হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা পর্ব-১৩

0
699

#হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|১৩|
#শার্লিন_হাসান

চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে রাজশাহীর রোডে ঢুকার আগে সবাই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। গাড়ীটা রেস্টুরেন্টে এড়িয়া থেকে কিছুটা দূরেই পার্কিং করতে বলে নিবরাস। কিছুটা খোলামেলা জায়গায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে সবাই রেস্টুরেন্টে চলে যায়। নিবরাস ঘড়িতে সময় দেখছে। ফোন হাতে তার দলের একজনকে মেসেজ পাঠায়,

-যা করার তাড়াতাড়ি করবি। একটা টু শব্দ যাতে না হয় আর না ওদের কানে খবরটা আসে। এখান থেকে যতদূরে সম্ভব গাড়ী নিয়ে যা আধঘন্টার মাঝে । আর সেম গাড়ী রেস্টুরেন্টের সামনে রেখে যাবি।

আনায়া নিবরাসের দিকে তাকিয়ে হাসছে। সেও ঘড়ির কাটা দেখছে। খাবার অর্ডার দিতে চলে আসে কিছুক্ষণের মধ্যে। সবাই স্বাভাবিক ভাবে খেলেও নিবরাস ধীরে সুস্থে খাচ্ছে। মরিয়ম নওয়াজ কিছুটা অবাক হয়ে বলেন,

-তাড়াতাড়ি করো না নিবরাস? আজকে তোমার এতো লেট হচ্ছে?

-বাড়ীতে নাহয় আধঘন্টা পরে পৌঁছাবে এতে সমস্যা কোথায়? আমি আস্তেই খাবো।

কেউ আর কিছু বলেনি। নিবরাস খাওয়া শেষ করে ফোন চেক দেয়। নির্দিষ্ট সময় হতে রেস্টুরেন্টে থেকে বেড়িয়ে গাড়ীতে বসে পড়ে। তখন আনায়া বলে,

-মনে হয় অন্য গাড়ীতে উঠেছি আমরা।

তখন নিবরাস বলে,
-অন্য গাড়ী কোথা থেকে আসবে? গাড়ী একটাই! অন্য গাড়ী হলে নিশ্চয়ই চাবি দিলেও স্টার্ট হতো না।

রোহিত তখন গাড়ী স্টার্ট দেয়। আনায়া মিটমিট হাসছে। নিবরাস তার দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারা করে। তারিশা ফোনে ব্যস্ত।

পরাগ রাগে ফুঁসছে। সে পারছে না গাড়ীতে বসে থাকা একজনকে লা’থি মেরে রাস্তার সাইডে ফেলে দেয়। শুধু নিবরাসের জন্য চুপ করে আছে।

ভোর ছয়টায় তারা রাজশাহীর মোহনপুর চলে আসে। বাড়ীতে এসে সোজা রুমে চলে আসে আনায়া,নিবরাস। আনায়া চেন্জ করে খাটে বসতে,বসতে নিবরাসকে বলে,

-গাড়ীটা কোথায় ব্লাস্ট হলো?

নিবরাস চোখ গরম করে তাকায়। আনায়া হেঁসে দেয় নিবরাসের তাকানো দেখে।

-একদম মুখ খুলবে না। নাহলে ছাঁদ থেকে ফেলে দেবো।

-ভাগ্যিস আপনি সহ ব্লাস্ট হোননি।

-রেগে ব্লাস্ট হয়েছি তবে প্রকাশ করতে পারিনি।

-এমনই হবে আপনার সাথে। যাই হোক রেগে ব্লাস্ট হয়েছেন গাড়ীর সাথপ তো আর হোননি।

-তুমি চাও আমি মা’রা যাই?

-এসব কী বলেন? আমি তো মজা করে বলছি। আমি কেন চাইবো আপনি মারা যান?

-কিছু না।

নিবরাস ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। আনায়া শুয়ে পড়ে। তার ঘুম আসছে প্রচুর।

নিবরাস কালো জিন্সের সাথে সাদা টিশার্ট গায়ে জড়িয়ে বাইরে বেড়িয়ে পড়ে। পরাগকে বলেছে গাড়ী বের করতে সে একজায়গায় যাবে।

এরই মাঝে খবর পায় শামিম সরদার নাকী আনায়াকে না পেয়ে পাগলা কু’কুরের মতো করেছে। তাতে নিবরাস তৃপ্তির হাসি দেয়। ফোন কেটে দিয়ে বলে,

-এই কু’কুরকে আরো পাগ’ল বানাবো আমি। সাথে আহিয়াকে। এই আহিয়াটা না বড্ড বেড়েছে। কী দরকার আমার পেছনে পড়ার? ওকে রাস্তা থেকে সরানো আমার জন্য কয়েক মিনিটের ব্যপার।

পরাগ ড্রাইভিং করতে,করতে বলে,

-আপনার রহস্য বের করতে চায়। আপনার মুখোশ টেনে ছিঁড়তে চায় এই আহিয়া।

-আমার মুখোশ আমি সরিয়ে নিয়েছি। আর ও আমাকে ওর বোনের খু’নি ভাবে কিন্তু আমি ওর বোনকে রিজেক্ট করেছি,অপমান করেছি কিন্তু খু’ন করিনি।

-এটা ও জানে! চা*ল চালছে এছাড়া আর কী?

-যে খু’ন করেছে সে আশেপাশে আছে খুব শীঘ্রই তাকে ধরে নিবো আমরা।

-আচ্ছা স্যার শামিম সরদার তো খু’ন করবে না। তাহলে আর কে চেনাজানার মধ্যে?

-শুধু শামিম প্রকাশ্যে আমার শত্রু সবাই জানে। বাট গোপন শত্রুর কথা কয়জন জানে?

-জায়ান?

-ও বিজন্যাস নিয়ে ব্যস্ত। আহিয়াদের পরিবারের সাথে ওর শত্রুতা আছে কীনা জানা নেই। তবে নাজিয়া মেয়েটা যথেষ্ট ভালো কী জানি কবে জায়ানের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেকে ব*লি করে।

-নাজিয়াকে আপনি চেনেন স্যার? আর আপনি না বললেন জায়ান বিজন্যাস নিয়ে ব্যস্ত।

-হুম! নাজিয়া সম্পর্কে আমার শালিকা হয়। তবে ওর মায়ের কথা কী বলবো? আস্ত বেয়াদ’ব মহিলা। বিয়ের পরও পরকীয়া ছাড়েনি নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাথে শেষে তো বিয়েও করে নিলো তিয়াশ খানকে।

-মাঝখানে ম্যাডামের জীবনটা কষ্টে কাটলো।

-হুম! আমার শ্বশুর মশাই আগলে রেখেছে তাকে এখন আমি আগলে রাখবো।

-তারিশা বেশী বাড়াবাড়ি করছে না স্যার?

-করুক! ওকে আমি মা’রবো না। সময় মতো যে মারার সেই মে’রে দিবে। আমার বাপের নুন খেয়ে বড় হয়েছে আবার পেছন দিয়ে চুড়িও চালাচ্ছে। বিশ্বাসঘাতক একটা।

-সাহস আছে বলতে হবে। আমার মনে হয় আপনার সম্পর্কে ওর মাথায় নূন্যতম ধারণা নেই।

-সাহস দেখাও তবে নিজের দাঁড়ানোর জায়গাটা শক্ত রেখে। নিজের দাঁড়াতে কষ্ট আবার তুমি কীভাবে আরেকজনকে দাঁড়ানো জায়গা করে দিবে? শেষ সেও জায়গা পাবেনা তুমি দাঁড়ানো থেকে একবারে গর্তে পড়ে যাবে। সুন্দর না ব্যপারটা?

পরাগ মাথা নাড়িয়ে ড্রাইভিং করতে থাকে। জায়গা মতো আসতে একটা কালো গাড়ী তাঁদের পথ আঁটকায়। নিবরাস গাড়ী থেকে নামে। কালো গাড়ী থেকে একজন এসেছে তাকে দেখে নিবরাস মুচকি হাসে। তার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,

-সে তো আসলেই আমার কাছে। এতোদিন বড়বড় কথা বলে কী হলো?

-আমার বিরুদ্ধের সব প্রমাণ মুছে ফেল?

নিবরাস আসেপাশে তাকায়। পরক্ষণে বলে,

-পরিবারের কাছে খুব হুজুর সাজো তাইনা? তোমার কালো ব্যবসা ও খুব শীঘ্রই বন্ধ হবে।

-আমি তোর মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দেবো নিবরাস।

-আমার তো কোন মুখোশ নেই তুই ছিঁড়বি টা কী? বুঝা আমাকে?

-তুই আহিয়ার বোনের খু’নি।

-ওটা তুই খু’ন করেছিস আমি না। আমি শুধু থ্রেট দিয়ে চলে এসেছিলাম সেদিন।

-যাই হোক! সবাই জানে তুই মেয়েটাকে মেরেছিস। দেখ নিবরাস তোর বউয়ের কানে যদি একবার ও যায় তুই নিষ্পাপ মেয়েটাকে খু’ন করেছিস আর সে একটা খু’নির সাথে সংসার করছে তখন? আচ্ছা রাজের কথা বাদ দিলাম! সে তো দোষী তুই সরিয়েছিস সেটা ভালো কথা আমিও দুইদিন পর এটাকে বিদায় করে দিতাম পৃথিবী থেকে। খামাখা আবর্জনা রেখে লাভ আছে?

-আনায়ার কানে কোন খবরই যাবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা খু’নটা তো আমি করিনি! আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

-সে যাই হেক। তোর বউয়ের কাছে তুই খু’নি হবি। সমস্যা নেই আনায়ার জীবনের সুখ সব কেড়ে নিতেও আমার সময় লাগবে না। মেয়েটা দুঃখে,দুঃখে জীবন কাটাক।

-তুই জানি কাকে ভালোবাসিস? উমমম… মনে পড়ছে না নামটা মাথায় আছে তবে মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।

-আমি কাউকে ভালোবাসি না। আমি জানি সে আমার প্রতি দুর্বল আর একসময় আমার সত্যিটা জানবে সবাইকে বলার ও চেষ্টা করবে তবে সেদিন হবে তার জীবনের শেষ দিন।

-এসব আমায় কেন বলছিস? মনে হয় তোর নেশা এখনো কাটেনি সেজন্য সব গড়গড়িয়ে বলে দিচ্ছিস।

-আমি নেশা করি না।

-চোর বলে আমি চুরি করি না। ব্যপারটা এমন হয়ে গেলো না?

-মুখ সামলে কথা বলবি তুই এমপি ঠিক আছে তবে আমি তোর বাপ এটাও মনে রাখবি।

-সুতো টান দিলে ছেলের কাছে এসে হাত জোড় করতে হবে বাপ।

-হাহা! সব প্রমাণ তুই পুড়িয়ে দিবি।

-দেখা যাক।

নিবরাস চলে আসে। পরাগ তাকে আর প্রশ্ন করে না।

আনায়া লেট করে ঘুম থেকে উঠে। কাজের বুয়ারা রান্নাবান্না সব করে নিয়েছে। শাওয়ার নিয়ে লিভিং রুমে আসতে দেখে মাইশা,মরিয়ম নওয়াজ,মিসবাহ তারা বসে অপেক্ষা করছে। নিবরাস নিচে আসতে সবাই লান্স করতে বসে পড়ে। তারিশা আজকাল কিছুটা চুপচাপ থাকল। খাওয়া শেষ হতে মিসবাহ বলে,

-মামু আমার চকলেট?

-মনে ছিলো না। সন্ধ্যায় চলে আসবে।

মিসবাহ তারিশার দিকে তাকায়। তারিশার চোখে চোখ পড়তে তারিশা আমতাআমতা করে বলে,

-এভাবে তাকাচ্ছিস কেন বাপ?

তখন নিবরাস বলে,

-তোমার জন্য ও চকলেট আনবো খবরদার মিসবাহর চকলেটের দিকে নজর দিবা না।

কথাটা বলে নিবরাস চলে আসে। আনায়া খেয়েই রুমে চলে এসেছে। নিবরাস আসতে আনায়া প্রশ্ন করে,

-আচ্ছা আপনি সবসময় তারিশাকে তুমি বলে সম্মোধন করতেন?

-হুম! ও আমার ছোট।

-তো আমাকে কেন আপনি বলে সম্মোধন করতেন প্রথম,প্রথম?

-আমার ইচ্ছে। আর তুমি যদি আনকম্ফোর্ট ফিল করো হুটহাট কেউ তুমি বলে সম্মোধন করলে।

আনায়া কিছু বলেনা। নিবরাস বিছানায়া গা এলিয়ে দেয়। আনায়াকে বলে,

-তুমি ভার্সিটি যাবা নাকী শুধু এক্সাম দিবা?

-যাবো এখন থেকে নিয়মিত।

-যাওয়ার দরকার নেই। সময় মতো এক্সাম দিবা। বাড়ীতে পড়বা।

-তারিশা যাবে?

-হুম! ও যাক ওর সমস্যা নেই।

-আমি গেলে কী সমস্যা?

-জেনেও অবুঝের মতো কথা বলবা না তুমি। এখন আবার শাশুড়ীর সুর ধরো না রাজনীতি করতে কে বলেছে।

-তো ঠিকই তো। মা ভুল কিছু বলেনা। কী দরকার ছিলো রাজনীতিতে ঢুকা?

-রাজনীতি আমার নেশা না পেশা। বুঝেছো?

-যেদিন সব হারাবেন সেদিন বুঝবেন আপনি কী জঘন্য একটা পেশায় ছিলেন।

-শোনো বউ রাজনীতি সুন্দর যদি নোং’রামী না থাকে।

-আপনি তো চাঁদাবাজ।

-আমি তোমার বাবার থেকে টাকা তুলে চাঁদাবাজি করেছিলাম নাকী সে বারবার চাঁদাবাজ বলে অপমান দাও?

-আমার বাবার থেকে না এলাকার মানুষদের থেকে।

-আমার দলের কেউ চাঁদাবাজি করে না। আর করলেও সবার আগে আমার কানে খবর আসতো।

-তাহলে মানু্ষ কী মিথ্যে বলে?

– কে কী বললো তোমায়?

-বলেছে একজন আপনি নাকী চাঁদাবাজ একনাম্বারের।

-আর এসব বলবা না। পরে দেখা যাবে আমার বাচ্চাকাচ্চা হলে তারা ও তোমার থেকে শোনে আমায় চাঁদাবাজ বলবে।

-লজ্জা করবে না আপনার? আমার বাচ্চাগুলোর পোড়া কপাল হবে তাদের বাপ নাকী চাঁদাবাজ।

নিবরাস আর সময়ব্যয় করলো না। টান দিয়ে আনায়াকে নিজের কাছে নিয়ে এসে ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়। কিছুক্ষণ পর ঠোঁটে কামড় বসিয়ে ছেড়ে দেয়।

আনায়া ঠোঁটে হাত দিয়ে নিবরাসের দিকে রাজী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।

-বাইরে বের হবো কীভাবে?

-আর বলবা আমি চাঁদাবাজ? এবার থেকে এমনই হবে।

-আর বলবো না।

বোকাবোকা মুখ করে বলে আনায়া। নিবরাস হাসে আনায়ার দিকে তাকিয়ে। আনায়ার গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। কী একটা অবস্থা নিবরাসের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা কথা বললেই হলো! এভাবে তো তার ঠোঁট দু’টো অকালে মারা পড়বে।

-আচ্ছা এদিকে আসো দেখি ঠোঁটে কী হয়েছে?

-কথা বলবেন না বদলোক একটা।

-স্যরি পাখি তোমার মুখ বন্ধ করার জন্য এছাড়া আর ভালো উপায় পেলাম না।

-মুখে বললে কী হতো?

-তুমি না আমার কথা কত শোনো মনে হয়? ঘাড়ত্যাড়া একটা।

-সত্য কথা বললে আপনার গায়ে লাগে। আপনি আমার কাছে এমন রহস্য রাখেন কেন? সব ক্লিয়ার করতে পারেন না? তাহলে তো আমি উল্টাপাল্টা বলি না।

-আমার আবার কিসের রহস্য? আমার জীবনে কোন রহস্য নেই তবে গোপন কিছু সত্য আছে। সবচেয়ে বড় কথা তুমি জানো আমার পেছনে শত্রু! দিনদিন নতুন শত্রু বের হচ্ছে। তারাই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা স্ক্যান্ডাল রটাচ্ছে। কিছু মানুষ সেটা বিশ্বাস করে আবার পাবলিসিটি ও করে। এই ধরো তুমি!

আনায়ার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। নিবরাসের থেকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকে। তার বর তাকে অপমান দিচ্ছে আর দশজন মানুষের সাথে মিশিয়ে? সত্যিটা বলে দিলেই তো হয়। তাহলেই তো আর আনায়া কিছু বলেনা। লোকটা আস্ত বদ! বউকে কীভাবে মুখের উপর অপমান দেয়।

-আমার বউ হয়ে তুমি অন্যের কথায় কান দাও। কেমন বউ তুমি?

-আমি তো শুধু একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেও আপনাদের অফিসে জব করে।

এই আপনার রাজনীতি নিয়ে। যা আমার থেকে লুকাচ্ছেন আর বাকীরা ঠিকই জানে।

-সে কী বলেছে?

-বলেছে, ‘আপনার হাজবেন্ডকে আপনি ভালো চিনেন আমাদেরকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?’

-আমি বলেছি, ‘সেটা ফ্যাক্ট না। আমি সত্যিটা জানতে চাই।’

-সে বলেছে, ‘মিসেস মুয়াম্মার নিবরাস মির্জা আমি কিছু বলতে পারবো না।’

তো আর কী করার? আপনার উপর সন্দেহ বেড়ে গেলো।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে