#হৃদয়ে শুধু আপনি❤️
#লেখনীতে:অনুসা রাত(ছদ্মনাম)
#অন্তিম পর্ব
আপাতত চলছে শীতকাল!নভেম্বর মাস!মাঝে কয়েকটা মাস কেটেছে সুখেই।আরশিও বেশ সংসারী হয়ে উঠেছে।তাকে চারদিক সামলে নিতে হয়।সাথে পড়াশোনাও চালাতে হয়।সন্ধ্যা গড়িয়েছে।আরশি রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে সবার জন্য গরম গরম সিঙারা ভাজতে ব্যস্ত।এই গ্যাসের চুলার সামনে দাঁড়িয়ে শীতকালেও তড়তড় করে ঘামছে আরশি।আপনমনে কাজ করছে আর ভেবে চলেছে নানান কথা। আচমকা উদরে কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো আরশি।আরশির পিছনে থাকা মুগ্ধ আরশির ঘর্মাক্ত কাঁধে মাথা এলিয়ে বললো,
-“আই মিস ইউ আরশি।”
আরশি দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ব্যার্থ হবে জেনেও মুগ্ধের হাতজোড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললো,
-“সারাদিন বন্ধুদের সাথে থেকে এখন মিছে মিস ইউ বলতে হবে না।”
মুগ্ধ হেসে আরেকটু আঁকড়ে ধরলো আরশিকে।আরশি বিরক্তির শ্বাস ছেড়ে সিঙারা গুলো তুলে নিচ্ছে গরম তেল থেকে।মুগ্ধ আরশির গালে গাল ঠেকিয়ে আরশির মায়াবী চেহারার দিকে তাকালো।আরশির কপালে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিলো।গলদেশে ঠোঁটের স্পর্শ পেতেই আরশি রাগী কন্ঠে বললো,
-“গরম তেল পড়বে মুগ্ধ! ”
মুগ্ধ আরশির গাল টেনে আরশিকে ছেড়ে সরে দাঁড়ায়।আরশি অগ্নিচোখে তাকিয়ে সিঙারা গুলো বাহিরে নিয়ে যেতে লাগলো।মুগ্ধ পিছন থেকে ডেকে উঠলো,
-“আরশি দাঁড়ান।”
আরশি পিছনে ফিরে ভ্রু উঁচিয়ে বললো,
-“কি?”
মুগ্ধ হেলতে দুলতে এগিয়ে এলো।আরশি এখনো ভ্রু উঁচিয়ে দেখছে মুগ্ধ কে।মুগ্ধ আরশির কাছে এসে আরশির কোমড়ে গোঁজা শাড়ির আঁচল টা নামিয়ে দিলো।আরশির দৃষ্টি নিচু হলো।নিম্ন স্বরে বললো,
-“থ্যাংক ইউ।”
বলেই সে চলে গেলো।মুগ্ধ শিস বাজাতে বাজাতে ড্রয়িং রুমে ঢুকলো।সোফায় গা এলিয়ে বসলো।জুয়েল সাহেব বেশ প্রশংসা করছেন আরশির। আরশি হেসে সায় দিচ্ছে।মায়া খেতে খেতে বলছে,
-“ভাবী,তোমার হাতে তো জাদু আছে।একদম দোকানের মত হয়।”
-“আরেকটা নাও।”(হেসে)
আরশি সবাইকে সার্ভ করে নিজেও একটা নিলো।ঠিক তখনই চোখ পড়লো মুগ্ধের দিকে।মুগ্ধ বেশ অনেক্ক্ষণ যাবত সিঙারার দিকে তাকিয়ে আছে। সে একবার লুকিয়ে আরশির দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার সিঙারার দিকে।আরশির সন্দেহকে সত্যি করে সে সিঙারায় হাত দিতেই আরশি মিছিমিছি চড় বসালো মুগ্ধের হাতে।মুগ্ধ তৎক্ষনাৎ হাত সরিয়ে নিলো।আরশি চোখ রাঙিয়ে বললো,
-“এটাতে বাদাম আছে।আর বাদামে আপনার এলার্জি।”
মুগ্ধ মুখ ঘুরিয়ে বললো,
-“আমি কি খাচ্ছিলাম নাকি।”
মায়া চোখ বড় বড় করে বললো,
-“তুই খেতে চাইছিলি।আমি দেখেছি।”
মুগ্ধ সঙ্গে সঙ্গে মায়ার মাথায় চাটি মেরে বললো,
-“বেশি কথা বলিস।”
আরশি চোখ পাকিয়ে তাকায়।মুগ্ধ হাসার চেষ্টা করে বলে,
-“আসলেই খেতাম না।”
আরশি চোখ ঘুরিয়ে সবার সাথে গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো।মুগ্ধ ফিসফিস করে বললো,
-“আমার জন্য বাদাম ছাড়া বানালো না আজ।”
আরশি মুগ্ধের দিকে ফিরে বললো,
-“কিছু বললেন?”
মুগ্ধ ইনোসেন্ট লুক নিয়ে বললো,
-“একদম না।”
-“আপনার জন্য বানাইনি।কারণ আপনি আজ ওয়াদা ভঙ্গ করে জ্বর নিয়ে বাহিরে গিয়েছেন।”
মুগ্ধ কিছু বলতে যাবে তার আগেই শর্মিলা বললেন,
-“একদম ঠিক হয়েছে।এটাই ওর শাস্তি। জ্বর কমলো না আর এখনই বাহিরে যেতে হয়।”
মুগ্ধ মুখ ফুলিয়ে বললো,
-“মা,তুমি কিন্তু জানো যে সিঙারা আমার কত্ত ফেবারিট।”
-“হ্যা হ্যা,এলার্জি যেগুলোতে সেগুলোই তোমার ভীষণ প্রিয়।”
আরশি হেসে ফেললো।মুগ্ধ আরশির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো।ধুপধাপ শব্দ করে পা ফেলে রুমে ঢুকে জ্যাকেট খুলে এসি ছেড়ে দিলো।বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘরে ঢুকলো আরশি।সঙ্গে সঙ্গে আঁতকে উঠে বললো,
-“একি মুগ্ধ! আপনি এই শীতের মধ্যে এসি ছেড়ে শুয়ে আছেন?তাও শরীরে জ্বর নিয়ে? জ্বর এলো বলে।”
মুগ্ধ ঘাড় উঁচিয়ে আরশিকে দেখে নিলো।আরশির হাতে একটা প্লেট।মুগ্ধ আবারো অন্যদিকে তাকায়।আরশি চোখ বড় বড় করে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়লো।মুগ্ধের পাশে বসে রিমোট নিয়ে এসিটা কমিয়ে দিলো।মুগ্ধ উঠে বসে কপাল কুঁচকে বললো,
-“কি সমস্যা?”
আরশি মুখ টিপে হেসে বললো,
-“অনেক সমস্যা।”
মুগ্ধ বিরবির করে কি যেন বললো। আরশি প্লেট থেকে একটা সিঙারা তুলে বললো,
-“নিন খেয়ে নিন।এতে বাদাম নেই।”
-“চাই না আমার।”
-“খেয়ে নিন।নয়ত আমি বাপের বাড়ি চলে যাব।”
মুগ্ধ চোখ পাকিয়ে তাকায়।তারপর শক্ত গলায় বলে,
-“এত বাপের বাড়ি যাওয়ার হুমকি দেন কেন?আপনার হিটলার বাবাকে কি বেশি মনে পড়ে?”
আরশি মাথায় হাত দিয়ে বললো,
-“খাবেন আপনি?”
মুগ্ধ ঠান্ডা গলায় বললো,
-“খাইয়ে দিলে অবশ্যই খাবো।”
আরশি মুচকি হেসে মুগ্ধ কে সিঙারাটা খাইয়ে দিতে দিতে বললো,
-“এত বন্ধু বন্ধু করলে চলে না বুঝছেন!নিজের শরীরের খেয়ালটাও রাখতে হয়।”
-“আপনি আছেন কি করতে?”
আরশি মুগ্ধের চুলগুলো এলোমেলো করে দিলো।পানি এগিয়ে দিয়ে বললো,
-“আমার কথা তো শোনাই হয় না।”
মুগ্ধ পানিটা খেয়ে ঠাস করে শুয়ে পড়লো।আরশি চলেই যাচ্ছিলো।আবারো পিছনে ফিরে এসে বললো,
-“শরীর খারাপ লাগছে তো?”
-“একদমই না।”(হেসে)
-“মিথ্যুক।”
বলেই আরশি এসিটা অফ করে দিলো।শরীরে পাতলা সোয়েটার জড়িয়ে নিতে নিতে বললো,
-“আমারি শীত করতাসে আর সে এসি ছেড়ে রেখেছে।”
মুগ্ধ কপালে হাত রেখে শুয়ে।আরশি মুগ্ধের পাশে বসে মুগ্ধের হাতটা সরিয়ে কপালে হাত রেখে বললো,
-“কপাল তো হালকা গরম।”
মুগ্ধ আরশির দিকে করুণচোখে তাকায়। আরশির বুক ধক করে উঠে মুগ্ধের এমন চাহনী দেখে।মুগ্ধ আরশির কোলে মাথা রেখে বললো,
-“ঘুমাবো আরশি।”
।
রাতে গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে মুগ্ধের।আরশির তো সামলানোই দায় হয়ে গেলো।বেচারি বেশ ভয় পেয়ে যায়।ভয়ে শ্বাশুড়ি কে ডেকে আনতে গেলেও মুগ্ধের হাত থেকে নিজের শাড়ির আঁচল ছুটাতে পারেনি সে।মুগ্ধ এতটাই শক্ত করে ধরে ছিলো সেটা।দূর্বল গলায় বলছিল,
-“আমাকে ছেড়ে যাবেন না আরশি।আমি কিন্তু খুব রাগ করবো।”
আরশি তখন অসহায় গলায় বলেছিলো,
-“মা কে ডাক দিলে তিনি জ্বর কমানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা করবেন। আমি একা পারব না মুগ্ধ।যেতে দিন আমায়।”
মুগ্ধ তখন উঠে বসে আরশিকে নিজের কাছে বসিয়ে বলে,
-“না।আমি আপনার সান্নিধ্যে থাকলেই ঠিক হয়ে যাব।”
আরশিকে চেপে ধরে মুগ্ধ আরশির বক্ষে নিজের মাথা রাখে।আরশি মুগ্ধের চুলে হাত রাখে।মুগ্ধ গোঙানোর শব্দে বলে,
-“এভাবেই থাকতে দিন আরশি।জ্বর পালাবে।”
আরশি মুগ্ধের মাথায় হাত বুলাচ্ছিলো আর এক হাত দিয়ে নিজের চোখ মুছে চলেছিলো।মুগ্ধের মাথা ধীরে ধীরে আরশির কাঁধে চলে যায়।কাঁধে ঠোঁট বুলিয়ে সে আবারো বলে উঠে,
-“আপনি না ভীষণ সুন্দর আরশি।”
আরশি চমকে উঠে মুগ্ধের দিকে তাকায়।আরশির শরীরে সে ফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে বলে,
-“আপনার শরীরের ঘ্রাণটা আমায় চুম্বকের ন্যায় টানে আরশি।”
আরশি পরিস্থিতি সামাল দিতে বলে,
-“আপনার শরীর ভালো না।নিন শুয়ে পড়ুন।”
মুগ্ধ আরশির চোখে তাকিয়ে বলে,
-“আপনার সবকিছু ভয়ানক সুন্দর আরশি।আচ্ছা আমি কি স্বপ্ন দেখছি? বিয়ের এই কয়েকমাসেও আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে আপনি আমার।”
আরশি মুগ্ধের চোখে তীব্র নেশা দেখতে পেলো।চোখ নামিয়ে তুতলিয়ে বলে,
-“এখন এসব বলার সময় নয়।”
-“ভালোবাসার সময়-অসময় হয় না।”
আরশি মুগ্ধের দিকে অবাক চোখে তাকায়।মুগ্ধ আরশির হাতে নিজের হাত ডুবিয়ে বলে,
-“এই হাতটা আমার আরশি।আপনিও আমার।”
আরশি বুঝতে পারে যে মুগ্ধের জ্বর বেড়েছে।সে মুগ্ধের কপালে হাত রেখে ব্যস্ত গলায় বলে,
-“জ্বর বাড়ছে কিন্তু। আমার কথা না শুনলে আমি রেগে যাবো।”
মুগ্ধ অসহায় গলায় বলে উঠলো,
-“এত রাগ করেন কেন আরশি?আপনি জানেন না আপনাকে ছাড়া আমার ঘুম হয় না?আপনাকে নিজের সাথে না জড়ালে আমার চোখ লাগে না।তাই আপনি বাপের বাড়ি যাওয়ার হুমকি দেন। তাই না?”
আরশি শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে।মুগ্ধ আরশির গালে হাত দিয়ে বললো,
-“একটু ভালেবাসলে কি হয় আরশি?একটু ভালোবাসুন না!দেখবেন জ্বর চলে যাবে।”
আরশি আর কিছু বলবার ভাষা পাচ্ছিলো না।মুগ্ধের জেদের কাছে তাকে বরাবরের মতোই হার মানতে হয়।সাড়া দিতে হয় মুগ্ধের ভালেবাসার পাগলামিতে।আরশিকেও যেন এই জ্বরে পুড়িয়ে ভৎস করে দিবে মুগ্ধ। এমন পরিকল্পনা করেই সে আরশিকে নিয়ে ভালোবাসার অতলসাগরে ডুব দেয়।
।
অনেকরাত করেই মুগ্ধের জ্বর কমে।মুগ্ধ তখনও নির্ঘুম।আরশি কোনোমতে তাকে ঔষধ খাইয়েছে।মুগ্ধের ভেজা চুলগুলো ব্যস্ত ভঙ্গিতে মুছে সে বলে,
-“রাত ৩ টার উপরে বাজতে চললো।আপনার এই সময় গোসল করাটা উচিত ছিল না।কিন্তু করতে হলো।”
মুগ্ধ আরশির হাত থেকে টাওয়াল ফেলে বললো,
-“জ্বর কমে গেছে।”
-“এখনো টলছেন।”(চোখ রাঙিয়ে)
-“এসব কিছু না।”
আরশি আবারো চোখ বড় করে তাকিয়ে মুগ্ধের চুল মুছে দিলো।হাত উঁচিয়ে বললো,
-“এখন চুপচাপ ঘুমাবেন।আহারে!কত্ত শীত।”
বলতে বলতে আরশি কাঁপতে কাঁপতে কম্বলের নিচে ঢুকে গেলো।কিন্তু মুগ্ধ এখনো বসে আছে মুখ ফুলিয়ে।তা দেখে আরশি বললো,
-“কি হলো?শুয়ে পড়ুন।”
-“আমি এখন ঘুমাবো না।”
-“কেমন পাগলামি মুগ্ধ? ঘুমান।”
মুগ্ধ উঠে দাঁড়ালো।শরীরে চাদর জড়িয়ে আরশির হাত টেনে বলল,
-“উঠুন।”
-“কই যাবো?”
আরশির প্রশ্নটাকে পাত্তা দিলো না মুগ্ধ।আরশিকে টেনে বাহিরে নিয়ে গেলো।আরশি কাঁপতে কাঁপতে বললো,
-“শীত করছে তো মুগ্ধ!”
মুগ্ধ কোনো কথা না শুনে আরশিকে কোলে তুলে নিলো।আরশি তো ভয়ে আছে।কারণ মুগ্ধের গায়ে এখনো জ্বর।টলতে টলতে আরশিকে নিয়ে পড়ে গেলে কি লজ্জায় পড়তে হবে।মুগ্ধ আরশিকে নিয়ে বাড়ির বাহিরে চলে এলো।নিচে নামিয়ে বললো,
-“চলুন একটা জায়গায় নিয়ে যাব।”
-“এ..এই শ..শীতে?”
-“হ্যা।”
বলেই মুগ্ধ আরশিকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো কোথায় যেন গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো।আরশি শুধু বলছে,
-“আপনি অসুস্থ শরীরে শীতের মধ্যে কি যে করছেন।”
বলতে বলতে আরশি কাঁপছে।রাত তিনটায় এমন শীতে যে কেউ কাঁপবে।মাঝরাস্তায় গাড়ি থামালো মুগ্ধ। জনমানবহীন রাস্তা একদম!চারিদিকে কুয়াশা।কিন্তু রাস্তাটা ভারী সুন্দর।দুপাশে সারি সারি গাছ।মুগ্ধ আরশিকে নামিয়ে বললো,
-“কেমন লাগলো?”
-“সুন্দর!”(চারদিকে তাকিয়ে)
মুগ্ধ আরশিকে পিছন থেকে চাদর দিয়ে জড়িয়ে বললো,
-“অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো আপনাকে নিয়ে শীতের রাতে হাঁটার।”
আরশি অবিশ্বাস্য চোখে তাকায় মুগ্ধের দিকে।মুগ্ধ গাড়ির ভেতর থেকে একটা জ্যাকেট বের করলো।আরশির গায়ে সেটা জরিয়ে দিলো।তারপর অর্ধেক চাদর জড়িয়ে দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে হাঁটতে লাগলো।আরশি শক্ত করে মুগ্ধ কে একপাশ থেকে জড়িয়ে আছে।এই ঘন কুয়াশার রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তাটা মনে হয় একটু গ্রাম্য।মুগ্ধ হেসে বললো,
-“আজ একসাথে সূর্যদোয় দেখবো।”
আরশি হাসলো।মুগ্ধ যে তাকে নতুন এক অনুভূতির সাথে পরিচয় করাবে এটা সে ভাবতেও পারেনি।আরশি ভাঙা গলায় বলে উঠে,
-“আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি মুগ্ধ।কখনো ছেড়ে যাবেন না তো?”
মুগ্ধ আরশির হাতটা টেনে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো,
-“কখনো না। আমার #হৃদয়ে_শুধু_আপনি_।কিভাবে ছেড়ে দিবো?কত কষ্ট করে আপনাকে পেয়েছি বলুন তো।”
আরশি দাঁড়িয়ে গেলো।মুগ্ধ কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।মুগ্ধও আরশির কাঁধে থুতনি রাখে।আরশি চোখ বন্ধ করে বলে,
-“আমারও #হৃদয়ে_শুধু_আপনি_ মুগ্ধ।”
—————–সমাপ্ত————-
(গল্পটায় অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।গল্পটা আমি অল্পতেই শেষ করতে চেয়েছি।বড় করতে চাইলে আমি এমন করতাম যে আরশিকে রাজি করাতে করাতেই ৬-৭ পর্ব শেষ!কিন্তু আমি ছোট করেই শেষ করতে চাইলাম।তাই আশা রাখবো যে কেউ এটা বলবেন না যে মেয়ে কিভাবে এত জলদি প্রেমে পড়লো হেনতেন।আবার আরশির বাবাকে ভিলেন দিয়েও বড় করতে পারতাম।কিন্তু আমি কোনো প্যাচ দিয়ে চাই নি)
(সবশেষে একটা কথাই বলবো গল্পটা সম্পর্কে কিছু বলে যাবেন।ভুল হলে সেটা নিয়ে মজা না করে আমাকে ভুলটা ধরিয়ে দিবেন যেন পরবর্তীতে আমি সেটা ঠিক করতে পারি।মানুষ মাত্রই ভুল।আমার একটা ভুল লাইন নিয়েও যদি আপনি মজা করেন তাহলে আমি কিভাবে এগিয়ে যাবো?বরং আমার ভুলগুলো শালীনতার সাথে ধরিয়ে দিবেন।আর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ❤️🩹ভালোবাসা অবিরাম🥰❤️)