#হঠাৎ_বৃষ্টিতে⛈️
#Part_11
#Writer_NOVA
১ সপ্তাহ পর……
বারান্দার পাশে থাকা লিচু গাছটা একটা ছোট দোয়েল পাখি উড়ে উড়ে শিস বাজাচ্ছে। পাশের পেয়ারা গাছটায় ছোট দুটো টুনটুনি নেচে নেচে এ ডাল ও ডাল করে বেড়াচ্ছে। সেদিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মারিয়া। বাম পাশের গালের নিচ থেকে গলাটা এসিডে ঝলসানো। হিমেল গত সাতদিন ধরে পলাতক৷ আল্লাহর রহমতে ততটা ক্ষতি হয়নি। হালকা করে ঝলসে গেছে। সে এখন অনেকটা সুস্থ।যার সবটাই সম্ভব হয়েছে বাবা-মা ও শ্রাবণের কারণে। শ্রাবণ গত কয়েক দিন তার যথেষ্ট যত্ন নিয়েছে।তার বাবা-মা এতে কোন সন্দেহ কিংবা প্রশ্ন তুলেনি। হঠাৎ করে তার মা আলেয়া বেগম মেরুণ রঙের এক শাড়ি নিয়ে রুমে ঢুকলেন। মারিয়াকে তাড়া দিয়ে বললো,
— মারিয়া, শাড়িটা পরে নে তো।
— কেনো আম্মু?
— বেশি কথা বলিস না তো। যা বলেছি তা কর। আমার এতো কথা বলার সময় নেই। কত কাজ পরে আছে।
— কে আসবে আম্মু?
মারিয়ার চোখ-মুখে প্রশ্নের ঝুলি। গত দুদিন বাসায় আসার পর থেকে শ্রাবণের কোন খোঁজ-খবর নেই। কল করলেও ভালো করে কথা বলে না। তার জন্য ভীষণ ডিপ্রেশনে ভুগছে মারিয়া। তার মনে হচ্ছে শ্রাবণ তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। হয়তো কোন এসিডদগ্ধ মেয়েকে সে নিজের বউ করতে চায় না। এসব কথা মনে হতেই তার চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। চোখের পানিটা আড়াল করে আলেয়া বেগমকে কাঠ কাঠ গলায় বললো,
— আমার কিছু ভালো লাগছে না আম্মু। আমি কোন শাড়ি-টাড়ি পরতে পারবো না।
আলেয়া বেগম মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলেন মেয়ে কোন কারণে আপসেট। তাই মেয়ের কপালে আলতো করে চুমু খেলেন। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
— লক্ষ্মী মা আমার। কোন দ্বিমত করিস না। শাড়িটা পরে নিচে চলে আয়।
মায়ের আদরে মারিয়ার মন কিছুটা নরম হলো।শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
— কিন্তু কেন আম্মু?
— আসলেই দেখতে পারবি।
কথাটা বলে আলেয়া বেগম দেরী করলেন না। কিচেনের দিকে ছুটলেন। মারিয়া কিছু সময় শাড়িটার দিকে তাকিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়লো। তারপর বসে না থেকে শাড়ি নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল।
কোনরকম শাড়ি পরে চুলগুলো ছেড়ে আধ ঘোমটা টেনে দিলো মারিয়া। আয়নায় একবার তাকাতেই গলার এসিড ঝলসানো স্থানের দিকে চোখ পরলো।সেদিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে চুল দিয়ে ভালো করে গলা ঢেকে ফেললো। বসার রুমে ঢোকার আগে পরিচিত কন্ঠস্বর পেয়ে চমকে উঠলো। দ্রুত পায়ে সেদিকে যেতেই তার চোখ ছানাবড়া। শ্রাবণ ও তার পুরো পরিবার সোফায় বসে আছে। বিস্মিত চোখে সবার দিকে তাকিয়ে রইলো। শ্রাবণ এগিয়ে এসে মারিয়ার এক হাত ধরে তার মায়ের পাশে বসিয়ে দিয়ে বললো,
— কেমন লাগলো আমাদের সবার সারপ্রাইজ?
মারিয়া এখনো অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। তা দেখে শ্রাবণের ইন্টারে পড়ুয়া বোন শিলা মুখ টিপে হেসে বললো,
— ভাবী, চোখ দুটো ছোট করো।
মারিয়া লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে ফেললো। মারিয়াকে লজ্জা পেতে দেখে শিলার দুই বছরের ছোট শাওন কিছুটা জোরে হেসে উঠলো। বাবার চোখ রাঙানিতে শাওন চুপ হয়ে গেলো। শ্রাবণের মা মারিয়ার হাত ধরে অনামিকা আঙুলে আংটি পরাতে পরাতে বললো,
— আমার তোমায় ভীষণ পছন্দ হয়েছে। শ্রাবণ যে তোমায় পছন্দ করে তাতো তোমার বাবা না বললে জানতামই না। তোমার কি আমার বড়বউমা হতে কোন আপত্তি আছে?
মারিয়া মাথা নিচু করে ডানেবামে নাড়িয়ে না করলো। শ্রাবণ মিটমিট করে হাসছে। এই কয়েকদিনে শ্রাবণের কেয়ারিং দেখে মহিউদ্দিন সাহেব ভীষণ খুশি হয়েছে। খবর নিয়ে জানতে পারলেন তার মেয়ে ও শ্রাবণ দুজন দুজনকে ভীষণ পছন্দ করে। তাই শ্রাবণের সাথে কথা বলে সোজা ওর বাবা-মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। শ্রাবণের বাবা-মা ভীষণ সরল-সোজা মানুষ। মারিয়ার বিষয় সব শুনে তারা মানা করতে পারেনি। যেখানে তার ছেলের পছন্দ সেখানে তো মানা করার প্রশ্নই উঠতে পারে না।তাছাড়া মহিউদ্দিন সাহেব ওদের বিয়ের পর নিজে শ্রাবণকে চাকুরী খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মারিয়াকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য সবকিছু তার অজান্তেই হয়। শ্রাবণ দুই দিন মারিয়ার সাথে ঠিক করে কথা বলেনি শুধুমাত্র আজকে সারপ্রাইজ দিবে বলে। শ্রাবণের বাবা, মারিয়ার বাবাকে বললো,
— তা বেয়াই সাহেব বিয়েটা তাহলে দুই সপ্তাহ পরেই হচ্ছে। আপনাদের তাতে কোন দ্বিমত নেই তো?
মহিউদ্দিন সাহেব একগাল হেসে বললো,
— আমাদের কেন দ্বিমত থাকবে বেয়াই সাহেব? আপনারা যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। আপনাদের মতো বড় মনের মানুষের হাতে আমি আমার কলিজার টুকরোকে তুলে দিতে পারবো এটাই অনেক।এখন আমি মরেও শান্তি পাবো। সব জেনে আপনারা শুধুমাত্র ছেলের পছন্দটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আমার মেয়ের বাহ্যিক সৌন্দর্যের ওপর আপনাদের কোন মোহ নেই। তাহলে আমি কি করে দ্বিমত করতে পারি বলুন তো?
খুশিতে ঘনঘন মাথা নাড়ালেন মহিউদ্দিন সাহেব। তারপর স্ত্রীকে ডেকে বললেন,
—কই গো মারিয়ার মা? সবাইকে মিষ্টি মুখ করাও।
স্বামীর আদেশ পেয়ে আলেয়া বেগম মিষ্টি আনতে ছুটলেন। মারিয়া দৌড়ে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুশিতে কান্না করে দিলো। মহিউদ্দিন সাহেবের চোখেও পানি। মারিয়া কাঁদতে কাঁদতে বললো,
— সত্যি তুমি আমার পৃথিবীর বেস্ট বাবা।
মহিউদ্দিন সাহেব অভিমানী সুরে বললো,
— বেস্ট বাবা আর হতে পারলাম কোথায়? তুই তিন বছর ধরে কাউকে ভালোবাসিস আর আমি সেদিন জানলাম। অথচ আমি জোর করে তোকে একটা অমানুষের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম।
— আহ্ বাবা থামো তো। এসব কথার দরকার নেই।
মহিউদ্দিন সাহেব মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। সবাই মুগ্ধ চোখে বাবা মেয়ের অভিমান ভালোবাসা দেখছে। অবশেষে শ্রাবণ ও মারিয়া এক হলো। কিছু সময় কথা বলার পর শ্রাবণ, মারিয়া বাড়ির সামনের ছোট বাগানে চলে এলো।মারিয়া একটা কাঠ গাছের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে অভিমান জড়ানো কন্ঠে বললো,
— কথা নেই তোমার সাথে। তুমি জানো আমি কতটা মন খারাপ করেছিলাম। আমি ভেবেছি তুমি আমায় এড়িয়ে চলছো।ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম।
শ্রাবণ মুচকি হেসে মারিয়ার দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
— তুমি ভাবলে কি করে তোমাকে এড়িয়ে চলবো? আমি তোমাকে ভালোবেসেছি মারিয়া। তোমার বাহ্যিক রূপকে নয়। আমার শুধু তোমাকে চাই। তোমার মুখেও যদি এসিড মারা হতো তাও আমি তোমাকে বিয়ে করতাম।
মারিয়ার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে। সে তাহলে একজন সত্যিকারের পুরুষকে ভালোবেসেছে।মারিয়া মনে মনে একবার আওরালো, “ইস,জীবনটা আসলেই সুন্দর। যদি উপলব্ধি করার মতো একজন ভালোবাসার মানুষ থাকে। ”
☔☔☔
বিকেলবেলা…….
ছোট রান্নাঘরে বসে রাতের খাবারের আয়োজন করছেন জোবেদা খাতুন। বেশি কিছু নয়। ভাত, আলুভর্তা, ডিম ভাজা, বেগুন ভাজা। বেগুনে মশলা মাখাতে মাখাতে সামনের দিকে তাকালেন। রান্নাঘরের পাশে কাঠের চেয়ারে বসে আছে ঘটক আজমত আলী।বেশ কিছুদিন ধরে ত্রিবুর অগোচরে এখানে আসেন তিনি। উত্তরপারার চল্লিশোর্ধ্ব দুই বিয়ে করা এক লোকের জন্য তিনি ত্রিবুকে পছন্দ করেছেন। তাই ত্রিবুর বিয়ের জন্য জোবেদা খাতুনকে রাজী করাতে ঘনঘন এই বাড়িতে আসা। আজমত আলী চেয়ারে বসে পান চিবুচ্ছেন। পানের পিক ফেলে জোবেদা খাতুনকে বললো,
— হুনেন ভাবী, পোলা ভালা আছে। শুধু একটু জুয়া খেলে। পোলা মানুষের এমন একটু-আধটু বদঅভ্যেস থাকবোই। তাই বইলা কি এমন হিরার খনির মতো পোলা হালায় দেওন যাইবো। ত্রিবুরে আমি তার লিগা পছন্দ করছি। বহুত সুখে থাকবো।
জোবেদা খাতুন হাতের কাজ রেখে তার দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বললো,
— পোলা কত ভালো তা আমার জানা আছে। জুয়া খেইলা আইয়া বউ পিডায়। তাই গত দুই বউ ভাগছে। এহন আবার আমার নাতনীর জীবন শেষ করতে ঐ পোলার লিগা স্বমন্ধ লইয়া আইছেন?
আজমত আলী মুখ বাঁকিয়ে বললো,
— আহ ভাবী কি যে কও না তুমি! ত্রিবুর মতো কালা মাইয়ারে যে পোলা বিয়া করতে রাজী হইছে তাই তোমগো সাত কপালের ভাগ্য। যে মাইয়ারে তার মা ফালায় থুইয়া আরেক বেডার হাত ধইরা পালাইতে পারে সে যে কেমন মাইয়া তা সবাই জানে। তাই এতো রংচং না কইরা রাজী হইয়া যাও। রাণীর সুখে থাকবো।
— এতো রাণীর সুখ লাগবো না। নাতনীরে কাইট্টা নদীতে ভাসায় দিমু। তাও ঐ জুয়াখোরের লগে বিয়া দিমু না। আমার পোলার বউ চরিত্রহীন আছিলো। কিন্তু আমার নাতনী না। আমার নাতনীরে আমি কোলেপিঠে মানুষ করছি। ও আমার মতো হইছে।
আজমত আলী চুপ হয়ে গেলেন। জোবেদা খাতুন বেগুনে মশলা মাখানো শেষ করে গরম তেলে ছেড়ে দিলেন। তার এখন ইচ্ছে করছে এই ঘটককে যদি বেগুনের মতো গরম তেলে ছাড়তে পারতেন। সাহস কতবড়, তার বাড়ির উঠোনে বসে তার নাতনীকে চরিত্রহীন বলে।
এতখন ধরে টিনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সবই শুনছিলো ত্রিবু। টিউশনি থেকে ফিরে বাড়ি ঢোকার আগেই ঘটক আজমত আলীর কথা কানে এসেছে। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে কানটা খাঁড়া করে রেখেছিলো। মাঝে মাঝে তার নিজেরেও মায়ের প্রতি তীব্র ঘৃণা হয়। কিছু মেয়ে আছে যাদের সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। ত্রিবুর মা সেরকম মহিলা ছিলেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালোই সুখে ছিলেন। কিন্তু হুট করে একদিন ভূতে কিলালো। পাশের গ্রামের এক লোকের সাথে তার পরিচয় হলো। ধীরে ধীরে সে পরিচয় পরকীয়ায় পরিণত হলো। আরো সুখের আশায় স্বামী-সন্তান ফেলে ঐ লোকের হাত ধরে পালালেন। একবার ত্রিবুর কথা চিন্তাও করেনি। করলে নিশ্চয়ই সুখের সংসার ছেড়ে চলে যেতে পারতো না। এই টাইপের মেয়েদের কারণে পুরো মেয়ে জাতির দিকে আঙুল তুলে মানুষ।
ত্রিবু একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। তার মায়ের কারণে তাকেও চরিত্রহীন খেতাব পেতে হয়। কিন্তু সে মনে মনে ছেলেটার কথা মনে করে শক্ত হয়ে গেলো। আজ ঘটক মহাশয়ের খবর আছে। তার কানে আবারো আজমত আলীর কথা কানে এলো।
— হুনেন ভাবী, একটু ভাইবা দেখেন। এমন কালা মাইয়ারে কে বিয়া করতে চাইবো বলেন তো?তাও পোলা নিজ থিকা রাজী হইছে।
জোবেদা খাতুন চোয়াল শক্ত করে বললো,
— আমার নাতনীরে আমি লেহাপড়া করামু। নিজের পায়ে খাড়াইলে তহন পোলা কেন পোলার বাপেও আমার পেছন পেছন ঘুরবো, আমার নাতনীরে ঘরের বউ করনের লিগা। তাই এহন বিদেয় হোন তো।
দাদীর কথা শুনে ত্রিবুর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। কিন্তু পরমুহূর্তেই আজমত আলীর কথা শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেলো। ঘটক মহাশয় মুখ বাঁকিয়ে ঠাট্টার সুরে বললো,
— চরিত্রহীন মাইয়ারে নাকি পড়ালেখা করাইবো। আরো কত কি যে হুনমু! মায়ের মতো নাগরের হাত ধইরা পালাইবোনে। তহন কপাল চাপড়াইয়া কান্দেন। ভালোই ভালোই কইতাছি আমার কথা শুইনা আপদ বিদেয় করেন। তাতে আপনারি ভালো।
ত্রিবু এবার আর সহ্য করতে পারলো না। দ্রুত পায়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পরলো। রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে ঘটকের দিকে এগিয়ে আসলো। বটি উঁচিয়ে রাগী গলায় বললো,
— কথায় কথায় চরিত্রহীন কি? আমাকে কি চরিত্রহীন মেয়েদের কোন কাজ করতে দেখছেন? আমার মা পালিয়ে গেছে বলে আমি যাবো তা আপনাকে কে বললো? ভালো চাইলে এখুনি বাড়ি থেকে দৌড়ান। আমাদের বাড়ির উঠোনে যেনো আপনাকে পা মাড়াতে না দেখি। যদি ফের কখনো এই বাড়িতে এসেছেন তাহলে এই বটি দিয়ে এক কোপে পা কেটে ফেলবো।
ত্রিবুকে দেখে আজমত আলী এভাবেই ভড়কে গেছেন। তার মধ্যে ওর এই রণমুর্তি দেখে তার হাত-পা ঠকঠক করে কাঁপছে। ত্রিবু তো এমন মেয়ে না। হঠাৎ করে এরকম বদলে গেলো কি করে? তাই তার মাথায় ঘুরছে। ত্রিবু আবারো বটি উঁচিয়ে কিছুটা এগিয়ে এসে বললো,
—কি হলো এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেন? এক কোপে কি ঘাড় থেকে মুণ্ডুটা ফেলে দিবো?
আজমত আলী ঢোক গিলে ভয়ার্ত গলায় বললো,
— না না না!আমি যাইতাছি।
— তাহলে যাচ্ছেন না কেন?
আজমত আলী লঙ্গি ধরে পড়িমরি করে ছুট লাগালো। আজ ত্রিবুর যে রূপ দেখেছে তাতে সে জীবনেও এই বাড়ির উঠনো পা রাখবে না। জোবেদা খাতুন অবাক চোখে ত্রিবুর দিকে তাকিয়ে আছে। এ কোন ত্রিবুর দেখা পেলেন তিনি?তার নাতনি তো এমন ছিলো না। হুট করে এতো প্রতিবাদী হয়ে গেলো।চোখ দুটো গোল করে নাতনীর দিকে তাকিয়ে রইলো। ত্রিবুর এই রূপটা তার ঠিক হজম হচ্ছে না।
~~~ছেলেটা খারাপ, ছেলেরা নয়। তেমনি মেয়েটা খারাপ মেয়েরা নয়৷ কথা বলার ধরণ বদলাতে হবে। একজনের জন্য সবাইকে দোষারোপ করা যাবে না।
#চলবে