বউ তুমি যে সবজি কিনো লোকটার কাছ থেকে গেটের কাছে এসে দাড়িয়ে অনেক্ষণ সবজি রাখপাইন বলে ডাকছে দুইদিন।
পাশের বাড়ির চাচিআম্মা আমি বাসায় আসতেই বললেন।
বউ বুজছ লোকটা তোমারে আইসা খুঁজে। দুই তলার মায়ে আইছেনা থাকলেতো সবজি কিনত।
সবজি বিক্রেতা চাচার সবজি রাখপাইন এই ডাকে আমার ঘুম ভাংগে প্রতিদিন।
চাচার ছেলে মেয়েরা সব কলেজে পড়ে। সবজির ভাড়ে উনি অনেকটা নুয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি বাড়ি সবজি বিক্রি করেন। আমি উনার প্রতি মায়া করে অনেক সময় প্রয়োজন ছাড়াও সবজি কিনি বেশি বেশি করে।
আমি উনাকে চাচা বাবা এই সবজিটা দেন,, বাবা ঐ সবজি আর নিবনা এভাবে কথা বলি।
চাচা অনেক ভালোবেসে আমাকে মায়া,,, আম্মা বলে ডাকেন।
আজ তিন দিন উনি আসেননা হয়ত ঠান্ডার কারনে বের হতে পারেননা। এই তিনদিন আমিও উনাকে অকারনেই খুঁজেছি। চাচার কি অসুখ হলো আসেননা কেনো।
কেমন যেনো একটা মায়া, টান পরে গেছে।
চাচা এর জন্যই হয়ত আমাকে না পেয়ে দাড়িয়ে থেকে আমার বিল্ডিংয়ের জানালার দিকে তাকিয়ে থেকে খুঁজে গিয়েছিলেন।
আমরা যতই উপর তলার মানুষ হইনা কেনো। সমাজে আমাদের শ্রেনী ভেদাবেদ হিসেব করা হয় করায় গন্ডায়।
যখন আমাদের নাম ডাক হয় একটা ভালো পজিশনে যাই তখন সমাজের খেটে খাওয়া নিম্ন শ্রেনীর মানুষ গুলোকে নিচু দৃষ্টিতে দেখি। বাবার বয়সের মায়ের বয়সের মানুষ গুলোকেও আমরা তুচ্ছ করে কথা বলতে দিধা বোধ করিনা।
কথায় আছে পৃথিবীতে আমাদের আচরণটাই আমাদের ইহকালের বড় সংগী হবে।
পৃথিবীতে যে যতই উপর সিড়ির মানুষ হইনা কেনো মাটির নিচের ঘরটা সবার জন্য সমান
যেটা আমাদের জন্য চিরস্থায়ী।
ক্ষনস্হায়ী দুনিয়াটায় এমন করে থাকি যে মরে গেলে
পৃথিবীর বুকে রেখে যাওয়া আশেপাশের মানুষ গুলোর চোখে পানি না আসুক বুকের ভিতর কোথাও একটু রক্তক্ষরন হোক
কখনো কখনো আমাদের জন্য।
কি হবে অহংকার নিয়ে বেঁচে থেকে দুদিনের দুনিয়ায়।