#স্বামীর_অধিকার
.
#পর্ব_০৬
.
#writter_সোহানুর_রহমান_সোহান
.
খাবারটা সোহানের হাত থেকে নিয়ে ভাবতে লাগলো এত কষ্ট সহ্য করতে পারে এই ছেলেটা?কিছু বলার উপাই না পেয়ে খাবারটা টেবিলের উপর রেখে বিছানাই বসে পড়লো।সোহান ঘুমানোর জন্য এগিয়ে যেতেই,,
—এদিকে কোথাই যাচ্ছো?
—ঘুমাতে।
—এক বিছানাই তুমি থাকতে পারবে না।আর তুমি কি করে ভাবলে আমার পাশে তোমাকে আমি ঘুমাতে দিবো?
—তাহলে ঘুমাবো কোথাই?
—রুমে বাইরে গিয়ে ঘুমাবে।(রেগে)
—বিছানাটা আমার তাই এখানে আমার ঘুমানোর পুরো অধিকার রয়েছে।
সোহানের কথা শুনে টেবিল থেকে চাকু নিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘাড় ধরে রুমের বাইরে বের করে দিতে যেতেই কিছু একটার সাথে পিছলে যেয়ে সোজা সোহানের বুকে গিয়ে পড়লো।পড়তেই নিশির হাতটা আলতো করে চেপে ধরলো সে।আর এতেই নিশির রাগটা আরো বেড়ে গেলো আর সাথে সাথে সোহানকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলো আর বললো,,
—বেশী কথা বলবি না।তুই আমার চোখে একটা চাকরের সমতুল্য তাই রাত জেগে তুই আমার পাহাড়া দিবি।
কথাটা সোহানের মনে আঘাত না আনলেও ঘাড় ধরাটা তার মনে প্রচন্ড আঘাত এনেছে।চোখটা মুছে পাশের সোফাই গিয়ে হেলান দিয়ে বসে পড়লো কারন রাতটা তাকে এখানেই কাটাতে হবে।
সে তো নিজে নিজেই আমার বুকে এসে পড়লো তাহলে আমাকে বের করে দেবার কি মানে?এই হাতটা ধরলে কি হয়?অথচো যখন কথা হতো,,
—ওই শুনছো?
—হ্যা বলো?
—বাসর রাতে আমার কাছে এসে কি করবা বলোতো?
—আমি একটা লাফ দিবো।
— তারপর তারপর?
—তারপর সোজা ঘুমিয়ে যাবো।
—অভি তোমাকে কিন্তু মারবো?
—তো আমি তখন আপনার জন্য কি করবো?
—আমি বিছানাই ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবো তখন আমাকে ডাকবে কিন্তু তখন কোনো সাড়া দিবোনা।তখন তুমি গিয়ে আমার কাধে হাত রাখবে আর আমি একটা হাসি দিবো।তখন হাতটা ধরে আমাকে টেনে তুলবে।মুখটা উচু করে তুমি যখন ভালোবাসি কথাটা বলতে যাবে তখনি আমি তোমার বুকে মুখটা লুকিয়ে ফেলবো।(আবেগে)
—আর তখনি আমি তোমাকে বিছানাই নিয়া আদর করা শুরু করবো।(দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে)
—যাহ দুষ্টু কোথাকার।পুরো আবেগটাই নষ্ট করে দিলে।(মুখে ভেংচি কেটে)
কথাটা শেষ না হতেই টু টু টু করে কেটে যেতো ফোন।কথাটা ভাবতেই সোফাই বসে হেসে ফেললো সোহান।
.
তাহলে অভি যদি সোহান হয় তাহলে সোহান কে?আর নিশি যাকে ভালোবাসে সে কে?
সোফাই হেলান মশাদের সাথে খেলা করতে লাগলো সে।কিন্তু কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছে সেটা তার একদম খেয়াল নেই।ওদিকে রুম থেকে বেরিয়ে এলো নিশি।কিছু না বুঝলেও এটা সে জানতো
সোহান একবার যেটা বলতো ও সেটাই করে।চুপিচুপি সোহানের কাছে গিয়ে দেখে মশারা ওর শরীরে বাসা বেধে রয়েছে।যদিও নিশির এতে খুশি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কেন যেন তার মনে বাধা দিতে লাগলো।যতকষ্টই দিই না কেন?সামিটা তো তারই।খেয়াল করলো সোহানের শরীরের অবস্হা ভালোনা।অনিচ্ছা সত্তেও কপালে হাত দিতেই হাতটা সরিয়ে নিতে বাধ্য হলো।একি তার তো গায়ে প্রচন্ড জ্বর।দ্রুত রুমে গিয়ে কম্বোলটা এনে
তার শরীর পেচিয়ে দিলো।রাতটা তার পাশেই একবার ওদিকে আবার এদিকে হেটে হেটে কাটিয়ে দিতে লাগলো।চাদের আলোটা নিশির চোখে পড়ে তার চোখদুটো বেশ মায়াবী লাগছিলো।ধীরে ধীরে রাতটা কেটে গেলো।সকাল হয়ে গিয়েছে সবাই যার যার মতো কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত।কাজের ভুয়া কফি আনতেই সেটা সোহান আগে থেকেই নিজে নিয়ে রুমে দিকে এগিয়ে গেলো।নিশির অফিস আজ থেকে চালু।তাই সকাল বেলা ফ্রেশ হয়ে একটা রেশমি কালারের শাড়ি পড়ে আয়নার সামনে কুচিটা ঠিক করতে লাগলো।সোহান পাশ থেকে বলে উঠলো,,
—এই যে তোমার কফি ?
নিশির দিকে তাকিয়ে থাকতে নিশি সেটা টের পেয়ে সোহানের দিকে তাকিয়ে বকাবকি শুরু করে দিলো।হটাৎ রুমের বাইরে থেকে পাশের বাড়ির ভাবিরা সেটা শুনতে পেতেই রুমের আড়ালে উকি মারলো।নিশি রাগি লুক নিয়ে সোহানের কাছে আসতেই সোজা নিশিকে টান দিয়ে কাছে টেনে ঠোট কামড়ে ধরলো।আচমকা এভাবে কিস করাতে নিশি কেপে উঠলো।শাড়ির কুচির থেকে হাতটা সরে গেলো তার।নিশির কোমরটা চেপে ধরতেই নিশির নিষ্শাষটা বাড়তে লাগলো।আলতো করে কোমর চেপে ধরতেই সোহানের ভিতরটা কেমন যেন উত্তেজিত হয়ে গেলো।হাতটা কোমর থেকে পিঠে নিয়ে চেপে ধরতেই চোখটা বন্ধ হয়ে গেলো নিশির।ঠোট দুটো লাল টকটকে হয়ে গেলো।
দু হাত দিয়ে কুচি ধরতেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো নিশি।পেছন থেকে আবারো সোহান কোমরটা চেপে ধরে গলাই ঠোট লাগাতেই নিশি সোহানের হাতটা চেপে ধরলো।কুচিটা ধরে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধীরে ধীরে কোমরে হাত দিয়ে কুচিটা পড়িয়ে দিতে লাগলো।হাতের স্পর্শ পেয়ে নিশির মুখদুটো লাল হয়ে গেলো।আবারো সোহান নিশিকে বুকে নিয়ে ঠোটদুটো কাছে এনে আলতো করে তার ঠোট দিয়ে চেপে ধরলো।কিছুক্ষন ঠোঠে ঠোট রাখতেই নিশিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।কফিটা ঠান্ডা হতে লাগলো আর সোহান নিশির বুকের কাছে গিয়ে মুখটা নিশির গলাই চেপে ধরলো।শাড়ির আচলটা সরিয়ে দিয়ে বুকের নিচ থেকে হাত দিয়ে নিশিকে উচু করে আলতো করে কোমরে মুখ বসিয়ে দিলো।নিশির কোমল স্পর্শ পেয়ে সোহান নিশির হাতদুটো চেপে ধরে নিশিকে বুকে চেপে ধরে রাখলো।নিশি নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে সোহানের শার্টটা টান দিয়ে ফেলে দিয়ে তার পিঠে হাত বুলাতেই হটাৎ করেই সোহানের বিবেকটা জেগে উঠলো।তাকিয়ে দেখে পাশের ভাবিরা সবাই তাদের রোমান্টিকের দৃশ্য দেখে চলে গিয়েছে।ওদিকে নিশি যখনি সোহানকে তার বঊ এর অধিকার দিতে যাবে ঠিক তখনি সোহানের ভিতরটা কেমন যেন করে উঠলো।নিশির ঠোটদুটোর দিকে একবার তাকিয়ে আবার নিশির দিকে খেয়াল করলো।সে বুঝতে পেরেছে নিশিকে সে এখন
নিজের মতো করে নাচাতে পারবে।কথাটা ভাবতেই নিশি এক টানে তার বুকের মধ্যে সোহানকে চেপে ধরলো।
.
চলবে
.