হৃদয়_জুড়ে_শুধু_আপনি পর্ব-২২

0
697

#হৃদয়_জুড়ে_শুধু_আপনি
#পর্ব_২২
#জান্নাত_সুলতানা

-“বলতে পারতে কষ্ট হচ্ছে। আমি তো আর অমানুষ নই।”

প্রিয়তা সাদনানের বুকে শুয়ে আছে। সাদনান ওর বউয়ের মাথায় চুলের বাজে বাজে আঙ্গুল চালাচ্ছে। তখনি হঠাৎ করে বলে উঠলো সাদনান।

-“এভাবে কেন বলছেন আপনি?”

অবাক হয়ে প্রশ্ন করে মেয়ে টা।

-“তোমার কষ্ট হচ্ছে। ”

অসহায় গলায় উত্তর করে সাদনান।

-“আমি একবারও বলেছি? আর অসভ্যের মতো কি সব বলছেন?”

-“না,,,

-“আমি ফ্রেশ হবো।”

আবারও প্রশ্ন করে। কিন্তু সাদনান কে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে বলে উঠলো প্রিয়তা।
সাদনানও কথা বাড়ায় না। বউ তার এ বিষয় কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে।
সাদনান বুক হতে দু হাত ধারা আলগা করে মেয়ে টাকে।

আলগোছে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে এলো। বউ তার নাজুক। প্রথম বারে মেয়ে টা সাদনানের ছোঁয়া অবস্থা করুন। বউ তার বয়সে এখনো ছোট্ট। সাথে শরীরও বেশি কিছু নেই। বউয়ের ধারে কাছে বেশি ঘেঁষা যাবে না।ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ করিয়ে আবারও কোলে করে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে নিজেও ফ্রেশ হতে যায়।
ফ্রেশ হয়ে বউয়ের কাপড় সহ নিজের সব ধুয়ে বেলকনিতে দিয়ে আসে।যদি এখন বাহিরে আলো নেই।হালকা অন্ধকার।

কাপড় মেলে দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলো। খাবার খাইয়ে ঔষধ দিতে হবে বউ কে।

কাল রাতে দুটি ভালোবাসার মানুষের একান্ত মূহুর্ত পার করার সময় প্রথম কাছাকাছি হওয়ার ধরুনে প্রিয়তার বেশ কষ্ট হয়েছে। হবারই কথা সাদনান এমন বলিষ্ঠ শরীরের ছোঁয়া মেয়ে টার এই ছোট্ট দেহ টা নিতে বেশ কসরত করতে হয়। অতি সন্নিকটে আসা প্রিয়তা অজানা এক আনন্দ পেয়েছে। কিন্তু কষ্ট ভুলে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে বাধা দিতে পারেনি। সাদনান বুঝতে পেড়ে সরে যেতে চেয়ে ছিল। কিন্তু বউ তার সেটা হতে দেয় নি।

কিন্তু এখন অবস্থা বেশি ভালো না।
সাদনান নুডলস রান্না করে নিয়ে রুমে এলো।প্রিয়তা শুয়ে আছে।

-“সোনা উঠতে পারবে?”

প্রিয়তার ললাটে ওষ্ঠ ছুঁয়ে ডাকে সাদনান।
প্রিয়তা সাদনানের ছোঁয়া পেয়ে পিটপিট করে তাকায়।

-“আমি পারবো।”

মিনমিন করে জানায় প্রিয়তা।

সাদনান ধরে বসিয়ে দেয়। ওয়াশরুম থেকে তোয়ালে ভিজিয়ে আনে।সুন্দর করে বউয়ের হাত মুখ মুছে দেয়।
প্রিয়তা অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখছে নিজের একান্ত কাছের পুরুষ টাকে।

সাদনান একটা নেবি কালর টি-শার্ট আর ট্রাউজার পড়ে।দেখতে বেশ লাগছে এমনিতেই সুন্দর। আবার গোসল করেছে সকালে আরো স্নিগ্ধ লাগছে।
প্রিয়তা বেচারি বেহায়া মন টা আবার এই পুরুষ টাকে এখন আবার নিজের করে পেতে মন চাইছে। কিন্তু পরক্ষণেই সাদনানের মুখের দিকে ভালো করে তাকায় কপালের পাশে হলুদ নাকের সাইডেও আছে।
এখন আরো বাচ্চা বাচ্চা ভাব আসছে চেহেরা। কি সুন্দর করে বাচ্চাদের মতো করে ভ্রু কুচকে রেখেছে।
প্রিয়তা এসব ভেবেই নিজে নিজে হেসে ফেলে।

সাদনান ভ্রু জোড়া সরল করে তাকায় বউয়ের দিকে।

-“কি হয়েছে? কি নিয়ে এতো হাসি হচ্ছে? ”

-“ভালোবাসি সাদনান ভাই।”

সাদনানের চমকানো নয়নে চাইলো প্রিয়তার দিকে। মেয়ে টা লজ্জা পাচ্ছে। আজ প্রথম মেয়ে টা ওকে “ভালোবাসি” বলেছে।
সাদনান মুচকি হাসলো। তবে অবাক হলেও নিজেকে সামলে জড়িয়ে ধরে গলায় ছোট্ট ছোট্ট কটা চুমু খেয়ে নিলো।
প্রিয়তাও চুপটি করে রইলো।
সাদনান ছেড়ে দিলো।

-“হা করুন। ”

সাদনানের কথায় প্রিয়তা বাধ্য মেয়ের মতো মুখ খোলে। সাদনানও মুখে খাবার দেয়।

-“আপনিও খেয়ে নিন।”

প্রিয়তা বলতে দেড়ি কিন্তু সাদনান খাবার নিজেও মুখে পুরে।
প্রিয়তা মুচকি হাসলো। এই এক দিনে প্রিয়তা নিজে হাতে খাবার খায়নি।সাদনান খাইয়ে দেয় সাথে নিজেও একই প্লেট এ খেয়ে নেয়।প্রিয়তার এই ব্যাপার টা বেশ ভালো লাগে।
কিন্তু পরক্ষণেই কিছু ভেবে মন টা খারাপ হয়ে গেলো।
তবে সামনে থাকা পুরুষ টাকে সেটা টের পেতে দিলো না।

———————–

-“সোনা চলো উঠে রেডি হয়ে নেও।”

প্রিয়তা একটা বই হাতে বসে আছে। এখন সকাল আটটার বেশি সময় বাজে। তখুনি সাদনান হাতে ঘড়ি পড়তে পড়তে কক্ষে প্রবেশ করে বলে উঠলো।
প্রিয়তা ভ্রু কুচকে তাকায় সাদনানের দিকে। সাদনান রেডি হয়ে এসছে পাশের রুম হতে।

-“আপনি কোথায় যাচ্ছেন? ”

-“ভুলে গেলে সোনা অফিস জরুরি মিটিং আছে। আমরা কিন্তু সেই জন্যই কাল এখানে এসছি।”

প্রিয়তার মুখ টা কালো হয়ে গেলো।

-“তাহলে বাসায় আমি এ,,,,

-“আমি কিন্তু রেডি হতে বলেছি।আপনি হয়তো শোনেননি।”

প্রিয়তা চোখ চকচক করে উঠলো। ও তো খেয়াল এ করে নি সাদনান ওকেও রেডি হতে বলেছে। বেচারি প্রিয়তা সাদনান কে দেখলে কথা, কাজ সব ভুলে যায়।

প্রিয়তা বিছানা হতে নামতে গিয়ে ব্যথায় হালকা আর্তনা করে উঠে। সাদনান তড়িৎ গতিতে এগিয়ে গিয়ে কোলে তোলে নেয়। চোখ লাল করে তাকায়। অতঃপর হাটা দেয় ওয়াশরুমের দিকে।

প্রিয়তা সাদনানের দিকে তাকিয়ে। হঠাৎ করে ওর কিছু মনে হলো। নিমেষেই মন টা খারাপ হয়ে গেলো।

-“আমার তো এখানে শাড়ী ছাড়া কিছু নেই। ”

মুখ মলিন করে বলে মেয়ে টা।
সাদনান প্রিয়তার কথা তাকালো বউয়ের দিকে।
ওয়াশরুমের ভিতর নামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো

-“শাড়ী পড়েই যাবেন। ফ্রেশ হয়ে আসুন শাড়ী আমি পড়িয়ে দেবো।”

বলে চলে গেলো। প্রিয়তাও ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে দেখলো সাদনান হালকা মিষ্টি কালার একটা শাড়ী নিয়েছে।
প্রিয়তা বেড়িয়ে আসতেই সাদনান প্রিয়তা কে শাড়ী টা পড়িয়ে হালকা করে সাজিয়ে দিলো।

তার পর সাদনান বউ কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।বউ কে কোলে নিতে চেয়েছিল সাদনান কিন্তু বউ তার কিছুতেই রাজি নয়। সাদনান বুঝে মেয়ে টা লোক লজ্জার ভয়ে। তাই আর কথা বাড়ায় না। বউকে নিয়ে আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে গাড়ির কাছে এসে পড়ে।

সাদনানের দামী গাড়ি টা এসে বিশাল বড় একটা দালানের কাছে থামে।

প্রিয়তা কে নামতে বলে। প্রিয়তাও গাড়ি হতে নেমে দাঁড়ায়। সাদনান গাড়ি টা পার্ক করে আসে।
তার পর প্রিয়তার হাত ধরে বিল্ডিং এর ভিতর প্রবেশ করে।

সাদনান অফিসে ডুকতেই একজন ছাব্বিশ কি সাতাশ বছরের পুরুষ দৌড়ে আসে। তার পর ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে সাদনান গম্ভীর মুখে সব বলে।

আর বাকিরা সবাই সাদনান কে দেখে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে। কেউ কেউ প্রিয়তার দিকে অবাক চোখে চেয়ে কেউ আবার ভ্রু কুচকে তাকায়।
হয়তো সবার মনে প্রশ্ন “কে এই মেয়ে যাকে তাদের স্যার এমন সযত্নে সংরক্ষণ করে দাঁড়িয়ে?” প্রশ্ন টা সবার মস্তিষ্কের ভিতর আসার কারণ সাদনান প্রিয়তা কে ছোট্ট বাচ্চার মতো আগলে দাঁড়িয়ে আছপ।
যেনো হে’র ফের হলে কোনো অনর্থ হয়ে যাবে।

সবার অবাক হবার বড় কারণ সাদনান কে কখনো কেউ কোনো মেয়ের ধারে কাছে দেখেনি তাই কৌতুহল টা সবাইরে হওয়ার কথা।

-“আমার ওয়াইফ। মিসেস সাদনান। ”

কেউ কেউ প্রিয়তার সঙ্গে কথা বলল। আবার কিছু মানুষ নাক মুখ কুঁচকে নিলো।
তবে প্রিয়তা সবার সাথে কথা বলে।
তার পর সাদনান প্রিয়তা কে নিয়ে ওর কেবিনে চলে এলো।

কেবিনে আসার একটু পর সেই ছেলে টা আবার এসে সাদনানকে জানায় মিটিং এর জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।
তাই সাদনান প্রিয়তা কে রেখে মিটিং রুমে চলে গেলো।

সাদনান কেবিন থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার মিনিট পাঁচের মাথায় একটা মেয়ে এলো।

-“ম্যাম আমি তনি। স্যার মিটিং শেষ হতে লেট হবে। ততক্ষণ আমি আপনার সাথে থাকবো।”

প্রিয়তা খুশি হলো কারণ ও এই ক মিনিটেি কেমন হাঁপিয়ে উঠেছিল।
কেমন হাঁস পাশ লাগছিল। মেয়ে টা এসছে ভালোই হয়েছে।
কথা বলতে বলতে সময় টা কেটে যাবে।

প্রিয়তা মেয়ে টার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পাড়লো মেয়ে টা অনেক মিশুক আর ভালো।

দুপুরের দিকে মেয়ে টা চলে গেলো। এর একটু বাদে সাদনান কেবিনে প্রবেশ করে।
তার পর প্রিয়তা কে নিয়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়ে।

সাদনানের গাড়ি টা একটা রেস্টুরেন্টে এর সামনে থামায়।
গাড়ি থেকে নেমে বউয়ের হাত ধরে রেস্টুরেন্টে এর ভিতর প্রবেশ করে।

দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক বড় রেস্টুরেন্ট।আর মানুষ জনও বেশ ভদ্র ভাবে চলা ফেরা করছে কোনো হৈ-হুল্লোড় নেই।

সাদনান এক কর্নারে গিয়ে একটা টেবিলে বসে।
ওয়েটার ডেকে প্রিয়তা কে জিজ্ঞেস করে খাবার অর্ডার করে।

-“ওই তনি মেয়ে টা অনেক ভালো।”

প্রিয়তা বলে।
সাদনান বউয়ের পাশে বসা বউকে আরো একটু কাছে টানে।

-“হুম। ছেলে টাকে দেখছো, রিফাত?।ওরা দুজন হাসবেন্ড ওয়াইফ।”

প্রিয়তা সাদনানের কথায় চোখ ছোট ছোট করে তাকায়।

প্রিয়তা কিছু বলবে মুখ খোলার আগেই দেখলো ওই মেয়ে টা আর ছেলে টা এই রেস্টুরেন্টে এসছে।

-“ওই দেখুন ওরা। ”

হাত দিয়ে ইশার করে দেখিয়ে বলে প্রিয়তা। সাদনান প্রিয়তার ইশার অনুসরণ করে তাকায়। হুম রিফাত আর তনি।

সাদনান বউয়ের নিকট হতে একটু দূরে বসে।
তার পর হাত উঁচিয়ে ডাকে

-“রিফাত? ”

রিফাত, তনি দুজনেই অবাক হলো সাদনান, প্রিয়তা কে দেখে।
তবে নিজেদের সামলে এগিয়ে গেলো।

-“স্যার আপনারা? আপনি তো বলেছিলেন কুমিল্লা চলে যাবেন আজ?”

-“বসো।”

রিফাতের কথায় সাদনান বলে।
রিফাত আর তনি অপর প্রান্তে বসে পড়ে।

-“সন্ধায় ফিরে যাবো।”

সাদনান জানায়।
তার পর ওয়েটার ডেকে আগের অর্ডারকৃত সব চারটা করে দিতে বলে।

এতোখনে সাদনানের বউ তনির সাথে এক দফা আলাপ সেরে নিয়েছে।

তনি আর রিফাত দুজন দুজন কে ভালোবাসে। কিন্তু তনির পরিবার কিছুতেই রিফাত কে মানছিল না। কারণ রিফাত এতিম। তনির বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তনিকে নিয়ে রিফাত পালিয়ে বিয়ে করছ।দুজনে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার ধরুনে বিয়ে করতে ঝামেলা হয় নি। কিন্তু রিফাত বেকার ছিল। শুধু দুটি টিউশন করিয়ে যা পেতো তা দিয়ে কোনো রকম হতো। তবে রিফাত চাকরি খুঁজছিল। এক দিন টিউশন করিয়ে বাসায় ফিরবার সময় রাস্তা সাদনান কে গাড়ি ভিতর পড়ে থাকতে দেখে। সে দিন সাদনানের গাড়িতে কিছু হয়েছিল। যার কারণে নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সাদনানের বেশি চোট লাগে নি তবে হুস ছিল না।সে দিন সাদনানের সঙ্গে অনেক টাকাও ছিল। কিন্তু রিফাত সে সব কিছু উপেক্ষা করে সাদনান কে পাশের ছোট একটা ক্লিনিক এ নিয়ে ছিল। তার পর সাদনানের হুস আসার পর সাদনান কে বাসায় নিয়ে আসে সেই দিন রিফাতের সততা দেখে সাদনান রিফাত কে চাকরি দেয়। পড়ে তনির কথা জানতে পাড়ে। রিফাত বলেছিল তনি অনার্স এ পড়ে।
তনি অনার্স শেষ করার পড় তনি কে সাদনান চাকরি দেয়।

-“স্যার ম্যাম কে নিয়ে আজ আমাদের বাসায় চলেন।”

খাবার খেয়ে সবাই রেস্টুরেন্টে হতে বেড়িয়েছে।
রিফাত বিদায় বেলা বলে উঠলো। রিফাতের সাথে তাল মেলায় তনিও

-“হ্যাঁ,চলুন না স্যার। ”

সাদনান মুচকি হাসলো। রিফাতের কাঁধে চাপর মারে।

-“আজ নয়। আরেক দিন।”

তার পর ওদের বিদায় দিয়ে সাদনান প্রিয়তা গাড়িতে উঠে।

গাড়ি চলতে থাকে আপন গতিতে।

-“আচ্ছা আমরা এখন কোথায় যাবো?”

প্রশ্ন করে প্রিয়তা।

-“সোনা আমরা এখন আমাদের বাড়িতে যাবো।কাল তোমাকে নিয়ে তোমাদের বাড়ি যাবো।”

গাড়ি চালাতে চালাতে উত্তর করে সাদনান।
মেয়ে টা ওর কোলে বসা। গলা জড়িয়ে ধরে বসে আছে।
সাদনান আর কোনো সারা না পেয়ে ডাকলো মেয়ে টাকে

-“সোনা ঘুমিয়ে গেছো?”

-“না। আর কতখন লাগবে? ”

মিনমিন করে আবারও প্রশ্ন করে প্রিয়তা।

-“বেশি না,আধঘন্টার মতো।”

বলে সাদনান বউয়ের মাথার তালুতে চুমু আঁকে।

#চলবে…..

[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ। শব্দ সংখ্যা ১৫০০+ ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে