স্বামীর অধিকার পর্ব/ ৩
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রিমির হাতে লাঠি
শেষ পর্যন্ত বউয়ের হাতে লাঠির মার খেতে হবে না না সমাজ এটা মেনে নিবেনা
আমি/ আচ্ছা জানু তোমার সাদা শাড়ি পড়তে কেমন লাগে
রিমি/ বাজে একদম বাজে
আমি/ তাহলে হাতের লাঠিটা রেখে ূআমাকে একটু সাহায্য করো
রিমি/ ওহহহ হ্যাঁ তাইতো আমি ভুলে গেছি
কি করতে হবে বলুন
আমি/ এতদূর থাকলে কিভাবে কিভাবে কি বলবো
কাছে আসো
রিমি কাছে আসলো
আমি/ দেখতো সোনা লবণটা ঠিকমত হলো কিনা
রিমি/ হুমমমমম এক্কেবারে মনের মত
আমি/ এই এই পাগলী তোমার নাকে কালি আসলো কোথেকে
রিমি/ কই নাতো আমিতো মুখে হাত-ই লাগাইনি
কি বলছেন আপনি এসব
আমি/ দেখ স্বামীকে অবিশ্বাস করতে নেই তাহলে সংসারে অমঙ্গল নেমে আসে
রিমি/ কিন্তু আমিতো দাঁড়াও আমি আয়নায় গিয়ে দেখে আসি
আমি/ আরে আরে তার আর দরকার নেই আমি আছিনা তোমার স্বামী আমার দিকে তাকাও তুমি দেখতে পাবে
রিমি/ তাহলে মুখটা ধুঁয়ে আসি
না থাক তার আর দরকার নেই পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে
এদিকে আসো জানু রিমি আমার কাছে আসতে
টিস্যু দিয়ে মুছার নাম করে তার মুখে একটা চুমু খেয়ে নিলাম কোন ঝামেলা ছাড়া
রিমি/ হা করে তাকিয়ে এটা কি হলো
আমি/ স্বামীর আদর
এবার লক্ষী বউয়ের মত রান্না করো যাই আমি বরং একটা ঘুম দেই
রিমি/ ইহহহহ আপনি কোথায় যাচ্ছেন এখনও তো কিছুই হয়নি
আমি/ যতটুকু করেছি অনেক বেশি করেছি বাকীটা তুমি সামলাও
আর হ্যাঁ রান্না হলে আমাকে বলবে
রিমি/ সত্যি চলে যাবেন
আমি/ হুমমম লোকে দেখলে বউ পাগল বলবে তাই তোমার কাজ তুমি কর আমি বরং একটা ঘুম দেই
রান্না হলে আমাকে
বিছানা এসে শুয়ে রইলাম কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি
দুপুর হয়ে এলো
রিমি আমাকে না ডেকে খুব জোরে আওয়াজ দিয়ে একটা গান লাগালো
আমি/ এই তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে তুমি দেখনা আমি ঘুমাচ্ছি
রিমি/ তো আমি কি করবো
আমার গান শুনতে মন চাইছে তাই আমি লাগালাম
আমি/ গান শুনতে কে না করছে কিন্তু তাই বলে এত জোরে
রিমি/ এত ঘুম কিসের শুনি
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখুন
কয়টা বাজে
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘড়িতে ২টা বাজে
এবার বুঝেছি গান শোনার শখ হয়নি আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য এই ব্যবস্থা
আমি/ ওহহহহহ সরি বুঝতে পারিনি
তুমি খেয়েছো
রিমি/ মানে কি আমি আপনার জন্য না খেয়ে বসে থাকবো নাকি
আমি/ না তা নয় একটু অপেক্ষা করলে পারতে
রিমি/ কোন প্রয়োজন মনে করিনা কারও জন্য অপেক্ষা করার
দূররররর এই মেয়ে সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই আগে খেয়ে নিই তারপর যা করার করবো
আমি/ চলো খাবার দাও টেবিলে রাখা আছে খেয়ে নিন
কি আর করার যাই খেয়ে নিই এটাই বুদ্ধিমানের কাজ
খাওয়া শেষে এসে দেখি রিমি শুয়ে আছে কখনও রান্নাবান্না করেনি তাই হয়তো একটু অশান্তি লাগছে
তাই কপালে হাত দিতে
রিমি/ আচ্ছা আপনার কি লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই যখন তখন গায়ে হাত দেন কেন
আমি/ না তেমন কিছু নয় তোমার জ্বর আছে কি না দেখলাম
রিমি/ দরকার নেই দেখার এসব বাজে পুরুষকে আমার ভালো করে চেনা আছে
যারা একটা না একটা অজুহাত দেখিয়ে নারীর শরীর ছুঁতে চায়
আপনি আর কখনও আমাকে স্পর্শ করবেন না
আমি/ কেন করবনা তোমাকে স্পর্শ করার অধিকার আমার আছে কারন আমি তোমার স্বামী
রিমি/ জোর করে বিয়ে করে হয়তো স্বামী হওয়া যায় কিন্তু মন থেকে নয়
আমি/ জোর করে যেমন বিয়ে করে বউ বানিয়েছি
ঠিক তেমনি জোর করে স্বামীর অধিকারও আদায় করে নিবো
রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে
একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই
আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম
আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়
আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর
রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না
আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে
বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে
ফিরে আসলাম সেই রাতে
তাও আবার নেশা করে
দরজা টোকা দিতে
রিমি/ কে…..
আমি/ আমি
রিমি/ আমি কে
আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি
রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো
দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম
রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন
শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন
আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি
তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি
আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে
রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে
রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো
শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো
তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম
আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে
রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই
আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে
আসো বুকে আসো
রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম
রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়
সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে
চলবে…???