তু এতো সুন্দর হয়েই বা কি লাভ? অপরপক্ষের মন তো একটা পাথর। আমি রাগে দুঃখে ঠোঁটের লিপস্টিক এক ঘষায় মুছে ফেললাম। এরপর আয়নার সাথে হেলান দিয়ে জানালা গলিয়ে আকাশের দিকে চাইলাম। চেয়ে থাকতে থাকতে ভাবলাম,

‘আরে, ও তো একটু ওরকমই। ওর কথা গায়ে মেখেছি কবে আমি?’

আমি আবার স্ট্রং হয়ে দাড়ালাম। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া মনটাকে ফেবিকল দিয়ে জোড়া লাগিয়ে আমি শাড়ি খুলে নাচতে নাচতে অনেক খুঁজে একটা হলুদ রঙের জামা পরলাম। তবুও আমি গায়ে হলুদের কনে সেজেই ছাড়লাম। আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে আবার ঠোঁটে লিপস্টিক মাখলাম৷ ঠোঁট চোখা করে নিজেকে পরপর দুটো চুমু দিলাম। নিজের মনের সাথে আলাপ করতে করতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলাম,

‘আরে, পাছে লোক এ কিছু বলে। কিন্তু শুদ্ধ তো আমার পাছে লোক নয়। উনি তো আমার হৃদয়ের লোক। হৃদয়ের লোকের জন্য তো আরো সাত খুন মাফ।’

আমার উড়নার এক কোণা নাড়িয়ে নাচতে নাচতে আসার পথে বাধ সাধলেন আম্মু। আমি ব্রেক কষলাম। আম্মু বললেন,

‘কোথায় যাচ্ছেন? আপনার ব্রাঞ্চ’টা কখন করবেন একটু শুনি?’

‘তোমার শুদ্ধ তো খাবার নিলো না। উল্টে আমাকে বললো পারলে রান্না করে দিয়ে যেতে। তাই যাচ্ছিলাম আর কি!’

‘ওহ।’

আম্মুর কপালে হালকা ভাঁজ। আমি চোরা গলায় বললাম,

‘নাকি তুমি যাবে রান্না করে দিতে?’

আম্মু কপালে ভাঁজ বজায় রেখে কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিলেন,

‘না, তুই যা। তোর আব্বু এসে পরবে। আমার এদিকে কাজ পরে আছে। আর আমি গেলে শুদ্ধ লজ্জা পাবে। আমাকে রান্না করতে দিবে না।’

আমি খুশি হয়ে উঠলাম। বড় করে শ্বাস নিয়ে বললাম,

‘ঠিকাছে, আমি যাই দেরি হয়ে যাচ্ছে।’

‘যা। আচ্ছা শোন।’

আম্মুর ডাকে পেছন ফিরলাম, ‘হ্যাঁ, বলো।’

‘স্নেহাকে নিয়ে যা।’

এ হলো আরেক মুসিবত! কি দরকার ছিলো? আমার হাসি-হাসি মুখটা বিলীন হয়ে গেলো। আমি ঠোঁট ফুলিয়ে তাকালাম। আমাকে থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আম্মুই স্নেহাকে ডেকে বললো,

‘স্নেহা…. এই স্নেহা বই খাতা নিয়ে শুদ্ধর কাছে পড়তে যা।’

স্নেহা যাবে না বলে গড়িমসি করলেও আম্মুর ধমকের তোপে তা আর কুলালো না। অগ্যতা যেতেই হলো।

১০.
শুদ্ধ আমাকে দরজায় দাড় করিয়ে রেখেছে। আমি বিরক্তিতে মুখ বিকৃত করে বললাম,

‘সমস্যা কি আপনার? স্নেহাকে ডুকতে দিলেন আমাকে ডুকতে দিচ্ছেন না কেনো?’

শুদ্ধ গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে দরজা থেকে সরে দাড়ালেন। আস্তে আস্তে বললেন,

‘আমার মাথায় কোনো মামদো ভূত চেপেছিলো বলেই আমি তোমাকে রান্না করতে বলেছিলাম।’

‘বেশি কথা না বলে লবন গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।’

কথাটা বলেই আমি রান্না ঘর দেখে এসে হাত খোপা করতে করতে বললাম,

‘কি খাবেন?’

‘আমার মাথা।’

‘এটা আমি বানাতে পারি না। অন্য কিছু বলুন।’

‘শুটকি ভর্তা করো।’

‘সাথে আলু ভর্তা করে দেই?’

‘করো।’

‘বেগুন ভাজি খাবেন? আর একটু ডাল?’

এই পর্যায়ে এসে শুদ্ধ নাক ফুলিয়ে আমার দিকে তাকালেন। গর্জে উঠে বললেন,

‘তোমাকে এক ঘন্টা সময় দিলাম। এর মধ্যে যা রান্না করবে আমি তাই খাবো। পুরো দুনিয়া রান্না করলে আমি দুনিয়াই খাবো।’

‘যাহ! আমি তো ওতো রান্না পারি না। পুরো দুনিয়ায় কত রকম রান্না আছে আপনি জানেন? ইটালিয়ান, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, জাপানিজ, মেক্সিকো, কোরিয়ান…

বাকিটুকু আর বলতে পারলাম না তার আগেই শুদ্ধর ঘরের মেঝে’টা যেনো কেঁপে উঠলো ওর গর্জনে,

‘আল্লাহর ওয়াস্তে চুপ করবে, তরু?’

আমি চুপ করলাম। ওতো সুন্দর করে তরু বলে ডাকলো। চুপ না করে আর উপায় কি। রান্নাঘরে গিয়ে ক্রস করে উড়না নিয়ে গিট্টু দিয়ে নিজের কাজ শুরু করলাম। আগে চুলায় ভাত বসালাম। আরেক চুলায় আলু সিদ্ধ দিয়ে পেঁয়াজ, মরিচ কাটতে বসলাম। হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখি শুদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে। আমি গায়ের উড়না ঠিক করে বললাম,

‘কি হয়েছে?’

শুদ্ধ তখনো এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে। একটু পর ধীর পায়ে আমার কাছে আসলেন। আমি পেছন দিকে ঝুঁকে গেলাম। তিনি ধীর কণ্ঠে বললেন,

‘তোমাকে কেমন দেখাচ্ছে জানো, তরু?’

কপালে পরে থাকা এলো চুলগুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে শুধালাম, ‘কেমন?’

‘অলকানন্দার মতোন।’

তার ওইটুকুন প্রশংসা’তে মনে হলো আমার দম বন্ধ হয়ে আসবে। আমি শ্বাসটুকু নিতে ভুলে গেলাম। প্রিয়র প্রশংসা এতো স্পর্শনীয় কেনো? শুদ্ধ তার গলার স্বর আরো নিচুতে নামিয়ে আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,

‘শুনো কাঠবেলী, আমার প্রেমে পরা বারন তোমার।’

আমি তার কথায় চোখ তুলে তাকালাম। মিষ্টি করে হেসে তার মতো ফিসফিস করে উত্তর দিলাম,

‘নিষিদ্ধতে আমার প্রবল ঝোঁক।’

‘আমি প্রেমিক হিসেবে মানুষ’টা বড্ড খারাপ।’

‘আপনি নামক এই খারাপ প্রেমিক মানুষ’টা আমার বড্ড প্রিয়!’

‘এতো প্রিয় ভালো নয় মেয়ে, আমাকে পাওয়ার আশা করলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই জুটবে না কপালে।’

বলেই শুদ্ধ আমার পেছনে হাত বাড়িয়ে পানির বোতলটা নিয়ে চলে গেলো সাথে সত্যি সত্যি আমাকে দিয়ে গেলো এক বুক দীর্ঘশ্বাস। তার বুকে আমি মাথা পাতিনি। তার গায়ের সাথে আমার গা স্পর্শ করেনি। তবুও তার ওই একটুখানি কাছে আসাতে মনে হলো আমার সারা গায়ে তার সুবাস। রন্ধ্রে রন্ধ্রে বরফ শীতল স্রোতের ধারা বয়ে গেলো। কিন্তু আমার বুকের ভেতর’টা এমন করছে কেনো? কেনো বাজছে ওমন করুণ সুর? কেনো আমার চিৎকার করে কান্না পাচ্ছে? কেনো মনে হচ্ছে আকাশে ঘন কালো মেঘ আর আমার হৃদয়ে রাক্ষুসে বিদ্যুৎ এর ঝিলিক? হৃদপিণ্ড’টা খামচে ধরছে যেনো। আমি আমার বুকের বা’পাশে ধীরে ধীরে হাত বুলিয়ে বার কয়েক জোরে করে শ্বাস নিজের মাঝে টেনে নিলাম। তবুও মনে হলো নিঃশ্বাসের সাথে প্রেমোদক নয় বরং প্রেমবিষ পান করলাম।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে