প্রাণ বসন্ত পর্ব-০৯

0
4

#প্রাণ_বসন্ত
#পর্ব৯
#রাউফুন

তাওহীদার ঘর থেকে কিছুই খুঁজে পাওয়া গেল না। এই ঘটনা যেন তাওহীদার পক্ষে আল্লাহর কুদরত দেখানোর মতোই। মফিজ উদ্দিন আশ্বস্ত হয়ে বললেন, “আমি জানতাম, আমার তাওহীদা এমন কাজ কখনও করতে পারে না। ওর মুখের কথাই যথেষ্ট ছিল।”

কিন্তু ঘরে ফেরার পথে রওশন আরা আর পারভীনের চেহারা দেখে বোঝা গেল, তারা এখনো নিজেরা বিশ্বাস করতে পারছে না বা মানতে চাইছে না। তাওহীদা তখনো দরজার পাশে দাঁড়িয়ে। তার চোখে পানি। ভাঙা কণ্ঠে বলল, “আমি কি আপনাদের কাছে এতটাই ছোট মানসিকতার বা খারাপ যে আমার কথাগুলো কখনো বিশ্বাস করতে পারেন না? আমি যদি আপনাদের সবার মতোই পরিবারের সদস্য হয়ে থাকি, তবে কেন আমাকেই বারবার সততার প্রমাণ দিতে হয়?”

“কারণ তোমাকেই আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, তুমি ব্যতীত বাসায় কেউ ছিলো না। আর তুমি ঘরে যে টাকা, গহনা রাখবে না তা আমরা জানি। তুমি অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মেয়ে!”

সানোয়ারের কথায় তাওহীদা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। বললো,“যার স্বামী পাগল তাকে তো ধূর্ত হতেই হয়। তা না হলে আমাকে আগাছা ভেবে উপড়ে ফেলতে চাইবে সবাই! আর আমি কেমন ধারা ধূর্ত তা আপনার বউ ভালোই জানে। তাই না ভাবি”

হঠাৎই সালমা কেমন যেনো চুপসে গেলো। মনে পড়ে গেলো পুরনো একটা কথা, যা কেবলই তাওহীদা ই জানে। তাই সালমা বললো,“আচ্ছা, তাওহীদা নিজেকে প্রমাণ করুক, যে ও কিছুই নেয়নি৷ প্রমাণ করতে পারলে সেটা ওর জন্যই ভালো। সানোয়ার চলো নিচে যাই!”

সানোয়ার তখন হঠাৎ চুপ হয়ে সালমার দিকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, তার মাথায় কি চলছে সেই ভালো জানে। সালমা যেন কিছু একটা ভাবছে। রওশন আরা হঠাৎ বলে উঠল, “তুই জানতিস রিমি কি করছে? কিছু লুকাস নাকি?”

তাওহীদা শান্ত স্বরে জবাব দিল, “মা, আমি কিছুই জানতাম না। কিন্তু রিমি আপু গতকাল যা বলেছিল, তাতে আমি সন্দেহ করেছিলাম। আমি জানি না উনি কোথায় গেছেন, কিন্তু আমার ওপর দয়া করে মিথ্যা দোষ চাপাবেন না।”

মফিজ উদ্দিন এবার রওশন আরার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তাওহীদা ঠিক বলছে। আগে তো রিমির কোনো খোঁজ পাওয়া যাক। যা হয়েছে তার দায় তাওহীদার নয়। বরং আমাদের নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে এমনটা হয়েছে।”

রওশন আরা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। তার চোখেমুখে এক ধরনের হাসফাস ভাব দেখা গেল। তাওহীদা শেষবার বলল, “জীবন আল্লাহর দেওয়া পরীক্ষা। এই দুনিয়ায় সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। আজ হয়তো আমি আপনাদের কাছে অপরাধী, কিন্তু আল্লাহ জানেন সত্য কি। এই পরীক্ষায় আমি নিজের ইমান ও সততাকে হারাবো না, ইন-শা-আল্লাহ।”

মফিজ উদ্দিন ধীরে ধীরে বললেন, “তাওহীদা, তুই আমাদের সবার চেয়ে অনেক বড় মনের। আল্লাহ তোরপরীক্ষা নিচ্ছেন, তুই শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধর।”

আনোয়ার বললো,“তোমার উপর আমাদের সন্দেহ এখনো প্রবল, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে তোমাকে। তারপর আমরা বিশ্বাস করবো নিতান্তপক্ষে তুমি সত্য বলছো।”

তাওহীদার উপর অপবাদ ও চক্রান্তের জালে ফাঁসানোর পর দিনগুলো যেন আরও বেশি অন্ধকার হয়ে উঠল। বাড়ির সবাই তাকে আরও বেশি অবজ্ঞা করতে শুরু করল। শুধু আহসান পাগলামী আচরণের মধ্যেও তার পাশে থাকল।

রওশন আরা নিজের মেয়েকে বাঁচারে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকল। তিনি বুঝেছিলেন, এই মুহূর্তে তাওহীদাকে দুর্বল করে রাখাই সবচেয়ে কার্যকর। কিন্তু তাওহীদা নিজের ভেতরে অদ্ভুত শক্তি অনুভব করতে শুরু করল। সে জানত, সত্য একদিন প্রকাশিত হবেই।

তাওহীদা তার ঘরে একা বসে বলল,
“আমি আর এভাবে চুপ থাকতে পারব না। আমাকে সত্যের জন্য লড়াই করতে হবে।”

সে বাড়ির প্রতিটি ঘটনা মনে করার চেষ্টা করল। রিমির কথাবার্তা, সালমা আর পারভীনের প্রতি তার আচরণ সবই সন্দেহজনক ছিল। তাওহীদা ভাবতে থাকে,
“রিমি সেদিন সবাইকে বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করল কেন? আর মায়ের চায়ের কাপে ঘুমের ওষুধের গন্ধ আমি ঠিকই পেয়েছিলাম। এই কাণ্ডের পেছনে ওর হাত থাকতে পারে।”

সালমা হঠাৎ আলমারিতে বিদেশ থেকে আনা কয়েন খুঁজে পায়। সে রওশন আরাকে দেখিয়ে বলে,
“মা, সব কিছু তো চুরি হয়ে গেল। কিন্তু এখানে এই কয়েনগুলো কীভাবে রইল?”

রওশন আরা বিরক্ত হয়ে বলল,
“সবই যদি চুরি হয়েছে, এগুলো তো আলমারিতে থাকার কথা না। তাহলে কি পুরো চুরি হয়নি?”

সালমা বিষ্মিত হয়ে বলে,
“কী জানি! তাওহীদা যদি দোষী হতো, তাহলে কি এভাবে আলমারিতে এসব রাখতো? একেবারে খালি করত না? তারপর এগুলো স্বর্ণের!”

পারভীনও কিছুটা নরম সুরে বলে,
“সত্যি বলতে, আমারও মনে হচ্ছে কোথাও একটা গড়বড় আছে। রিমি সেদিন বাড়িতে ছিল, আমাদের মিথ্যা বলে বাজারে বিশেষ ছাড়ের কথা বলে পাঠালো আর ফিরে এসে তো দেখলাম সব গন্ডগোল।”

সালমা আর পারভীনের আলোচনায় রওশন আরার মাথা ভনভন করে ঘুরতে লাগলো। সে মেয়েকে মানুষ করতে পারেন নি এটা নিয়ে এবারে সবাই তাকে প্রশ্ন বিধ্ব করবে৷ যা অনেক অপমানের হবে । কি করবেন তিনি? সবার সামনে নিজের উঁচু নাক, একটা দাপট সবকিছু যে মাটিতে গড়াগড়ি খাবে।
তাওহীদা রাতের আঁধারে চুপিচুপি বাড়ির সব জায়গা খুঁজতে শুরু করে। সে জানত, কিছু না কিছু প্রমাণ থাকতে পারে যা রিমির সত্যিকারের চরিত্র প্রকাশ করবে। মাথায় এক অদ্ভুত চিন্তা নিয়ে পান মুখে দিয়ে অন্য ভাবনায় ডুবে গেলেন। তাওহীদার উপর নজর রাখতে তাকে।

তাওহীদা ঘর পরিষ্কার করার নাম করে রিমির রুমে ঢুকে। একে একে সব ঘর পরিষ্কার শেষে হঠাৎ সে রিমির ঘরের একটি ট্রাঙ্ক খুঁজে পায়। সেখানে লুকানো কিছু রসিদ আর ছোট্ট একটি নোটবুক দেখতে পায়। নোটবুকে রিমি নিজের হিসাব লিখেছে—টাকা কোথায় রেখেছে, কীভাবে নেবে, সব মিলিয়ে কত টাকা হবে সবকিছুই।

তাওহীদার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল।
“এটাই আমার নির্দোষ হওয়ার জন্য যথেষ্ট, এটাই প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে সবাইকে! আমি জানতাম, আল্লাহ আমাকে নিরাশ করবেন না।”

পরদিন তাওহীদা সবাইকে ডেকে বলল,
“আমি দোষী নই। আমি কোনো চুরি করিনি। আমার প্রমাণ আছে। রিমি আপুর ঘর থেকে আমি এসব পেয়েছি। আপনারা যদি বিশ্বাস না করেন, নিজেরাই যাচাই করে দেখুন।”

রওশন আরা চিৎকার করে বলল,
“তুই আবার রিমির ঘরে কী কারণে গেছিলি? তোকে কে অনুমতি দিয়েছে?”

তাওহীদা শান্ত গলায় বলল,
“আমাকে অনেক অপমান করেছেন। আমাকে প্রমাণের সুযোগ দিন। তারপর যে শাস্তি দেবেন, আমি মেনে নেব।”

সবাই মিলে রিমির ঘর থেকে খুঁজে পাওয়া নোটবুক হিসেবের রসিদ দেখতে পায়।
আনোয়ার খানিকটা হেসে বললো,“এসব তো তুমি নিজেও লিখে আমাদের দেখাতে পারো। এগুলো তুমিই পেলে কেন? আমরা কেউ তো পেলাম না!”

রিমি যেনো হতভম্ব হয়ে গেলো। ও একদমই এভাবে ভাবে নি ব্যাপারটা। সে যুক্তি খুঁজে পেয়ে বললো,“আমার লেখা আর রিমি আপুর লেখা মিলিয়ে দেখতে পারেন। আপনারা চাইলে লিখে দেখাতে পারি।”

সবাই তাওহীদার লেখা আর রসিদে লেখা মিলিয়ে দেখলো, লেখা মিলছে না। বরং রিমির লেখা তাওহীদার লেখার তুলনায় অত্যন্ত বাজে। অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীর এমন ধারা লেখা? আশ্চর্যের শেষ সীমা যেনো পেড়িয়ে গেলো। রওশন আরা ধপ করে বসে পড়লেন সোফায়৷ এবারে বুঝি সবাই তাকেই চোরের মা বলবে? কেউ বুঝি তাকে আগের মতো আর মূল্যায়ন করবে না? দরদর করে ঘামতে থাকেন তিনি। সারা শরীর দুলে উঠে তার। হড়বড় করে বমি করে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। ঘটনা টা এতো দ্রুত ঘটলো যে সবাই বিষয় টা ধরতে একটু সময় নিলো। দ্রুত ধরে রওশন আরাকে ঘরে নিয়ে শোয়ানো হলো।

সেই রাতে রিমির খোঁজে লোক পাঠানো হলো। কিন্তু কোনো চিহ্ন পাওয়া গেল না। এদিকে পারভীন আর সালমার মনের ভেতরেও সন্দেহের কাঁটা নাড়াচাড়া দিতে লাগল। তারা একে অপরকে বলতে লাগল, “রিমি সত্যিই এতো কিছু করেছে কি না.. নাকি এইসবই তাওহীদার চাল?”

তাওহীদা শাশুড়ীর মাথার কাছে থেকে তার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করছে। মফিজ উদ্দিন চিন্তিত হয়ে পায়চারি করছেন।

“মেয়েটাকে মানুষ করতে পারিনি আমরা বুঝলি মা? কি একটা কান্ড বাঁধিয়ে কেমন তোকে ফাসিয়ে গেলো দেখলি?”

“বাবা, এখন মায়ের শরীর ভালো নেই। এখন এসব কথা থাক!”

“তুই এখনো এই মহিলার কথা ভাবছিস? যে কি না তোকে সমানে দোষারোপ করছিলো? শোন, এখন এতো ভালো আর নরন মানুষের না দাম নেই। প্রয়োজনে একটু শক্ত হতে হয়! যে যেভাবে পারে, সুযোগ পেলেই তারা তোকে অপমান করতে এক চুল ছাড় দেয় না তাদের জন্য এতো চিন্তা করিস না। এই মহিলার এতো সহজে কিছু হবে না।”

“বাবা, তাদের মতো যদি আমিও করি তবে তাদের আর আমার মাঝে পার্থক্য রইলো কোথায়? নবী করিম (সাঃ) জীবনের এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা থেকে আমরা সবাই শিক্ষা নিয়ে থাকি। এক বৃদ্ধা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পথের মাঝে কাঁটা বিছিয়ে দিতেন যাতে তিনি কষ্ট পান। নবীজী কখনোই এর প্রতিশোধ নেননি। বরং কাটা গুলো তিনি সরাতেন এবং মুচকি মুচকি হাসতেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন তিনি দেখলেন সেই বৃদ্ধা কোনো কাঁটা রাখেননি। তখন তিনি তাঁর খোঁজ নিয়ে জানলেন যে তিনি অসুস্থ। নবীজী তাকে দেখতে গেলেন এবং তার সেবা করলেন। এ ঘটনায় বৃদ্ধা এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। নবী করিম (সা.)-এর জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় যে, যারা আমাদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ করে, তাদের প্রতিও আমাদের ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল হওয়া উচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা মানুষের হৃদয় জয় করার মাধ্যমে তাদের আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। তাঁর এই উদাহরণ আমাদের জীবনে অনুসরণ করার মতো। (এই ঘটনাটির কোনো সহীহ্ বোখারীতে নেই তবে নবীজির সিরাত পড়লে জানা যাবে)

“তায়েফে নবী (সা.)-কে পাথর মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। জিবরাঈল (আ.) তাঁকে বলেছিলেন, যদি নবীজী চান, তাহলে তিনি তায়েফের লোকদের ধ্বংস করবেন। কিন্তু নবী (সা.) বলেছিলেন:
“না, বরং আমি আশা করি, আল্লাহ তাদের বংশধরদের মধ্য থেকে এমন মানুষ সৃষ্টি করবেন, যারা আল্লাহর ইবাদত করবে।”

“মা গো, তুমি এতো কিছু জানো, এই হাদিস আমিও ভালো ভাবে জানি না।”

“বাবা, আপনাদের জানা উচিত। আমরা সবাই মুসলিম তবে কেন আমরা আল্লাহর নবী খলিফা আর হাবিবের সম্পর্কে জানবো না? আমাদের জীবনকে তো আমাদের হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জীবন ধারায় সাজাতে হবে। বাবা আপনাকে দেখি আপনি মাঝে মধ্যে নামাজ আদায় করেন আবার অনেক সময় কাজা করেন, যদিও তা ইচ্ছাকৃত নয় তবে তার হিসাব অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা নেবেন।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“আমাদের এবং তাদের (কাফেরদের) মধ্যে চুক্তি হলো নামাজ। যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করে, সে কুফরির মধ্যে পড়ে গেছে।”

নামাজহীন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। অন্য হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করে, তার কোনো ধর্ম নেই, সে যেনো কুফরি অন্তর্ভুক্ত হলো।”
বাবা অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেনো কাজা না হয়। কাজকে না বলুন নামাজকে নয়!”

মফিজ উদ্দিন তাওহীদার মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দিলেন৷ তখনই দেখলেন রওশন আরা খানিকটা নড়াচড়া করছেন। মফিজ উদ্দিন গম্ভীরমুখে বললেন,“ডাইনী মহিলা শতান্নীর জ্ঞান ফিরলো। এখানে আর থাকা যাবে না!”

তাওহীদা শ্বশুরের দিকে পিটপিট করে তাকালো। মফিজ উদ্দিন উলটো ঘুরে ঘরের বাইরে চলে গেলেন। তাওহীদা শাশুড়ীকে ধরে বসিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে খাওয়াতে লাগলো। যতোই হোক এভাবে তো একটা মানুষকে ফেলে রাখা যায় না? সে যথা সম্ভব সেবা করলো।

#চলবে

( চোখের সমস্যার জন্য লেখায় ভুল, খাপছাড়াও লাগতে পারে।

রেফারেন্সঃ১ (সহীহ বুখারি, হাদিস: ৩২৩১)

রেফারেন্সঃ২ (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৮২; সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২৬২১)

রেফারেন্সঃ৩ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ২০৩৮৪; সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২৬২২)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে