হৃদয় কোঠায় চাঁদের পূর্ণিমা পর্ব-০২

0
884

#হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|২|
#শার্লিন_হাসান

এলার্মের শব্দে নিবরাসের ঘুম ভে’ঙে যায়। আনায়াও এলার্মের শব্দে নড়েচড়ে উঠে। নিবরাস তড়িঘড়ি এলার্ম বন্ধ করে আনায়াকে ডাকে।

-এই যে মিসেস মুয়াম্মার নিবরাস মির্জা উঠুন?

আনায়া ঘুমের ঘোরে বলে,
-ভালো লাগছে না। ডাকছেন কেন?

-নামাজ পড়বেন।

-কোন ওয়াক্ত?

-ফজরের নামাজ। উঠুন একসাথে নামাজ আদায় করবো।

-টেনে তুলুন প্লিজ।

নিবরাস মুচকি হেসে আনায়ার হাত জোড়া ধরে টান দেয়। আনায়া উঠে চোখেমুখে তার ঘুমের রেশ। নিবরাস ফ্রেশ হয়ে অযু করে বসে আনায়ার জন্য। কিছুক্ষণ পর আনায়া অযু করে আসতে দু’জন একসাথে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়ে।

নামাজ আদায় করে আনায়া সোজা শুয়ে পড়ে। নিবরাস আনায়ার দিকে একনজর তাকায়। মূহুর্তে ঘুমের ঘোরে তলিয়ে গেছে মেয়েটা। সে আর দেরী করেনি। বাইরে আসতে বুয়া তার চায়ের মগ টেবিলের উপর দেয়। চা-টা শেষ করে নিবরাস হাঁটতে বের হয়।

তার সাথে তার পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট রোহিত আছে। দু’জনে কথা বলতে,বলতে হাঁটছে। রাস্তায় কয়েকজনের সাথে দেখা হয়। তারাও হাঁটতে বের হয়েছে। বেশীরভাগ একটা প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হয়েছে, ‘নেতা নাকী বিয়ে করেছেন?’ নিবরাস শুধু মাথা নাড়ায়। এই নারী, প্রেম এসব থেকে দূরে থাকে সে। কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে রাজনীতিতে আসার পর বেশীরভাগ মানুষের মতে তার গার্লফ্রেন্ড আছে। না ভাবার কী ছিলো? ভার্সিটি থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করে। সভাপতি থেকে এমপি পদে প্রার্থী হয়। বিপুল ভোটে জয় লাভ ও করে।
ভার্সিটি পড়ুয়া বেশীরভাগ ছেলে মেয়েদের গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড থাকে। তবে রাজনীতি নিয়ে অনেক বাধাবিপত্তি আসে। এখনো কম না! লোকের মতে রাজনীতি মানে, ‘চাঁদাবাজি, সন্ত্রা’সী’ আবার কারোর, কারোর মতে বর্তমানে সুষ্ঠু রাজনীতি বলতে কিছুই নেই। রাজনীতি শব্দটা মাথায় আসলে সর্বপ্রথম মুখ থেকে বের হয়, ‘নেতার ব্যক্তিত্ব আর ব্যবহার কেমন?’
আজকালকার রাজনীতির রংমহল তো নোং’রা মী ছাড়া কিছুই নেই। নিবরাস চেষ্টা করে ভালো কিছু করার। বর্তমান সময়ে এসেও মানুষের ধারণার বিপরীতে হাঁটার চেষ্টা।

হাঁটাহাঁটি শেষ করে সাতটার দিকে মির্জা বাড়ীতে ফিরে নিবরাস,রোহিত ।

নিবরাসের বাবা মুয়াম্মার নিরব মির্জা তখন চা পান করছিলেন। সাতটা বাজতে বাড়ীতে অনেক লোকের সমাগম বেড়ে গেলো।

নিবরাস তার বাবার বরাবর সামনের সোফায় বসে। তখন নিরব মির্জা বলেন,

-বৌভাতের আয়োজনটা?

-এখন না। তিন-চারদিন পর। আমার এলাকার এতিমখানার বাচ্চাদের খাওয়াবো আমি।

-রোহিত,পলাশ ওদের বলে দেই বাজার করে নিতে। তুমি তো আবার পার্টি অফিসে যাইবা।

-রোহিত আমার সাথে যাবে। বাকীদের বলে দাও।

তখন মিসবাহ আসে লিভিং রুমটায়। মিসবাহকে দেখে নিবরাস বলে,

-সুপ্রভাত সোনা।

-গুড মর্নিং মামু। বউমনি এখানে নেই?

মিসবাহর কথায় নিবরাস অন্যদিকে তাকায়। এই ছেলেটা তাকে আর কত জানি লজ্জায় ফেলে হিসাব ছাড়া। বুঝে না তার মামু মেয়েদের নিয়ে বা বউ নিয়ে কথা বলতে একটু ইনসিকিউর ফিল করে। তাও বাবার সামনে!
নিবরাসের মুখ দেখে রোহিত মিটিমিটি হাসে। মিসবাহ তার মামুর উত্তরের অপেক্ষায় আছে। তখন নিরব মির্জা বলেন,

-এদিকে আসো ভাইয়া।

মিসবাহ নিরব মির্জার পাশে বসে। তখন নিবরাস বলে,

-মিসবাহ তোমার রুমটায় আমি অপেক্ষা করছি একটু এসো তো।

মিসবাহ মাথা নাড়ায়। নিবরাস উঠে চলে যায়। তখন নিরব মির্জা বলেন,

-তোমার মামুকে এভাবে সবার সামনে বউমনি নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করো না।

-কেন? সে তো আমাদের পরিবারের সদস্য নানাভাই।

-একমাস পড়ে জিজ্ঞেস করিও। যখন তোমার বউমনি সবার সাথে মিশে যাবে তখন।

-ঠিক আছে।

-আচ্ছা যাও তোমার মামু ডাকছে।

মিসবাহ মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। নিবরাস সোফায় বসে অপেক্ষা করছিলো মিসবাহর জন্য। সে যেতে কপাট রাগ দেখিয়ে বলে,

-মামু কারোর সামনে আর বউমনির কথা আমায় জিজ্ঞেস করবা না।

-করলে প্রবেম কী মামু?

-ওটা প্রবেম না প্রব্লেম মামু।

-একই ব্যপার মামু। বউমনিকে বলে দিও আমার সাথে গল্প করার জন্য।

-সে বলে দিবো আর তুমি সবার সামনে এভাবে বলবা না। তুমি জানো না তোমার মামু লজ্জা পায়। আর তুমি সবসময় আমায় লজ্জায় ফেলো মিসবাহ।

-তাই বলে আমি কিছু জিজ্ঞেস করবো না তোমায়?

-করবা তবে বউমনি নিয়ে না।

আনায়া ঘুম ভাঙতে তরিঘড়ি উঠে। ঘড়ির দিকে নজর যেতে দেখলো সাড়ে আটটা বাজে। উঠে ফ্রেশ হয়ে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। তখন আবার নিবরাস রুমে প্রবেশ করে। আনায়াকে দেখে বলে,

-মিসবাহ র সাথে গল্প করতে পারেন। বোরিং লাগবে না।

-আচ্ছা করবো।

-হ্যাঁ চলুন নাস্তা করবেন।

-সবাই করে ফেলেছে? ইশ! আমি লেট লতিফা। আপনি তো পারতেন আমায় একটু জাগিয়ে দিতে।

-তখন তো টেনে তুললাম আপনার ঘুমের ডিস্টার্ব করে এখন যদি তুলতে যাই আপনি যদি ঘুমের ঘোরে আমায় চ’ড় মেরে দেন?

-আমার হাত ওতো চলে না। আর আমি চড় মারবো না।
আর ধন্যবাদ আমাকে নামাজের জন্য জাগিয়ে তোলার জন্য।

-আপনি অনুমতি দিলে আমি প্রতিদিন আপনাকে নামাজের জন্য জাগিয়ে তুলবো।

-আচ্ছা দিলাম অনুমতি।

-আচ্ছা চলুন নাস্তা করবেন।

মাথা নাড়ায় আনায়া। নিবরাসের পেছনে হাঁটা ধরে। টেবিলের কাছে আসতে মরিয়ম নওয়াজ তাকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে নাস্তা নিয়ে আসে। মিসবাহ ও এতোক্ষণ ওয়েট করে ছিলো আনায়ার সাথে নাস্তা করবে বলে। নিনরাস,মিসবাহ,মাইশা,আনায়া সাথে নিবরাসের মেয়ে কাজিন, ‘শিফা, সাইফা’ ছেলে কাজিন, ‘মাহি,মুনিম’ তারা সবাই একসাথে নাস্তা করতে বসে।

নাস্তা শেষে শিফা,সাইফার সাথে কথা বলতে বলে আনায়া। সাথে মাহি,মুনিম ও আছে। মরিয়ম নওয়াজ সাথে মাইশা রান্নাবান্নার দিকটা দেখছে।

নিবরাস রেডি হয়ে নেয় পার্টি অফিসের জন্য বেরুবে। তখন মিসবাহ আনায়াকে নিয়ে নিবরাসের রুমে প্রবেশ করে। নিবরাসকে দেখে মিসবাহ বলে,

-চলে যাচ্ছো?

-হ্যাঁ!

-কোথায় যাচ্ছেন?

প্রশ্ন করে আনায়া। তখন নিবরাস বলে,

-পার্টি অফিসে।

-ওহ্! ফিরবেন কখন?

-মিটিং শেষ হলে দুই আড়াই ঘন্টা পর।

-ওহ্!

নিবরাস মাথা নাড়ায়।

*****

কেটে গেছে চারদিন। আজকে আনায়া,নিবরাসের বৌভাত অনুষ্ঠান। আয়োজন করা হয়েছে এতিমখানার বাচ্চাদের জন্য সাথে তাদের ফ্যামিলি আর অল্পকিছু রিলেটিভিদের নিয়ে।

নিবরাস নিজে খাবার সার্ভ করছে বিভিন্ন টেবিলে।

আনায়া রুমেই বসে আছে। তাকে ঘিরে আছে শিফা,সাইফা,আহিয়া সাথে আছে মিসবাহ। মাইশা তার বরের সাথে কথা বলছে। রিলেটিভি অনেকে আনায়াকে দেখতে এসেছে।

চুপচাপ বসে আছে আনায়া। বৌভাত অনুষ্ঠানে এসে আহিয়ার বলা কথাটা আবারো মনে পড়লো তার। কিন্তু এই মেয়ে তো পুরো সত্যি তাকে বলবে না।

-আচ্ছা নিবরাসের কোন অতীত আছে? কী হতে পারে? আমার জানা মতে ও ভার্সিটি থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করে। এই নিয়েও কত ঝড়,ঝামেলা বাবার মুখে শুনেছে আনায়া। কখন নারী প্রসঙ্গে কিছুই কানে আসেনি।

আনায়ার ভাবনার মাঝে আহিয়া বলে,
-আবার কী ভাবছিস আনায়া?

-না কিছু না!

-তোর বরের বিয়ে নিয়ে?

চুপিসারে কথাটা বলে আহিয়া। আনায়া কপাট রাগ দেখিয়ে বলে,

-দেখ আহিয়া তুই খুব ভালো করেই জানিস আমি অর্ধেক কথা পছন্দ করি না। বললে পুরোটা বলবি না বললে এক কথা বারবার জিজ্ঞেস করবি না। কাটা গায়ে লবণের ছিটা দেওয়া বন্ধ কর।

-আরে রেগে যাচ্ছিস কেন? তোকে কিন্তু দারুণ লাগছে আজকে।

-সে লাগবেই। নেতার বউ বলে কথা।

-অহংকার পতনের মূল।

-অহংকার না প্রাউডলি বললাম।

তখন মিসবাহ জোরে বলে,

-এই বউমনি আমার সাথে কথা বলছো না কেন? ওই আন্টিটার সাথে এতো বেশী কথা বলছো আমার তো জেলাচ হচ্ছে।

-সোনা ওটা জেলাচ না জেলার্স হবে।

রুমে প্রবেশ করে কথাটা বলে নিবরাস। নিবরাসের কন্ঠ স্বর কানে বাজতে সবাই তার দিকে তাকায়। আহিয়াকে দেখে নিবরাস থমকে যায় কিছুটা। তবুও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,

-সবাই অপেক্ষা করছে নিচে। মিসবাহ, শিফা,সাইফা গেস্ট সাথে বউমনিকে নিয়ে আসো।

নিবরাস প্রস্থান করে। শিফা,সাইফা আনায়াকে নিয়ে নিচে যায়। তখন মরিয়ম নওয়াজ আসেন আনায়ার কাছে। আনায়াকে দেখে মিষ্টি হেসে বলেন,

-মাশাল্লাহ আমার বউমা আস্ত পরী।

-ধন্যবাদ আম্মু।

মরিয়ম নওয়াজ সবার সাথে আনায়ার পরিচয় করিয়ে দেন। জিয়াউর রহমান নিবরাস সাথে নিরব মির্জার সাথে কথা বলছে।

আজকে আনায়া পিংক কালারে শাড়ী পরিধান করেছে। খুবই সিম্পল ভাবে সেজেছে। তাঁদের কথাবার্তা পর্ব শেষ হতে বাকীরা সহ খেতে বসে। নিবরাস এতিমখানার বাচ্চাদের বিদায় দিয়ে আসে।

আনায়া রেডি হয়ে নিয়েছে তাঁদের বাড়ীতে যাবে বলে। নিবরাসের দেখা মেলেনি এখনো। গেলে যাবে না গেলে নাই। আনায়ার এসবে মাথা ব্যথা নেই। তখন মরিয়ম নওয়াজ সাথে নিবরাস ও আসে রুমে। আনায়া মরিয়ম নওয়াজকে দেখে বলে,

-মিসবাহ যাবে আমার সাথে?

-নিবরাস গেলে ও যাবে।

-আপনি যাবেন না?
জিজ্ঞেস করে আনায়া। নিবরাস উত্তর দেয়,

-আসলে আমার কাজ আছে। আপনি যান, কয়দিন থেকে আসুন।

আনায়া মাথা নাড়ায়। মরিয়ম নওয়াজ প্রস্থান করতে আনায়া ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। নিনরাস পেছন ফিরে তাকাতে দেখলো আনায়া রেগে তাকিয়ে আছে। নিবরাস ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,

-রেগে লাভ নেই, আমি যাবো না।

-আপনাকে আমি যাওয়ার জন্য বলতাম ও না। শুধু আম্মুকে দেখে বললাম। আর যাবেন কেন শুনি? নিজের প্রাক্তন স্ত্রী কে নিয়েই বসে,বসে শোক করুন।

-ফাল’তু কথা ছাড়ুন তো।

-সত্য কথা আপনার কাছে ফাল’তু মনে হয়?

-কিসের সত্য? প্রমাণ আছে আপনার কাছে? কার কথায় ভুল ভাল দোষ দিচ্ছেন?

-যদি কখনো এটা সত্য হয়ে সামনে আসে।

-কখনো এরকম কিছু হবে না। সবচেয়ে বড় কথা, যা ঘটেনি তা সত্য হয়ে সামনে আসবে কীভাবে?

-আসবে,আসবে।

-সেদিন আপনি মাইক নিয়ে এলাকাবাসীকে বলিয়েন যে, মুয়াম্মার নিবরাস মির্জা আগে একটা বিয়ে করছে এবং আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী সেটা তদন্ত করে বের করে এনেছি এখন আমাকে নোবেল এনে দিন আপনারা।

-আপনার সাথে কথা বলে পারা যাবে না।

-যান তো বাপের বাড়ী। চলে তো যাবেন কোথায় স্বামীর সেবা করে যাবেন কয়দিন পর না পর দেখা হয়।

-বউকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিচ্ছেন আলিঙ্গন করে দুই চারটা চুমু দিয়ে বলবেন, ‘মিস করবো তোমায়।’ তা না তাড়িয়ে দিচ্ছেন?

-আমি ব্যস্ত কাউকে মিস করি না।

-এই জন্যই আগের বউ নিশ্চয়ই চলে গেছে।

-ফাল’তু কথা ছাড়বেন?

-সত্যিটা না জানা অব্দি ছাড়ছি না।

-ওকে ফাইন! নেক্সট টাইম বিয়ের কথা উঠাবেন আর ঠাসঠাস চুমু খাবেন। এখন আপনার চয়েজ।

-আপনার মনে হয় আমি ভয় পাবো?

-না,না ভয় পাবেন কেন? আমার মনে হয় আপনি খুশি! আপনি জানেন এই নেতার পেছনে কত মেয়ে লাইন মারতে চেয়েছে সেখানে আপনার বর উনি।

তাঁদের কথা কাটাকাটির মাঝে সাইফা এসে নক করে। নিনরাস দরজা খুলে দিতে সাইফা বলে,

-আনায়া আপু কোথায়? তাকে যেতে বলেছে।

-হ্যাঁ যাবে ব্যাগ গুছাচ্ছে।

সাইফা মাথা নাড়িয়ে চলে আসে। আনায়া ব্যাগ নিয়ে বাইরের দিকে রওনা হয়। যাওয়ার সময় নিবরাসকে বলে,

-আচ্ছা আপনি আমাদের ভার্সিটিতে আসিয়েন সময় করে। আমি আগামীকাল থেকে নিয়মিত হবো।

-আচ্ছা যখন যাই জানাবো।

-আসি!

-হ্যাঁ যান।

-সুন্দর ভাবে বলুন।

-আসুন ম্যাডাম।

আনায়া বেড়িয়ে আসে। নিচে আসতে সবাইকে দেখতে পায়। মিসবাহ বায়না ধরেছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু নিবরাসকেও যেতে হবে। নিবরাস যাবে না। মিসবাহকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য নিবরাস বলেছে যখন আনায়াকে নিয়ে আসার জন্য যাবে তখন মিসবাহকে নিয়ে যাবে। তাতে আর কিছু বলেনি মিসবাহ। নিবরাস বুঝেছে এখন আর বেশীদিন আনায়া সেখানে থাকতে পারবে না। একদিন না যেতে মিসবাহ জ্বালিয়ে মারবে যাওয়ার জন্য। একে বলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।

আনায়াদের বিদায় জানিয়ে চলে আসে নিবরাসরা সবাই।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে