♥Love At 1st Sight $2 part – 17 [ Last part ]

4
7025

Love At 1st Sight $2

part – 17 [ Last part ]

writer-Jubaida Sobti

মার্জান : [নেহার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিতে দিতে] ওয়াও! কি সুন্দর জুটি দারুণ মানিয়েছে তাই না.. আসলেই রাহুল আর স্নেহার জুটি উপর থেকেই সেট করা!

[নেহা রাগান্বিত ভাবে মার্জানের দিক তাকায়?]

মার্জান : অন্য কেউ দখলবাজি করেও কোনো লাভ হয়নি তাই না..?? কি যেন নাম তোমার?…ও হ্যা! নেহা! রাইট?

নেহা : Stupid ? [ রেগে অন্যদিক চলে যায় নেহা মার্জান হাসতে থাকে ]

রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ডান্স ফ্লোর থেকে নেমে আসে…সবাই তাদের Congreats জানাচ্ছে!

আসিফ : আরে রাহুল! দোস্ত আজ তো আমার বার্থডেটা স্পেশাল বানিয়ে দিলি…

মার্জান : [এগিয়ে এসে] Congratulation Mr. & Mrs. Rahul 

রাহুল : থেংক ইউ!?

মার্জান : প্রপোজটা কি দারুণ ছিলো.. ওয়াও! আমাকে যদি কেউ এভাবে প্রপোজ করতো না…

আসিফ : Don’t worry মে হু না…

মার্জান : Excuse me!?

আসিফ : না মানে! বলছিলাম যে! শাহরুখ খানের মে হু না…ফ্লিমটা দেখেছো?.. ?

মার্জান : No! i m not sharukh fan! আমরা সালমান খানের ফ্যান…তাই না স্নেহা?

স্নেহা : ..ইয়াহ!?

আসিফ : মুজসে্ শাদি কারোগি?..?

সবাই অবাক হয়ে আসিফের দিক তাকায়?

আসিফ : আরে! Cool ? সালমান খানের ফ্লিমের কথা বলছি! এটা নিশ্চয় দেখেছো?…

[ এবার সবাই একসাথে হেসে দিলো? ]

মার্জান : ওকে guys!? অনেক হয়েছে আজ আর নয়! এবার যায় আমি! স্নেহা কাল দেখা হচ্ছে ওকে?..

স্নেহা : [মার্জানকে ঝড়িয়ে] ওকে! বাই..সাবধানে যাস!

মার্জান : বাই! জিজা জি!? বাই জিজা কি দোস্ত!

রাহুল : ড্রপ করেদি! একা কিভাবে যাবা!?

মার্জান : No it’s ok! আমি যেতে পারবো Don’t worry?

আসিফ : আরে! আমিওতো একই রাস্তা দিয়ে যাবো… দেখ রাহুল তোরা এতোকষ্টে আজ আবার এক হয়েছিস! কতো কথা আছে তোদের… যাহ তোরা দুজন একসাথে যা মার্জানকে আমি ড্রপ করে দিচ্ছি!

মার্জান : it’s ok no problem আমি!

স্নেহা : আরে! No problem কেনো ও বলছে না ও একই রাস্তা দিয়েই যাবে…তো প্রবলেমটা কি?..

আসিফ : ক্যারেক্ট স্নেহা!?

স্নেহা : [আসিফের দিক এগিয়ে ফিসফিস করে] ? কিয়া কারু হায়ে! কুচ্ কুচ্ হতা হে?

[আসিফ লজ্জা পেয়ে যায়! রাহুল আর স্নেহা হেসে দেই?]

স্নেহা : হে না?..হুম হুম?..ইশ! কি লজ্জা!

মার্জান : [স্নেহাকে চিমটি দিয়ে] এই ফাযিল মেয়ে…কি বলছিস্ এসব?..

স্নেহা : কিছুনা! তুই বুঝবি না এসব!?আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে এবার বাই..ওকে!

[ রাহুল আর স্নেহা পার্কিং এর দিক রওনা দিচ্ছিলো..ইতিমধ্যেই অনেক ফ্রেন্ডস দাড় করিয়ে করিয়ে Congreats জানাচ্ছে..]

[হঠাৎ, পেছন থেকে নেহা জোড়ে তালি দিয়ে দিয়ে এগিয়ে আসে, রাহুল স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকাই]

নেহা : ওয়াও…Congratulations..

রাহুল : থেংক ইউ!

নেহা : ফাইনালি এই চাম্বুস আন্টিকেই বেছে নিলে!

রাহুল : Shut-up নেহা!

নেহা : হ্যা! তাইতো এখন তো আমাকেই চুপ করতে বলবে! দেখো রাহুল! আমি বলে দিচ্ছি…এসব মেয়েদের আমি হারে হারে চিনি! এরা তোমার মতো ছেলেদের ফুসিয়ে ফাসিয়ে..

স্নেহা : [নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে] আই একদম চুপ!? আমার কাপড়টা তুই ছিড়েছিলি তাইনা?..

নেহা : what!

স্নেহা : কোনো চালাকি না?..আমি জানি তুই করেছিলি… তো কি লাভ হয়েছে?..বল…রাহুলকে পেয়েছিস?..

নেহা : [রেগে unfortunately স্নেহাকে থাপ্পড় দিতে যাবে…হঠাৎ রাহুল নেহার হাত ধরে ফেলে..স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে! ]

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে]? স্নেহাকে থাপ্পড় মারা তো দূরের কথা… হাত লাগানোর পারমিশন ও আমি কাউকে দেইনি… [ ঝাড়ি দিয়ে নেহার হাত ছুড়ে ফেলে রাহুল ]

নেহা : রাহুল Listen to me!?কি আছে ওর?…গাইয়া মেয়ে একটা…তুমি ওর জন্য আমাকে..

রাহুল : ওকে! ওকে! নেহা একটা প্রশ্নের জবাব দাও! মানলাম তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো আমিও! আমার বাড়িতে এটা মেনে নিচ্ছে না…তাই আমি বাড়ী ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসলাম…তখন তুমি কি করবা?..

নেহা : বাড়ী ছেড়ে কেনো চলে আসবা…?তুমি ওদের বুঝিয়ে বলবা…ওখানে তো তোমার ও হক আছে..তাই না..

রাহুল : হা হা? জানতাম এমনি কিছু আনস্যার দিবা… ওকে স্নেহা Now ur trun…আমিও সেইম সব ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসলাম তখন তুমি কি করবা?..

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ঝড়িয়ে ধরে] তখন আমরা দুজন মিলে গাছ তলায় বাস করবো… 

রাহুল : কি যেন বললে! নেহা কি আছে এই মেয়ের তাই না?… কিছু নেই এই মেয়ের কিন্তু এই গুনটি আছে…১০০% পিউর..

চলো স্নেহা! [ রাহুল চলে যাচ্ছে স্নেহা ও চলে যাচ্ছিলো কিন্তু নেহার পাশে গিয়ে একটু থেমে যায়]

স্নেহা : একটা পুরা পুরা গন্ধ আসছে না?..

[ নেহা রাগান্বিতভাবে স্নেহার দিক তাকায়?]

স্নেহা : ও হ্যা! আমার মনে হয় কেউ একজন ঝলছে্ ?

হঠাৎ,

রাহুল : [চেঁচিয়ে…] স্নেহা!

স্নেহা : বাই, মিস্ ইউনিভার্স.. ?
[ নেহাকে রাগিয়ে স্নেহা রাহুলের কাছে চলে আসে]

রাহুল : তোমাকে বলেছিলামনা চলে আসতে আবার কি করছিলা…

স্নেহা : আরেহ! ওকে একটু বাজিয়ে দেখছিলাম..?

রাহুল : হয়েছে বাজানো?.. এবার কি গাড়ীতে উঠবেন..

স্নেহা : হিহি! Yes yes…?

দুজনেই..গাড়ীতে উঠে পড়ে…স্নেহা গুনগুনিয়ে গান করছে…

স্নেহা : আচ্ছা শুনো…

রাহুল : হুম বলো!

স্নেহা : না থাক কিছুনা..

রাহুল : তোমার ড্রামার আর শেষ নেই…

স্নেহা : ??হা হা হা…

[ অবশেষে বাড়ী এসে পৌছালো…]

রাহুল : তুমি নেমে ভেতরে যাও…আমি গাড়ী পার্ক করে আসছি..

[ স্নেহা খুশি খুশি নেমে ঘরে ঢুকছে…দেখে দরজা আগে থেকেই খোলা…যে না পা বাড়াবে…ঐ মুহূর্তেই স্নেহা শকড হয়ে দাঁড়িয়ে যায়…?…পা আর সামনে বাড়াতে পারছে না…ভয়ে স্নেহা পা পিছিয়ে নেই…ধীরেধীরে পেছাতে লাগলো স্নেহা..হঠাৎ কারো সাথে ধাক্ষা খেলো… তাড়াতাড়ি ফিরে তাকিয়ে দেখে রাহুল..]

রাহুল : কি হলো স্নেহা! এখনো ঢুকোনি?..আর এভাবে পেছন হয়ে হাটছো কেনো…

[স্নেহার চোখ ভিজে গেলো পানিতে…]

রাহুল : What happen ?…আরে..কাদছো কেনো?

স্নেহা : রাহুল!? বাবা!

রাহুল : বাবা! কোথায় বাবা?..?

স্নেহা : ভেতরে?

রাহুল : তো কি হয়েছে চলো! [ রাহুল স্নেহার হাত ধরে এগুতে লাগলো কিন্তু স্নেহা থমকে দাঁড়িয়ে রইলো ]

স্নেহা : রাহুল আমার অনেক ভয় করছে?

রাহুল : [রেগে] ?ভয় করছে মানে?..আজিব! কি করবে তোমার বাবা..? শুনো তোমার বাবা আমার একটা চুল ও বাকা করতে পারবে না বুঝলে.. So come with me!

স্নেহা : মানে! কি করবা বাবাকে?..?

রাহুল : তোমার বাবা! মানে আমার বাবার মতো! কিছুই করবো না…?

স্নেহা : রাহুল! চলো আমরা এইখান থেকে এখন পালিয়ে যায়! বাবা চলে গেলে তারপর না হয় ফিরবো!

রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে] Just! Shut-up স্নেহা!

[স্নেহা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায় আবার কেঁদে দেই!?]

রাহুল : স্নেহা! তোমার মোটেও ভয় পেতে হবে না…আমি আছিতো? [ রাহুল স্নেহাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ঘরে ঢুকে স্নেহা ভয়ে রাহুলের হাত ধরে গুটিমুটি হয়ে আছে….স্নেহার বাবা বসা থেকে উঠে স্নেহার সামনে এসে দাঁড়ায়!]

বাবা : ছোট থেকে এই হাতে পেলে..বড় করেছিলাম তুকে! আজকের এইদিনটা দেখানোর জন্যে?…পালানোর আগে..এই হতভাগা বাবার কথা একটিবার ও তোর মনে পড়েনি?…

স্নেহা : সরি! বাবা?

বাবা : সরি?..এটা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে?..হুম?..
লেখাপড়া করতে চেয়েছিস তাও করালাম… শহরে এসে ভার্সেটি পড়বি বলেছিলি…সেটাও মেনে নিলাম.. কেনো স্নেহা বল?..আজকের এইদিন গুলো দেখানোর জন্যে?…

[ স্নেহা বাবা বলে এগিয়ে গেলো আর স্নেহার বাবা তাকে একটি চড় বসিয়ে দিলো ]

বাবা : খবরদার আমাকে আর বাবা বলবি না!

[ হঠাৎ কিছু কাচ ভাংগার বিকট শব্দ… ফিরে তাকালে দেখে…টেবিল ল্যাম্পটি রাহুল হাত দিয়ে বাড়ি মারে…আর রাহুলের হাত থেকে…গড়গড় করে রক্ত ঝড়ছে]

দাদী : [ চিৎকার করে ] ? রাহুল!

[ রাহুল রক্তাক্ত হাত মুঠি বেধে রাগান্বিত ভাবে স্নেহাকে পিছে ঠেলে স্নেহার বাবার দিক এগিয়ে আসে ]

রাহুল : ?আমিই স্নেহাকে প্রথম দেখেছি..আমিই প্রথম ওর প্রেমে পড়েছি! যা! হয়েছে তাতে স্নেহার কোনো দোষ নেই! মারতে হলে আমাকে মারুন..কিন্তু স্নেহার গায়ে আর একটাও টুকা লাগাবেন না..

[স্নেহার বাবা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো ?]

বাবা : কিসের এতো বড়াই! হুম?.. আর আমি যদি বলি আমি তোমার সাথে স্নেহাকে বিয়ে দেবো না…তাহলে? বলো..কি করবে?.. মারবে আমায়!

রাহুল : না আংকেল! মারবো না! আমার বাবা নেই…আমি আপনাকে তার মতোই রেসপেক্ট করি! কিন্তু আমি বেচে থাকতে স্নেহা অন্যকারো হবে তা আমি কখনো সজ্য করতে পারবো না…তাই নিজেকে…[ টেবিল থেকে ফুলের টপটি নিয়ে নিজ হাতে আবার বাড়ি মারলো রাহুল ] কষ্ট দিয়ে শেষ করে দিবো ?

[স্নেহা রাহুল বলে চেঁচিয়ে তার হাত এগিয়ে নিলো! গড়গড় করে রক্ত ঝড়ছে রাহুলের হাত থেকে! ]

স্নেহা : কি করছো কি রাহুল? পাগল নাকি?…আমি জানি তুমি বাবার গায়ে হাত তুলতে পারছো না তাই নিজেকে ক্ষতি করছো..? কিন্তু তুমি জানো না…তোমার কষ্ট মানে আমার কষ্ট!

[স্নেহা তার বাবার সামনে গিয়ে মাটিতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে ]

স্নেহা : বাবা!? আমি তোমার কাছ থেকে আর কখনো কিছুই চাইবো না…প্লিজ বাবা আমি রাহুলকে তোমার কাছ থেকে ভিক্ষা চাইছি?

[স্নেহার এমন আচরণে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না?]

বাবা : [স্নেহাকে তুলে ধরে] আমিতো অনেক আগেই মেনে নিয়েছি পাগলী… শুধু একটু রাগ করেছিলাম..একটাবার ও আমাকে বলে দেখলিনা! যেদিন গ্রামে রাহুল তোর হাত ধরে টেনে আনছিলো ঐদিনই আমি বুঝে নিয়েছি তোদের মাঝে কিছু আছে…আমি ভেবেছিলাম তুই নিজ মুখে আমাকে বলবি! কিন্তু তা করিসনি….ফাঁকি দিয়ে চলে এলি!

[স্নেহা ফুফিয়ে কেঁদে ?তার বাবাকে ঝড়িয়ে ধরে]

বাবা : রাহুলের মতো জীবন সঙী আর কোথাও পাবোনা তোর জন্য! যে ছেলে তোর গালে চড় মেরেছি বলে নিজের শরীরের রক্ত ঝড়াচ্ছে…এর চেয়ে ভালো ছেলে আর কোথায় পাবো বল?

[ স্নেহাকে সরিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে যায় স্নেহার বাবা ]

বাবা : দুদিন পরেই বিয়ের তারিখ ঠিক করেছি..তোমার দাদী আর আমি! অপেক্ষায় থাকবে স্নেহা বউ বেশে…তোমার বরাতির ?

রাহুলের চোখ ভিজে আসলো হঠাৎ! জানে না সে…কেনো ভিজছে! তবে এইটুকু জানে! দুদিন পর স্নেহা চিরজীবন এর জন্য রাহুলের হয়ে যাবে!

[স্নেহার বাবা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে..রাহুল অবাক হয়ে যায়..]

বাবা : [ কেঁদে ] স্নেহা আমার খুব আদরের মেয়ে..অনেক কষ্টে তাকে পাওয়া.. মা হারানো মেয়েটি..কখনো মায়ের সুখ অনুভব করেতে পারেনি! আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি তার সব আবদার পূরণের…আমি সব শুনেছি আমার অমতে স্নেহাকে…অনেক কষ্ট দেওয়া হতো…তাই একটাই প্রার্থনা করতাম সবসময় তার জীবনে এমন একজন সঙী দেক…যে তাকে আমার চেয়ে ও বেশি ভালোবাসবে…[ চোখ মুছে দাঁড়িয়ে হেসে..] আজ আমি সার্থক তোমার মতো একজন ছেলে পেয়ে..

রাহুল : Don’t worry আংকেল!

স্নেহা : [এগিয়ে এসে ] আরে! আংকেল মানে! এখন তো বাবা বলতে পারো…

[সবাই হেসে দেই…?]

দাদী : [এগিয়ে এসে] একদম চিন্তা করবেন না…স্নেহা এইবাড়ির বউ না..এই বাড়ির মেয়ে হয়ে আসবে!? তাই না স্নেহা?

স্নেহার বাবা : আচ্ছা স্নেহা চল! এইবার, অনেক কাজ পড়ে আছে! তোর আর মিলি দুজনের বিয়ের আয়োজন একসাথে…তার মানে বুঝতে পারছিস কতো কাজ! যা ব্যাগ নিয়ে আয়!

[ স্নেহা ব্যাগ আনতে চলে যায় রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে…? ]

সিফা : [একটু কেশে রাহুলের দিক এগিয়ে আসে ] হুম! বুঝতে পারছি! অনেক কষ্ট হচ্ছে!?

রাহুল : Shut-up ভাবী! ?

সিফা : কিছু বলার আছে স্নেহাকে?হুম হুম?.. ওকে বুঝেছি সবার সামনে বলা যাচ্ছে না তাইতো…

রাহুল : ??

সিফা : আবারো বেচারার মতো মুখ বানিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! আরে যাহ না! ও হয়তো রুমে তোর অপেক্ষা করছে!

[ রাহুল আর এক সেকেন্ড ও ভাবলো না তাড়াহুড়ো করে উপরে উঠে রুমের দিক এগিয়ে গেলো দেখে স্নেহা ব্যাগ নিয়ে বের হতেই যাচ্ছে!]

[রাহুল রুমে ঢুকলে স্নেহা ও এগিয়ে আসে…কেঁদে ঝড়িয়ে ধরে রাহুলকে]

রাহুল : আরে! কাঁদছো কেনো আবার…কি হলো!?

স্নেহা : এতো ভালোবাসে কেনো আমায়!?

[রাহুল একটু হেসে স্নেহার চোখ মুছে দিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] আরে! এইতো এখনো প্রচুর রক্ত ঝড়ছে!? কি দরকার ছিলো বলোতো এসব করার?..ফার্ষ্ট এইড বক্স কোথায় আমাকে বলো?..আমি ওয়াস করে দিচ্ছি!

রাহুল : That’s ok স্নেহা! don’t worry ঠিক হয়ে যাবে!

স্নেহা : ঠিক হয়ে যাবে মানে!? বল্লামতো [ হঠাৎ রাহুল স্নেহার কপালে একটি চুমু খায় আর স্নেহা চুপ হয়ে যায়]

রাহুল : যাও নিচে যাও! তোমার বাবা ওয়েট করছে!

স্নেহা : কিন্তু রাহুল!?

রাহুল : শিসস্! বললাম তো Don’t worry! ok?..

[ স্নেহা আবারো রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে.. রাহুল ও শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে]

কিছুক্ষণ পরে দড়জায় কেউ বাড়ি দিলো,

রাহুল : স্নেহা! [ স্নেহা আরো শক্ত করে ঝড়িয়ে ধরে রাখে ] রিলেক্স ড্রামাকুইন! সব ভালোবাসা আজই দেখিয়ে দিবে নাকি!…

স্নেহা : মাথা তুলে! কি বললে?..?

রাহুল : কই কিছুনাতো! তোমাকে ডাকতে এসেছে বললাম চলো!

[ রাহুল আর স্নেহা দুজনেই নেমে এলো, সবার থেকে বিদায় নিয়ে স্নেহা চলে যাচ্ছে.. রাহুল চেয়ে আছে স্নেহার চলে যাওয়া হঠাৎ দেখে স্নেহা আবার দৌড়ে ফিরে আসে! কিছু বলতে চাচ্ছিলো রাহুলকে ঠিক ঐসময় দাদী আর সিফাকে দেখে স্নেহা চুপ হয়ে যায়! তারা বুঝতে পেরে সরে যায়! ?]

রাহুল : [স্নেহার কাছে গিয়ে] কি হলো স্নেহা! ?

স্নেহা : না মানে! বলছিলাম যে…তোমার নাম্বারটা নেওয়া হলো না! মানে! তোমাকে মিস্ করলে তখন?

[ Rahul give a tedi smile?]

স্নেহা : কি হলো?..আবার তেডি স্মাইল দিচ্ছো কেনো?..?

রাহুল : ? আমি জানি তোমার নাম্বার.. আমি দিবো কল!

স্নেহা : তুমি!?কেমনি!

রাহুল : স্নেহা আমি! তোমাকে ভালোবাসি জানোতো?..

স্নেহা : হ্যা! জানি

রাহুল : তাহলে কেমনি জিজ্ঞেস করছো যে?…

স্নেহা : [ ব্লাশিং ] ওকে বাই!?

রাহুল : বাই! টেক কেয়ার?

[ স্নেহা চলে গেলো রাহুল রুমে বসে আছে…সেই প্রথম স্নেহার সাথে ভার্সেটিতে দেখা..স্নেহার বাচ্চাদের মতো ড্রামা করা.. সব মোমেন্ট রাহুলের মনে পড়ছে…আর মনে মনে ব্লাশিং হচ্ছে ]

হঠাৎ, দরজা বাড়ী দিলো… খুলে দেখে ভাবী…

ভাবী : কি হলো বিয়ের খুশীতে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবি নাকি ?

রাহুল : [একটু হেসে] Shut-up ভাবী..আমার খিদে নেই..পার্টিতে অনেক কিছু জোড় করে খাইয়েছে?

ভাবী : ওহ হ্যা! এখন তো খিদে থাকবে না..বুঝি বুঝি.. ? [ভাবী রাহুলকে টেনে ভেতরে ঢুকে] আচ্ছা আমি ব্যান্ডেজ নিয়ে এসেছি এদিকে…আয় ওয়াস করেদি..

রাহুল : Come on! ভাবী! তুমিও স্নেহার মতো শুরু করে দিলা!?

ভাবী : শুরু করে দিলা মানে?..একদম চুপ কর পরে ইনফেকশন হয়ে গেলে তারপর বুঝবি!

রাহুল : হ্যা! তোমাদের না ডাক্তারি পড়া উচিৎ ছিলো..কে বলেছে বিয়ে শাধি করে সংসার করতে!

ভাবী : হ্যা সেটা বিয়ের আগে তোর ভাইকে বুঝাতে পারিসনি!

রাহুল : আচ্ছা হ্যা! ভাইয়া আসছে না?..

ভাবী : আসছে আসছেরে বাবা! কালকে বিকেলের ফ্লাটে আসবে!

রাহুল : ওমা এর মধ্যে কথাও বলে ফেলেছো..

ভাবী : বদমাইশ ?নে ধর ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি!

রাহুল : থেংক্স..ভাবি

ভাবী : কাল কোথাও যাবি না শপিং এ যেতে হবে কিন্তু! [ রাহুলকে একটু গাল টেনে দিয়ে চলে যায়,রাহুল ব্লাশিং ?]

ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে…নানারকম সপ্ন দেখছে রাহুল…ব্লাশিং হতেই চলছে….ঘড়ির দিক তাকিয়ে দেখে ২টা বেজে ৩০ মিনিট..মনে মনে ভাবছে ড্রামাকুইনকে এইবার একটা কল দেওয়া যাক!

ফোন বেজে উঠলো…

স্নেহা : হ্যালো!

রাহুল : ড্রামাকুইন

স্নেহা : রাহুল?

রাহুল : হুম!

স্নেহা : কি বেপ্পার ? মিস্ করছিলে আমায়…

রাহুল : ই..ইয়াহ!

স্নেহা : আমিও?

রাহুল : ওহ! রিয়েলি?

স্নেহা : হুম!? [ Blushing ]

রাহুল : আর বেশীদিন মিস্ করতে হবে না..ড্রামাকুইন তোমাকে এক্কেবারে আমার কাছে নিয়ে আসবো…
আচ্ছা আংকেল কই?..

স্নেহা : আছে ঐদিকটাই…আর তুমি আংকেল কেনো বললে?..বাবা বলো..

রাহুল : Shut-up!?

স্নেহা : ঠিকাছে বাই!

রাহুল : আরে!? [ স্নেহা ফোন কেটে দিলো রাহুল আবার ব্যাক করলেও রিসিভ করে না ]

পরদিন সকালে, রাহুলের ফুফিরা..কাজিনরা আরো…নানাধরনের রিলিটিভস্ সবাই এসে বাড়ী ভর্তী হয়ে যায়… শপিং করে… কাজিনদের সাথে আড্ডা দিয়ে..রিলেক্স হয়ে রুমে আসে…ফোন দিলো স্নেহাকে…

স্নেহা : হ্যা বলো!

রাহুল : কি হলো স্নেহা সারাদিন ফোন দিলাম তোমার খবরই নেই!

স্নেহা : হুম!

রাহুল : হুম মানে?..আজিব! আচ্ছা শোনো…তোমার কাপড় পছন্দ হয়েছে?…

স্নেহা : নাহ!

রাহুল : নাহ মানে এটা আমি পছন্দ করে কিনেছি Damn it!

স্নেহা : তো কি হয়েছে!

রাহুল : ওকে! সরি?

স্নেহা : [ হেসে ] বুদ্ধু একটা…অনেক পছন্দ হয়েছে…সবাই তো আমারটাই বেশি পছন্দ করেছে…বলছে যেমন সুন্দর বর…তেমন সুন্দর তার পছন্দ ও….বাবাতো এইখানে এসে তোমার কি তারিফ! তুমি এমন.. অমন কত্তকি…আর ঐদিন গ্রামে তুমি গান গেয়েছিলে…না সবাই তো এখনো তোমার গান গাওয়া ভুলছে না…কত্তো মেয়েই না তোমার জন্য পাগল হয়েছে বাব্বা…আমি তো বলেছি ওটা আমার ওর দিকে চোখ দিলে না চোখ খুলে ফেলবো… আমারতো কি প্রাউড ফিল

রাহুল : ওকে রিলেক্স রিলেক্স স্নেহা!?

স্নেহা : কেনো কি হয়েছে?..

রাহুল : যাও গিয়ে পানি খাও..একসাথে কতো গুলাইনা বক বক করেছো…

স্নেহা : ?? [ এভাবে কথা বলতে বলতেই পুরো রাত শেষ করে দেই…রাহুল আর স্নেহা..]

পরদিন..আনন্দ এবং ধুমধাম এর সাথে…হলুদ সন্ধ্যা শেষ করা হয়…ঘনিয়ে নিকটে আসলো বিয়েরদিন…আজ ভোরটাও কেমন জানি লাগছে…হঠাৎ ধুম করে দরজা খুলে…রাহুলের ফ্রেন্ডসরা ঢুকে…চেঁচামেচি শুরু করে দিলো… রাতে তাড়াহুড়োতে দরজা আটকাতে ভুলে গেছে…নিশ্চিত জানতো এই বানরগুলো সকাল সকাল এসে হামলা করবে…

আসিফ : ভাই! তোর সেটিং তো..হয়ে গেছে এবার আমাদের ও করে দেনা..?

রাহুল গিয়ে বালিশের কোণ থেকে মোবাইলটা নিতে গেলো… অমনিই ঝাপটা মেরে এক বন্ধু মোবাইল কেড়ে নেই…

বন্ধু : ভাই আমরা দেখিনা একটু ভাবীর সাথে কি কি কথা হচ্ছে!

রাহুল : [মোবাইল কেড়ে নিয়ে] Shut-up ওখানে কিছুই নেই!

আসিফ : [ মোবাইল কেড়ে নিয়ে ] আছে না আছে ওটা আমরা দেখেনিবো..তুই যা যাহ..ফ্রেশ হয়ে আয়..[ মোবাইল টিপতে টিপতে] আরে কল লিষ্টের শুরুতেই..ওহ ও…রাতভর সপ্নজাগা কথা হয়েছে বুঝি?

রাহুল : Shut-up আসিফ! don’t do this…

[ আসিফ স্নেহাকে কল দিয়ে দিলো ফোন লাউডস্পিকার করা.. ]

স্নেহা : হ্যালো!

আসিফ : হ্যালো সুইট্হার্ট..

স্নেহা : কি বললে?..

আসিফ : কেনো জান আমি কি তোমাকে সুইটহার্ট বলতে পারিনা…

স্নেহা : কখনোই না..

[ সবাই হেসে দিলো ]

আসিফ : আরে জান কেনো নাহ?..

স্নেহা : কারণ আমি জানি! তুমি আমার রাহুল না..তুমি হলে ফাযিল আসি্ফ!

আসিফ : ??আরে স্নেহা কেমনি চিনলে?..

স্নেহা : দিলসে্ পেয়ার কারতি হু বস্ ওর আওয়াজ… হিমালয় পর্বত থেকে ও যদি স্নেহা বলে ডাক দেই না…তাও আমি জেনে যাবো…

[ রাহুল ব্লাশিং?…সবাই চেঁচিয়ে উঠে…ওয়াহ ওয়াহ কিয়া বাত্ হে ]

রাহুল : [ আসিফ থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে…] ওকে স্নেহা..Now বাই!? তৈরী থেকো.. নিতে আসবো..

[স্নেহা একটু লজ্জা? পেয়ে ফোনটা কেটে দিলো ]

[ হঠাৎ, দরজা খুলে ভাবী নাশতা নিয়ে এগিয়ে এলো ]

ভাবী : আরে! কি ফাযিল বাচ্চারা! বললাম ওকে তৈরী করে দিতে..আর এরাতো দেখি…

[ সবাই একসাথে রাহুলের দিক আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো.. আর বলতে লাগলো আমাদের কি দোষ ও স্নেহার সাথে রোমান্স করছে ফোনে..]

রাহুল : Yeah right! all idiots ? [ রাহুল ফ্রেশ হতে চলে গেলো.. ]

এইদিকে স্নেহা..লালটুকটুকে বউ সেজে বসে আছে…রাহুলের অপেক্ষায়…চারদিক হৈচৈ…নানাধরনের আয়োজন! দুই বোনের একসাথে বিয়ে বলে কথা!

মিলি : ওয়াও! পরির মতো লাগছে আজ আমার বোনটাকে..?

স্নেহা : এহ! আর তোমাকে?..কাচা আলু তাই না?..?

মিলি : ?? [ স্নেহা মিলির দিক তাকিয়ে রইলো চোখ ভিজে আসছে ?স্নেহার যেনো এক্ষুনি পড়বে জলের ফোটা..] আরে পাগলী কি হয়েছে?..?

স্নেহা : [ কেঁদে মিলিকে ঝড়িয়ে ] তুমি আমাকে ভুলে যাবা?..?

মিলি : কি বলছিস পাগলী ?

ভুলবো কেনো… [ হঠাৎ চারদিক হৈ হুল্লোর আওয়াজ আসছে বর এসেছে বলে বলে ]

মিলি : [ স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে ] হয়েছে..এখন আর কাঁদিস না..চোখের কাজল লেপ্টে যাবে! তখন রাহুল বলবে..আমার বউ নাকি ভুত এটা..?

[ স্নেহা ও হেসে দেই ]

রাহুলরা বেশী কেউই আসেনি তার বন্ধুরা আর কয়েকটা রিলিটিভস্ মিলেই এসেছে…

স্নেহাকে রাহুলের পাশে এনে বসিয়ে দিলো..,রাহুল এর? মনে…হচ্ছিলো গৌরাকপুরের লাল পরীকেই তার পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে…

[ আনন্দের সাথে…পুরো বিয়েটা শেষ করা হয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে! ]

স্নেহার বাবার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিলো… দুই মেয়েকেই একসাথে বিদায় দিতে! তাই দুজনকেই ঝড়িয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েন তিনি!

রাহুল : বাই আংকেল!

স্নেহা : [ চোখ মুছে রাহুলের কানে ফিসফিসিয়ে ] বাই আংকেল কেনো বাই বাবা বলো..

রাহুল : Shut-up!?

[ স্নেহা চুপ হয়ে গেলো.. রাহুল অন্যদিক ফিরে একটু হেসে দিলো স্নেহার কান্ড দেখে.. অবশেষে বিদায় নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলো… বাড়ী পৌছাতে পৌছাতে রাত ৩টা বেজে গেলো…ভাবী আর রাহুলের কয়েকটা কাজিন মিলে স্নেহাকে…রাহুলের রুমে বসিয়ে দিয়ে চলে যায়,

স্নেহা…উঠে দাঁড়িয়ে..সবদিক ঘুরে ঘুরে দেখছে..পুরো রুমটাই চেঞ্জ করে ফেলেছে ফুল আর ক্যান্ডেলাইট দিয়ে সাজিয়ে..?..হঠাৎ দরজার দিক কেউ আসার শব্দ পেলে স্নেহা…হুড়হুড় করে খাটে উঠে লম্বা ঘোমটা টেনে এমন ভাবনিয়ে বসে যেন সে কিছুই জানে না…রাহুল রুমে ঢুকে দেখে…স্নেহা গুটিমেরে খাটের মাঝে বসে আছে…চারদিক ক্যান্ডেল লাইটের আবছা আলোতে…তাকে..এঞ্জেলই মনে হচ্ছে! ?…একটু পর পর স্নেহা ঘোমটা সরিয়ে সরিয়ে দেখছে! রাহুল গিয়ে স্নেহার পাশে বসে! স্নেহার হাত ধরতেই স্নেহা এমন শকড হয়ে উঠলো যেন তাকে..ক্যারেন্ট লাগিয়ে দিয়েছে!

রাহুল : What happen!? [ রাহুল স্নেহার ঘোমটা তুলে ] you ok?..

স্নেহা : [ একটু ঘাবড়ে ] হ্যা হ্যা আমি ঠিকাছি!

রাহুল : ওকে ফাইন!? [ রাহুল আবার স্নেহার হাত ধরে তার হাতে একটা কিস্ করে..]

স্নেহা : [ ঘুমের আলসেমি কেটে ] আরে! আমারতো অনেক ঘুম পাচ্ছে!?কি করি?..

রাহুল : সব করো কিন্তু ড্রামা করবানা?

[ স্নেহা বিড়বিড় করে কি যেন বলে ফেলছে…তখন স্নেহাকে এতো কিউট?লাগছিলো আর রাহুল হুট করে স্নেহার গালে একটি চুমু খেলো.. স্নেহা Shocked ?]

[ Rahul give a tedi smile? স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় ?]

রাহুল : ওকে! এক কাজ করো! তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও…তারপর ঘুমিয়ে পরো! জার্নিং করে এসেছো অনেক টায়ার্ড লাগছে হয়তো! আমার একটা কল করতে হবে! আমি আসছি! [ রাহুল উঠে চলে যায়.. স্নেহা ব্লাশিং হতে থাকে!?]

রাহুল অনেক্ষণ পর এসে দেখে… স্নেহা ফ্রেশ হয়ে জানালার দিক দাঁড়িয়ে আছে! চোখে লেপ্টানো কাজল..ভেজা ভেজা চুল! হালকা হালকা উড়ছে..?

স্নেহা : কোথায় গিয়েছিলে?..এতোক্ষণ?

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] সরি! সরি! নিচে ওরা..সবাই কথা বলছিলো ওদিকেই বেজে গেলাম! ok forget it! চলো ঘুমাবে!

স্নেহা : ঘুম আসছে! না এখন..?

রাহুল : [?স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] ওহ তাই! তাহলে…

স্নেহা : আরে আরে! আমিতো মজা করছিলাম! আমার না ভীষণ ঘুম পাচ্ছে! ওকে গুড নাইট বাই হ্যা!…টাটা!

রাহুল : ড্রামাকুইন! [ স্নেহাকে টেনে কোলে তুলে নিলো.. ] টাটা মানে! কই যাও?..একসাথেই তো ঘুমাবো!

স্নেহা : ও! হ্যা?

[ রাহুল হেসে দিলে স্নেহা ও হেসে দেই…স্নেহাকে খাটে শুয়ে দিয়ে রাহুল বাতি অফ করে শুয়ে পড়ে…কিছুক্ষণ পড় স্নেহা রাহুলের বুকে এসে মাথা রাখে…রাহুল ও স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে, ]

ভোর হলো,…

কানের মধ্যে শুরশুরি লাগাতে রাহুল লাফিয়ে উঠলো… ?আর স্নেহা খিলখিল করে হাসতে থাকে…

রাহুল : What is this??

স্নেহা : [ হাসি চেপে ] What is this না! Good morning ?

রাহুল : [ একটু হেসে ] Okay! Good morning! [ রাহুল উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়…পরে নিচে নেমে এসে দেখে স্নেহা সবার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে! আর রাহুলকে দেখে সবাই এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন তাকে সবাই নতুন দেখছে.. সাতপাঁচ না ভেবে নাশতা করতে বসে যায়!…কিছুক্ষণ পরপর স্নেহার দিক তাকাচ্ছে রাহুল স্নেহা ও তা বুঝতে পেরে মিটিমিটি হাসছে..?]

সারাদিন মিলে সন্ধায় স্নেহা রুমে ঢুকলো…

রাহুল : আর না আসলেই পারতে!?আসলা কেনো

স্নেহা : আরে! সবাই মিলে নিচে কতো গল্প করছিলাম! তাই! [রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে আসে স্নেহা চুপ হয়ে যায়…আর মনে মনে বলতে থাকে..এই কারণেই তো আসিনি! জানতাম এমনি কিছু একটা ঘটবে! ?]

রাহুল : [ স্নেহার শাড়ীর আচল সরিয়ে কোমোড়ে স্লাইড করে..]? you looking s…

স্নেহা : S মানে!?

রাহুল : Sexy?

স্নেহা : ছিঃ! S দিয়েতো আরো ওয়ার্ড ছিলো… Sweet, Supper

রাহুল : শিসস্! ? [স্নেহার মুখে হাত দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো.. ]

[ Sneha’s heart beating fast ? ]

রাহুল ধীরেধীরে স্নেহাকে কিস্ করতে চাইলে…

স্নেহা : দাদী! ?

রাহুল : What?

স্নেহা : আ…? আমার মনে হচ্ছে দাদী ডাকছে! আমি আসি হ্যা! [ বলেই স্নেহা হুড়হুড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো ]

রাহুল : আরে! স্নেহা!? [ রাহুল ও আর কিছু না বলে নিচে নেমে গেলো ]

ভাবী : আরে স্নেহা! কোথায় গিয়েছিলে! [হঠাৎ রাহুলকে পিছে দেখে ] ওহ! সরি সরি! বুঝছি?

[ স্নেহা পেছন ফিরে দেখে রাহুল তাই আবার তাড়াতাড়ি সামনে ফিরে যায় ]

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] দাদী! তুমি কি এখন কাউকে ডেকেছিলে?..?

দাদী : কই নাতো! [ রাহুল স্নেহার দিক তাকায় আর স্নেহা কোণা চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে তাড়াতাড়ি অন্যদিক ফিরে যায় দেখে ফাবিহা আর কিছু বাচ্চারা মিলে খেলছে! তাই স্নেহা ঐদিকটা চলে গেলো.. ]

রাহুল : [ মনে মনে ] ?এই স্নেহার হলোটা কি ও আমার থেকে পালাচ্ছে কেনো ?..

রাতে ডিনার করে,

রাহুল : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] ড্রামা অফ করে এবার চুপচাপ আমার সাথে রুমে চলো কথা আছে!

রাহুল রুমে চলে আসে.. রাহুলের কাজিনরা,ভাবীরা ড্রইং রুমে বসে কথা বলছে! স্নেহা ও গিয়ে ঐদিকটা বসে পড়ে! আর বার বার উপরের দিক তাকাচ্ছে রাহুল আসছে কিনা দেখছে!

দাদী : হয়েছে অনেক কথা! যা গিয়ে এবার সবাই শুয়ে পড়! অনেক রাত হয়েছে! [ এই বলে দাদী চলে গেলো ]

হঠাৎ, রাহুল ফুল এংগরি মুড নিয়ে নিচে নেমে আসে, আর স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে!
স্নেহা রাহুলকে দেখে একটু হাসার চেষ্টা করে! কিন্তু দেখে রাহুল হাসছে না..মুড নিয়ে আছে.. মনে মনে ভাবছে নিশ্চয় রেগে আছে!

হঠাৎ রাহুলের এক কাজিন বলে উঠে! ভাবী! যাও যাও রাহুল ভাইয়ার ঘুম আসছে না…তোমাকে ছাড়া!

স্নেহা কিছু না বলে উঠে রুমের দিক এগুতে লাগলো… পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে..এখনো রোবোটের মতো দাঁড়িয়ে আছে রাহুল!

স্নেহা : [ মনে মনে ] বাব্বা এত্তো রাগতে হয়ে নাকি?..

[ কিছুক্ষণ পর রাহুল রুমে আসে দেখে স্নেহা নেই…মাথাটা গেলো আবার ধরে ?]

[ রুম থেকে বেড়িয়ে বারান্দার দিক তাকাতেই দেখে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে…রাহুল এগিয়ে গেলো ]

স্নেহা : [ রাহুলকে দেখে ] আরে রাহুল! ঐ দেখো চাঁদ কি দারুণ তাই না!

রাহুল : ??

স্নেহা : [ হাত বিলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ] আরে দেখো দেখো কি বাতাস ওয়াও……

রাহুল : ??

স্নেহা : [ চোখ খুলে দেখে রাহুল এখনো স্টেট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে? ] দেখো রাতে আকাশের কালারটা কি দারুণ তাই না..

রাহুল : ??

স্নেহা : কি হলো!?..

রাহুল : শেষ ড্রামা?..?

স্নেহা : ?ওকে সরি!

[ রাহুল এসে স্নেহাকে কোলে তুলে নেই ]

স্নেহা : আরে রাহুল?..কি করছো কেউ দেখবে তো!

রাহুল : So what! আমি আমার ঘরে আমার বউকেই কোলে নিয়েছি!

স্নেহা : হ্যা! তা ঠিকাছে কিন্তু

রাহুল : আগেই বলেছিলাম..বাসে্ মনে আছে?..? [বলেই স্নেহাকে নিয়ে রুমের দিক এগুতে লাগলো রাহুল ]

[ স্নেহার মনে পড়লো স্নেহা বাস্ থেকে নামছিলো না তাই..রাহুল তাকে টেনে নামাচ্ছিলো আর বলেছিলো..আজ টেনে নিয়ে যাচ্ছি! দরকার পড়লে উঠিয়ে নিবো.. ?]

স্নেহা : কিন্তু তাই বলে তুমি সত্যি সত্যি!?

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] Shut-up!?

স্নেহা : ওকে ওকে.. ?শিসসস্ চেঁচাচ্ছো কেনো..

রাহুল : [ হাটতে হাটতে ] দেখো.. এমনিতেই তোমার ওয়াইট অনেক..আমার কোনো শখ পড়েনি তোমায় কোলেনিতে…আমিতো জাষ্ট..

স্নেহা : [ রাহুলকে একটা থাপ্পড় দিয়ে ] কি বললে আমার ওয়াইট অনেক তাই না?..?

রাহুল : [ হেসে ]?আরে মারছো কেনো মজা করছিলাম..

[ রুমে এসে ]

[ রাহুল স্নেহাকে নামাতে গেলে, ]

স্নেহা : ওয়েট ওয়েট নামাচ্ছো কেনো!?ভালোই তো লাগছিলো…

রাহুল : Whatever? [ হুট করেই স্নেহাকে নামিয়ে দিলো ]

স্নেহা : ?? আজিব!

রাহুল : [ দরজা বন্ধ করে ] মশা ঢুকবে হা করে থেকো না..

স্নেহা : [ রাহুলকে টেনে ] তুমি আমাকে নামিয়ে দিলে কেনো..?

রাহুল : এক্সকিউজ মি!?

স্নেহা : কোলে নাও আবার!?নাহলে তুমি জানো আমি কি কি ড্রামা করতে পারি?

রাহুল : [স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে ?] সফট্..

স্নেহা : You are a cheater? [বলেই রাহুলকে ধাক্ষিয়ে স্নেহা সরে যাচ্ছিলো..
রাহুল আবারো স্নেহাকে টেনে কোলে তুলে নেই…]

রাহুল : কি বলছিলা! ড্রামা তাই না?..? এবার করো ড্রামা..

স্নেহা : ??? দেখো রাহুল!

রাহুল : হ্যা বলো?

স্নেহা : ?

[ রাহুল স্নেহাকে ধীরেধীরে খাটে শুয়ালে.. ?]

রাহুল : ড্রামাকুইন? এভাবে ড্রামা করতে থাকিও Always…

স্নেহা লজ্জায় নিচের দিক তাকিয়ে রইলো…রাহুল স্নেহার কপালে একটু চুমু খেলো…

স্নেহা : শুনো আমি রাগ করলে তখন তুমি আমার রাগ ভাংগাবা…

রাহুল : ওকেই?

স্নেহা : আর তুমি যদি রাগ করোনা তখন আমি আরো বেশী রাগ করবো…আর তখন তুমি আবার আমার রাগ ভাংগাবা..

রাহুল : [ হেসে ] কিহ!? নিজের বেলায় ১৬আনা আমার বেলায় ৮আনা..

স্নেহা : ইয়েস্ ? মিষ্টার তেডি স্মাইল…

রাহুল : ওকে মিস্ ড্রামাকুইন?…যেটা আপনার ইচ্ছা…

[ স্নেহা রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে রাহুল ও স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরে…?]
[ The End ?]

[লাভ স্টোরি তাই বিয়ের পরের কাহানী দিয়ে বাড়তি ভেজাল করিনি… কেমন লাগবে জানিনা…যথেষ্ট চেষ্টা করেছি ভালো করে লিখার জন্য…তবে দোয়া করবেন আপুরা আরেকটা সুন্দর গল্প নিয়ে ফিরতে পারি মতো ]

4 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে