#হৃদয়_জুড়ে_শুধু_আপনি
#পর্ব_২৬
#জান্নাত_সুলতানা
“আমার লেট হচ্ছে সোনা ।তাড়াতাড়ি আসুন”
সাদনান সেই কখন থেকে প্রিয়তা কে ডেকে যাচ্ছে। কিন্তু প্রিয়তা পারবে না বলে প্রতি বারই সাদনানের ডাক নাকচ করছে।
দুই দুবার খবর পাঠিয়েছে। তবুও মেয়েটা আসার নাম নেই তাই তো বাধ্য হয়ে।
মেসেজ দিয়েছে।
সাদনান ফোনটা সোফায় রেখে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
সাদনান জানে এবার তার বউ ঠিক আসবে।
আর হলোও তাই সাদনান ওয়াশরুমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে
প্রিয়তা রুমে প্রবেশ করে।আর শুনতে পেলো ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ।
মেয়ে টা মুচকি হাসে।ভাবে সাদনান নিশ্চয়ই এতোখন অপেক্ষা করে সাওয়ার নিতে গিয়েছে।
এসব ভাবতে ভাবতে সাদনানের প্রয়োজনীয় সব আলমারি হতে নামি বিছানায় রাখে।
সব বিছানায় রেখে পিছনে ঘুরতেই ধাক্কা খেলো সাদনানের শক্ত পোক্ত শরীরটার সঙ্গে।
নাক মুখ কুঁচকে নিলো প্রিয়তা।
তবে তৎক্ষনাৎ সাদনানের ঠান্ডা হাতের স্পর্শে পেলো কোমরে।
চোখ তোলে দৃষ্টি দেয় সামনে থাকা পুরুষ টার পানে।
ফের সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামায় ।এই চোখে যে দৃষ্টি মিলানো সম্ভব নয়। হয়তো আর কোনো দিন সম্ভব হবেও না।
সাদনান বউয়ের কোমর জড়িয়ে ধরে ওষ্ঠ ছোঁয়া কপালে।
তার পর ছেড়ে দিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় সব হাতে নেয়।
আবারও ওয়াশরুম যেতে যেতে আদেশের সুরে বলে
-“নড়াচড়া করবেন না।
আমি পাঁচ মিনিট এর মধ্যে আসছি।
প্রিয়তা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো সাদনান।
প্রিয়তা মুচকি হাসে।
পা ঝুলিয়ে বিছানার ধারে বসে পরে।
মিনিট পাঁচেক পর সাদনান বেড়িয়ে আসে।
সাদনান রেডি হচ্ছে প্রিয়তা বসে বসে দেখছে।
না দেখেও উপায় নেই।
এটা প্রিয়তার এখন রোজ কার রুটিন।
সাদনান রেডি হবে আর সেটা বসে বসে দেখতে হবে।
সাদনান রেডি হয়ে বউ কে বসে থাকতে বলে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।
এখন বেলা এগারো টা বাজে।
রাহানরা বারো টা নাগাদ আসবে বলে ফোনে জানিয়েছে।
সারা কে সাজানো এখনো শেষ হয়নি।
পার্লার থেকে মেয়ে এসছে।
ওরাই ওকে সাজাচ্ছে। প্রিয়তা তখন ওখানেই বসে ছিল।
সাদনান কক্ষে হতে বেড়িয়ে সোজা রান্না ঘরে এলো
সালেহা বেগম ছেলে কে রান্না ঘরে দেখে হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে
-“আব্বা কিছু লাগবে?”
সাদনান সোজা সাপটা জবাব
-“খাবার লাগবে।আমার বউ এখনো কিছু খায়নি।
কাজ করতে দেও না ঠিক আছে।
অন্তত আমার বউ কে ঠিক মতো খাবার টা তো খেতে দিবা মা।
তুমি তো জানো ও কেমন মেয়ে।”
ছেলের কথায় সালেহা দাঁত ধারা জ্বি হা কাটে।
ওনার তো মনেই ছিল না।ইস মেয়ে টা নিশ্চয়ই এতো বেলা অব্দি না খেয়ো আছে।আর ওনি তো কাজের চাপে ভুলে বসেছে।এসব ভেবে সালেহা বেগম মন খারাপ করে বলে
-“আমার খেয়াল ছিল না আব্বা।
একটু কষ্ট করে আপনি যদি ওকে,,,
-“তুমি খাবার টা দেও আমি খাইয়ে দেবো।”
সালেহা বেগম হয়তো ছেলে কে বলতে ইতস্তত বোধ করছিলো।
সাদনান বুঝতে পারে।
মার কথা সমাপ্ত করার আগেই নিজ থেকে বলে উঠে।
সালেহা বেগম খাবার প্লেট ছেলের হাতে দেয়। সাদনান মা কে একটা মুচকি হাসি দেয়।
সালেহা বেগমও হাসে। ছেলে তার বড্ড বউ পাগলো।
অবশ্য বাবা যেমন ছেলে তো তার তেমন এ হবে।
আজ্জম মির্জা এখনো স্ত্রী কে বোশ যত্ন করে সাথে ভালোবাসা।
যদিও সময় করে উঠতে পারে না তবে যতোটুকু সময় থাকে স্ত্রী কে ভালোবাসা যত্ন কোনো টাই ত্রুটি রাখে না।
প্রিয়তা কে খাবার টা একটু জোর করেই খাওয়াতে হয়।নয়তো এ মেয়ে খাবারের প্রতি বেশ অনিহা করে।
সাদনান বউ কে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে।
বউ তার বাধ্য মেয়ের মতো টপাটপ গিলছে।
না গিলেও উপায় নেই।
সাদনান বেশ গম্ভীরতা বজায় রেখে বউয়ের মুখে খাবার তোলে দিচ্ছে।
যেনো একটু হে’র ফের হলেই মস্ত কোনো অঘটন ঘটে যাবে।
-“এখন যান। তবে হ্যাঁ ডাকলে যেনো সাথে সাথে সামনে দেখতে পাই।”
সাদনান এঁটো প্লেট টা সেন্টার টেবিল রাখতে রাখতে বলে প্রিয়তা কে।
প্রিয়তা টিসু দিয়ে মুখ মুছে।
অতঃপর ভদ্র মেয়ের মতো জানায়
-“আচ্ছা। ”
———————
মির্জা বাড়ি একদম পানির মতো ঠান্ডা হয়ে আছে।
কোনো রকম কোনো শব্দ নেই।
প্রিয়তা সালেহা বেগম পাশে বসে আছে।
সাদনান হয়তো নিজের রুমে আছে।
আজ্জম মির্জাও গম্ভীর মুখে সোফায় বসে।
মুলত সারা কে বিদায় দিয়ে সবাই ভেঙ্গে পড়েছে।
সালেহা বেগম তো কেঁদে কেটে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে।
সাদনান নিজেও বোনের বিদায় বেলা কেঁদে ফেলেছে।
আজ্জম মির্জা যেনো পাথরে হয়ে বসে আছে।
কোনো অনুভূতি প্রকাশ করছে না।
করছে না নাকি পারছে না?
পুরুষ মানুষ বুঝি এমনি?
কারোর সামনে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করে না?
হয়তো।
রাত তো অনেক হয়েছে।
রাত প্রায় একটা।সওদাগর বাড়ির সবাই এতোখন এখানেই ছিল।
প্রিয়তা আর আজ্জম মির্জা বলে কইয়ে সবাই কে বিশ্রাম নিতে পাঠিয়েছে ধকল তো আর কারোর উপর দিয়েই কম যায় নি।
-“তুই এবার যা। আমি ঠিক আছি।
দেখ গিয়ে আমার ছেলে টা কি করছে।”
সালেহা বেগমের কথায় প্রিয়তা কিছু বলতে চায়। কিন্তু তিনি তার আগেই ঠেলে ঠুলে প্রিয়তা কে কক্ষ হতে বের করে দেয়।
প্রিয়তা কথা বারায় না আর।
রুমে এসেই দেখলো সাদনান বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রিয়তা পা টিপে টিপে সাদনানের পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়।
-“রুমে চলুন। রাত অনেক হয়েছে। ”
মিনমিন করে বলে প্রিয়তা।
সাদনান ঝরের বেগে পিছন ফিরে মেয়ে টাকে ঝাপটে ধরে।
প্রিয়তা আকস্মিক ঘটনায় চমকে উঠলো।
বুঝতে পেরে পরবর্তীতে নিজেও সাদনানকে জড়িয়ে ধরে।
বুঝানোর সুরে বলে
-“এভাবে ভেঙ্গে পড়লে মা-বাবা কে কে সামলাবে?
আর তাছাড়া মেয়েদের তো এক দিন না এক দিন পরের ঘরে যেতেই হবে। এটাই নিয়ম।
এটাই হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে । আর রাহান ভাই ভালো মানুষ ওনি সারা কে আগলে রাখবে। ”
সাদনান কিছু বলে না।
-“এখন চলুন ঘুমাতে হবে।”
কথা গুলো শেষ করে সাদনান কে নিয়ে রুমে আসে।
সাদনান কিছু বলে না।
ভদ্র ছেলের মতো বউয়ের সঙ্গে রুমে আসে।
সাদনান ফ্রেশ হতে চলে যায়।
প্রিয়তাও বিছানা গুছিয়ে নেয়।
ঘুমানোর আগে সাদনান সব সময় বিছানা ঠিক করে।আবার ঘুম থেকে উঠার পরেও।
তবে আজ প্রিয়তা করে।
সাদনান ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে আসার পর প্রিয়তাও ফ্রেশ হয়ে রাতের পোষাক পড়ে বেড়িয়ে এসে দেখলো সাদনান চোখের উপর হাত রেখে শুয়ে আছে।
দেখা বুঝা যাচ্ছে না ঘুমিয়ে পরেছে না-কি ঘুমায় নি।
প্রিয়তা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে। অতঃপর চুল গুলো চিরুনী করে যেই না বিনুনি করতে ভাগ করবে তখনি ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেলে চুলের বাজে।
প্রিয়তা তৎক্ষনাৎ মাথা তোলে সামনে আয়নায় তাকিয়ে সাদনান কে দেখতে পায়।
ততক্ষণে সাদনান বউয়ের লম্বা চুল গুলো বিনুনি করতে শুরু করছে।
প্রিয়তা কিছু বলে না। প্রশান্তির হাসি হাসে।
এটা সাদনান প্রায় করে থাকে।
সাদনান বউয়ের চুল বেধে দিয়ে বউ কে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেও পাশে শুয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বউ কে।
———————
একজন রমণী বঁধু বেসে বিছানায় কি সুন্দর গুটি শুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে।
তার ঠিক পাশেই গাল হাত রেখে মুগ্ধ নয়নে এক দৃষ্টিতে রমণী টার পানে তাকিয়ে আছে একটা বলিষ্ঠ শরীরে অধিকারী পুরুষ।
রাত আনুমানিক একটার কোঠা পেড়িয়েছে। সে দিকে পুরুষ- টির খেয়াল নেই।
কিন্তু পুরুষ টার চোখে আজ ঘুম নেই। এই রমণী টাকে দেখার তৃষ্ণা যেনো শেষ হচ্ছে না। হয়তো আর কোনো দিন শেষও হবেও না।
আসার সময় পথে কান্না করতে করতে গাড়িতে ঘুমিয়ে পরেছে মেয়েটা।
বাড়িতে আসার পর কেউ কেউ বলেছিল। জাগিয়ে দিতে তবে রাহান তার বউ কে না জাগিয়ে উল্টো সবাই কে ধমক দিয়ে বউ কে সোজা কোলে নিয়ে কক্ষে চলে এসছে।রাহানের বাবা মা লজ্জা পেয়েছে।তবে বেশ খুশিও হয়েছে।ছেলের এমন বউয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখে।
রাহান সারার কপালে নিজের ওষ্ঠ ছুঁয়ে দেয়।
সারা নড়েচড়ে উঠে।
রাহান কিছু দূরে সরে বসে।এই নারীর সন্নিকটে বেশিখন থাকা যাবে না নয়তো যখন তখন যে কোনো ভুল করে বসবে।
ভেবে রাহান আলমারি খোলে একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে।
ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দেই সারা চোখ জোড়া মেলে তাকায়।
সারা তন্দ্রা অনেক আগেই ছুটছে কিন্তু এতোখন ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
সারা শুয়া থেকে উঠে বসে। পুড়েটা রুমে চোখ বুলায়।
অনেক সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো একটা বিছানায় বসে আছে ও বুঝতে পারে। সাথে রুমটাও বেশ গুছানো।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই রুমের মালিক বেশ শৌখিন।
সারার বেশ মন খারাপ হলো। আজকের একটা রাতেও ও অর্ধেক রাত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে।
রাহানের নিশ্চয়ই এই রাত টা নিয়ে অনেক সপ্ন ছিল?অবশ্য থাকারই কথা। এই রাত টা নিয়ে প্রতি টা নারী-পুরষের সপ্ন থাকে।যদিও রাহান বিয়ের আগে এসব নিয়ে কখনো কোনো রকম কথা বলে নি। তবুও কিছু ইচ্ছে তো থাকে। আর ও কি করে ঘুমি পড়লো?আর রাহান কেন ওকে ডাকে নি? তাই তো ঘুম ছুটার পরেও চোখ বন্ধ করে ছিল।
সারা এসব ভাবতে ভাবতে বিছানা হতে নেমে চার দিকে ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখতে লাগলো।
তার ঠিক মিনিট দুই এক এর মাথায় পূর্বের নেয় আওয়াজ করে ওয়াশরুমের দরজা টা খোলে রাহান বেড়িয়ে এলো
সারা রাহান কে দেখেই চুপ করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়।
রাহান সারা কে এভাবে দেখে অবাক হয়।
মেয়ে টা ঘুমিয়ে ছিল।তবে কি ঘুমায় নি?
রাহান বেশি কিছু ভাবে না বউ হয় তার সজাগ থাকলেই কি না থাকলেই বা কি।হুু,।
-“উঠেই যখন গিয়েছো। ফ্রেশ হয়ে এসো।
এক সাথে নামাজ টা পড়েই ঘুমাই।”
বলতে বলতে রাহান গিয়ে আলমারি খোলে। একটা সিল্কি শাড়ী সাথে সব প্রয়োজন বের করে সারার হাতে দেয়।
সারা শাড়ী অবস্থা দেখে চোখ বড় বড় করে রাহানের মুখু পানে চায়।
কারণ শাড়ী টা একটু বেশি পাতলা।
-“আমি তোমার হাসবেন্ড। এখন যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসো।”
রাহান গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে।
সারা আর কি করবে। এই রুম বাড়ি সব কিছু নতুন কিছু চিনে না।
এখন এটা না পড়েও থাকা যাবে না। কারণ শরীরে যে পোষাক সে সব নিয়ে কিছুতেই ঘুমানো যাবে না।
বাধ্য হয়ে এটা পড়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে এলো।
রাহান কিছু বলে না।
এমনকি একবার তাকালো পর্যন্ত না। সারাও বেশ খুশি হলো।
কারণ ওর এমনিতেই কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছিল।তার উপর রাহান তাকালে হয়তো হুঁশ হারাবে।
দুজনে এক সাথে নামাজ পড়ে নেয়।
রাহান জায়নামাজ গুছিয়ে রাখে।
তার পর আলমারি খোলে দুটো টাকার বান্ডিল আর একটা বক্স বের করে।
সারা সে দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
রাহান টাকা গুলো এনে সারা হাতে দেয়।
সারা না চাইতেও টাকা গুলো ধরে। আর জিজ্ঞেসা দৃষ্টিতে তাকায় রাহানের দিকে।
রাহান সে সব উপেক্ষা করে বক্স এর ভিতর হতে একটা গোল্ড এর চেইন বের করে সারা কে পড়িয়ে দিতে দিতে বলে
-“এখানে দেড় লাখ আছে।কাবিনের টাকা যদিও আরো বেশি। তবে আমার নিজের রোজগারের এটুকুই এখন আছে।
এখন তুমি এটা রেখে দেও।
আর চেইন টা বাসর রাতের উপহার আমার কাছ থেকে।
তবে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। তোমাকে আমার রাজ্যের রানী করে রাখার।”
কথা গুলো বলে রাহান সারার কাঁধে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়া।
এতো টা গভীর স্পর্শ রাহান এই প্রথম করলো।এর আগে চুমু খেয়েছে তবে এতো টা গভীরতা নিয়ে স্পর্শ কখনো করে নি।
সারা শিউরে উঠে।
শরীরের সব ঘুমন্ত লম্বা লম্বা পশম গুলো জেগে উঠে।
চোখ বন্ধ করেই মিনমিন করে বলে
-“আপনি আমার সব এসব টাকা আমার লাগবে না।এটা আপনি রেখে দিন।
আর তাছাড়া আপনার সব তো আমার। আমার আলাদা করে কিছু চাই না।
বলতে বলতে টাকা গুলো পাশের টেবিলে রাখে।
তবে রাহান টাকার দিকে কোনো নজর নেই।
সে এক নেশালো দৃষ্টিতে সারার দিকে তাকিয়ে।
সারা কথা শেষ করে পিছনে ফিরে রাহান কে জড়িয়ে ধরে।
রাহান সযত্নে বউ কে আগলে ধরে।
রাহান সারার মাথা টা দু হাত ধরে বুক হতে আলগা করে।
আলতো করে চুমু আঁকে মেয়েটার অধরে।
পর পরই শক্ত করে চেপে ধরে নিজের অধর ধারা মেয়ে টার অধর জোড়া। সারাও আবেশে চোখ বন্ধ করে।
বেশ কিছু সময় গাঢ় একটা চুম্বন করে ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকে ঝট করে কোলে তোলে বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিজের সম্পূর্ণ ভর ছাড়ে বউয়ের ছোট্ট দেহখানার উপর।
#চলবে…..