#স্বর্ণকেশী_মায়াবিনী
#লেখনীতে-বর্ণ(Borno)
#পর্ব-৪
“ভাইজান ও ভাইজান ওঠেন সকাল হইয়া গেছে অনেকক্ষণ আগেই।আপনের না জরুরী কাজ আছে ওঠেন।
এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে রাসেল মেহরাব কে ডেকেই যাচ্ছে।কিন্তু মেহরাবের কানে ওর কোনো কথাই যাচ্ছে না।
“যাবে কি করে সে তো রাতে ভালো করে ঘুমাতে পারেনি।গতোকাল বিকেলের পর থেকেই বাসায় এসে মনে এক অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে মেহরাবের।যেটা সাতাশ বছরের জীবনে এই প্রথম অনুভূত হলো।ও বুঝে যায় এতো বছরে যে প্রেম ভালোবাসা নামক জিনিস টা ওকে ছুতে পারেনি সেটাই ওকে ঘায়েল করেছে।এটার চিকিৎসা একটাই যে জাদুকারিনী তাকে তার মায়ার জালে আটকিয়েছে সেই মায়াবিনীকে যে মেহরাবের প্রয়োজন শুধু তাই না লাগবে তো লাগবেই।
হুম”এটা বলেই মন কে বহু কষ্টে মানিয়েছে।
মায়ার সোনালী চুলের কাঠিটা হাতে নেয় আর ভাবে”এই সেই কাঠি যেটাতে ওর চুলের স্পর্শ,ওর হাতের স্পর্শ লেগে আছে।সেটা অনুভব করে কাঠিটি পরম যত্নে ছুয়ে দেখছে।
ফিরোজের কথাটা ওর মনে পরে যায়।আসার সময় বলেছিলো কিন্তু সেটা ও ইয়ার্কি স্বরুপ নিয়েছিলো।আর গ্রামে সুন্দর মেয়ে থাকতেই পারে তাই বলে এতোটা সুন্দর যেটার বর্ণনা মুখে বললেও কম হবে।কতো সুন্দর মেয়ে ই তো মেহরাব দেখেছে তবে মনে ধরেনি।শেষে কিনা এই অজপাড়া গায়ের একটা মেয়ে এক দেখাতেই ওকে এতোটাই সম্মোহিতো করেছে যে এটা ভেবেই ও অবাক হচ্ছে।অথচ এই মেয়েটা জানে ই না তার জন্য একজনের আরামের ঘুম পর্যন্ত হারাম হচ্ছে।
এভাবে এপাশ ওপাশ করতে করতে ভোররাতের দিকে মেহরাবের চোখে ঘুম আসে।”
মেহরাবের সারাশব্দ না পেয়ে অবশেষে রাসেল দরজায় নক করতে লাগে।দরজার কড়া নাড়ার শব্দে মেহরাবের ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ঘুম চোখে সময় দেখলে বুঝতে পারে অনেক বেলা হয়ে গেছে।রাসেলের আওয়াজ পেয়ে বলে
“উঠেছি তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
মোবাইল চেক করে দেখে অনেক গুলো মিসড্ কল জমা হয়ে আছে।তার মধ্যে ফিরোজের আর বিজনেস ক্লাইন্টদের কল ছিলো।তখন মনে পরে আজ ওর অনলাইনে একটা মিটিং হওয়ার কথা যদিও দেরিতে ঘুম ভেঙেছে তারপরও যথেষ্ট সময় আছে হাতে।এই সময়ের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বসতে হবে।টাওয়াল হাতে নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়।এর মধ্যে রাসেল রুমে এসে রুম টা একটু গুছিয়ে ফেলে।
সকালের নাস্তা কলিমউল্লাহর স্ত্রী নিজ হাতে তৈরি করে রাসেল কে দিয়ে পাঠিয়েছে।টিফিন বক্স থেকে সে গুলো টেবিলে একটা একটা করে বের করে সবটা গুছিয়ে রাখছে।আগের দিন মেহরাব কে জিজ্ঞেস করেছিলো সে কি কি খেতে পছন্দ করে সেই মোতাবেক মামী তার জন্য নাস্তা বানিয়েছে।
ওয়াশ রুম থেকে মাথা মুছতে মুছতে এগিয়ে এলো মেহরাব।টেবিলে কয়েক ধরনের খাবার দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে
“এতো খাবার আর এই সকালের জন্য?
“হুম ভাইজান চাচি তার স্পেশাল হাতে বানাইছে।আর দুপুরের টা পরে পাঠাইবো কইছে।
“এতো খাবার তো এখন শেষ করতে পারবো না রাসেল,তারপর আবার পাঠাবে শুধু শুধু খাবার নষ্ট হবে।
“অতো কিছু আমি জানি না চাচার নির্দেশ আছে।
“আচ্ছা তুমি খেয়েছো?
“না পরে খামুনে।
“একটা প্লেট নিয়ে আসো একসাথে খাই।
রাসেল না করলেও মেহরাবের জোড়াজুড়িতে একসাথেই খেয়ে নেয়।নাস্তা খেয়ে মেহরাব অনলাইন মিটিং সেরে নিয়ে ফিরোজ কে কল করে।
“আসসালামু আলাইকুম বড়োভাই
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম কেমন আছো ফিরোজ?
“ভালো বড়োভাই।
“আন্টির শরির এখন কেমন ?
“এখন একটু ভালো তা কেমন লাগছে ওখানে?
“হুম খুব ভালো ।এটা বলে মেহরাব কিছু একটা ফিরোজ কে বলতে গেলে পরক্ষণে আর বলে না।ভেবে নিয়েছে পরে বলবে।
“আর কয়দিন থাকা লাগবে ভাই?
“এই তো তিন চারদিন আর তুমি একটু কষ্ট করে সবটা সামলাও আর একটু আগে বিদেশী ক্লাইন্টদের সাথে মিটিং টা সেরে নিয়েছি বাকিটা তুমি দেখো।
“আমি থাকতে কোনো চিন্তা নেই বড়োভাই নো চিন্তা ডু ফূর্তি।
ফিরোজের কথা শুনে মেহরাব মুচকি হাসে ও জানে ফিরোজ ওর সবটা দিয়ে সবকিছু দেখে রাখবে।
“বড়োভাই গ্রামের পথে ঘাটে কোনো জ্বী’ন পরীর দেখা পেয়েছেন?
“ফিরোজ তুমি কি এ সবে বিশ্বাস করো?
“অবশ্যই করি আমিও কিন্তু গ্রামের ছেলে আর এ সব তো কতো দেখেছি।
“তুমি সত্যি বলছো ফিরোজ কাল্পনিক জ্বী’ন পরীর দেখা না পেলেও বাস্তবের পরীর দেখা আমি পেয়েছি।
ওর কথা শুনে ফিরোজের কিছু বুঝে আসে না।
“বড়োভাই কি বললেন পরীর দেখা পাইছেন?
কথায় কথায় মেহরাব কি বলে ফেললো তাই ভাবছে তবে ও এখনই কিছু জানাতে চাচ্ছে না তাই বললো
“ফিরোজ তোমার সাথে আমার কথা আছে এখন না পরে সবটা বলবো।
বলে কল কেটে দেয়।মেহরাবের কথার মর্ম ফিরোজ প্রথমে কিছু না বুঝলেও এটা বুঝতে পেরেছে কিছু তো একটা ঘটেছে আর সেটা নিশ্চিত মেয়ে রিলেটেড।যদি তাই হয় তা হলে ফিরোজ তো খুশি হবেই সাথে আরেকজন আছে সে সবচাইতে বেশি খুশি হবে যে কিনা মেহরাবের জীবনের অন্যতম বিশেষ একজন”
——-
এক গাল পান খেয়ে একটু পর পর পানের চিপটি থু দিয়ে ফেলছে মদন মুন্সি।আর হাতে থাকা একটি রুমালের সাহায্যে মুখ মুছে ফেলছে।বর্তমানে সে মায়াদের বাড়ির উঠানে পাতানো একটি চেয়ারে বসে আছে।ঠিক তার সামনে জলচকি পেতে আয়মন বসে আছে।মদন মুন্সি থু ফেলার ফাকে ফাকে মায়ার সৎ মা আয়মনের সাথে কথা বলছে।
“দেখো মায়ার মা তুমি যা চাও দিমু তয় মাইয়াডারে আমার বাড়ির বউ করবার চাই।
আয়মনের মন খুশিতে নেচে ওঠে।এই বিয়ে টা হলে আয়মনের অনেক লাভ হবে।মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে কতো খরচ হতো ওর জানা নেই কিন্তু উল্টো খরচ না করে টাকা পাবে।লোভি মনটা আর দেরি করতে চাইছে না।
“আপনে যেমনে চাইবেন তেমনেই হইবো শুধু টাকাটা বিয়ার আগেই দিলেই হইবো।
“হুম খালি টাকা না তোমার এই ঘর ও পাকা কইরা দিমু।তয় কাশেম মিয়া আর তার মাইয়্যা রাজি হইবো তো?
এসব কথা শুনে আয়মনের খুশি আর দেখে কে,খুশিতে বলে দেয়
“এসব সামলানোর জন্য আমি আছি তো।
“হেইডা ঠিক আছে তয় বিয়াডা দু এর দিনের মধ্যেই সারতে হইবো কইলাম।
“আপনে যেমনে কইবেন তেমনেই হইবো।
আয়মনের কথা শুনে মদন মুন্সি বেজায় খুশি হয়।মদন মুন্সি তার সাথে করে আনা ছোটো ব্যাগ থেকে একটা টাকার বান্ডিল বের করে আয়মনের হাতে দেয়।আয়মন তো এতো টাকা একসাথে পেয়ে আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেছে।
“হুনো মায়ার মা আইজ এই অর্ধেক টাকাটা রাখো।কাইল বাকিটা পাইয়্যা যাইবা।কোনো চিন্তা কইরো না।এহোন আমি যাই মেলা কাম গুছাইতে হইবো বিয়া বইলা কথা।
বলতে বলতে উঠে পরে,পায়ে সমস্যা থাকায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটে মদন মুন্সি।সেভাবেই হেটে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
ঠিক তখনই জমির কাজ শেষ করে কাশেম মিয়া বাড়ির পথ দিয়ে ডুকতে যাবে ঠিক সে সময় বাড়ি ঢোকার রাস্তায় মদন মুন্সির সাথে তার দেখা হয়।থু দিয়ে পানের চিপটি ফেলে একটা হাসি দিয়ে মদন মুন্সি কাশেম মিয়াকে বলে
“কেমন আছো কাশেম মিয়া শরির ভালা আছে নি?
কাশেম মিয়া মদন মুন্সিকে একদমই পছন্দ করে না।সে হারে হারে চিনে তাকে।কিন্তু আজ মদন মুন্সি তার বাড়ি থেকে বের হইছে এটা দেখে তার কিছু একটা সন্দেহ হয়।কারন ছারা তো মদন মুন্সি কারো বাড়ি যাবার লোক না।
মদন মুন্সির কথার জবাব না দিয়ে পাশ কেটে বাড়ির ভেতর ডুকে যায় কাশেম মিয়া।মদন মুন্সি তার যাওয়ার পানে চেয়ে একটা বিদখুটে হাসি দেয় আর মনে মনে বলে
“যতই অপছন্দ করো আমারে দুদিন পর ঠিক সুর সুর করে আমার পিছেই ঘোরা লাগবে কাশেম মিয়া।এই বলে সে আবার খোড়াতে খোড়াতে হাঁটা দেয়।
কাশেম মিয়া বাড়ির ভেতরে ডুকে সাথে থাকা সরন্জাম ঘরের পাশে রেখে আয়মনের দিকে এগিয়ে যায়।আয়মন খুশি মনে টাকা গুনতেছিলো এ সব দেখে বিস্ময়ে কাশেম মিয়া জিজ্ঞেস করলো
“এতো টাকা কই পাইলা?
আয়মন স্বামীর কথা শুনে থতোমতো খেয়ে বলতে লাগলো
“আরে এসব তো উপহারের টাকা।আমার তো কপাল খুইল্যা গেছে।
কাশেম মিয়ার সন্দেহ ঠিক ছিলো মেজাজ বিগরে যায় তার।বউকে বসা থেকে টান দিয়ে উঠিয়ে বলতে থাকে
“কোন সবর্নাসে পা দিছোস ক দেখি আর মদন মুন্সি আমার বাড়িতে ক্যান আইছিলো?
“আরে মায়ার বাপ রাগ হইয়ো না মাইয়্যা বড়ো হইছে বিয়া দিতে হইবো না হেরলেইগ্যা মদন মুন্সির পোলা রমজানের লগে মায়ার বিয়া ঠিক করছি।আর দেহেন মদন মুন্সি মেলা টাকা দিছে আরো দিবো কইছে।খালি টাকা না ঘর ও নতুন কইরা বানাইয়া দিবো কইছে।
কথাটা শুনে কাশেম মিয়ার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরে।বিস্ময়ের স্বরে বলে ওঠে
“কি কইলি আমারে না জিগাইয়া আমার মাইয়ার বিয়া তুই ওই ল”ম্পট রমজানের লগে ঠিক করছোস?
“আরে এমনে কও ক্যা হেয় এহোন আমাগো হবু জামাই।
কথাটা শুনেই কাশেম মিয়ার শরিরে যেনো আ গুন জ্ব”লে উঠে।
“কি সর্বনাশের কথা শুনাইলি আমি বাইচ্যা থাকতে আমার মাইয়ার বিয়া ওর লগে হইতে দিমু না।এই তুই জানিস না এর আগেও ওয় যে দুই তিনটা বিয়া করছে।
স্বামীর কথা শুনে আয়মনের রাগ লাগে কই স্বামী অতো টাকা দেখে খুশি হবে তা না উল্টো রাগ দেখাচ্ছে।এতো বোকা মানুষ কেমনে হয়।
“আরে তাতে কি হইছে বউ তো একটা ও নাই হের লেইগ্যা তো মায়ারে দিতে চাই।আর ওরা তো মায়ারে নেওয়ার জন্য পা’গোল হইয়া গেছে।
কাশেম মিয়া আয়মনের এমন কথায় স্তব্দ হয়ে যায়।এসব কি বলছে তার বউ।আত্মসম্মান বোধ তো নেই টাকার লোভে একেবারে অ’মানুষ হয়ে গেছে।রাগে তেরে আসে বউয়ের কাছে
“তোর এতো বড়ো সাহোস আমার মাইয়ারে বিয়া দেওনের নাম কইরা বেইচ্যা দিতে চাস?
“আরে কি কন ভুল বুঝতেছেন আর শুনেন যদি এই বিয়াতে আপনি বাধা দেন তা হইলে কিন্তু আমি খারাপ কিছু কইরা ছারমু কইয়া দিলাম।
বউয়ের সাথে আর পারবে না ভেবে রাগে সামনে থাকা জলচকিটা লাথি মে’রে ঘরে চলে যায়।আয়মন সে সবে ভ্রুক্ষেপ না করে আবার টাকা গুনতে লাগে।
কাশেম মিয়া আর আয়মনের সব কথা বার্তা আড়াল থেকে পুষ্প শুনে ফেলে।স্কুল থেকে আসছে বাড়ি ডুকতে যাবে তখনই এ সব কথা বার্তা ওর কানে গেলে সামনে আর এগোয় না।সবটা শোনার পর বাড়িতে ডোকে মাকে পাশ কাটিয়ে ঘরের মধ্যে ডুকে যায়।এ সব কি শুনলো ও মাথাটা রাগে দপ করে উঠলো।মনে মনে ভাবতে থাকে এমন মায়ের পেটে জন্মাইছিলাম ছি!বোনের জন্য চিন্তা হচ্ছে ওর এ সব শুনলে বুবু সহ্য করতে পারবে তো?ছোটো থেকে এ পর্যন্ত অনেক অন্যায় অ ত্যাচার সহ্য করে মুখ বুঝে আছে আবার এখন এই খারাপ লোকের সাথে নিজের বোনের বিয়ে ঠিক করেছে এটা পুষ্প কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
মায়া কলেজ থেকে বাড়ি আসার পর থেকে কাশেম মিয়া হাসফাস করছে কেমনে মেয়েকে এ সব কথা বলবে।আবার এ সব কথা শুনলে মেয়ের অনুভূতিটা কেমন হবে সে সব ভাবছে।বাবা হয়ে কিছুই করতে পারছে না বউ তাকে চিপায় ফেলে দিলো হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।তবে কাশেম মিয়ার আর কিছু বলতে হয়নি আয়মন নিজেই রাতের বেলায় মায়াকে সবটা বলে।এসব কথা শুনে মায়া কোনো টু শব্দটি করেনি।পাশ থেকে পুষ্প বোনকে নিয়ে চিন্তায় শেষ ও জানে বোন মুখে কিছু না বললেও তার মনের অবস্থাটা এখন কেমন।
আয়মন চলে যেতেই মায়া যেনো একটা ঘোরের মধ্যে চলে যায়।কি সব শুনলো যেই মানুষ টাকে ও মন থেকে ঘৃণা করে তাকেই বিয়ে করতে হবে?এই জীবন টাকে জলান্জলি দিতে হবে আজীবনের জন্য ঐ খারাপ মানুষটার কাছে?
পুষ্প বোনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে আর বলে
“বুবু তুমি এইখান থেইক্যা পালিয়ে যাও না হইলে তোমার জীবন টা শ্যাষ হইয়া যাইবো।
বোনের কথা শুনে মায়া স্বাভাবিক স্বরেই বলে
“না বোন তোদের সবাইরে ছাইরা পালাবো ক্যান?আমার মা সে আমার ভালোর জন্যই এতো কিছু করতাছে।যদি উপর ওয়ালা সহায় হয় কোনো খারাপ কিছু আমার হইবো না”
“মুখে বোনকে এটা বললেও মনে মনে ওর মনটা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।গরিব হলেও মনে তো কতো স্বপ্ন ছিলো পুষ্প বলতো ওর জন্য কোনো রাজপুএ আসবে।যে কিনা ওকে ভালোবেসে আপন করে তার রাজ্যে নিয়ে যাবে।ও সব স্বপ্ন বাস্তবে কি এমন কেউ আছে যে কিনা ওকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে সুন্দর একটা জীবন উপহার দিতে ?
চলবে…..
(ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)