#হৃদয়_আকাশে_প্রেমবর্ষণ
#লেখনীতে-শ্রাবণী_সারা
#পর্ব-৬
আয়মান খান প্রায় ১০ মিনিট হলো গভীর ভাবে কিছু ভাবছেন। শাহানা খান বললেন,
কি এত ভাবছো বলো তো?
আয়মান খান গভীর শ্বাস ফেলে বললেন,
নিশানের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছি। তুমি বললে নিশান হৃদিতাকে পছন্দ করে ওকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু হৃদিতা বা ওর পরিবার কি চাইবে? নিশানের অতীত মেনে নিয়ে রাজি হবে নাকি ওরা? হৃদিতা নিশানের থেকে আট বছরের ছোট হবে সবচেয়ে বড় কথা হৃদিতা অবিবাহিত।
শাহানা খান কি বলবেন ভেবে পেলো না। এসব কথা যে তার মাথাতে আসে নি তেমনটা নয়। সেও চিন্তিত এই ব্যাপারে। তবে তিনি যে ছেলের সুখটুকু দেখতে চাইছে। হৃদিতাকে যে তার ও ভীষণ পছন্দ।
আয়মান খান ও তার স্ত্রী মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন ছোট ভাই আরাফ ও তার স্ত্রী রিতার সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন। হৃদিতার ফুপি রিতা তার সাথে আগে আলোচনা করে তবেই এগোতে হবে।
.
রিয়াদের বিয়ের জন্য হৃদিতার দিন কাটছে ব্যস্ততায়। আজ সন্ধায় গায়ে হলুদ তারই আয়োজন করতে ব্যস্ত সে।
বিকেলে আত্নীয়-স্বজন প্রতিবেশি এবং হৃদিতার কাজিনরা সকলেই হলুদের সাজে ছাদে ভীর জমালো। বাগানে জায়গা কম থাকায় ছাদেই হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। হৃদিতা এখনো তৈরি হয়নি দেখে রিয়াদ জোর করে তাকে রুমে পাঠালো তৈরি হতে। হৃদিতা রুমে এসে রুপকে দেখে হেসে বললো,
রুপ তোকে কে সাজিয়েছে?
রুপ আয়নায় ঘুরে ঘুরে নিজেকে দেখছিলো। হৃদিতার কথা শুনেও না শোনার ভান করলো। আপুর উপর অভিমান করেছে সে। আপুকে সেই কখন থেকে বলছিলো সাজিয়ে দিতে আপু দেয়নি। কথা বলবে না সে আপুর সাথে। কেনো কথা বলবে হুম আপু কি তার আবদার রেখেছে।
হৃদিতা বুঝতে পারলো রুপ কেনো কথা বলছে না। ছোট বোনটা কতবার বলেছে তাকে সাজিয়ে দিতে,কাজের ব্যস্ততায় সময় হয়ে ওঠেনি। অবুঝ বোনটা যে বড্ড অভিমানি। এখন কি ভাবে ভাঙাবে ছোট্ট বোনটির অভিমান?
হৃদিতা রুপের সামনে দাড়িয়ে গালে হাত রেখে আদুরে স্বরে বললো,
আমার বোনটাকে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। সো সুইট।
রুপ গাল ফুলালো হৃদিতার হাত সরিয়ে একছুটে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। তখনই রিতা রুমে এসে বললো,
রুপ তোর উপর রেগে আছে সাজিয়ে দিসনি বলে। পরে রিফা সাজিয়ে দিয়েছে ওকে। কিন্তু তুই এখনো তৈরি হোসনি কেনো, জলদি তৈরি হয়ে নে।
হৃদিতা আজ প্রথম শাড়ী পড়ায় তার অবস্থা খুবই করুণ। শাড়ী সামলাতে বড্ড হিমসিম খাচ্ছে মেয়েটা। হৃদিতা খেয়াল করলো তার বয়সী অন্য কাজিনরা শাড়ী পড়ে হলুদের প্রোগ্রামে কত এনজয় করছে। তাহলে সে কেনো পারছে না। উফফ শাড়ী নামক জিনিসটা এত বিরক্তিকর কেনো। আগে বুঝতে পারলে কখনোই সে শাড়ী পড়তো না।
রিতার শশুরবাড়ির আত্নীয় হিসাবে নিশানদের ও হলুদে দাওয়াত করা হয়েছে। নিশান জরুরী কাজে আটকে পড়ায় এখনো আসেনি। তারা বাবা ছেলে পরে আসবে। শাহানা খান রিশানকে নিয়ে মাত্রই এসেছে। রিশান ছাদে এসে হৃদিতার পাশে গিয়ে দাড়ালো। হেসে বললো,
হৃদি আপু তোমাকে তো শাড়ীতে বেশ মানিয়েছে! খুবই সুন্দর লাগছে তোমাকে।
হৃদিতা হাসলো রিশানের কথায়। এখন পর্যন্ত অনেকেই বলেছে তাকে সুন্দর লাগছে। আচ্ছা নিশান ও একই কথা বলবে? আদৌ কি নিশানের চোখে তাকে সুন্দর দেখাবে? হঠাৎ এসব ভেবে চমকে উঠলো হৃদিতা! নিশান যেনো সর্বক্ষণ তার মন মস্তিষ্কে বিচরন করে চলেছে। হৃদিতা এক মুহুর্তের জন্য হয়ত নিজের সংকোচ ভুলে গেলো সে রিশানকে জিজ্ঞেস করলো,
রিশান তোমার ভাইয়া আসেনি?
রিশান কিছুটা অবাক হলো। হৃদি আপু হঠাৎ ভাইয়া এসেছে কিনা জানতে চাইছে কেনো! ভাইয়াকে তার কি প্রয়োজন?
রিশানের তাকিয়ে থাকা দেখে হৃদিতা নিজের ভুল বুঝতে পারলো। জ্বীভ কেটে মৃদু হেসে বললো,
আরে রিশান অবাক হলে নাকি,আমি তো এমনি জিজ্ঞেস করলাম। শুনেছি তোমার ভাইয়া কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চায়না এজন্য জানতে চেয়েছি।
রিশান হেসে উঠে বললো,
ভাইয়া অফিসের কাজ শেষ করে আসবে বলেছে।
.
রুপ সাদা হলুদের মিশ্রণে লং গাউন পরেছে। একদম পুতুলের মত দেখতে লাগছে তাকে। গাউনের দুই পাশ ধরে ধরে ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। রিশান দূর থেকে রুপকে দেখে হাসলো। রিশানের চোখেও রুপকে পুতুলের থেকে কম লাগছে না। রুপকে ভীষণ মিষ্টি লাগছে দেখতে। রুপ কোনো কারনে রিশানের এদিকে আসতে দেখলো রিশান তারই দিকে তাকিয়ে হাসছে। রুপ রিশানের সামনে এসে দাড়ালো। চোখ ছোট ছোট করে বললো,
তুমি আমাকে দেখে হাসছো কেনো?
রিশান দুষ্টু হেসে বললো,
তোকে খুবই বাজে লাগছে লেখতে এজন্য হাসছি। এমন পেত্নী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেনো বলতো?
রুপ নাক ফুলালো। সবাই বলছে তাকে নাকি বারবি ডলের মত কিউট লাগছে। আর রিশান ভাইয়া বললো পেত্নী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পাজি ছেলে একটা।
রুপ রেগে যাচ্ছে বুঝতে পেরে রিশান একছুটে পালালো সেখান থেকে। না জানি রুপ রেগে গিয়ে কি কান্ড বাধাবে আবার। রিশান দূরে এসে হাসতে লাগলো রুপকে রাগাতে কেনো যেনো খুব ভালো লাগে তার।
.
হৃদিতা রিয়াদকে হলুদ ছুইয়ে হুমায়রা বেগমকে বললো সে শাড়ী খুলে ফেলবে। মেয়ের অস্বস্তি বুঝতে পেরে তিনি বললেন হলুদ লাগানো তো হয়ে গিয়েছে এখন খুলে ফেল গিয়ে।
হৃদিতা ছাদ থেকে নামতে নিলে নিশানের মুখোমুখি হলো। নিশান ছাদেই আসছিলো। আকষ্মিক দেখা হওয়ায় দুজনেই চমকালো। তবে হৃদিতার থেকে নিশান হয়ত বেশি চমকেছে। হৃদিতাকে সে যতবার দেখেছে সালোয়ার কামিজ ছাড়া অন্য কোনো পোশাকে দেখেনি। এমনকি হৃদিতাকে কখনো সাজতেও দেখেনি। আজ হৃদিতাকে শাড়ী ও হালকা সাজে দেখে নিশানের মনজুড়ে শীতল হাওয়া বয়ে গেলো। মেয়েটা যে ধীরে ধীরে তার হৃদয়টাকে নিজের দখলে নিয়ে নিচ্ছে।
নিশানকে অপলক চেয়ে থাকতে দেখে হৃদিতা ইচ্ছে করে হাতের চুড়িতে শব্দ করলো। নিশান কেপে উঠলো সে শব্দে। হাসলো অদ্ভুত ভাবে যেনো চুরি করতে এসে ধরা পড়েছে। অতঃপর চুলের ভাজে আঙ্গুল চালিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
নিচে যাচ্ছো যে হলুদের প্রোগ্রাম শেষ?
হৃদিতা মৃদু স্বরে জবাব দিলো,
এখনো শেষ হয়নি। আমি ভাইয়াকে হলুদ মাখিয়ে চেঞ্জ করতে যাচ্ছি। আপনি উপরে যান সবাই উপরেই আছে।
নিশানের বলতে মন চাইলো,না হৃদি তুমি এখনই চেঞ্জ করো না আমি তো মাত্রই এলাম তোমাকে শাড়ী পড়হিত রুপে আরো কিছুক্ষণ দেখতে দাও। মনের কথা মনে চেপে রেখে দীর্ষশ্বাস ফেললো নিশান। নাহ এখনো যে সময় আসেনি এ কথাগুলো বলার। তবে আল্লাহ যদি সহায় হন খুব শীঘ্রই হৃদিতাকে নিজের মনের কথাগুলো বলতে পারবে।
হৃদিতা রুমে এসে ধপ করে বেডে বসলো। বুকের ভেতরটা এখনো ধুপধাপ আওয়াজ করছে। নিশানের সামনে নিজেকে বহু কষ্টে স্বাভাবিক রেখেছিলো সে। ইশ লোকটা ওভাবে যে কেনো তাকিয়ে ছিলো! হৃদিতার অস্বস্তি হয় না বুঝি! হৃদিতা আয়নার সামনে গিয়ে মুচকি হাসলো। নিশানকে নিয়ে তার ভাবনাগুলো যে আস্তে আস্তে ভালোলাগাতে পরিণত হয়েছে। এ ভালোলাগা কতদূর এগোবে কে জানে। হতেও পারে শুধু ভালোলাগা একসময় গভীর প্রণয়ে রুপ নেবে।
হৃদিতার ভাবনাগুলো যে এত তাড়াতাড়ি ফলে যাবে যা সে সপ্নেও ভাবেনি। নিশান আজ রিয়াদের বরযাত্রীতেও এসেছে। তার আসার একমাত্র কারন হৃদিতা। হৃদিতার কাছাকাছি থাকবে বলে রিয়াদ তাকে বরযাত্রী আসতে বলাতেই রাজি হয়ে গিয়েছে। রিয়াদের বরযাত্রীতে এসে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে রাইসার সাথে দেখা হয়ে গেলো নিশানের। রাইসাও কোনোভাবে ইনভাইটেট এ বিয়েতে। নিশান রাইসাকে দেখে অনেকটাই বিরক্ত হলো ওকে এড়িয়ে ফাকা এক জায়গায় গিয়ে বসে রইলো। ওদিকে হৃদিতা অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছে একটা মেয়ে নিশানের আশেপাশে ঘুরছে মনে হচ্ছে যেনো কথা বলতে চাইছে। হৃদিতার মন কেমন করছে ওই মেয়েটাকে নিশানের আশেপাশে একদমই মানতে পারছে না। আচ্ছা মেয়েটা কি নিশানের পরিচিত কেউ হবে?
রাইসা নিশানের সামনে এসে দাড়ালো। নিশান বিরক্তি নিয়ে বললো,
কি সমস্যা তোমার পেছনে লেগে আছো কেনো?
পেছনে কোথায় লেগেছি। তখন থেকে তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাইছি কিন্তু তুমি তো আমাকে পুরোই ইগনোর করছো।
নিশান কিছু বলতে যাবে তখন হঠাৎ চোখ পড়লো কিছুটা দূরে দাড়িয়ে থাকা হৃদিতার দিকে। হৃদিতাকে কেমন যেন অস্বাভাবিক লাগছে দেখতে। নিশান চিন্তিত হলো হৃদিতার কি হলো ভেবে। সে রাইসাকে পাশ কাটিয়ে হৃদিতার সামনে এসে দাড়ালো। হৃদিতা হকচকিয়ে গেলো নিশানকে নিজের সামনে দেখে। নিশান নরম স্বরে বললো,
কি হয়েছে হৃদিতা এমন লাগছে কেনো তোমাকে,শরীর খারাপ করছে?
হৃদিতার হুট করে অভিমান হলো। মনের কথা আনমনে বলে ফেললো,
আমার কি হয়েছে তা আপনার না জানলেও চলবে। আপনি যান না ওই মেয়েটির সাথে বসে বসে গল্প করুন।
নিশান অবাক হলেও প্রকাশ করলো না। হৃদিতা কি তবে জেলাস ফিল করছে! হৃদিতার সাথে নিশানের ফোনে মাঝেমধ্যেই কথা হয়। আবার কাল থেকে হৃদিতার তার সাথে কথা বলা তাকানো সবকিছুই নিশানকে অন্য কিছু ইঙ্গিত করছে যা নিশান চাইছে। নিশান ভাবলো তাহলে কি আর দেরি করা ঠিক হবে? সময় যে এসে গেছে হৃদিতাকে মনের কথা জানানোর।
হৃদিতা কিছু না বলে পা বাড়ালো চলে যেতে। নিশান আশেপাশে তাকালো পরিচিত কেউ নেই তেমন। হুট করে নিশান হৃদিতার হাত ধরলো হৃদিতা থেমে গেলো তবে পেছনে তাকালো না। নিশান মুচকি হেসে নিচু স্বরে বললো,
হৃদিতা আমার হৃদয় আকাশে প্রেমের বর্ষণ হয়ে নামবে তুমি?
.
রিয়াদের বিয়ে বউভাত ভালো ভাবেই মিটে গেলো। বউভাতের পরের দিন রিতা ও তার হাজবেন্ড রেজাউল সাহেবকে বললেন তাদের কিছু জরুরী কথা বলার আছে। হুমায়রা বেগম ও রিয়াদকেও ডাকলো। হৃদিতা রুপ তখন তাদের নতুন ভাবী তোহার সাথে আড্ডায় ব্যস্ত।
সকলে হৃদিতার মা বাবার রুমে বসলেন। আরাফ খান রিতাকে ইশারা করলো বলার জন্য। রিতা অনেকটা আমতা আমতা করে রেজাউল সাহেবকে নিশান হৃদিতার বিয়ের কথা বললো। নিশানের বাবা মা হৃদিতাকে পছন্দ করেছে সেটাও জানালো।
নিশান এবং তার পরিবার খারাপ নয়। তবে নিশানের পূর্বে বিয়ে করা নিয়েই চিন্তা হচ্ছে রিতা ও তার হাজবেন্ডের। কেনোনা হৃদিতার বাবা মা ভাই সবই আগে থেকে জানেন। রিতার কথাগুলো শুনে রেজাউল সাহেব চুপ রইলেন। তিনি ঠান্ডা মস্তিষ্কের মানুষ হয়ত ঠান্ডা মাথায় ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত দেবেন। হুমায়রা বেগমও স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন কি বলে শোনার জন্য জন্য। তবে রিয়াদ চুপ রইলো না। নিশানকে সে চেনে ছেলে খারাপ নয় তবে সে আগেও বিয়ে করেছিলো। সে জেনেশুনে কি করে তার অবিবাহিত বোনকে নিশানের সাথে বিয়ে দেবে। আবার বয়সের তফাৎ ও কম নয়। নাহ কখনোই সম্ভব না।
রিয়াদ বাবা মায়ের দিকে তাকালো তাদের কেনো প্রতিক্রিয়া না দেখে ফুপি ফুপাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
বাবা মায়ের মত কি তারাই ভালো জানে। তবে আমার মত নেই। নিশান আগেও বিয়ে করেছিলো তার সাথে আমার বোনকে বিয়ে দিতে ইচ্ছুক নই আমি।
রেজাউল সাহেব মুখ খুললেন তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক কন্ঠে বললেন,
আরাফ রিতা আমি এ ব্যাপারটা নিয়ে ভাববো আমার সময় চাই। আমরা পারিবারিক ভাবে আলোচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত হোক জানাবো।
কিন্তু বাবা…..
হাতের ইশারায় রিয়াদকে থামিয়ে দিলেন রেজাউল সাহেব। তিনি চাইছেন না বোন ও বোনজামাইকে ছোট করতে।
ওদিকে হৃদিতা কোনো কারনে মায়ের রুমে এসেছিলো। ভেতরে বিশেষ আলোচনা চলছে বুঝতে পেরে আবার ফিরে যাচ্ছিলো। বড়দের আলোচনায় থাকার ইচ্ছে তার নেই। কিন্তু সে ফিরে যেতে পারলো না। রিয়াদের বলা কথাগুলো কানে আসতে পা থেমে গেলো। ভেতরের আলোচনার বিষয়বস্তু যে তাকে ঘিরে সেটা আর বুঝতে বাকি রইলো না। কিন্তু ভাইয়া এসব কেনো বলছে? নিশান কি তবে সবাইকে বলে দিয়েছে! হৃদিতার হাসিখুশি মন নিমিষেই খারাপ হয়ে গেলো। কি হবে এরপর?
#চলবে……