গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(১২:-১৩)
লিখা:- Shohrab AL Islam
।
তোমার সাথে আমার এখনো ডির্ভোস হয়নি শুধু ডির্ভোসের এপলিগেশন করা হয়ছে। আর এখুনি তুমি অন্য মেয়েদের সাথে লাইন মারতে শুরু করেছো। (তসিবা)
আমি:- আমি কি করি না করি তাতে তোমার সমস্যা কি শুনি?
তসিবা:- সমস্যা তো আমার হবেই তাইনা?
আমি:- না তোমার সমস্যা হবার কোন মানে হয়না। আর তাছারা তোমার সমস্যা হলে আমার কি?
তসিবা:- একদিনে তুমি এতটা পরিবর্তন হয়ে গেলে সোহরাব। আর শোন তোমার সাথে আমার যত দিন ডির্ভোস না হবে ততদিন তুমি অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাবে না। যদি তাকাও তাহলে আমি তোমার নামে থানায় মামলা করবো।
আমি:- আজাইরা পেচাল দূরে গিয়ে পারো আমার কাজ আছে সরো।
তসিবা:- তাহলে আমিও অন্য ছেলের সাথে ঘুরবো কিন্তু।
আমি:- তুমি যার তার সাথে ঘুরো তাতে আমার কিছু হবে না।
তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে মনে থাকে যেন।
আমি:- হ্যা মনে থাকবে, সরো সামনে থেকে তসিবাকে ধাক্কা দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তসিবা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আমি সোজা ক্লাসে চলে আসছি। দুইটা ক্লাস করে বেরিয়ে দেখি তসিবা একটা ছেলের সাথে কথা বলছে আর হাসা হাসি করছে। তবে ছেলেটাকে আমি চিনি আমাদের ক্লাসে পড়ে, কিন্তু এতটা মিশি নাই ওর সাথে। ওর নাম হচ্ছে রাজ, একটু বড় লোক আমাদের কাছ থেকে। ছেলেটা আমাকে দেখে তসিবার চুলের উপর থেকে কি যেন ফেলছে। আমি দেখেও না দেখার বান করে চলে যেতেছি তখনি,,
রিফাত:- দোস্ত এদিকে একটু আসবি?
আমি:- বল কেন?
রিফাত:- আমার বুন্ধু রাজ ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আজকে ওর জীবনের প্রথম গ্রালফ্রেন্ডের পেয়েছে। রাজ আমার দোস্ত সোহরাব আর সোহরাব আমার দোস্ত রাজ। আমি রিফাতের সামনে গেছি রিফাত পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
রাজ:- হাই সোহরাব।
আমি:- হাই রাজ।
রিফাত:- কিরে তসিবা ওর সাথে কেন?
আমি:- জানিনা।
রিফাত:- দোস্ত তোদের নাকি বিশ(২০) দিন পর ডির্ভোস হবে। তাহলে আমরা এত কষ্ট কেন করলাম?
আমি:- দোস্ত সরি আসলে জোর করে কোন কিছু পাওয়া যাইনা। যাক যা হবার তা হবেই এখন বাদ দে আমি একটু বের হবো।
তসিবা:- এই যে মিষ্টার বলেন তো আমাদের দুজনকে কেমন মানিয়েছে?
আমি:- হ্যা ভালোই হবে তোদের দুজনকে খুব সুন্দর মানাইছে।
রাজ:- তসিবা তুমি যাকে বলবে সে বলবে আমাদের দুজনকে সুন্দর মানাবে। এখন তো তোমার বিয়ে করতে আমার আর কোন সমস্যা নেই। আর তুমি কেন ঐ ফালতু একটা ছেলের জন্য নিজে কষ্ট পাবে।
তসিবা:- রাজ তুমি ঠিকই বলছো। আমি তোমাকে বিয়ে করে নিব, ওর মত ফালতু ছেলের জন্য আমার জীবনটা কেন নষ্ট করবো?
আমি:- রিফাত তাহলে তোরা থাক আমি একটু যাই। তখনি নীলা এসে আমাকে বলতেছে,,,
নীলা:- সোহরাব তুমি বাসায় যাবে?
আমি:- হ্যা, তবে একটু মার্কেটে যাবো।
নীলা:- তাহলে আমিও যাবো আমার একটু কাজ আছে, তুমি আমাকে নিয়ে যাবে প্লিজ।
আমি:- হ্যা ঠিক আছে আসো, তসিবা আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে। আমি তসিবার দিকে না তাকিয়ে সোজা বাইকে এসে বসেছি। নীলা এসে আমার পেছনে বসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে। তসিবা এমন ভাবে তাকিয়ে আছে রাগে চোখ লাল করে নিয়েছে।
নীলা:- আচ্ছা ঐ মেয়েটা তোমার দিকে এমন ভাবে তাকাই কেন?
আমি:- আসলে ও আমার বউ ছিলো, গতকাল ওর সাথে আমার ছারা ছারি হয়ছে। তবে এখন ডির্ভোসের এপলিগেশন করেছি বিশ (২০) দিন পর আমারা লিগেল ডির্ভোসের কাগজ হাতে পাবো।
নীল:- তুমি বিয়ে করেছো আর আমি জানতে পাইনি?
আমি:- হ্যা সে অনেক কথা, তাহলে শোন আমি নীলাকে শুরু থেকে সব কিছু খুলে বলছি। নীলা সব কিছু শোনে বলে,,
নীলা:- মেয়েটা অনেক বড় ভূল করছে সে তোমার মত একটা ছেলেকে জীবনে ধরে রাখতে পারেনি।
আমি:- যাক বাদ দাও, মার্কেটে চলে এসেছি তুমি গিয়ে তোমার যা কিনার কিনে নাও। আমি আমার কাজটা করে এখানে আসতেছি। নীলা ভীতরে গেছে আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি। আসলে আমার কোন কিছু দরকার নেই, আমি তসিবাকে জির্লাস ফিল করার জন্য নীলাকে মার্কেটে নিয়ে এসেছি। কিছুক্ষন পর নীলা এসেছে,,
নীলা:- সোহরাব আমার কাজ শেষ চলো।
আমি:- হ্যা চলো, নীলাকে নিয়ে সোজা ওর বাসার সামনে এনে নামিয়ে দিয়ে আমি বাড়ীতে এসেছি। বাইকটা রেখে ভীতরে ঢুকেছি।
আব্বু:- সোহরাব আজ তোর বাইকের পেছনে যেই মেয়েটা দেখেছি সেই মেয়েটা আমাদের পাশের বাড়ীর সারোয়ার এর মেয়ে না।
আমি:- হ্যা কিন্তু কেন?
আব্বু:- এমনি, বলে আব্বু সোজা বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেছে।
আমি:- আব্বু কোথায় যাচ্ছেন কে শোনে কার কথা আব্বু তারা তারি করে বেরিয়ে গেলো। আমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে নিচে এসেছি,,
আম্মু:- সোহরাব তোর আব্বু তোর জন্য বিয়ে ঠিক করেছে।
আমি:- আর জীবনে বিয়ে করব না।
আম্মু:- মেয়েটি অনেক ভালো আমাদের পাশের বাসার তোর সারোয়ার আঙ্কেলের মেয়ে নীলা।
আমি:- কি নীলা কি বলছো এইসব?
আম্মু:- হ্যা নীলা বিয়ে করতে রাজি আছে। আর তোদের ডির্ভোসের পরের দিন বিয়ে হবে।
আমি:- আম্মু আমি নীলাকে,,, তখনি আব্বু এসে বলে,,,
আব্বু:- আমি জানি তুই নীলাকে ভালোবাসিস আর নীলা তোকে ভালোবাসে। আর কোন কথা বলতে চাইনা তুই নীলাকে রোজ কলেজে নিয়ে যাবি আর রোজ বাসায় নিয়ে আসবি।
আমি:- আমার কথাটা একটু শোনেন?
আম্মু:- প্লিজ বাবা তুই আর না করিস না তোর জন্য তোর আব্বু অনেক অপমানিত হয়ছে। আমার জন্য তুই নীলাকে বিয়ে করে নে।
আমি:- ঠিক আছে যদি তোমরা নীলাকে বিয়ে করলে খুশি হও তাহলে আমি নীলাকে বিয়ে করবো।
আম্মু:- হ্যা আমরা অনেক খুশি হয়ছি, আর নীলা অনেক ভালো মেয়ে আমার খুব পছন্দ হয়ছে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি একটু রুমে যাই রুমে এসে বসেছি তখনি দরজায় কে যেন নক করেছে। গিয়ে দরজা খুলে তো পুরাই অবাক আরে তুমি এখানে কেন?
নীলা:- তোমার রুমে আমি আসবোনা কে আসবে দেখি সরো বলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢোকে গেছে। আজকে আমি তোমার সাথে থাকবো আমার একা থাকতে ভয় করছে।
আমি:- দেখি আমার রুম থেকে বের হও তানা হলে কিন্তু ভালো হবেনা বলে দিলাম। তখনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে একদম আমার কাছে চলে এসেছে নীলা। ওর নিশ্বাসের সাথে আমার নিশ্বস স্পর্শ করছে।
নীল:- একটু আদর করি?
আমি:- ছারো বলছি ভালো হবেনা কিন্তু আমি চেচাবো কিন্তু।
নীলা:- আরে বোকা তুমি চেচালে কেও আসবেনা কারন আঙ্কেল আর আন্টি আমাদের বাসায় গেছে। ওনারা আসতে একটু দেরি হবে। আমাকে একটু আদর করে দাও তাহলে হবে।
আমি:- হ্যা করে দিতেছি তুমি চোখ বন্ধ করো।
নীলা:- চোখ বন্ধ করবো কেন, তুমি আমাকে বোকা বানাতে চাচ্ছো তাইনা।
আমি:- আম্মু তুমি কখন আসলে তখনি নীলা আমাকে ছেরে দূরে দাঁড়িয়েছে আর আমি এক দৌরে রুম থেকে বেড়িয়ে গেছি।
নীলা:- ঐ তোকে আমি দেখে নিব আমাকে আদর না করে তুই দৌরে পালালি কেন?
আমি:- আজকে আর কাছে পাচ্ছোনা তখনি আব্বু আম্মু এসেছে। যাক আজকের মত বাচা গেলো। এইটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু জোর করে আদর নিতে চাই।
আব্বু:- নীলা মা তুমি কখন এসেছো?
নীলা:- এই তো এখুনি আচ্ছা আন্টি আমি যাই।
আব্বু:- সোহরাব তুই নীলাকে সাথে করে নিয়ে ওর বাসায় দিয়ে আয়।
আমি:- আব্বু এখান থেকে ঐ বাড়ী তাতেও সাথে যেতে হবে।
আব্বু:- হ্যা যেতে হবে তুই একটু এগিয়ে দিয়ে আয়।
আমি:- ঠিক আছে, এই নীলা আসো। নীলা অনেক খুশি হয়ছে আমি হাটতেছি নীলা এসে আমার হাত জড়িয়ে ধরেছে। আমি কোন কিছু বলিনি কারন বললেও নীলা শোনবেনা। নীলা যাও তোমার বাড়ী এসে গেছে।
নীলা:- তোমাকে একটা লিপ কিস করতে ইচ্ছা করছে বলে টান মেরে আমার আমাকে ওর কাছে নিয়েছে। এদিকে আমার হাত পা সব কাপা শুরু করেছে। নীলা আমার ঠোটে কিস করতে চাইছে আমি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছি আর কিসটা পরছে আমার গালে।
আমি:- নীলা ছারো এখন এসব কিছু হবেনা যা হবে বিয়ের পর বলে নীলাকে ছারিয়ে এক দৌরে বাসায় এসে সোজা ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে বের হয়ে রুমে এসে এক ঘুম। আজকের ঘুমটা অনেক ভালোই হয়ছে সকালে ঘুম ভাঙছে আম্মুর ডাকে।
আম্মু:- কিরে কলেজে যাবি কখন তারা তারি ওঠে ফ্রেস হতে যা।
আমি:- হ্যা যাচ্ছি, ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে গিয়ে নাস্তা করে বের হবো এমনি নীলা এসে হাজির। এখন আবার ওকে কলেজে নিয়ে যেতে হবে। নীলাকে বাইকের পেছনে বসিয়ে কলেজে যাচ্ছি আর নীলা আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে। মনে হচ্ছে কেও ওকে আমার কাছ থেকে আলাদা করতে চাচ্ছে। নীলাকে নিয়ে কলেজের ভীতরে ঢুকেছি বাইকটা থামিয়ে নীলাকে নামিয়ে দিয়েছি।
নীলা:- গতকাল রাতে গালে কিস করতে দিয়েছো আজকে যদি ঠোটে কিস করতে না দাও তাহলে খবর করে ছেরে দিব।
আমি:- দেখ এইটা কলেজ আর বিয়ের আগে এসব কিছুই হবেনা যা হবে বিয়ের পর। বাইকটা রেখে পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি তসিবা নীলাকে ধরে বলতছে,,,
।
পর্ব:-(১৩)
।
আমার স্বামিকে তুই কিস করেছিস তোর এত বড় সাহোস বলে তসিবা নীলাকে থাপ্পর দিতে চাইছে। আর আমি গিয়ে তসিবার হাত ধরে ফেলছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তসিবা:- এই মেয়েটার জন্য তুমি আমার হাত ধরেছো?
আমি:- হ্যা ধরেছি নীলা আমার হুব স্ত্রী। নীলার সাথে আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করেছে। ডির্ভোসের কাগজটা হাতে পাওয়ার পরেই নীলাকে আমি বিয়ে করবো।
তসিবা:- কি তুমি কাকে বিয়ে করবে এই মেয়েটাকে?
আমি:- হ্যা এই মেয়েটাকে, আর আমি কার সাথে কি করি না করি তাতে তোমার কি?
তসিবা:- তুমি আমার স্বামি আমার তো সমস্যা হবেই তাইনা?
আমি:- কিসের স্বামি যে মেয়ে তার স্বামির নামে মিথ্যা কথা বলে। তার স্বামিকে মধ খুর ও মেয়ে বাজি বলে তার আবার কিসের স্বামি। দেখ তসিবা অনেক হয়ছে আমি আর তোমাকে আমার লাইফে চাইনা। তুমি রাজকে ভালোবাসো রাজ অনেক ভালো ছেলে তুমি রাজকে বিয়ে করে সূখের সংসার করো। শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দিতে এসোনা প্লিজ।
তসিবা:- তার মানে তুমি আমাকে এখন আর ভালোবাসো না?
আমি:- না তোমাকে ভালোবাসি না, তুমি আমার জীবন থেকে একে বারে দূরে চলে যাও।
তসিবা:- ঠিক আছে যদি আমি মরে যায় তাহলে তোমার কিছুই হবে না তাই তো।
আমি:- তোমাকে তো আমি মরতে বলিনি। তুমি আমার জীবন থেকে দূরে চলে যাও বাস এতেই আমি খুশি। নীলা এসো আমরা ক্লাসে যাই।
নীলা:- হ্যা আসো, নীলা এসে আমার হাতটা জড়িয়ে ধরেছে তসিবার সামনে। তসিবা আমার দিকে কট মট করে চেয়ে আছে আমিও নীলার কাদের উপর হাত রেখেছে। দুজনে হেটে হেটে ক্লাসের দিকে চলে এসেছি।
আমি:- চলো নীলা, আমি নীলাকে নিয়ে সোজা ক্লাসে চলে এসেছি। সরি নীলা আমার জন্য তোমাকে তসিবা অপমান করছে। প্লিজ তুমি কিছুই মনে করোনা প্লিজ।
নীলা:- ঠিক আছে তবে আজকে আমরা মুভি দেখতে যাবো বিকালে কেমন।
আমি:- মুভি আমার কাছে বরিং লাগে অন্য কোথাও যাবো কেমন।
নীলা:- ঠিক আছে, আমি আর নীলা দুজনে দুইটা ক্লাস করে নিলাম। বাহিরে এসে আমি বাইকটা বের করেছি নীলা এসে পেছনে বসতে ছিলো আর তসিবা এসে নীলাকে টান মেরে দূরে নিয়ে আমার বাইকের পেছনে তসিবা বসেছে।
আমি:- কি হলো তুমি বসেছো কেন নামো বলতেছি?
তসিবা:- আজকে আমার গাড়ী আসবেনা আমাকে একটু বাড়ীতে ছেরে দিবে প্লিজ।
আমি:- না তোমাকে আমি কোথায় নিয়ে যেতে পারবোনা নামো বলছি।
তসিবা:- তুমি তো জানো আমি একা কোথাও যেতে পারিনা প্লিজ আমাকে একটু বাড়ীতে পোছায় দাও।
আমি:- অনেক হয়ছে তোমার নাটক আমি বাইক থেকে নেমে তসিবাকে নামিয়ে এক থাপ্পর দিয়েছি। তসিবা গাল ধরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ফের যদি আর কোন দিন আমার সামনে এসো তাহলে তোমার খবর আছে।
তসিবা:- তুমি আমাকে থাপ্পর দিতে পারলে সোহরাব।
আমি:- অনেক বিরক্ত করতেছো, তুমি যদি আমাকে এতটা ভালোবাসো তাহলে কেন ডির্ভোসের জন্য এপলিগেশন করেছো?
তসিবা:- তুমি আগে সাইন করেছো তার পরে আমি সাইন করেছি। আর তুমি আমার আব্বুকে ধাক্কা দিলে কেন?
আমি:- তার জন্য তুমি আমাকে থাপ্পর দিয়েছো। আর তোমার বাবা যখন আমার আব্বুকে থাপ্পর দিয়েছে। তখন তুমি কানা হয়ে আছিলে?
তসিবা:- ওরা ভাই ভাই যা যা করতো তুমি আমাকে বলছো কেন যে আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দিবে।
আমি:- যখন আমি রাতে ফোন করেছি তখন তো তুমি আমাকে মন মত বকা বকি করেছো। দেখ তসিবা আমি চাইনা তুমি আমার জীবনে ফিরে আসো। তুমি রাজকে ভালোবাসো এতে তোমার জন্য ভালো হবে। এখন তুমি তোমার রাস্তা মাপো যাও তুমি এখন।
তসিবা:- আমি তো আজকে কোথাও যাবো না। আর বাইক থেকে নামবো না।
নীলা:- সোহরাব আমি একা চলে যাবো বাসায় তুমি তসিবাকে বাড়ীতে দিয়ে আসো।
আমি:- কিন্তু নীলা তুমি একা যাবে কি করে! তুমিও আসো আমরা তসিবাকে বাড়ীতে নামিয়ে দিয়ে চলে আসবো।
নীলা:- ঠিক আছে তাহলে চলো।
তসিবা:- আমি মাঝে বসবো।
আমি:- না তুমি একদম পেছনে বসবে আর নীলা মাঝে বসবে।
তসিবা:- বললে হলো, আমি মাঝে বসবো। যতদিন তোমার আর আমার ডির্ভোস না হবে ততদিন তুমি অন্য কোন মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে দিব না।
আমি:- এই দেখ তোমার সামনে আমি নীলাকে জড়িয়ে ধরবো বলে নীলাকে তসিবার সামনে জড়িয়ে ধরেতেছি তখনি তসিবা আমাদের দুজনের মাঝ খানে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
তসিবা:- আমি থাকতে আমার স্বামিকে জড়িয়ে ধরবে তা কি করে হয়।
আমি:- ছারো বলছি বলে তসিবাকে ছারিয়ে আমি বাইকে বসেছি। তসিবা মাঝে নীলা তার পেছনে বসে আছে। তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আছে। আমার নিশ্বাষ নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কে শোনে কার কথা তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
নীলা:- সোহরাব একটু পেছনে চেয়ে দেখ তো তোমার আব্বু গাড়ী মনে হচ্ছে।
আমি:- ঠিকই বলছো কিন্তু আব্বু আমাকে ফলো করছে কেন?
নীলা:- কখন ধরে ফলো করছে। এমনি আব্বু গাড়ীটা এনে আমার সামনে দাঁড়িয়েছে।
আব্বু:- হারাম জাদা তুই আবার সুরু করেছিস তোর জন্য আমি কত অপমানিত হয়ছা তুই আবার এই মেয়েটাকে তোর পেছনে বসিয়ে নিতেছিস।
আমি:- আব্বু তেমন কিছুই না তসিবা একা বাড়ী আসতে ভয় পাচ্ছে তাই নিয়ে আসতেছি।
আব্বু:- আগে বাইক থেকে নাম, আব্বু আমাদের সবাইকে বাইক থেকে টেনে নামিয়ে দিয়েছে। আব্বু এই তুই শুধু নীলাকে বাইকের পেছনে বসাবি। আর কোন মেয়েকে বসালে তোর কপালে খারাপি আছে।
তসিবা:- জেঠু আমার কথাটা একটু শোনবেন প্লিজ।
আব্বু:- খবরদার আমাকে জেঠু বলবে না। এই নীলা তুমি সোহরাবে জড়িয়ে ধরে কাইকের পেছনে বসবে কেমন। আমি তো আব্বুর কথা শোনে পুরাই অবাক হয়ে যাচ্ছি।
নীলা:- ঠিক আছে আঙ্কেল আপনি যা বলবেন তাই হইবে। সোহরাব আসো বস আমি বাইকে বসেছি। নীলা আমার পেছনে আমাকে জড়িয়ে ধরে বসেছে। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ছেরে দিয়েছে। আমি মন খারাপ করে সোজা নীলাকে নিয়ে চলে আসছি।
To be continue,,,,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???