#হৃদয়_আকাশে_প্রেমবর্ষণ
#লেখনীতে-শ্রাবণী_সারা
#পর্ব-১১
শাহানা খানের দাফন কাফন শেষ করে ছেলেরা সকলে বাড়িতে ফিরে এলো। নিশান বাড়িতে ঢোকার পূর্বে পুরো বাড়িটায় চোখ বুলালো। বিয়ের জন্য পুরো বাড়িটাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিলো। সবকিছু এখনও তেমনই আছে। শুধু নেই তার মা। সে যে আর কোনোদিনও ফিরে আসবে না। কোনোদিন না। নিশান দুহাত মুখে চেপে মৃদু শব্দে কেঁদে উঠলো। রিয়াদ নিশানের সাথে ছিলো তখন। সে নিশানকে বললো,
এতটা ভেঙে পড়ো না নিশান নিজেকে সামলাও। না কেঁদে মনে মনে আন্টির জন্য দোয়া করো। পৃথিবীতে কেউ চিরকাল বাঁচে না আন্টির হায়াৎ আল্লাহ এ পর্যন্তই রেখেছিলেন। তুমি যদি এভাবে কাঁন্নাকাটি করো তাহলে রিশানকে কে বোঝাবে বলো তাছাড়া আঙ্কেলের ও সাপোর্ট দরকার। ছেলে ও একজন বড় ভাই হিসেবে অনেক দায়িত্ব তোমার এখন।
নিশান ভেজা গলায় বললো,
মায়ের এমন মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না ভাইয়া। মনে হচ্ছে মা আছে তাকে ঘরে গেলেই দেখতে পাবো।
রিয়াদ কি বলবে ভেবে পেলো না। মায়ের অভাব যে কি তার অবদান কতটুকু ছিলো তা শুধু মা হারা সন্তানেরাই বুঝতে পারে। ঠিক যেমন নিশান ও রিশান ভোগ করছে মা হারানোর যন্ত্রণা।
নিশান দুহাতে চোখ মুখ মুছে জিজ্ঞেস করলো,
রিশান কোথায় ভাইয়া? ও তো আমাদের সাথেই গিয়েছিলো।
রিয়াদ বললো,
শাফিন ওকে আগেই বাড়িতে নিয়ে এসেছে ওখানে কাঁদছিলো শুধু।
ওহ আর বাবা?
আঙ্কেল ভেতরে গিয়েছেন। চলো তুমিও ভেতরে চলো রেস্টের প্রয়োজন তোমার।
.
রিশান মায়ের একটা ছবি নিয়ে একধ্যানে চেয়ে বসে আছে নিজের রুমে। পাশে রয়েছেন শাহানা খানের বোন শারমিন। এমন পরিস্থিতিতে ছেলেটাকে কেউ একা ছাড়ছে না। নয়ত ছেলেটা যে আরো কাঁন্নাকাটি করবে। রিশান এখন আর কাঁদছে না। দুদিনে চোখ মুখ অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে ছেলেটার। মা তো আর ফিরে আসবে না কিন্তু এভাবে না খেয়ে থাকলে যে অসুস্থ হয়ে পড়বে। এজন্য কিছুক্ষণ আগে হৃদিতা জোর করে একটুখানি নুডুলস খাইয়ে দিয়ে গিয়েছে।
রুপ দরজার পর্দা সরিয়ে আস্তে করে পা ফেলে রুমে ঢুকলো দরজার পাশেই দাড়িয়ে রইলো সে। শারমিন ওকে দেখতে পেয়ে বললো,
রুপ ওখানে কেনো দাড়িয়ে আছো এসো বসো এখানে।
রুপ মাথা নাড়িয়ে শারমিনের পাশে পা ঝুলিয়ে বসলো। রিশান রুপের দিকে তাকালো কিন্তু এবারো কিছু বললো না। রিশানের এমন কাজে রুপ গাল ফুলালো। সে উঠে রিশানের পাশে বসে বললো,
তুমি আমার সাথে কথা বলছো না কেনো হুম?
রিশান এবারেও কিছু বললো না। রুপের এখন সত্যিই খারাপ লাগছে রিশান কথা বলছে না বলে। আগে তো সেই সেধে সেধে কথা বলতে আসতো এখন যখন রুপ নিজে কথা বলতে চাইছে তাহলে রিশান কেনো বলছে না। রুপের খারাপ লাগে না বুঝি। রুপ ইনোসেন্ট ফেস করে আবারো বললো,
ও রিশান ভাইয়া কথা বলো না। তুমি আমাকে যা খুশি বলো আমি একটুও রাগ করবো না।
শারমিন বললো,
রুপ মামনি রিশান ভাইয়ার তো এখন মন ভালো নেই তাই কথা বলছে না। ওর যখন মন ভালো হয়ে যাবে তখন ঠিক কথা বলবে তোমার সাথে।
রুপ মলিন মুখে রিশানের দিকে আবারো চাইলো। রিশানও এখন চেয়ে আছে তার দিকে। এরই মাঝে নিশান রুমে এলো। সে রুপের গালে হাত বুলিয়ে রিশানের পাশে বসলো। ভাইয়ের হাতে মায়ের হাসিমুখের ছবিটা দেখে বুকের ভেতরটা কেপে উঠলো তার। রিশান মুখ তুলে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে হু হু করে কেঁদে উঠলো। এত সময়ের নিরবতা কাঁন্না হয়ে ঝড়তে লাগলো। ভাইয়াকে সে ছবিটা দেখিয়ে কাঁন্নারত কন্ঠে বললো,
মা কেনো চলে গেলো ভাইয়া,আমাদেরকে রেখে কেনো চলে গেলো সে? আমি এখন কাকে মা বলে ডাকবো! কে আমাকে আদর করে খাইয়ে দেবে! স্কুলে যেতে দেরি করলে কে বকবে আমাকে! বলোনা ভাইয়া কে করবে এসব?
নিশানের চোখে পানি জমে গেলো ছোট ভাইকে আর কি শান্তনা দেবে সে তো নিজেই শান্ত হতে পারছে না।
শারমিনও মুখে আঁচল চেপে কাঁদতে লাগলো।এদিকে রুপ ফ্যালফ্যাল করে দু ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। সে বুঝতে পারলো ওরা মায়ের জন্য কাঁদছে। তার কেবলই মনে হলো,মা মারা গেলে এত কাঁদতে হয় বুঝি!
নিশান রিশানকে একহাতে আগলে নিয়ে বললো,
কাঁদিস না ভাই। মা নেই তো কি হয়েছে আমরা সবাই তো তোর সাথে আছি। বাবা আমি হৃদিতা সবসময় তোকে আগলে রাখবো। এছাড়া রুপ ও থাকবে। দেখ তুই কাঁদছিস দেখে রুপও কাঁদছে।
রিশান ঘাড় ঘুরিয়ে রুপের দিকে তাকালো রুপ ঠোঁট ফুলিয়ে ফুপাচ্ছে গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে মেয়েটার। রিশান হাত বাড়িয়ে রুপের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
আমি আমার মায়ের জন্য কাঁদছি। তুই কাঁদছিস কার জন্য?
রুপ ভেঙে ভেঙে বললো,
তোমার কাঁন্না দেখে আমারো কাঁন্না পাচ্ছিলো।
রিশান হা করে চেয়ে রইলো রুপের দিকে। এই মেয়ে বলে কি তার কাঁন্না দেখে ওর ও কাঁন্না পাচ্ছিলো!
এত কষ্টের মাঝেও নিশান একটুখানি হাসলো রুপের কথা শুনে। তারপর রিশানকে নিয়ে নিশান ওদের বাবা মায়ের রুমের দিকে গেলো। যাওয়ার সময় খালামনিকে বলে গেলো বাবার জন্য খাবার পাঠাতে। কাল থেকে না খেয়ে আছে কিছু খাওয়াতে হবে তাকে। মায়ের দাফন শেষ করে বাবা বাড়িতে এসে রুমে গিয়েছে আর বের হয়নি।
.
খান বাড়িতে আসা আত্নীয়-স্বজন অনেকেই চলে গিয়েছে। এখন আছে শুধু শাহানা খানের বোন শারমিন ও তার মেয়ে। হুমায়রা বেগম ও দুই মেয়েকে নিয়ে আজ থেকে গেলেন। যদিও তারা থাকতে চায়নি রিতা অনেক অনুরোধ করে তাদের রেখেছেন। রিতার মনে হয়েছে এ সময় নিশানের পাশে হৃদিতার থাকা প্রয়োজন।
রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা বাজে। বাড়ির পরিবেশ একদমই নিরব। সব ঠিক থাকলে আজকে এ বাড়িটা বিয়ের উৎসবে মেতে থাকতো। এটাই বোধহয় নিয়তির খেলা। একটা দুর্ঘটনা সবকিছু এলোমেলো কেরে দিয়ে গেলো।
রিতা হৃদিতার হাতে খাবার তুলে দিয়ে বললো নিশানের রুমে গিয়ে বসে থেকে খাইয়ে আসতে। হৃদিতা সংকোচবোধ করলো ইতোপূর্বে সে নিশানের রুমে একবারও যায়নি। হৃদিতা হুমায়রা বেগমের দিকে তাকালো। হুমায়রা বেগম মেয়ের সংকোচ বুঝতে পেরে মৃদু হেসে ইশারা করলো যেতে।
হৃদিতা খাবারের ট্রে হাতে করে নিশানের দরজায় নক করলো সাড়া না পেয়ে আবারো নক করলো। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো আওয়াজ এলো না। হৃদিতা কপালে ভাজ ফেলে একটু দাড়িয়ে থেকে দরজা ধাক্কা দিলো সাথে সাথে খুলে গেলো দরজা। তারমানে দরজাটা খোলা রাখা ছিলো! কিন্তু নিশান কোথায়? হৃদিতা ধীর পায়ে রুমে ঢুকলো। নিশান রুমে নেই। নীল রংয়ের ডিম লাইটের মৃদু আলোতে পুরো রুমে চোখ বুলালো একবার। বেশ ছিমছাম ও গোছানো রুমটা। আচ্ছা রুমটা কি নিশান নিজে গুছিয়ে রাখে নাকি শাহানা আন্টি গুছিয়ে দিতো? হঠাৎ হৃদিতার বুকের ভেতর ধক করে উঠলো শাহানা আন্টির কথা ভেবে। দুদিন আগেও যে মানুষটা সবার মাঝে ছিলো আজ সে নেই আর কোনোদিনও আসবে না ফিরে।
হৃদিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খাবার সেন্টার টেবিলে রাখলো।
নিশান বেলকনিতে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। তার দৃষ্টি অন্ধকারে আবৃত আকাশের দিকে। হঠাৎ মনে হলো রুমে কেউ এসেছে। নিশান রুমে এসে দেখলো হৃদিতা বেড়িয়ে যাচ্ছে।
হৃদি এসে চলে যাচ্ছো কেনো?
হৃদিতা পেছনে ফিরলো। নিশানকে দেখে বললো,
আপনি কোথায় ছিলেন? আপনাকে না পেয়ে ভাবলাম হয়ত বাইরে গিয়েছেন।
বেলকনিতে ছিলাম আমি। বসো তুমি আমি লাইট অন করে দিচ্ছি।
হৃদিতা বসলো না বেডের পাশে দাড়িয়ে রইলো। নিশান লাইট অন করে আসতে খাবারের দিকে নজর পড়লো। হৃদিতাকে বললো,
খাবার তুমি এনোছো কাকিমা পাঠিয়েছে তাইনা?
হুমম খেয়ে নিন।
কাকিমাকে তো কিছুক্ষণ আগে আমি বলে এসেছি আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।
না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন তো। অল্প করে খেয়ে নিন।
হৃদিতা এমন ভাবে বললো নিশান আর না করতে পারলো না। সে বললো,
ঠিকআছে অল্প করেই খাচ্ছি তবে আমি একা নয় তুমিও আমার সাথে খাবে।
আরে না না আপনি খেয়ে নিন আমি পরে খাবো।
উহু পরে নয় এক্ষুণি নয়ত আমি খাবো না।
হৃদিতা কথা বাড়ালো না। তাকে যদি এভাবে খাওয়ানো যায় তাও ভালো। দুটো প্লেট আনায় অসুবিধা হলো না। হৃদিতা একটা প্লেটে খাবার তুলে নিশানের হাতে দিলো অন্য প্লেটে সে নিলো। খেতে খেতে নিশান জিজ্ঞেস করলো রিশান কি করছে খেয়েছে কিনা? উত্তরে হৃদিতা বললো, রিশানকে খালামনি খাইয়ে দিয়েছেন এখন ঘুমাচ্ছে।
খাওয়া শেষ হতে হৃদিতা সব গুছিয়ে যেতে নিলে নিশান বললো,
হৃদি আরো কিছুক্ষণ বসোনা।
হৃদিতা বিনাবাক্যে নিশানের পাশে বসলো। নিশান বললো,
মা বেঁচে থাকলে আজ আমাদের গায়ে হলুদ হতো আর কাল বিয়ে তাইনা? কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমাদের বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। হৃদি তুমি মন খারাপ করছো না তো বিয়ে হচ্ছে না বলে?
ছি ছি কি বলছেন আপনি মন খারাপ কেনো হবে! আমি বা আমার পরিবারের কেউই চাচ্ছি না এখন বিয়েটা হোক। আমাদের বিয়ে নিয়ে সবথেকে বেশি উৎসাহি ছিলো আন্টি,সেই তো নেই আমাদের মাঝে। বিয়েটা না হয় পরেই হবে।
.
কেটে গিয়েছে একমাস। এই একমাসে আয়মান খানের দিনগুলো কাটছে অফিসের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে। সকালে নাস্তা করে বেড়িয়ে যায় ফেরে রাতে। আগের মত কারো সাথে তেমন কথাও বলে না। স্ত্রীকে হারিয়ে তিনিও যেনো অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছেন। তবে গত দুদিন ধরে তার মনে হচ্ছে তার এমন গা ছাড়া চলা ফেরা মোটেও ঠিক নয়। শাহানা যে বলে গিয়েছে ছেলেদের সামলে রাখতে। তিনি ভেবে দেখলেন গত একমাসে ছেলেদের সাথেও ভালো করে কথা বলেনি সে। বড় ছেলেটা নাহয় সবই বোঝে ছোট ছেলেটার বয়স কম সে তো এখনো ততটা বোঝে না। তাছাড়া নিশানের বিয়ের ব্যাপারে আগানো প্রয়োজন এখন। বাড়িতে মেয়ে মানুষ রিতা রিফা রয়েছে তারপরও নিজেদের ঘরেও একজন মেয়ের দরকার আছে। নানান বিষয় চিন্তা করে আয়মান খান রুম থেকে বেড়িয়ে নিশানের রুমের দিকে গেলেন।
নিশান রিশানকে পড়া দেখিয়ে দিচ্ছিলো। দিনে অফিসে থাকায় ভাইকে তেমন সময় দেওয়া হয় না। রাতে যেটুকু সময় হয় নিশান চেষ্টা করে রিশানকে সময় দেওয়ার। এবং রাতেও একসাথে ঘুমায় দুজন। ছোট ভাইটা যে এখনো মায়ের জন্য মন খারাপ করে থাকে। নিশানেরও মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়ে। মনে মনে আফসোস হয় তার,আল্লাহ কেনো এত তাড়াতাড়ি তাদের দুভাইকে মা হারা করলো।
আয়মান খান দরজায় দাড়িয়ে দুই ছেলের দিকে কিছুসময় নিরবে চেয়ে রইলেন। মাকে হারিয়ে ছেলেরা পাল্টে গিয়েছে যেনো। দুজনের চেহারাতে মলিনতার ছাপ স্পষ্ট। যে ছেলেটা সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতো হাসি মজা জোরে কথা বলা সেই রিশানও এখন আগের মত নেই। আয়মান খান গভীর শ্বাস ফেলে এগিয়ে গিয়ে দাড়ালেন ছেলেদের পাশে। রিশান খাতায় অংক করছিলো নিশান বাবাকে দেখে একটু অবাক সুরে বললো,
বাবা তুমি হঠাৎ রুমে এলে যে! কোনো প্রবলেম হয়েছে?
আয়মান খান মৃদু হেসে বললেন,
নারে কোনো সমস্যা হয়নি আমি তো তোদের সাথে সময় কাটাতে এলাম। কতদিন হলো বাবা ছেলেরা একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া হয়না।
বাবার কথা শুনে নিশানের চোখে পানি জমে গেলো। মা মারা যাবার পরে আজকে বাবা নিজে থেকে এসে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। রিশান বই খাতা বন্ধ করে মলিন মুখে বললো,
মা চলে যাবার পর তুমি অনেক বদলে গিয়েছো বাবা। আমি ভাইয়া খুব মিস করতাম তোমাকে।
আয়মান খানের মন খারাপ হয়ে গেলো। আসলেই তার উচিত হয়নি ছেলেদের থেকে দূরে থাকা। তিনি রিশানের পাশে বসলেন ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
আমি এখন থেকে আবারো তোদের সাথে গল্প করবো একসাথে খাবো আর ঠিক আগের মতো তোকে নিয়ে হরর মুভি দেখবো।
রিশানের চোখ চকচক করে উঠলো। মা হারানোর ক্ষতটা তো পূরণ হবার নয় তারপরেও এখন শান্তি লাগছে বাবাকে পেয়ে।
আয়মান খান নিশানকে বললেন,
নিশান তোর মায়ের ইচ্ছেটা পূরণ করা প্রয়োজন এখন। আমি চাইছি তোর ও হৃদিতার বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে। ভাবছি কাল তোর চাচ্চুকে নিয়ে হৃদিতাদের বাড়িতে যাব এ বিষয়ে কথা বলতে।
#চলবে……