স্যার যখন স্বামী সিজন২ পার্ট_০৯

0
2849

স্যার যখন স্বামী সিজন২
পার্ট_০৯
#লিখা জান্নাতুল ফেরদৌস

পরেরদিন,,,,
ভোরের আজান দেওয়ার সাথে সাথে আমি তাড়াতাড়ি করে আহদ স্যারের বাসায় গিয়ে বেল টিপলাম

কিছুক্ষণ পর,,

“তমা তুই এখন?সব ঠিকাছে তো?”
“হ্যা,ঠিকাছে।”
“আন্টি,,উনি কেমন আছেন?”
“এখন একটু ঘুমাচ্ছে।রাতে খুব জ্বর আসছিল।সারাটা রাত ঘুমাতে পারেনি জ্বর আর ব্যথার জন্য।”
“আন্টি আমি উনার রুমে যাচ্ছি।”
“আচ্ছা যা,,”

গিয়ে দেখি উনি শুয়ে আছেন।এই লোকটার জন্য আমার কোন কালেই মায়া কাজ করত না কিন্তু আজকে উনাকে এই অবস্থায় দেখে আমার মনে মায়া জিনিসটা কাজ করছে।কপালে হাত দিয়ে দেখি উনার জ্বরটা আবারো উঠছে।তাড়াতাড়ি করে কপালে কাপড়ের পট্টি দিয়ে দিলাম।অনেকক্ষণ পর কপালে হাত দিয়ে দেখি জ্বরটা কিছু কমেছে।অজান্তেই উনার মাথার চুলগুলোতে বিলি কেটে দিলাম।
.
.
উনার রুমের বারান্দায় একটা কেদেরা ছিল।সেখানে বসে ভাবতে থাকলাম মানুষের মধ্যে কত পার্থক্য।বিপদের দিনেই একটা মানুষকে পরিপূর্ণভাবে বুঝা যায়।যেমনটা উনাকে আর তানভীরকে দেখে বুঝেছি।উনি সবসময় কড়া শাসনের মধ্যে আমাকে রাখলেও আমার ভালোটা চেয়েছে।আমার উপর যখনি কোন বিপদ আসে তখনি তিনি কোন কিছুর পরোয়া না করে আমাকে বাঁচানোর জন্য ঝাপিয়ে পড়েন।যতদিন উনার সংস্পর্শে ছিলাম আমার উপর বিপদের কোন আঁচ লাগতে দেয়নি।
অন্যদিকে তানভীর যার ভালো ব্যবহার আর মিষ্টি মিষ্টি ভালোবাসার কথা শুনে ওর ভালোবাসায় পড়তে আমি বাধ্য হয়েছি।অনেকটা বিশ্বাস করতাম ওকে।কিন্তু সেদিন ও নিজেকে বাঁচাতে আমাকে বিপদের মুখে ফেলে চলে যায়।
চোখ বন্ধ করে কেদেরাতে মাথা রাখতেই ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয়ের ঘটনা চোখে ভাসতে লাগল।

রাজশাহী ভার্সিটিতে টিকার পর সবাইকে মেনেজ করে সেখানে চলে যাই।আমার পক্ষে হোস্টলে থাকা সম্ভব না তাই আমার পরিচিত বান্ধবী তিথিদের বাসায় উঠি।

ভার্সিটির প্রথম দিনে আমি গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে ভার্সিটির চারপাশটা দেখছিলাম।হঠাৎ একটা কন্ঠে আমার হুশ এল।

“এই মেয়ে এইখানে আয়।”
“বলুন”
“ওই তুই মেয়ে হয়ে ছেলেদের মতন পোশাক কেন পড়িস?”
“তাতে আপনার সমস্যা কি?”
“ওই মেয়ে বড় ভাইদের মুখের উপর তর্ক করস।খুব শখ না মেয়ে হয়ে ছেলের মতন চলা।দাঁড়া।ওই দোকান দেখছস ওইখান থেকে আমার সব ফ্রেন্ডদের পছন্দমতন এক এক খাবার নিয়ে আয়।যা ফুট।”
“এই যে শুনেন আপনি বড় ভাই বা ছোট ভাই হন না কেন তাতে আমার যায় আসেনা।আমি এইসব করতে বাধ্য না।”
“ওই সিফাত দেখ তো মাইয়াতো বেশি টেরং টেরং করে কথা কয়।কি করা যায় কতো?”
.
.
সিফাত-“তানভীর ভাই ওর ব্যাগ দেখতাছেন তো?”

তানভীর-“ভালা বুদ্ধি দিছস।”

জোর করে ব্যাগটা টেনে নিয়ে গেল।এরমধ্যে মোবাইলে কল বেজে উঠল।”

তমা-“দেখেন ব্যাগ রাখেন সমস্যা নাই।কিন্তু মোবাইলটা দেন।আমার মামণি কল দিয়েছে মন হয়।কল না উঠালে টেনশন করবে আমাকে নিয়ে।”

তানভীর -“মামণি কল দিয়েছে।কথা বলতে চাস?

তমা-“ভাইয়া প্লিজ মোবাইলটা দেন?এটা আমার মোবাইল।”

তানভীর-“এইটা তোর মোবাইল এর প্রমাণ এখন চাইলেও দিতে পারবি না।কারণ মোবাইল এখন আমার হাতে।যদি আমার থেকে মোবাইল নিয়ে কথা বলতে চাস তাহলে আমি যা করতে বলছি তা কর?নাহলে এখনি তোর সামনে এইটা ভেঙ্গে ফেলবো।”

তমা-“না, না আপনি যা বলবেন আমি তাই করব।প্লিজ মোবাইল ভাঙ্গবেন না।”

তানভীর-“তাহলে যা তাড়াতাড়ি করে খাবার কিনে নিয়ে আয়।আমার আবার খিদা সহ্য হয় না।”

তমা-“একসাথে সব খাবার পেকেট করে আনি।আপনারা নাম বলেন লিস্ট বানিয়ে নিয়ে আসছি।”

তানভীর-“ওই মাইয়া বেশি চোপড় চাপড় মারবি না।এক এক জনের খাবারের জন্য যাবি আর আসবি।”

তমা-“আমার সময় নষ্ট হবে ভাইয়া।মামণির সাথে কথা বলতে হবে এখনি।”

তানভীর-“যাবি এখন নাহলে কিন্তু আরো বেশি দেরি হয়ে যাবে।”

তমা-“না না যাচ্ছি যাচ্ছি।”

এক এক ফ্রেন্ডের জন্য খাবার আনা আর যাওয়ার জন্য প্রায় দুর্বল হয়ে গেছি।দোকানটাও অনেক দূরে।এই নিয়ে ১০ বার গেছি আর আসছি।

তানভীর-“হুম হয়ছে আর যাওয়া লাগবে না। এত কষ্ট করার জন্য এই নে বকশিস।

তমা-“….”

তানভীর-“আরে নে নে। কাজ করছস টাকা নিবি না।নে নে। এত বাহানা করিস না।আর শুনো মেয়ে হয়ে জন্মেছ মেয়ের মতন নম্রভদ্র হয়ে চলার চেষ্টা করবে।তখন তোমার পোষাকের ছিরি দেখে রাগ উঠে গিয়েছিল তাই ওইরকম আচরণ করতে বাধ্য হয়েছি।Next টাইম যাতে এইরকমভাবে চলতে না দেখি।এই নাও মোবাইল।তোমার মামণির সাথে কথা বলে নিও।”

তমা-“তোকে তো আমি উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো। আমাকে জ্ঞান দেওয়ার মানে বুঝিয়ে দিবো।
.
.
ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হয়েছি।আর এর মধ্যেই বড়ভাইদের যার্গিং এর মুখে পড়লাম।আজ আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওরা যে কাজটা করল সেটা মোটেও ঠিক করেনি।এর প্রাপ্য শাস্তি তোমাকেই পেতে হবে মিস্টার সিনিয়র।তমার ভালো সাইড দেখেছ এতক্ষণ এবার খারাপ সাইডটাও দেখবে।

এরপরের দিনই সাদা রংয়ের একটা থ্রিপীস পড়ে ভার্সিটি গেলাম।এইরকম মেয়েলি পোশাক পড়ায় সেইদিনের সেই বজ্জাত সিনিয়র ছেলেটা মনে হয় খুব খুশি হল।ওর এই খুশি দেখে আমারো মনের ভিতরে লাড্ডু ফুটল।যাক কাজ হয়েছে।

সে নিজ থেকেই আমার সাথেই কথা বলতে আসল।এই শোন,
“জ্বী ভাইয়া বলেন,”
“হাই আমি তানভীর,”
“আমি তমা।”
এরপর টুকটাক সেদিন কিছু কথা হল।

এরপর থেকেই তানভীর প্রায়ি নিজ থেকে আমার সাথে কথা বলত।এই কয়েকদিনের মধ্যেই ওর সাথে আমার ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে গেল যেটা আমি চাচ্ছিলাম।তানভীর ওর মায়ের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল।ওর মায়ের সাথে পরিচিত হওয়ার বাহানায় ওর বাড়িটা চিলে নিলাম।

এতদিনে ওর সাথে আমি ভালো মেয়ে হয়ে থাকার অভিনয় করলেও মনে মনে ঠিকি সবসময় ভাবতাম সঠিক সময়ে আমি প্রতিশোধ নিব।কিন্তু কিভাবে নিব তা মাথায় আসছিল না।প্রথম প্রথম ভাবলাম ওর সাথে একটা গেম খেললে কেমন হয়।ওকে প্রথমে ভালবাসব এরপর ছেকা খাইয়ে ছেড়ে দিব।এই প্ল্যান করে আমি সামনের দিকে আগালেও গণ্ডগোলটা মাঝখান দিয়ে বাধে।আমার প্রতি তানভীরের আচরণে বেশ পরিবর্তন দেখতে পারলাম।শেষে আমার এমন অবস্থায় হল যে,, মনে হচ্ছে ওর প্রেমেই আমি নিজেই হাবুডুবু খাচ্ছি।

না এইভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে না। কিছু একটা করতে হবে।অবশেষে ওকে ছেকা দেওয়ার পুরানো স্টাইল চেঞ্জ করলাম।আর নতুন প্ল্যান আটলাম।
.
.
কিছুদিন পর,,,ক্লাস শেষ করে সন্ধ্যায় আমি নিজেই তানভীরের বাসায় গেলাম।দেখলাম আন্টি চুপচাপ বসে টিভি দেখছে। বাসায় আমাকে দেখে মনে হল উনি খুব খুশি হলেন।

“তমা,, কিরে এতদিন পর কি মনে করে এলি ,,?”
“আসলে আন্টি তানভীর ভাইয়ার কাছে আমার একটা নোট খাতা ছিল সেটা নেওয়ার জন্য আসছি।”
“প্রয়োজন ছাড়া কি বাসায় আসা যায় না।মাঝেমাঝে তো আসতে পারিস।”
“আচ্ছা,আন্টি সময় পেলে আসব।”
“আন্টি আমার নোট খাতাটা,,”
“ও নোট খাতা মনে হয় তানভীরের রুমে। চল তোকে ওর রুমে দিয়ে আসি।”
“হুম।”
“আচ্ছা শোন এখন বাসায় যাওয়া যাবে না।রাতের ডিনার করে তবেই তোকে ছাড়ছি।তুই নোট খুঁজে নে আমি কিচেনে আছি।”
“আচ্ছা।”

এরপর আমার ব্যাগ থেকে পলিথিনটা বের করলাম।পলিথিনে কয়কটা ইদুঁর ছিল।সেগুলো তানভীরের ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে দিলাম।শয়তানটা এবার বুঝবে ঠেলা।কালকে ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান আছে।ও গান গাওয়ায় নাম দিয়েছে।বেশ ভালোইই গান গায়।মূলত ওর গানই হল পুরো অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু।আর সে গান গাওয়া মানুষটা যদি কালকে ঠিক সময়ে পোশাক না পেয়ে ভার্সিটি যেতে না পারে তাহলে ওর ফ্রেন্ড সার্কেল আর টিচারদের বকা খাবেই।হাহাহা…….
.
.
কাজটা শেষ করে পিছনে ফিরতেই দেখি তানভীর,,

“আরে এইটা কে?এই টাইমে আমার রুমে কি কর?!”(ভ্রু কুচকিয়ে)
“কিছু না।নোট খাতা নিতে আসছি।”
“তোমার নোট খাতা আমার কাছে কিভাবে এল?!
“ওইযে ভুলে খাতা এক্সচেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল।আপনার নোটখাতা আমার কাছে আর আমারটা…..”
“দেখি….।আরে এই খাতাটা কতদিন ধরে খুঁজছিলাম।কিন্তু পায়নি।তোমার কাছেই এটা ছিল।যাক ভালোই হয়ছে শেষ পর্যন্ত তোমার কাছ থেকে পেয়ে গেলাম।এই খাতাটা না পেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত ফেল করতাম।থ্যাংকস”
“হিহিহি…।ওয়েলকাম।”
“তমা…..”
“জ্বী।”
আজব এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন?(ভ্রু কুচকিয়ে)

কিছু বুঝার আগেই তানভীর আমাকে জড়িয়ে ধরল।
“কি হচ্ছে?”
“একটু এইভাবে থাকি।ভালো লাগছে।”
“আরে….আরে….ছাড়েন।আপনার মাথা পুরা গেছে।এইভাবে কোন মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নাকি?ছাড়ুন বলছি।”
“উফফ,,,বোরিং একটা।একটু জড়িয়ে ধরলে কি হয় শুনি।আচ্ছা শোন,,”
“জ্বী কান দুইটা খোলায় আছে।বলেন,,,”

আমার কপালে চুমো দিয়ে বলল,,”থ্যাংকস।”
“For what……!”

মুচকি হেসে,,,,নোট খাতাটা আমাকে দেখিয়ে,,এর জবাব দিল।

ব্যাটা সামান্য নোট খাতার জন্য একটা মেয়েকে চুমো দেয়।কতবড় লুচু একটা।সমস্যা নাই।কালকেই এর সব হিসেব হবে।জাস্ট কালকের দিনটায় অপেক্ষায় আছি আমি।
.
.
রাতের ডিনারটা সেদিন আন্টির জোরাজোরিতে করতেই হল।
“তানভীর তমাকে গাড়িতে করে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আয়।”
“আন্টি গাড়ি লাগবে না।এখান থেকে আমাদের বাসায় যেতে মাত্র ৫মিনিট লাগে।”
তানভীর – “ও…..তাহলে একসাথে হেঁটে যায়। কি বল?(মুচকি হেসে)

তমা-“লাগবে না।আমি একা যেতে পারব।”

তানভীর-রাতের বেলায় একা যাওয়া কিন্তু নিরাপদের হবে না।মেয়ে মানুষ তুমি। একা গেলে অনেক ঝামেলা হতে পারে।”

তমা-“উফ,,অসহ্য,,আচ্ছা চলেন তাহলে।”

এরপর দুইজন একসাথে হেঁটে বাসায় যাচ্ছি। হঠাৎ কিছু বুঝার আগেই তানভীর আমাকে নিয়ে এক জায়গায় লুকিয়ে গেল।

“কি হয়েছে?এইভাবে আমাকে নিয়ে লুকিয়ে গেলেন কেন?এই বলেনতো আপনার উদ্দেশ্য কি?”
“এই মেয়ে চুপ থাকতো।আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য নেই বুঝলে।এখন যদি সামনে হাঁটি না তাহলে আমাদের দুইজনের অবস্থায় খারাপ হবে।”
“মানে,”
“সামনে চেয়ে দেখ কয়েকটা গাজাখোর লোক।এদের সামনে দিয়ে এখন গেলে,,এরা আমাদের কিছু একটা করে ফেলতে পারে।ওই দেখ ওদের সামনে দিয়ে এখন যে দুইটা মেয়ে যাচ্ছে ওদের সাথে এই গাজাখোররা কি করছে।”

চোখ দিয়ে সামনে যা দেখলাম তা দেখে আমার আত্নাটায় কেঁপে উঠল।চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে।

“তানভীর আমাদের উচিত ওই দুইটা মেয়েকে এখন সাহায্য করা।”
“আরে পাগল নাকি,,ওরা কয়জন দেখছ?এদের হাতে ছুড়ি থেকে শুরু করে অনেক কিছু থাকে।এদের সাথে শক্তিতে আমি একা পেরে উঠব না।এত তাড়াতাড়ি আমার মরার ইচ্ছা নাই।”
“তাই বলে আপনি এইভাবে কাপুরুষের মতন চুপচাপ বসে থাকবেন”
“কিছু করার নেই।এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না।উল্টা রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।চল…..হাত ধরে টেনে আমাকে সেখান থেকে ও নিয়ে গেল। ”

সেইদিন তানভীরের প্রতি মনে মনে খুব ঘৃণা জন্মাল।পরে দিয়ে আবার ভাবলাম,, সত্যিই তো ও এতজনের সাথে কিভাবে পেরে উঠবে।তারপরও মনটা বারবার বলছিল,,একজন পুরুষ হিসেবে ওর সেখানে গিয়ে ওই মেয়ে দুইটার সাহায্য করা উচিত ছিল।
.
.
“আচ্ছা,,তানভীর আজ ওদের জায়গায় যদি আমি হতাম তাহলে আমাকে কি আপনি এইভাবে বিপদের মুখে ফেলে চলে যেতেন?”
“হয়তবা,,জানের মায়া সবার আছে।”

এই কথা শুনে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

“আরে রিলেক্স।মজা করছিলাম।তোমার সাথে এইরকম খারাপ কিছু হবে না।আর হলেও আমি কখনো তোমাকে ফেলে যাব না।”

ওর এই কথায় মনের মধ্যে এক ধরণের শান্তি কাজ করছিল।সেদিন কেন জানি না মনে হল হয়ত ও আমার জন্য সব কিছুর সাথে লড়াই করতে পারবে।ও কোন বিপদে আমাকে পড়তে দিবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে