বন্ধুত্ব
★★★★★★
দিপক দাস
নীলাদ্রিঃদ্বীপ দ্বীপ,ঐ দ্বীপ শোন।
দ্বীপঃহ্যাঁ বল্ কি হয়েছে।এতো চেচাছিশ কেন?
নীলাদ্রিঃরাগ করছিশ দোস্ত?
দ্বীপঃনাহ রাগ করবো কেন!আমি আর রাগ করবার কে!
নীলাদ্রিঃদ্বীপের বাচ্চা।মাইর চিনিস?
দ্বীপঃনাহ চিনতেও চাই না যার তার কাছে।
নীলদ্রীঃঐ ছেমড়া তর এতো তেজ কেন শুনি?
দ্বীপঃকই তেজ।আমি তো মাটির মানুষ তাই বলেই সবাই আমাকে অপমান করে।
নীলদ্রিঃবন্ধু তুমি রাগ করছো?আমি না তোমার সবচেয়ে আপন বন্ধু!আসো বু,,,,,,, থুক্কু।যা ছেড়া তর কথা কপি করতে যাইয়া খাইছিলাম বাঁশ।
দ্বীপঃহা হা হা হা।
নীলাদ্রিঃএইতো আমার ভালো একটা বন্ধু।আমি জানিতো তুই আমার সাথে রাগ করে থাকতে পারবি না।
দ্বীপঃতাহলে আমাকে এতো কষ্ট দিস কেন, বল?
নীলদ্রিঃটপিক চেইঞ্জ আর গভীরে যেতে হবে না।
একটা কথা শুনবি?
দ্বীপঃবলেন!
নীলাদ্রিঃতুই হাসলে না মিছকা শয়তান লাগে।
দ্বীপঃআর তুই হাসলে পরীর মতো লাগে।
নীলাদ্রিঃহইছে হইছে আর পাম্প দিতে হবে না।
দ্বীপঃঠিক আছে।তাহলে আবার টাইয়ার ফেটে যাবে।
নীলাদ্রিঃতুই তো সবই জানিস তবুও কেন আমাকে পছন্দ করিশ?
দ্বীপঃঅনেক মায়া লাগে।
নীলাদ্রিঃকেন আমি কি এতিম!
দ্বীপঃদূরহ।
নীলাদ্রিঃতো!
দ্বীপঃতোমার দিকে যে তাকিয়েছে ভুলে একদিন,
সে জানে তোমাকে ভোলা কত কঠিন।
নীলাদ্রিঃহইছে হইছে কবি সাহেব।
দ্বীপঃএটা নজরুল ইসলাম বলেছেন।
নীলাদ্রিঃজানি।
দ্বীপঃবলবো…..?
নীলাদ্রিঃযা কুত্তা।
দ্বীপঃহা হা হা হা।আমি ঐটা বলতে চাই নি।
নীলাদ্রিঃতো।
দ্বীপঃতুই আমার নানি।
নীলাদ্রিঃআমি তর নানী হইলে খালী লাঠি দিয়া বাইড়াইতাম!
দ্বীপঃতো পাপ্পি ও খেতে পারতাম।
নীলাদ্রিঃনারে দ্বীপ তরে নিয়া আর পারি না।তুই আমার থেকে দূরে দূরে থাকিশ নইলে অনেক কষ্ট পাবি!
দ্বীপঃআচ্ছা একদিন অনেক দূরে যাবো।
নীলাদ্রিঃথাপ্পর চিনছ?
দ্বীপঃকয়টা দিবি দে…… যত্ত গুলা ইচ্ছা দে কিচ্ছু বলবো না।
নীলাদ্রিঃনাহ কষ্টের মধ্যে আর কষ্ট দিতে চাই না।
দ্বীপঃতকে আমি সত্যিই অনেক ভালোবাসি।
নীলাদ্রিঃআমি জানি দ্বীপ। কিন্তু সম্ভব না। তুই সব দিক থেকে পারফেক্ট ছিলি কিন্তু তুই তো জানস আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি।
দ্বীপঃতাই তো আমি সব কিছু সেক্রিফাইস করে দিছি।কিন্তু তর বি এফ টা যে জানোয়ার।আর তকে শুধু কষ্ট দেয় আর তর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারিনা।আমি সব সময় তকে ফোলো করি।তকে অনেক কষ্ট দেয় ও।
নীলাদ্রিঃকিছু করার নেই সবই কপাল।তুই আমার বন্ধু।
নীলাদ্রিঃহম। তুই তো আমার লক্ষ্মী বন্ধু।
তার পর একদিন নীলাদ্রির বি এফ মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে কলেজের সবার সামনে দ্বীপকে মার ধর করে অনেক ছেলে পেলে নিয়ে।
দ্বীপ বার বার বলে সে যে সে এ কাজ করে নি যে কাজের জন্য তাকে দোষারোপ করা হছে কে শোনে কার কথা।ওরা তো চেয়েছেই দ্বীপকে মারতে।
তারপর দ্বীপের সাথে নীলাদ্রির কথা হয়না বহুদিন।
নীলাদ্রি ভাবে দ্বীপ হয়তো দাম দেখাচ্ছে।সে জানেনা শুধু শুধু দ্বীপ কে সবার সামনে তার বিএফ মারছে এবং অপমান করেছে।
তারপর একদিন সব খুলে বলে দ্বীপ নীলাদ্রিকে।
কিন্তু নীলাদ্রির সাথে দ্বীপের শুধু শুধু ঝগড়া হতে থাকে। আর এ ঝগড়া নীলাদ্রি ইচ্ছে করে করে।কারণ সে তার বি এফ কে খুব ভালোবাসে।তাকে ছাড়তে পারবে না।
আর দ্বীপ সব বুঝতে পেরে অনেক দূরে চলে যায়।আর তাদের কোনো কথা হয়না।
শুধু একটি চিঠিতে লিখে রাখে বন্ধু হতে চেয়েছিলাম শত্রু বলে গণ্য হলাম।