হ্যাকারের_লুকোচুরি
সিজন_৩
পর্ব_৫
পিকাচু – সার্ভেইল্যান্স স্যাটেলাইটে লেজার ট্যাগিং সিস্টেম রয়েছে। firing laser beam….
রাফির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন লেজার বীম টেকনোলজি সম্পর্কে ধারনা রয়েছে তাই বুঝতে বাকী রইলো না যে পিকাচু কি করতে চলেছে।
এটা এমন এক ধরনের ট্রাকিং সিস্টেম যা লেজারের মাধ্যমে ছোড়া হয়। লেজারের মাধ্যমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছোড়া হয় লক্ষ্যে উপর। এতে লক্ষ্যবস্তুর কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন লেগে যায় পাকাপোক্তভাবে এবং এই রেডিয়েশনের ইউনিক কোড দিয়েই ট্রাক করা যাবে লক্ষ্যবস্তুকে।
পিকাচু লেজার বীম দিয়ে লেজার রশ্মি ছুড়ে দেয় সাবমেরিনের গায়ে। বেশ কিছুক্ষন পর পিকাচু স্যাটেলাইটের রেডিয়েশন স্ক্যানার দিয়ে সাবমেরিনের বর্তমান লোকেশন দেখাতে থাকে।
পিকাচু – লেজার ট্যাগিং কম্প্লিট। পিকাচু এখন সাবমেরিনটিকে ট্রাক করতে পারবে।
রাফি – দারুণ, কিন্তু এখন কি করবো! রাশিয়ান ইন্টেলিজেন্সকে একবার জানিয়ে একটা প্রোটেনশিয়াল লীড হাতছাড়া হয়ে গেলো। এখন যদি সাবমেরিন ও হাতছাড়া হয়ে যায় তো সব ভেস্তে যাবে।
পিকাচু – নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস এখনো পর্যন্ত স্যাটেলাইটে কানেক্ট করা হয় নি। একবার যদি কানেক্ট হয়ে যায় তাহলে নিউক্লিয়ার হামলা আটকানো আর সম্ভব হবে না।
রাফি একটা ছোট হিসাব কষতে চাইলো।
রাফি – পিকাচু, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কোথায় লোকেট করা গেছে!
পিকাচু ল্যাপটপ স্ক্রীনে শো করে সাবমেরিনের বর্তমান লোকেশন, প্রশান্ত মহাসাগরের কোন একটা পয়েন্টে।
রাফি – পিকাচু, সাবমেরিনের গতি আর ডিরেকশন এ্যানালাইসিস করে পসিবল ডেষ্টিনেশনগুলো আইডেন্টিফাই করো। নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইসটি এখন একমাত্র নিরাপদ গন্তব্য হবে ওই সাবমেরিনটি।
পিকাচু – পিকা পিকা। scanning …….
সন্ত্রাসীরা চাইবে যে কোন মূল্যে ডিভাইসটিকে নিরাপদ রাখতে। আর সাবমেরিনের ভেতর ছাড়া অন্য কোথাও ডিভাইসটি নিরাপদ নয়। সাবমেরিনটিকে আর লুকোতে দেয়া যাবে না, রাশিয়ান নেভীর হাতে সাবমেরিনের কারেন্ট লোকেশন তুলে দেবো? রাফি ভাবতে থাকে, সাবমেরিনে লক করা লেজার ট্রাকিং কোড যদি রাশিয়ান নেভাল কমান্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাহলে তারা এটাকে গুরুত্ব না ও দিতে পারে কারন স্যাটেলাইট বেজড লেজার ট্রাকিং সিস্টেম কোন মামুলি ট্রাকিং সিস্টেম নয় যে যার তার হাতে একসেস থাকবে আর যে কোন অবজেক্টকে টার্গেট করা যায় বিধায় ফ্রড ও ধরে নিতে পারে। তাছাড়া লেজার ট্যাগিং স্যাটেলাইটটি আমেরিকান। রাশিয়া যদি বুঝতে পারে আমেরিকা তাদের হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনের গায়ে লেজার ট্যাগ বসিয়েছে তাহলে বিশাল ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এই মিশনটা কারো ভরসায় ছাড়তে পারছি না রাফি। এমন একটা পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে কেসটা যে চোখের সামনে সবকিছু হলেও রাফি তা প্রমান করতে পারবে না।স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা সাবমেরিনটির ছবিতে এমন কোন বিশেষ মার্ক নেই যার দ্বারা প্রমাণ করা যাবে ছবির সাবমেরিনটিই হারিয়ে যাওয়া নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। শুধুমাত্র স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটির জন্য যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকুই ভেসে উঠেছিলো সাবমেরিনটি। আর সেই ভেসে ওঠার পর তোলা ছবিতে না কোন মার্কিং দেখা যাচ্ছে আর না কোন নাম্বারট্যাগ যার দ্বারা কিছু প্রমাণ করা সম্ভব।
পিকাচু – প্রমান না থাকলে যে কেউ এটাকে প্রাংক বলে উড়িয়ে দেবে। আর এত উচ্চমানের প্রযুক্তি যার তার হাতে থাকবে না সেটা সবাই বুঝবে।
রাফি নিজে নিজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
রাফি – পিকাচু, এই মিশন আমি নিজে করতে চাই। একটা প্রোটেনশিয়ল সোর্স খুজে দেয়ার পরও যখন রাশিয়ান ইন্টেলিজেন্স কিছু বের করতে পারলো না তখন আমাকেই আমার লীড নিয়ে সামনে এগোতে হবে।
পিকাচু- কিন্তু মিশনটা কি?
রাফি – নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আর এক্টিভেশন ডিভাইস উদ্ধার করা।
পিকাচু – Is that so? Than you can’t do this alone. Remember, they hijack a nuclear submarine from a Naval Base. সুসংবদ্ধ চক্র না হলে কখনো এতবড় কাজ সফল করা সম্ভব নয়।
পিকাচুর কথা শুনে চমকালো না রাফি। সাবমেরিন পরিচালনা করতে হলে চোরদেরও অনেক প্রশিক্ষণের দরকার পরেছে। তাছাড়া যেসব ক্রুদেরকে নিয়ে সাবমেরিনটি যাত্রা শুরু করেছিলো তারাই বা কোথায় গেলো। হয়তোবা ভেতর থেকেই কেউ জড়িত ছিলো সাবমেরিন ছিনতাই করার সাথে।
পিকাচু – If you wanna go for this mission, than you’ll need a team.
রাফি – টিম! টিম কোথায় পাবো! আর এমন মিশনে যাবার জন্য কেউ কেন রাজি হবে?
পিকাচু – I have a collection of soldiers AKA Mercenary.
রাফি – আবার মার্সেনারী!
পিকাচু – হ্যাঁ তবে তারা তোমার হয়ে কাজ করবে। এটা যুদ্ধ থেকে কম কিছু হবে না।
রাফি শুধুমাত্র নিজে দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু পিকাচু পুরো সিচুয়েশন এ্যানালাইসিস করে রাফির সামনে একটা গেমপ্লান দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রাফি যতটা না কনফিউজড ছিলো এখন তার থেকে অনেক বেশী কনফিডেন্স পেলো।
পিকাচু – সাবমেরিনের স্পিড আর মুভমেন্ট এ্যানালাইসিস করে কোন স্পেসিফিক ডেষ্টিনেশন পাওয়া যাচ্ছে না। ইন্টারন্যাশনাল সী বর্ডারে ঘোরাঘুরি করছে রাশিয়ান নেভী কে এড়াতে।
রাফি – তাহলে এক্টিভেশন ডিভাইস নিতে সাবমেরিন পাড়ে ভিড়ছে না? তাহলে কি সন্ত্রাসদের অন্য কোন প্লান আছে?
পিকাচু – রাশিয়া সহ আশে পাশের সকল সামরিক ও বেসামরিক পোর্টে সোনার (Sonar) রাডার রয়েছে।
পিকাচু মনিটরে শো করে রাশিয়ান সী বর্ডার জুড়ে পানির নীচে থাকা সোনার (sonar) রাডার এবং তার এক্টিভিটিস। রাফি sonar system এর সাথে পরিচিত তবে শুধুমাত্র কাগজে কলমেই। Sonar Radar system এমন এক ধরনের রাডার যা শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে পানির নীচে যে কোন সলিড বস্তু যেমন সাবমেরিন, ডুবে যাওয়া জাহাজ, ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র তলদেশে কোন বড় পরিবর্তন যার ফলে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে এমন অনেককিছু ধরতে সক্ষম। অনবরত সৃষ্টি করা এই শব্দতরঙ্গসমূহ একত্রে সোনার ওয়েভ (sonar wave) নামে পরিচিত।
রাফি – রাডারগুলোর জন্য যেহেতু সাবমেরিনটি সমুদ্রসীমা পার করে ভেতরে আসতে পারছে না সেহেতু সন্ত্রাসীরা কোন না কোন ভাবে ডিভাইসটি সাবমেরিন পর্যন্ত পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে।
পিকাচু, সাবমেরিনের আশেপাশে ৪ কিলোমিটার রেডিয়াসের ভেতর যদি কোন জলযান ঢোকে তাহলে ইনফর্ম করবে। আর হ্যাঁ মার্সেনারীদের একখানে করার ব্যবস্থা করো, we are going to get the submarine.
পিকাচু – Gathering info…… contacting soldiers and associates….. collecting gear…… Mission is a go….
রাফি ল্যাপটপ ছেড়ে ওঠে। অনেকক্ষণ ধরে তোহার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে কিছুটা কৌতুহল নিয়ে ঘরের ভেতর এখানে সেখানে খুঁজতে থাকে। সদর দরজার কাছে এসে দেখে দরজা চাপিয়ে দেয়া, কোন লক নেই। রাফির চিন্তা বাড়ে। তোহা তো কিছু না বলে কোথাও যাওয়ার মেয়ে নয়। তাহলে কোথায় গেলো মেয়েটা। মাফিয়া গার্লের সাঙ্গপাঙ্গ আবার এই বাসা পর্যন্ত চলে আসলো না তো! !! রাফি ঘরের ভেতর ফিরে এসে আর একবার খুঁজতে খুঁজতে,
রাফি – (উচ্চস্বরে) তোহা? তোহা! !!!
বেশ কয়েকবার ডাকার পরও তোহার কোন সাড়া শব্দ পায় না রাফি। এত কষ্ট করে এতদিন ধরে লুকিয়ে রেখে এখন যদি তোহাকে অঘোরে হারাতে হয় তাহলে!!!!
রাফি – (উচ্চস্বরে) তোহা? তোহা!
তোহা – এইত্তো! নীচে আমি।
খুবই ক্ষীন আওয়াজে রাফি তোহার জবাব শুনতে পায়। আওয়াজটা সদর দরজার বাইরে থেকে আসছে। রাফি একঝটকায় দরজা খুলে শিড়ি বেয়ে নীচে নামতে থাকে। চার তলা এবং তিন তলার মাঝামাঝি নামতেই দেখতে পায় তোহাকে। তিন তলার রকিবের মা বাবা থাকেন। তোহা রাকিবদের বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে আন্টির সাথে কথা বলছিলো। ডাকাডাকি শুনে তোহা তড়িঘড়ি করে আন্টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে উপরে চলে আসতে থাকে। উপরে ওঠার সময় তোটা নীচের দিকে তাঁকিয়ে থাকায় রাফিকে দেখতে পায় না। রাফি সেটা বুঝতে পেরে হালকা কাশি দিয়ে তোহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তোহা চোখ তুলে হয়তো রাফিকে প্রত্যাশা করে নি তাই একপলক উপরে তাঁকিয়ে আবারও চোখ ঘুরিয়ে নিয়ে থমকে যায়। আবারো মুচকি হেসে আঁড়চোখে রাফির আপাদমস্তক দেখতে থাকে তোহা। রাফির খেয়াল হলো তার পোশাকের দিকে, তাড়াহুড়োতে ট্রাউজার্স আর ট্যাংক টপস (স্যান্ডু গেন্জি) পড়েই নীচে নেমে এসেছিলো সে। তোহার চাহনি আর মুচকী হাসিতে যথেষ্ট বিব্রত বোধ করে রাফি। তোহা নজর না সরিয়ে রাফির সামনে এসে দাঁড়ায়,
তোহা – (মোহমাখা স্বরে) এত তাড়া? হুউ? বউ ঘরে নেই বলে ভেবেছো পালিয়ে গেলো কিনা? (রাফির দিকে একধাপ এগিয়ে গেলো তোহা, রাফি পিছিয়ে গেলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়) পালাই নি এখনো, কিন্তু আমার থেকে যদি ওই ল্যাপটপকে বেশী ভালোবাসতে থাকো তাহলে সত্যিই একদিন পালিয়ে যাবো।
রাফি শিড়িঘরে নিজেকে কোনঠাসা আবিস্কার করলো, তোহা যে হঠাৎ করে এভাবে আটকে দেবে এটা ধারনার বাইরে ছিল রাফির। তোহার দুষ্টুমি বাড়বে এমন সময় কারো পায়ের শব্দ পেয়ে তোহা রাফিকে ছেড়ে শিড়ি বেয়ে উঠে গেলো তোহা। রাফিও সম্মোহন ফিরে পেয়ে তোহার চলে যাওয়া দেখতে থাকে।
……
রাতে খাবার টেবিলে,
রাফি – (ইতস্তত সুরে) কাল আমাকে জরুরী কাজে বাইরে যেতে হবে, সপ্তাহখানেকের ভেতর ফিরে আসবো।
তোহা – হঠাৎ কোথায় যাচ্ছো?
রাফি – বড় একটা প্রজেক্ট এর কাজে হাত দিয়েছি। সেই কাজের জন্যই বের হতে হবে।
তোহা – কিন্তু যাবে কোথায়?
রাফি – সেটা তো বলতে পারছি না এখনই তবে কাল গেলে জানতে পারবো।
তোহা কপাল কুঁচকে রাফির দিকে তাঁকায়। রাফি তোহার চোখের দিকে তাঁকিয়েই বুঝতে পারে যে তোহা সন্দেহ করছে রাফিকে। রাফি জানে যে সে জীবন মৃত্যু মাঝখানে বসে এই মিশনের জন্য নিজেকে রাজি করিয়েছে কিন্তু তোহাকে সবকিছু বললে তোহা কিছুতেই রাফিকে যেতে দেবে না। তাই তোহা যতই সন্দেহ করুক রাফিকে যেভাবেই হোক তোহার প্রশ্নবান এড়িয়ে কাল বের হতে হবে।
তোহা – (খাবার খেতে খেতে) অফিসিয়াল মিশন নাকি আনঅফিসিয়াল?
রাফি জানে যে তোহা বুদ্ধিমতি মেয়ে, অফিশিয়াল ট্যুরের কথা বললে তোহা অবশ্যই কাগজপত্র দেখতে চাইবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা চরম শিক্ষা দিয়েছে রাফি এবং তার পরিবারকে।
রাফি – আনঅফিশিয়াল। সিক্রেট প্রোজেক্ট বলতে পারো।
তোহা – বলতে চাইছো না যখন তখন জানতে চাইবো না তবে একটু সাবধানে কাজ করো। এই অল্প কিছুদিনের ভেতর অনেক ঝড় গিয়েছে আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে, আশা করি বুঝতে পেরেছো।
বলে তোহা টেবিল ছেড়ে উঠে যাচ্ছিলো।
রাফি – খাওয়া শেষ করলে না?
তোহা – হয়ে গেছে।
এতটুকু বলে কিচেনের দিকে চলে গেলো তোহা। রান্নাঘরের কাজ শেরে আবার ডাইনিং এ এসে বসলো তোহা।
রাফি শেষ মুহূর্তে এসেও থমকে যায়, তোহার কাছে সবকিছু গোপন করাটা ঠিক হবে কিনা সেটা বুঝতে পারছে না রাফি। খাওয়া শেষ করতে করতে তোহাকে সব খুলে বলতে থাকে রাফি, সাবমেরিন থেকে শুরু করে ভাঙ্গা এন্টেনা পর্যন্ত, কিন্তু এই পুরো বিষয় থেকে পিকাচুকে আড়াল করে রাখলো।
তোহা কিছুটা কৌতুহলি হয়ে উঠলো। ইংরেজী মুভির হিরো জেমস বন্ড এর ফ্যান বলে কথা।
তোহা – এতবড় মিশন পরিচালনা করছে কে?
রাফি – কোন শক্ত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এটা আমার মিশন। আর প্রমাণ জোগাড় করতে পারলেই সব ডিটেলস রাশিয়ান ইন্টেলিজেন্সের হাতে তুলে দিতে পারবো।
তোহা – তাহলে তুমি সুইসাইড মিশনে যাচ্ছো?
রাফি – মানে?
তোহা – মানে প্রমান সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি কোন বিপদে পড়ে যাও তাহলে তোমাকে সাহায্য করার মত কেউ নেই?
রাফি চুপ করে থাকে, পিকাচুর কথা এখনই জানাতে চায় না তোহাকে।
রাফি – একজন ব্যাকআপ তো থাকেই সবসময়। প্রয়োজন হলে তাকে ডাকা যাবে।
তোহা আরো প্রশ্ন করতে চাইলেও রাফি ইন্টারেষ্ট দেখাতে চাইলো না। তোহার ভেতর বাচ্চামী আছে ঠিকই তবে সে তুখোড় ইন্টেলিজেন্ট ও বটে। বাচ্চামী করতে করতে সব কথা বের করে নিয়ে আসার দারুণ ক্ষমতা আছে মেয়েটার। তাই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়াটাই সমীচীন মনে করলো রাফি। তোহাও তাই মিশন নিয়ে প্রশ্ন করা বাদ দিলো।
তোহা – কাল সকালেই চলে যাবে? আবারও একা ফেলে চলে যাবে?
রাফি তোহার দিকে তাঁকিয়ে দেখে মেয়েটা গাল ফুলিয়ে আছে। দেখেই গালটা টানতে ইচ্ছা করলেও এখন শক্ত থাকতে হবে রাফিকে, মায়ায় পড়ে গেলে মিশন তো দূর ঘরের বাইরে যেতেও মন চাইবে না।
তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে স্ট্যাডি রুমে চলে আসে রাফি। পিকাচু তার কাজ করে চলেছে।
পিকাচু – রাফিউল ইসলাম, সোলজার, গিয়ার, ওয়েপন এবং ট্রান্সপোর্টেশন তৈরি। আপনার পার্মিশনের অপেক্ষায়।
রাফি – Mission is a go. Find a safe house in Russia, Gather everything there and arrange my transport tomorrow. Let’s find this submarine.