হার্টলেস পর্ব-০৪ + বোনাস পর্ব

0
1816

#হার্টলেস🖤
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_04_Bonus
,,
,,
,,
,,
অর্ধ চাদটা ঠিক আকাশ পানে জলজল করছে, আর পুরো আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র তারা,হিম হাওয়ায় চারপাশ শীতল আবহাওয়া তৈরি হয়েছে,চারপাশে মিষ্টি ভালোবাসারা কানামাছি খেলছে।আর এই আকাশের নিচে দাড়িয়ে আছে এক জোড়া ভালোবাসা। ইতু কখন থেকে পরম শান্তিতে নীড়ের বুকের সাথে জড়িয়ে আছে। নীড় হঠাৎ বলল, আজ রাত কি এভাবেই পার করতে চাস তুই।ইতুর ঘোর কাটলো সাথে সাথে নীড়কে ছেড়ে দিল।নীড় মুচকি হেসে বলল, চলে যাব।কথা টা শুনে ইতু নিরব দৃষ্টিতে নীড়ের দিকে তাকালো। এই দৃষ্টি না জানি কত না বলা কথা বলে দিচ্ছে। নীড় হঠাৎ ইতুর হাত ধরে হাটা ধরলো,ইতুও সমান তালে তাল মিলালো।

সিড়ি দিয়ে দুজনকে নামতে দেখে হিনা মৃদু হাসলো।নীড় হিনার কাছে গিয়ে মুচকি হেসে বলল, থ্যাংক ইউ হিনা থ্যাংক ইউ সো মাচ। হিনা বলল, না ভাইয়া থ্যাংকস লাগবে না।নীড় একবার ইতুর দিকে তাকিয়ে বলল, আসি।বলেই নীড় বেড়িয়ে পড়লো। ইতু সেদিকেই তাকিয়ে আছে। হিনা এসে দুষ্টু হেসে বলল,

– আরে দোস্ত আর তো দুইটা দিন তারপর তো নীড় ভাইয়ার বাড়িতে এক সাথে থাকতে পারবি নীড় ভাইয়ার সাথে।

– চুপ কর শুধু ফালতু কথা

– কি ফালতু কথা

– হুম সোর আমার শাড়ি চেঞ্জ করতে হবে।

___________________________________________

শাহিন সাহেব গম্ভীর ভাব নিয়ে নিজের রুমে বসে আছে। ইতু গুটিগুটি পায়ে রুমে ঢুকে হালকা গলায় বলল,বাবা।শাহিন সাহেব মেয়ের দিকে তাকালো। ইতু বলল,

– আমি তো এখনি চলে যাব কথা বলবে না

– মা তুই শুধু রাজি হো এই বিয়ের থেকে তোকে মুক্তি করার দায়িত্ব আমার

– কি বলছো বাবা, বিয়ে যখন হয়ে গেছে তখন আর কিছু করার নেই

– কিন্তু….

– না বাবা তুমি শুধু শুধু চিন্তা কর না

– নীড়ের মা এত সহজে তোকে মেনে নেবে না

– হয় তো সময় লাগবে কিন্তু ঠিক হয়ে যাবে

– আল্লাহ ভরসা

– বাবা আমার যাওয়ার সময় হয়েছে

শাহিন সাহেব দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে, মেয়ের হাত ধরে বাহিরে নিয়ে আসলো।ইতুর মা মুখ চেপে কাদছে,তুতুল চাপা কান্নায় মুখ লাল করে ফেলেছে। শাহিন সাহেব গম্ভীর কণ্ঠে বলল, নীড় আমার একটা মাএ রাজকন্যা ওকে কখনো কষ্ট দিস না তাহলে কিন্তু আমি নিজে তোকে মেরে জেলে যাব।নীড় মুচকি হেসে বলল, কাকা চিন্তা করবেন না। অতঃপর ইতুকে গাড়িতে উঠালো গাড়ি ছুটতে লাগল নীড়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে। ইতু কেদে কেদে হেচকি উঠে গেছে নীড় ইতুকে কখন থেকে শান্ত হতে বলছে কিন্তু ইতু শুনছে না।

নীড় রেগে তাকিয়ে কড়া কন্ঠে বলল, তুই থামবি মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। ইতু কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল, তুমি খুব বাজে এখনি আমাকে বকছো নীড় বলল, হুম বকছি বকা খাওয়ার কাজ করিস কেন কান্না করে চোখ মুখের কি হাল করেছিস। ইতু গাল ফুলিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে বলল,হার্টলেস।

__________________________________

বাড়িতে প্রবেশ করা মাএই কাজের লোকেরা চলে আসলো,কিন্তু কাকীকে কোথাও দেখতে পেলাম না, সিঁড়ি দিয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে নেমে আসছে মুখ খানা মলিন হয়ে আছে। চিনতে অসুবিধা হলো না এটা বৃষ্টি আপু।বৃষ্টি মুখে একটা নকল হাসি দিয়ে বলল,

– আপনারা এসে গেছেন ইতু কেমন আছো

– ভালো আপু তুমি

– আমিও চল তোমাকে রুমে নিয়ে যাই ফ্রেশ হয়ে নেও

– কাকী কোথায়

– খালা মণি রুমে উনার মাথা ব্যথা করছে তো তুমি ফ্রেশ হয়ে নেও তারপর খালামণির সাথে দেখা কর।

ইতু আর কিছু না বলে চুপচাপ বৃষ্টির সাথে উপরে গেলো।ইতু রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখ মুছ ছিলো হঠাৎ পেটে কারো উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে থমকে গেল ইতু, আয়নায় স্পষ্ট নীড়ের মুখটা দেখা যাচ্ছে, নীড় ইতুর চুলে মুখ গুজে চোখ বন্ধ করে ফেলল।ইতুও আবেগে চোখ বন্ধ করে ফেলল, তারপর কাপা কন্ঠে বলল, কি ক,করছো। নীড় চোখ বন্ধ রেখেই বলল,কই কিছুই তো করলাম না।

বৃষ্টি এসে ছিলো খেতে ডাকতে নক না করে ভিতরে ঢুকে নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেল উল্টো ঘুরে বলল,সরি আমার নক করে আসা দরকার ছিল। বৃষ্টির কন্ঠ পেয়ে ইতু আর নীড় দূরে সরে গেলো।নীড় বলল,কেন এসে ছিলে।বৃষ্টি বলল,ওই খাবার খেতে যাওয়ার জন্য। নীড় বলল, ওকে তুমি যাও আমরা যাচ্ছি।

বৃষ্টি মাথা নাড়িয়ে চলে আসলো,বুকের ভিতরটা চিনচিন ব্যথা হচ্ছে, চোখের কোণে কষ্টরা জোড়ো হলো বৃষ্টির, যাকে ভালোবাসে তাকে অন্য কারো সাথে দেখা টা যে কি যন্ত্রণার এটা শুধু সেই জানে, এক তরফা ভালোবাসা গুলোর পরিণতি হয় তো এমনই হয়।

#চলবে……..🖤

#হার্টলেস
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_Bonus
,,
,,
,,
,,

ইতু ছোট ছোট পা ফেলে নীড়ের মার রুমে ঢুকলো, নীড়ের মা বসে একটা বই পড়ছে ইতুকে দেখে চোখ তুলে তাকালো, ইতু হালকা কন্ঠে বলল, কেমন আছো কাকী।নীড়ের মা গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

– ভালো তুই কেমন আছিস

– ভালো খেতে চল

– ইচ্ছে করছে না মাথা ব্যথা করছে

– মাথায় মলম লাগিয়ে দেবো

– না থাক এতো যত্ন দেখাতে হবে না, পারলে আমাকে একটু একা ছেড়ে দে

ইতুর মুখটা ছোট হয়ে গেলো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে তা তো জানা ছিল,ইতু কিছু না বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ বেড়িয়ে পড়লো। খাবার টেবিলে মন খারাপ করে বসতেই নীড় বলল, কি হয়েছে তোর, মা কোথায়, কিছু বলেছে তোকে।ইতু তাড়াতাড়ি বলে উঠলো, না আমাকে কিছু বলে নিই কাকীর মাথা ব্যথা করছে তাই আসে নিই।বৃষ্টি বসা থেকে উঠে বলল,আমি দেখে আসি।নীড় বলল, না তুমি খাবার খাও। বলেই চম্পাকে খাবার প্লেটে নিয়ে মার রুমে যেতে বলল,নীড় ও ওর মার রুমের দিকে হাটা দিল।টেবিলে বসে থাকলো ইতু আর বৃষ্টি। বৃষ্টি বলে উঠলো, তুমি খাচ্ছো না কেন খেয়ে নেও। ইতু মৃদু হেসে সম্মতি দিলো।

_______________________________________

চম্পা খাবার নিয়ে সেলিনার সামনে রাখতেই সেলিনা গম্ভীর কন্ঠে বলল, এইসব কি আমি কি আনতে বলেছি নিয়ে যা।তখনি নীড় ঢুকে চম্পাকে যেতে বলল, চম্পা চুপচাপ বেড়িয়ে পড়লো, নীড় সেলিনার সামনে বসে খাবার হাতে নিয়ে বলল,মা মুখ খুলো।সেলিনা স্পষ্ট জানিয়ে দিল খাবে না।নীড় বলল,আমার উপর রেগে খাবে না কেন তোমার মেডিসিন ও আছে ভুলে গেছো নাও মুখ খুলো।সেলিনা রেগে বলল,

– ভালোবাসা দেখাতে হবে না এখন

– এটা কেমন কথা মা, আমি কি ভালোবাসি না তোমাকে

– হুম বাসিস না বাসলে আমার কথার অবাধ্য কখনো করতি না

– মা বুঝার চেষ্টা কর, যদি বৃষ্টির সাথে আমার বিয়ে হতো না আমি নিজে ভালো থাকতাম না ওকে ভালো রাখতে পারতাম।এভাবে জেনেশুনে কোনো সম্পর্কে না জোড়ানো ভালো।

– মা মরা মেয়ে ছোট থেকে এখানে থেকে বড় হয়েছে তোকে কত পছন্দ করতো ওর কেমন লাগছে তুই জানিস

– হুম হয় তো জানি না কিন্তু ধিরে ধিরে ঠিক হয়ে যাবে, তুমি চাইলে বৃষ্টির জন্য ভালো ছেলে আনবো, তুমি আমার বন্ধু মেঘকে তো চেনোই আমাদের এখানে এসে ছিল ও বৃষ্টিকে দেখে খুব পছন্দ করে ছিলো,মেঘ খুব ভালো ছেলে।

– হুম বৃষ্টি এখন রাজি হতে চাইবে না, আর তুই যা এখন খাবো না আমি

– ওকে ফাইন খেতে হবে না, আমিও খাবো না, না খেয়ে কাজে চলে যাবো

– তুই আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছিস

– হুম এবার মুখ খুলো।

সেলিনা না চাইতেও খেয়ে নিলো।

____________________________________

ইতু আর বৃষ্টি বসে কথা বলছিলো, বৃষ্টির চোখ হঠাৎ ইতুর গলায় পড়তেই বলে উঠলো, ওয়াও ইতু তোমার লোকেট টা তো খুব সুন্দর কোথ থেকে কিনেছো।ইতু লোকেটে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলল, নীড় ভাইয়া দিয়েছে।বৃষ্টি মৃদু হেসে বলল, খুব সুন্দর। এর মাঝে নীড় রুমে এসে আলমারির থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল, কিছু খন পর বেড়িয়ে আসতেই ইতু বলল,কোথায় যাচ্ছো।নীড় মুচকি হেসে বলল, কাজে আসতে রাত হবে বৃষ্টি ওর খেয়াল রেখো।বৃষ্টি মৃদু হেসে বলল, ঠিক আছে চিন্তা করবেন না।

এর মাঝে নীড়ের ফোন বেজে উঠলো, নীড় কল রিসিভ করে বলল, হ্যালো ধরতে পেরেছিস ভেরি গুড আমি আসছি ধরে রাখ পালাতে যেনো না পারে।বলেই কল কেটে আলমারি থেকে গানটা বের করে নিলো। ইতু গান দেখে ভয় পেয়ে গেলো তারপর বলল, ওটা নিয়ে কোথায় যাচ্ছো।নীড় বলল,এটা ছাড়া কি যাওয়া যায় নাকি যখন তখন লাগে, বৃষ্টি আমি তো বলতে ভুলে গেছি মা তোমাকে ডেকে ছিল।

বৃষ্টি বলল,ওহ আচ্ছা আমি গেলাম।বৃষ্টি রুম থেকে বেড়িয়ে যেতেই নীড় হঠাৎ ইতুর কপালে নিজের অধর ছোয়ালো তারপর মিষ্টি হেসে ইতুর গাল টেনে বলল,আসি আর তুই পড়তে বস কাল থেকে ভার্সিটি যাবি আবার।বলে নীড় বেড়িয়ে পড়লো।ইতু কিছুখন অবাক হয়ে থেকে হঠাৎ লাজুক হাসলো।

_______________________________

সামনে একটা ছেলেকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে, তার সামনে নীড় পকেটে হাত দিয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে। আর তার পাশে মেঘ দাড়ানো।সব নিরবতার সমাপ্তি ঘটিয়ে, নীড় বলে উঠলো, বল এখন পযন্ত কত গুলো মেয়েকে বাহিরে পাচার করেছিস।চেয়ারের সাথে বাধা আহত ছেলেটা বাকা হেসে বলল, তা জেনে কি করবেন অফিসার ভালোই ভালোই আমাকে যেতে দেন।

নীড় বলল, তা তো সম্ভব না তোদের লজ্জা করে না যেই মেয়েদের গর্ভে জন্ম নিয়েছিস সেই মেয়েদের বাহিরে পাচার করে দিস।ছেলেটা বলল,ওতো সব দিয়ে আমার কি আমাকে ছেড়ে দেন নইলে আপনার সামনে ঘোর বিপদ অপেক্ষা করছে, বিয়ে করেছেন নতুন শুনেছি আপনার বউটা বলে হেব্বি সুন্দরী ওকে।আর কিছু বলার আগে রেগে এক লাথি মারলো নীড় ছেলেটা আর্তনাত করে চেয়ার নিয়ে পড়ে গেলো।নীড় আর কিছু করার আগে মেঘ নীড়কে ধরে ফেলল তারপর বলল, ওর কথায় কান দিস না ও কিছু করতে পারবে না। ছেলেটা আবার হেসে বলল, আমি জেলে থাকলে এটা ভাববেন না যে আমি কিছু করতে পারব না। নীড়ের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো, নীড় কিছু করার আগে মেঘ ধরে ফেলল।

মেঘ জোর করে নীড়কে বাহিরে নিয়ে আসলো আর ভিতরে ছেলেটা পাগলের মতো হেসেই চলেছে। নীড় মেঘকে বলল,আমাকে ছাড় ওকে তো।মেঘ বলল,রিল্যাক্স নীড় তোর আঘাত লেগেছে তুই বাড়ি যা।নীড় বলল,এসব কিছু না, আমি আসতে আসতে কিভাবে পালালো মাঝ রাস্তায় না দেখলে তো এই অমানুষটা হাতের বাহিরে চলে যেতো ওকে কড়া গার্ডে রাখিস আবার যেনো না পালায়, না জানি মেয়ে গুলোকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে ওদের পাচার করার আগে উদ্ধার করতে হবে আর ও একা নয় কেউ আছে এখনো যে হাতের নাগালে নেই, গা ঢাকা দিয়ে আছে ওকে খুঁজে বের করতে হবে নইলে যে আরো কত মেয়ের জীবন নষ্ট হবে।মেঘ বলল,হুম আমরা গোপনে খোজ চালিয়ে যাচ্ছি আশা করি দ্রুত ধরতে পারব।

___________________________

রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই ইতু বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে হঠাৎ রুমের ভিতর থেকে আওয়াজ পেয়ে নিরবে এগিয়ে গেল, দেখলো নীড় এসেছে নীড়কে দেখে ইতুর ঠোটে হাসি ফুটলো,কিন্তু পরক্ষনেই ভয় চেপে ধরলো ইতুকে।নীড় শার্ট খুলছিল পিছন থেকে শরিরে আঘাত দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গা ছিলে রক্ত শুকিয়ে আছে। ইতু ঘাবড়ে বলল, নীড় ভাইয়া কি হয়েছে তোমার। ইতুকে দেখে নীড় আবার শার্ট গায়ে জরিয়ে বলল,কই কি হয়েছে।

ইতু রেগে সামনে গিয়ে বলল, শার্ট খুলো।নীড় অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বলল,কি তুই খালি রুমে আমার মান সম্মানের দিকে হাত বাড়াচ্ছিস।ইতু রেগে বলল, ফাজলামো বন্ধ কর আমি মোটেও মজার মুডে নেই।নীড় হঠাৎ ইতুর কোমড় টেনে নিজের কাছে এনে বলল,তাহলে কিসের মুডে আছিস।ইতু রেগে নীড়ের হাতের বাহুতে ধাপ্পড় দিয়ে বলল, অসভ্য।নীড় চোখ বন্ধ করে ফেলল, ইতু ঘাবড়ে বলল, সরি সরি আমার খেয়াল ছিল না এখন বসো এখানে।নীড়কে বসিয়ে ইতু মেডিসিন নিয়ে এসে ক্ষত স্থানে ঔষধ লাগিয়ে দিতে লাগলো খুব সাবধানে। আর নীড় আয়নাতে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো ইতুকে।হঠাৎ ইতুর হাত টান দিয়ে কোলে এনে বসিয়ে দিল।ইতু হকচকিয়ে বলল, কক,কি করছো ছাড়ো। নীড় ইতুকে জরিয়ে ধরে বলল, তুই কাছে থাক আর কিছু লাগবে না।ইতু তাড়াতাড়ি উঠে বলল, ফ্রেশ হয়ে নেও আমি খাবার আনছি।বলেই বিদুতের গতিতে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লো, নীড় ইতুর বিহেভিয়ার দেখে হুহা করে হেসে উঠলো।

#চলবে……….🖤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে