Part : 15
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা রাহুলের কথা শুনে মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো…
অজস্র অশ্রু ভেজা চোখে…তাকিয়ে অনেক্ষণ পর মাথা নাড়ালো…[ না তার আসল মা নয়]
রাহুল : [স্নেহার চোখ মুছে দিয়ে] স্নেহা রিলেক্স…Don’t cry ok?
স্নেহা : জানো রাহুল! আমার মতো মেয়ে এই পৃথিবীতে না জন্মানোটাই ভালো ছিলো… আজ আমি জন্ম না নিলে আমার মা হয়তো বেচে থাকতো… ?
[রাহুল স্নেহার কথা কিছুই বুঝতে পারছিলো না…এবং সে কিছু বুঝতেও চাচ্ছিলো না…স্নেহা তার সামনে এভাবে কেঁদে যাবে তা সে মোটেও সজ্য করতে পারছে না ]
স্নেহা : আমার মা! আমার বাবার প্রথম স্ত্রী ছিলো… বিয়ের ৫বছর হয়ে যাওয়ার পরেও…আমার মায়ের কোনো সন্তান হচ্ছিলো না… তা দেখে গ্রামের মানুষরা মা কে…নানানরকম কথা বলতো.. ?
আমার দাদী মা কে অনেক ঘৃণা করতো..কারণ একটাই ছিলো… কি জানো?
আমার মায়ের সন্তান হচ্ছিলো না…সেই রাগে বাবাকে জোড় করে আরেকটি বিয়ে দেওয়া হয়..?আমার মা চেয়েও বাধা দিতে পারেনি…কারণ মা ও চেয়েছিল… বাবা যেন বাবা ডাকটি শুনতে পারে…
তারপর মিলি আপুর জন্ম…ঘরে খুশির ঢোল ভেংগে পড়ে… আমার মা ও অনেক খুশি হয়েছিলো নাকি…যখন মিলি আপুর জন্ম হয়…কিন্তু আমার দাদী আর মিলি আপুর মা মায়ের সাথে মোটেও মিশতে দিতো না…মিলি আপুকে… তাতে মা অনেক কষ্ট পেতো… কিছু করার ছিলো না… হঠাৎ একদিন…মায়ের গর্বে আমি আসি…শুরু থেকেই মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে…বাবা মাকে অনেক যত্ন নিতো বাকিরা ফিরেও তাকাতো না…? এভাবে দিনের পর দিন কেটে যায়…এবং যেদিন আমার জন্ম হয়…সেদিন মা চিরদিন এর জন্য পৃথিবী থেকে চলে যায়..?
[রাহুল স্নেহার কাছে এসে চোখ মুছে দিয়ে তাকে ঝড়িয়ে ধরে]
স্নেহা : ?জানো রাহুল! মা চলে যাওয়ার পর থেকে মিলি আপুর মাকেই আমি মা ডাকি…আমি আমার মাকে চোখে দেখিনি…তাই তার চেহেরাতেই আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছায়া দেখতে পায়…
রাহুল : স্নেহা এদিকে তাকাও!
[স্নেহা রাহুলের দিক তাকালো]
রাহুল : তুমি তাকে তোমার মা ভাবো… ওকে ফাইন! তোমাকে উনি তার মেয়ে ভাবে?…
[স্নেহা চুপ করে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো… কিছু বলছে না শুধু চোখ থেকে জল ফেলছে..]
রাহুল : জবাব নেই?..
স্নেহা : তাতে কি এসে যায়…রাহুল!
রাহুল : ওকে রিলেক্স স্নেহা!
স্নেহা : আমার..?
রাহুল : Shut-up! চলো…
স্নেহা : কোথায়?..
রাহুল : কোথায় আবার? তোমার বাবার কাছে…
স্নেহা : পাগল নাকি তুমি?..?
রাহুল : দেখো স্নেহা যা হয়েছে তো হয়েছে…এখন আর লুকোচুরি নয়…এবার যা হবে সরাসরি হবে…
[ রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো… ]
স্নেহা : [ রাহুলকে আটকিয়ে ] রাহুল প্লিজ! আমার কথা শুনো… তুমি যেমনটা সহজ ভাবছো তেমনটা নয়!
রাহুল : তোমার আর কোনো কথা শোনার প্রয়োজন নেই আমার ওকে?..[ রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে]
স্নেহা : আ আহ! [ মাটিতে পড়ে বসে যায়]
রাহুল : [তাড়াতাড়ি স্নেহার পা ঘষতে ঘষতে] স্নেহা ? what happen?.. লেগেছে?..
স্নেহা : হ্যা অনেক ব্যথা করছে…?
রাহুল : ওকে ওয়েট…আমি মেজে দিচ্ছি..?
স্নেহা : দেখো রাহুল আমি পায়ে ও ব্যথা পেয়েছি আমি হেটে যেতে পারবো না…so তুমি এখন..
[রাহুলের আর বুঝার বাকি রইলো না স্নেহা আবারো ড্রামা করছে]
রাহুল : আমার চোখের দিক তাকাও…
স্নেহা : আজিব তোমার চোখের দিক কেনো তাকাবো… বলছি তো আমার পায়ে ব্যথা পাচ্ছি…
রাহুল : কেমনি তাকাবা মিথ্যে বললে…ওকে! তোমার যাওয়া লাগবে না আমি একাই যাচ্ছি! [ রাহুল উঠে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে রাহুলকে ধরে ফেলে ]
স্নেহা : আরে আরেহ! কি আজিব! তুমি একা গিয়ে কি বলবা…বাবা তোমাকে উল্টা..
রাহুল : তোমার না পায়ে ব্যথা দৌড়ে এলে যে?..
স্নেহা : [আবারো পা ঘষতে থাকে] আরে হ্যা…আমি তো ভুলেই গেলাম…ইশ! কি ব্যথা…
রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে]? Stop it স্নেহা just stop it!
[স্নেহা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়]
রাহুল : Look স্নেহা তুমি এসব কার জন্য করছো বলো..?
স্নেহা : শুনো রাহুল! তুমি বাবাকে চেনো না…বাবা এতো সহজে মেনে নেবে না…এতোক্ষণে মা হয়তো সাতপাঁচ বুঝিয়ে দিয়েছে বাবাকে…
রাহুল : I don’t care?
[ রাহুল স্নেহার আর কোনো কথা না শুনে…তাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়..স্নেহা রাহুলকে আটকালে ও রাহুল তার বাধা শুনে না…বারান্দা দিয়ে টেনে টেনে উঠোনের দিক নিতে লাগলো রাহুল স্নেহাকে…
সকলে যে যা কাজ করছিলো…সব ফেলে তাদের দিক তাকিয়ে রইলো.. ]
স্নেহার বাবা উঠোনে বসে চা খেতে ছিলো…হঠাৎ তিনি রাহুল স্নেহাকে তার দিকে এভাবে টেনে আনতে দেখে…চমকে যায়…
রাহুল স্নেহাকে তার বাবার সামনে এনে দাড় করাই এবং সে ও দাড়াই…
বাবা : [একটু অবাক হয় তারা এভাবে আসাতে]..
রাহুল : আংকেল আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো
বাবা : হুম আমি জানি তুমি কি বলবে..
স্নেহা : বাবা তুমি কেমনি?
বাবা : …তোর মা বলেছে…তুই নাকি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিস!
স্নেহা : ? না! হ্যা… মানে!…?
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে তার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে] Nonsense Stop the drama ok!…
হঠাৎ,
মা : রাজি যখন হয়েছে…আর দেরী কিসের?..বিয়েটা একসাথেই…ফেলে দাও…
[স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে]…আমাদের বাড়ীর মেয়েরা পর পুরুষের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় না এটা হয়তো জানিস?..
স্নেহা তাড়াতাড়ি রাহুল থেকে তার হাত ছুটিয়ে নিলো,
রাহুল : [স্নেহার হাত টেনে আবার শক্ত করে ধরে.].আংকেল আমি স্নেহাকে
স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] বাবা ও আমাকে বুঝিয়েছে…
[ রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো ]
স্নেহা : হ্যা বাবা! আমিতো রাজি হচ্ছিলাম না..রাহুল আমাকে বুঝিয়েছে..এই বিয়ের জন্য…
বাবা : [খুশি হয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ] সাব্বাস… আমিতো এতোদিন হয়রান হয়ে যাচ্ছিলাম…ওকে বুঝাতে বুঝাতে…
[ স্নেহা কিছু বলতে দিচ্ছেনা রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো… তারমানে স্নেহা এই বিয়েতে আসলে রাজি…স্নেহা চোখ মেলাতে পারছে না রাহুলের সাথে… ]
রাহুল : [ দীর্ঘশাস্ ফেলে ] আংকেল!…আমার কাজ শেষ…আজই চলে যাবো আমি…
বাবা : আরেহ! কি বলো?..বিয়েটা খেয়েই যাও এসেছো যখন!…
রাহুল : থেংক্স আংকেল! আমার অন্য একটি কাজ আছে…আসি! [ রাহুল চলে গেলো রুমের দিক স্নেহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে… ]
বাবা : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] আরে স্নেহা কাঁদছিস কেনো?…এখন বিদায় দিচ্ছি না..?
স্নেহা : [চোখ মুছে] বাবা!?
বাবা : হ্যা বল?..কিছু বলবি?..
স্নেহা : [ ভয়ে ] নাহ! কিছুনা!
বাবা : আচ্ছা চল ভেতরে চল! [ স্নেহা রাহুলের রুমের দিক একবার তাকিয়ে দেখলো মনে মনে ভাবছে…রাহুল হয়তো রেগে আছে তার উপর…কিন্তু কি করার এখন যদি বাবাকে এসব বলে…না জানি বাবা রাহুকে কি করে বসে..?]
বাবা : [স্নেহাকে তার রুমে নিয়ে] দেখ মা!.. মেয়ে যখন হয়েছিস..একদিন নিজ বাড়ী ছেড়ে পরের বাড়ী যেতে হবে! তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই..
স্নেহার মন ছটফট করছে রাহুলের জন্য…ইচ্ছে হচ্ছে রাহুলের কাছে ছুটে যায়..
[ বাবা অনেক কিছু বলতে থাকে..কিন্তু স্নেহার ধ্যান শুধু রাহুলের কাছে ]
বাবা : আচ্ছা আমি আসি! এখন..তুই নাশতা করে নে… [ বাবা চলে যায়]
অরণি : [দৌড়ে রুমে এসে] আরে আপু! রাহুল ভাইয়া তো চলে গেছে…তার রুমে কিছু নেই…আম তলায় গাড়ী ও নেই…
স্নেহা দৌড়ে রাহুলের রুমে যায়,দেখে রাহুল সত্যিই নেই…চৌকির উপর কেট্রোস্ গাছটি পড়ে আছে…?
হঠাৎ পেছন থেকে,
স্নেহার মা : কি হচ্ছে এখানে?…
অরণি : [ভয় পেয়ে] না চাচী! রুম পরিষ্কার করছিলাম…
স্নেহার মা : গীতালি পরিষ্কার করে নিভে…তুই যা! [ অরণি চলে যায়]
[ স্নেহা মূর্তির মতো গাছটির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ]
স্নেহার মা : বানরের গলায় মুক্তার মালা মানায় না…বুঝেছিস?.. ?ওর গাড়ী বাড়ী দেখে…লোভে পড়েছিলি তাই না?..
[স্নেহা কিছুই বলে না শুধু চোখ থেকে পানি ফেলতে থাকে..]
রুমে গিয়ে খাটে বসে পড়ে স্নেহা…রাহুলের সাথে কাটানো সব মোমেন্ট মনে পড়ছে তার…
মিলি : [স্নেহার পাশে এসে বসে] স্নেহা রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে… দেখিসনি বাবার সামনে সাহস করে বলতে গিয়েছিলো.. আর তুই কিনা!
স্নেহা : [ মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই] আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম…বাবা যদি রাহুলকে কিছু করে?…
মিলি : বুঝেছি আমি স্নেহা কিন্তু! বলতে তো হবে!..নাহলে বাবা সত্যি সত্যি..তোকে?
[স্নেহা আরো ফুফিয়ে কেঁদে উঠে? ]
মিলি : দেখ স্নেহা! অনেক সেক্রিফাইস্ করেছিস এই ঘরের জন্য…কিন্তু কি পেয়েছিস?..বল?..
স্নেহা মাকে আমি রাহুলের সম্পর্কে সব বলেছি…মা সব জেনেও রাজি হচ্ছে না…কারণ কি জানিস?.. মা চাই না আমার চেয়ে ও বড় ঘরে তোর বিয়ে হোক!
স্নেহা : ?
মিলি : তুই যা আমি সামলাবো এইখানে..
স্নেহা : কিন্তু আমি পালালে তোমার বিয়ের ক্ষতি হবে!?
মিলি : আবারো আমার চিন্তা বললাম তো…
আচ্ছা বল তুই রাহুলকে ছাড়া থাকতে পারবি?..
স্নেহা : কখনো নাহ??!
মিলি : তাহলে এতোকিছু ভাবছিস কেনো?…তুই বয় আমি তোর টিকিট এর ব্যবস্থা করছি!
মিলি চলে যায় স্নেহার জন্য টিকিট এর ব্যবস্থা করতে….স্নেহা অপেক্ষাকৃত হয়ে বসে আছে..
এইদিকে রাহুল…স্নেহার গ্রামের পথ পেরিয়ে শহরের দিক রওনা হতে লাগলো… গাড়ী চালাচ্ছে তো চালাচ্ছে… মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে রাহুলের…এতোটা যে ভালোবেসে ফেলেছে স্নেহাকে….ওকে ছাড়া থাকতে হবে তা এক মুহূর্তের জন্য ও ভাবেনি…কিভাবে ভাববে…ছেড়ে থাকার জন্য তো ভালোবাসেনি রাহুল..
কি হতো আজ বাবাকে সাহস করে বলে দিলে…বাবাকে ও বলতে পারবে না আমার সাথে ও পালাতে পারবে না…তাহলে কি স্নেহার আমাকে চাই না?… হাজারো প্রশ্ন জাগছে রাহুলের মনে… ভেবে ভেবে…এগুতে লাগলো…
সন্ধ্যা নেমে আসলো,
বারান্দার কোণে পা গুটে বসে আছে স্নেহা চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু ঝড়ছে..রাহুলের কথা ভাবছে..[.মনেমনে ]রেগে আছে নিশ্চয় রাহুল…অনেক অভিমান করেছে…তার স্নেহার উপর…
হঠাৎ,
মিলি : স্নেহা চল!
স্নেহা : পেয়েছো?..
মিলি : [স্নেহাকে টেনে রুমের ভেতর নিয়ে যায়] এই নে টিকিট! রাতের ট্রেন…. ১০টায় ছাড়বে…তুই এক্ষুনি বেড়িয়ে যা…এখন চারদিক নিরিবিলি আছে…
[স্নেহা কেঁদে মিলিকে ঝড়িয়ে ধরে ফেলে]
মিলি : আরে পাগলী কাঁদছিস কেনো?..সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস..
স্নেহা : তোমাকে নিশ্চয় আমার আপন বোন করার কথা ছিলো…ভূল করে করা হয়নি?
মিলি : [ একটু হেসে ] চল চল! গুছিয়ে নে তাড়াতাড়ি নয়তো কেউ এসে পড়বে!
স্নেহা ব্যাগ গুছিয়ে…মিলিকে আবার ঝড়িয়ে ধরে!
মিলি : [কেঁদে ] সাবধানে যাস!?
[ স্নেহা বেড়িয়ে পড়লো, ষ্টেশন গিয়ে পৌছায়…ট্রেন এখনো আসেনি..চেয়ারে বসে আছে…চারদিক সব অচেনা মানুষ ভয় ভয় করছে…একা কখনো যাওয়া হয়নি শহরে…অবশেষে ট্রেন আসলে উঠে পড়ে..জানালার পাশেই পরেছে সি্ট টা… ট্রেন চলছে…রাহুলের কথা মনে পড়লে মনের ভয় সব দূর হয়ে যাচ্ছে… ]
এইদিকে,
রাহুল বাড়ী গিয়ে পৌছালো..
দাদী : [ কেঁদে ] রাহুল! কোথায় ছিলি তুই?..কতোবার ফোন করেছি..তোর ফোন বন্ধ আসছিলো?….এভাবে না বলে কেউ যায়?..কতো দুশ্চিন্তা মাথায় আসছিলো..
রাহুল কিছুই বলছে না ব্যাগ কাধে নিয়ে উপরের দিক উঠতে লাগলো…
সিফা : আরে রাহুল কিছুতো বল?..এসেই রুমে চলে যাচ্ছিস… কোথায় গিয়েছিলি?…
রাহুল : ভাবী! আমি অনেক টায়ার্ড পরে বলছি… [ রাহুল রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে খাটে আধশুয়া হয়ে শুয়ে পড়ে….চোখ ভিজে আসছে আবারো… হঠাৎ ফুফিয়ে কেঁদে উঠে…? কেনো করলো স্নেহা এমন?…ভাবতে ভাবতেই চোখ লেগে আসে রাহুলের…]
[ অন্যদিকে, স্নেহা ট্রেনের জানালার ধারে মাথা রেখে রাহুলের সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে করছে…ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে..☺]
স্নেহা : [মনে মনে] আর বেশি দূর নেই মিষ্টার তেডি স্মাইল… I m coming… ☺ [ এসব ভাবতে ভাবতে কবে ঘুমিয়ে পড়লো জানেনা স্নেহা]
হঠাৎ টিকিট টিকিট.. চেঁচামেচিতে স্নেহার চোখ খুললো…উঠে দেখে ভোর হয়ে গেছে…সবাই মাল পত্র নিয়ে নেমে পড়ছে…
স্নেহা ও টিকিট দিয়ে নেমে পড়ে…একটা ট্যাক্সি ধরে…হোষ্টেলে উঠে পড়ে…
বেল বাজাতেই মার্জান দরজা খুলে…স্নেহাকে দেখে শকড হয়ে যায়…
মার্জান : স্নেহা তুই?..
স্নেহা : [মার্জানকে একটা চিমটি কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে] হ্যা আমি!..
মার্জান : কিন্তু তুই কেমনি কি করে আবার..?..
স্নেহা : আরে রিলেক্স এতো অবাক হওয়ার কি আছে…সব বলছি বয়.
মার্জান : তুই জানিস তুকে কতোটা মিস্ করেছিলাম…তোর সাথে সাথে রাহুল ও হাওয়া হয়ে গেছে… তোদের দুজনেরই কোনো খবর নেই…
স্নেহা : [মার্জানকে নাড়িয়ে দিয়ে] ওয়েট!..বলছিতো কি হয়েছে…
মার্জান : ওকে বল!
[স্নেহা মার্জানকে খুলে সব বলে?]
মার্জান : তুই পালিয়ে এসেছিস..?..
স্নেহা : হুম?
মার্জান : ছোট্ট একটা কাহিনীকে এতোবড় করার কি দরকার ছিলো বলতো…? ও রাগ করে চলে এসেছে বেশ করেছে..আমি হলে তুকে খুন করে আসতাম..?
স্নেহা : আচ্ছা বাবা হয়েছে..আমার যে করেই হোক রাহুলের সাথে দেখা করতে হবে…এখন চল ভার্সেটি যাবো…
মার্জান : তুই আগে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়েনে…তারপর একসাথে বের হয়…বাস্ আরো আধ ঘন্টা পরে আসবে..
ভার্সেটি এসে পৌছালো…স্নেহা চারদিক রাহুলকে খুজতে লাগলো কোথাও নেই…
হলরুমের পাশে যেতেই দেখে রাহুলের ফ্রেন্ডসরা..আড্ডা দিচ্ছে…রাহুলের পেছন সাইডটাই দেখা যাচ্ছে..
স্নেহা : রাহুল!..?
আসিফ : আরে স্নেহা! কোথায় ছিলে এতোদিন…?
রাহুল পেছন ফিরে তাকায় এবং তার সাথে…ঝড়িয়ে নেহাও…ফিরে তাকায়…
স্নেহার মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো… রাহুল আর নেহাকে একসাথে দেখে…
স্নেহা : [রাহুলের কাছে গিয়ে] কি হচ্ছে এসব?
নেহা : এই যে চাম্বুস আন্টি… what do you mean?..?
স্নেহা : তুই চুপ কর! তোকে সব কিছুতে নাক গলাতে হবে না…?
এভাবে সবার সামনে একটা ছেলের সাথে চুম্বকের মতো লেগে থাকতে লজ্জা করে না?…?
নেহা : You stupid! ? mind ur language ok?..আমার মনে হয় তুমি আমাকে চেনো না…আমি তোমাকে কি কি করতে পারি…
স্নেহা : ধুর! রাখতো তোর ভণ্ডামি! তোকে আমার চেনা লাগবে না..
রাহুল : [রাগান্বিত ভাবে স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে] Shut-up আর একটাও শব্দ করবানা… কি ভাবো কি নিজেকে? হুম?…
স্নেহা : রাহুল?
নেহা : [ রাহুলের পাশে এসে] চলো রাহুল!… এসব থার্ড ক্লাস মেয়েদের সাথে কথায় লেগে পারা যাবে না! এরা ছেলেদের গাড়ী বাড়ী দেখে…তাদের ফুসলিয়ে নেই…
রাহুল নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়!…
স্নেহা ঐদিকেই শক্ত হয়ে..দাঁড়িয়ে থাকে…মনে হচ্ছে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে… [ এক এক করে সবাই বেড়িয়ে পড়ে ]
আসিফ : স্নেহা!
স্নেহা ফুফিয়ে কেঁদে উঠে!
আসিফ : রাহুল তোমাকে অনেক ভালোবাসে!…তুমিই ওর প্রথম ভালোবাসা….এসব হয়তো রাগ করে করছে…
স্নেহা : সব আমারই দোষ ছিলো ?…
[মার্জান, জারিফা,রুমে এগিয়ে আসে]
মার্জান : কি হয়েছে স্নেহা?..? ও কাঁদছে কেনো?..
[আসিফ কিছু না বলে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়]
মার্জান : স্নেহা! কি হয়েছে বল?..অই নেহা কিছু করেছে??..
[স্নেহা কেঁদেই চলছে]
জারিফা : আরে বলনা স্নেহা কি হয়েছে?..
মার্জান : নিশ্চয় ঐ নেহা কিছু করেছে?…দাড়া ওকে তো আমি… [ মার্জান উঠে চলে যাচ্ছিলো ]
স্নেহা : [ মার্জানের হাত ধরে ] না মার্জান!
মার্জান : আরে! ওদের এভাবে ছেড়ে দিয়ে দিয়ে আমরা?
জারিফা : হ্যা মার্জান স্নেহা ঠিক বলছে…তুই এভাবে যাসনে কিছু বলতে…
মার্জান : ধুর! থাক তোরা আমার ভালো লাগছে না আমি হোষ্টেলে যাচ্ছি!
[ মার্জান চলে যাওয়াতে স্নেহাও আর ক্লাস করলো না…সে ও চলে গেলো ]
[হোষ্টেল গিয়ে দুজনে চুপ করে বসে আছে ]
স্নেহা : কি হলো এভাবে মুখ গোমড়া হয়ে বসে আছিস কেনো??
মার্জান : আমার তো ইচ্ছে হচ্ছে ঐ নেহাকে?…
স্নেহা : ওকে রিলেক্স! আমি জানি রাহুল আমার উপর রাগ করে এসব করছে…
কিন্তু আমিও এতো সহজে হাল ছাড়ছিনা… এতোদিন ও আমার বাড়ী হামলা করেছে…এবার আমি ওর বাড়ী হামলা করবো..
মার্জান : কিহ? তুই ওর বাড়ী যাবি থাকতে?…
স্নেহা : Correct ?
মার্জান : অমনিই থাকতে দেবে তুকে…
স্নেহা : এমনি এমনি কি আমার নাম ড্রামাকুইন দিয়েছে?.এবার মিষ্টার তেডি স্মাইলকে আমার আসল ড্রামা দেখাবো ?….
মার্জান : হে আল্লাহ এই মেয়েকে একটু হেদায়েত দান করো…আবার না জানি কোন কান্ড করতে বসেছে..
[স্নেহা হেসে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে যায়..সোজা গিয়ে রাহুলের বাড়ী পৌছায়]
দাদী ড্রইংরুমে বসে পেপার পড়ছিলো..সিফা এসে দাদীকে চা দিচ্ছে…হঠাৎ মেইন দরজার দিকে তাকাতেই দাদী আর সিফা অবাক হয়ে যায়,
সিফা : আরে স্নেহা!
স্নেহার চোখে পানি হাতে ল্যাগেজ দেখে দাদী ও দাঁড়িয়ে যায়,
সিফা : [ স্নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] কি হলো স্নেহা তুমি কাঁদছো কেনো?..?
দাদী : সিফা! তুই স্নেহাকে সোফায় বসা…
সিফা স্নেহাকে এগিয়ে নিয়ে সোফায় বসতে দিলো…
দাদী : এবার বল স্নেহা কি হয়েছে?…
স্নেহা : কি আর হবে দাদী! সব শেষ হয়ে গেছে…?
সিফা : সব শেষ হয়ে গেছে মানে?..?
স্নেহা : এখন আমি শুধু চাই ও সুখী থাকুক..
সিফা : স্নেহা কিছুই বুঝতে পারছিনা একটু ক্লিয়ার করে বলো প্লিজ!
স্নেহা : রাহুল?
দাদী : কি হয়েছে রাহুল?..?
স্নেহা : রাহুল আমাদের গ্রামের বাড়ী গিয়েছিলো…এবং সেখানে..আমার সাথে..?
সিফা : বলো স্নেহা?
স্নেহা : আমার সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছে..? বলেছে কথাটা যেন গোপন থাকে…আমি গোপন রেখেছিলাম..তারপর কিছুদিন গ্রামে থেকে..আমাকে না বলে পালিয়ে আসে ও…? পরে আমি ফোন দিলে..সে বলে..যা হয়েছে তো হয়েছে এবার এসব ভুলে যাও…তারপর?
সিফা : তারপর?
স্নেহা : তারপর আমার পরিবার জানলে আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেই?…
দাদী : তাইতো কাল জিজ্ঞেস করছিলাম.. আর সে কিছু জবাবই দিচ্ছে না..?
সিফা! রাহুলকে ফোন দে…আর এক্ষুনি বাড়ী আসতে বল!
সিফা দাদীর কথামতো রাহুলকে ফোন দিয়ে আসতে বলে,
দাদী : একটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে…? কেমন সাহস ওর?…
সিফা : দাদী রাহুলতো এমন না! কিন্তু ও এমন কিভাবে করলো?..?
স্নেহা : ক্যারেক্ট..ও এমন না…কিন্তু ঐ নেহা ওকে এমন হতে বাধ্য করছে..?
দাদী : ভাবতেই লজ্জায় আমার নাক কাটা যাচ্ছে…
স্নেহা : ওকে বলে কিছু হবে না দাদী! ও উলটা বলবে..আমি ড্রামা করছি!?
দাদী : তুই কাঁদিস না…আমি করবো এইবার যা করার…আসতে দে ওকে…?
স্নেহা : [মনে মনে] এরা তো মোটেও ঠের পাইনি…কিন্তু এই মিষ্টার তেডি স্মাইল তো…পাক্কা আমাকে হাতেনাতে গোল খাইয়ে দিবে..?
[কিছুক্ষণ পরে রাহুল তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে আসে]
রাহুল : কি হলো ভাবী?.. আর্জেন্ট আসতে বললে যে?…? [ হঠাৎ স্নেহার দিক তাকাতেই রাহুল Shocked..]
স্নেহা : দাদী আমি আসি!?
দাদী : দাড়া তুই কোথায় যাচ্ছিস?..[রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে] বিয়েটা খেলার পুতুল বানিয়ে ফেলেছিস তাই না?
রাহুল : বিয়ে?..?
দাদী : হ্যা আর নাটক করতে হবে না স্নেহা আমাদের সব বলেছে…তুই ওর সাথে কোর্ট ম্যারেজ করেছিস…তারপর আবার ওকে ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছিস?
স্নেহা : থাক দাদী কোর্ট ম্যারাজই তো কেউ জানতে পারবে না…? ও সুখী থাকলেই হবে!
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে মনে মনে ]? আবারো মাথায় নতুন ড্রামা বানিয়ে এসেছে…এবার ডিরেক্ট বিয়েতে চলে গেছে…না জানি দাদীকে আমার নামে আরো কি কি বুঝিয়ে দিয়েছে…
দাদী : তুই চুপ কর! বিয়ে কোর্টে হোক আর ঘরে…বিয়ে মানে চির জীবনের বন্ধন..
রাহুল : [স্নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে] পুরো জীবনটাই ড্রামা বানিয়ে রেখেছো তাই না?.. ?
স্নেহা : [ কাদো কাদো ভাবে ] দেখেছো দাদী বলেছিলাম না…ও বলবে আমি ড্রামা করছি?
দাদী : স্নেহা তোর বাবা মায়ের নাম্বার আমাকে দে..আমি কথা বলবো ওদের সাথে…
স্নেহা : [মনে মনে] এখন তো পাক্কা ফেসে গেলাম…?
রাহুল : [ মনে মনে ] কি না চেহেরা বানিয়েছে..? নতুন করে আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি…? কন্ট্রোল রাহুল এভাবে উইক হয়ে পড়লে চলবে না
স্নেহা : নাম্বার?..?
দাদী : হুম! ওদেরকে বুঝিয়ে আমি বলবো!?
রাহুল : কি হলো স্নেহা! দাদী কিছু বলেছে দাও?
স্নেহা : [ মাথা ধরে ] আরে মাথাটা ঘুরাচ্ছে কেনো??
রাহুল : [মনে মনে] Again Drama? মানে..হারে হারে বুদ্ধি…
সিফা : কিছু খাওনি মনে হয়! চলো আগে কিছু খেয়ে নাও! তারপর দিও!
দাদী : হ্যা হ্যা! যা আগে কিছু খেয়ে একটু বিশ্রাম কর!
[সিফা স্নেহাকে একটি রুমে নিয়ে কিছু খাবার এনে দেই….]
সিফা : স্নেহা! আমি কিন্তু তোমার পুরো ড্রামা ধরে নিয়েছি..? কি ব্যাপার বলো তো?..
স্নেহা : ? ড্রামা কই নাতো…
সিফা : Don’t worry আমি কাউকে বলবো না…?কিন্তু আইডিয়াটা জোস্ ছিলো ??
স্নেহা : ??
সিফা : যাও তুমি খেয়ে নাও..আমি যায় আমার আবার ফাবিহাকে স্কুল থেকে আনতে যেতে হবে…
স্নেহা : ভাবী আমার একটা হেল্প লাগবে… ?
সিফা : হ্যা অবশ্যয় বলো…
স্নেহা : আমার না একটা শাড়ী লাগবে…প্লিজ!
সিফা : ওহো!…কাকে দেখাবা শাড়ী পরে..?
স্নেহা : ??আর কাকে..?
সিফা : [ হেসে] ওকে তুমি বসো আমি আনছি..?
[ সিফা স্নেহাকে শাড়ী এনে দিলে স্নেহা শাড়ী পড়ে…সেজেগুজে…নতুন বউ এর মতো.. ফুল তৈরী ]
নিচে নামতে যাচ্ছে…ঠিক তখনি রাহুলের জানালার দিকে উকি দিতে দেখে… রাহুল রুমে বসে মিটি মিটি হাসছে…
স্নেহা হুট করে দরজা খুলে রুমে ঢুকে পড়ে…রাহুল স্নেহাকে দেখে কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় আবার হঠাৎ, হা করে তাকিয়ে আছে…?কি অপরুপ লাগছে..
স্নেহা রাহুলের সামনে এসে একটি চিমটি দেই..
রাহুল : আআহ!?
স্নেহা : [রাহুলের হাত টেনে] দেখি লেগেছে??..
রাহুল : [ হাত ঝাড়ি মেরে ] পারমিশন ছাড়া কারো রুমে ঢুকতে নেই জানো না?..
স্নেহা : আমার হ্যাজব্যান্ডের রুমে ঢুকেছি…তোমার কোনো সমস্যা?..
রাহুল : এক্সকিউজ মি!
স্নেহা : কেমন লাগছে আমায়??..
[রাহুল মুখ ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছে স্নেহা দৌড়ে এসে পথ আটকায়]
স্নেহা : কি হলো..?তুমি আমাকে Avoid করছো কেনো…হ্যা জানি আমার ভুল হয়েছে তার জন্য অনেক সরি?
রাহুল : এই সরিটাও না…তোমার একটা ড্রামা…
স্নেহা : মোটেও না!? [ রাহুলকে কাছে টেনে ] শুনো ঐ নেহার সাথে চুম্বকের মতো আরেকবার লেগে থাকতে দেখলে..না তোমাকে
রাহুল : কি?..আমাকে কি?..
[স্নেহা বিড়বিড় করে কি যেন বলে ফেলছে..?]
[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে..?চোখ সরানো যাচ্ছে না…কারণ তাকে শাড়ীতে অপরুপ লাগছে…?]
স্নেহা : আচ্ছা বলো না কেমন লাগছে শাড়ীতে ?..?
রাহুল : পুরাই দাদী মায়ের মতো..?
স্নেহা : শুনো তুমি কিন্তু বেশি করছো!?আমি সরি বলেছি…আর তুমিওতো দোষ করেছো.. আমাকে না বলে চলে এসেছো..
রাহুল : তুমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছো আর আমি তোমার বিয়ে খাওয়ার জন্য ঐখানে বসে থাকবো তাই না ?..
স্নেহা : আরে রাগছো কেনো আমি তো মুখ থেকে বলেছি মন থেকে না…?
রাহুল : Whatever ? এতো রাতে একা আসার দরকারটা কি ছিলো…
স্নেহা : তো কার সাথে আসবো তুমিতো আমাকে ফেলে রেখে চলে এসেছো ?
হঠাৎ,
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হ্যা বলো?
রাহুল : তোমার শাড়ী খুলে যাচ্ছে?
স্নেহা : What? [ স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ধরে] না না খুলে যাচ্ছে না এভাবেই পড়েছি…
[রাহুল স্নেহার কান্ড দেখে না হেসে পারলো না…]
স্নেহা : হাসছো কেনো আমি শাড়ী পড়তে জানিনা..?তোমার জন্যই পড়েছি.. এএক সেকেন্ড হ্যা…একটু পেছনে ফেরো..
[ রাহুল হেসে পেছনে ফিরলো…স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ী ঠিক করে নেই…]
স্নেহা : Done Done…☺
[ রাহুল স্নেহার দিক একটু তাকিয়ে হেসে চলে যাচ্ছে ]
স্নেহা : [ আবারো আটকিয়ে ] শুনো… তুমি যাই বলো দাদী কিন্তু আমার কথা সব বিশাস করেছে…? So
রাহুল : So??
স্নেহা : So এখন থেকে তুমি আমার হ্যাসবেন্ড আর আমি তোমার ওয়াইফ?…বুঝেছো মিষ্টার
[ একটু হেসে তার মুখের দিক ইশারা করে ]?? তেডি স্মাইল….
[ স্নেহা চলে যায় রাহুল…হা করে তাকিয়ে থাকে?…বকতেও পারছে না…কারণ তার সৌন্দর্য রাহুলকে মুগ্ধ করে দিচ্ছে…এবং সব রাগ অভিমান পানি হয়ে যাচ্ছে.. ]
চলবে…