স্বর্ণকেশী মায়াবিনী পর্ব-০২

0
116

#স্বর্ণকেশী_মায়াবিনী
#লেখনীতে-বর্ণ(Borno)
#পর্ব-২

“স্যার গাড়িতে আপনার প্রয়োজনীয় সব কিছু রাখা হয়েছে এবার আপনি উঠে বসেন।”

ফোনে কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসে মেহরাব।কান থেকে মোবাইল সরিয়ে কল কেটে গাড়ির সামনে এসে দাড়ায়।এক নজর মেহরাব কে দেখে সামনের ব্যাক্তিটি বুঝতে পারলো মেহরাবের চেহারায় বিরক্তির ছাপ।মেহরাব একটু দম ছেড়ে বলতে লাগলো
“ফিরোজ এটা অফিস টাইম নয় আর সবসময় স্যার শুনতে ভালো লাগে না।সেটা তুমি খুব ভালো করেই জানো তারপরও কেনো বলো বলোতো?

“সরি বড়ো ভাই আর ভুল হবেনা।মেহরাব আবার বলে
“বুঝতে পারছি ভাইকে আপন করে নিতে পারলে না তাইতো?
এবার ফিরোজ অসহায় দৃষ্টিতে মেহরাবের পানে চায়।কিন্তু মেহরাব সেটা ভ্রুক্ষেপ না করে গাড়ির দরজা খুলে ডুকতে চাইলে ফিরোজ বাধা দেয়।মেহরাবের একটি হাত ফিরোজ ওর দু হাতের মুঠোয় নেয়।খুব নমনীয় কন্ঠে বলতে লাগলো
“বড়ো ভাই আপনি রাগ হবেন না সেদিন যদি আপনি আমার পাশে না থাকতেন তা হলে হয়তো এই দিনটি আমার আর দেখা লাগতো না।এতো সুন্দর একটা জীবন নিয়ে আজ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না।আজকাল মায়ের পেটের ভাই ও নিজের ভাইয়ের জন্য এতো কিছু করে না যেটা আপনি করেছেন।
মেহরাব লক্ষ্য করলো কথা গুলো বলে ফিরোজের দু চোখ ছলছল করছে।পরিস্থিতি সামাল দিবার জন্য তখনই মেহরাব বলে

“আরে করছো কি আমি কি একটু মজা ও নিতে পারবো না।আচ্ছা এ সব বাদ দাও,কতো করে বললাম চলো আমার সাথে কিন্তু রাজি হলে না।একসাথে গেলে কিন্তু সুন্দর একটা বাস ভ্রমন হতো।আর সময়টাও বেশ কাটতো কিন্তু এখন একা একাই যেতে হচ্ছে।

মেহরাবের কথার প্রক্ষিতে ফিরোজ বললো
“বড়ো ভাই আপনি তো জানেন মায়ের শরির ভালো নেই তাছাড়া এই বাসা আবার অফিস এ সব তো দেখতে হবে।তাই আপনি একাই যান।অন্য আরেক সময় না হয় একসাথে ভ্রমন করা যাবে।
ফিরোজের কথায় মেহরাব মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়।ও জানে ফিরোজ কে যতোই বলুক ও কিছুতেই ওর কাজ আর দায়িত্ব রেখে যাবে না।
“ঠিক আছে সাবধানে থেকো”
“ওকে বড়ো ভাই আর একটা কথা
“হুম বলো
“বড়ো ভাই গ্রামে যাচ্ছেন আর ওখানের মেয়েরা কিন্তু সুন্দর হয় তাই পছন্দ হলে সোজা ভাবি বানিয়ে নিয়ে আসবেন।আর কোনো প্রয়োজন হলে কল মি সাথে সাথে বান্দা হাজির হবে।

ওর কথা শুনে মেহরাব একটু শব্দ করে হেসে দেয় আর বলে

“ফিরোজ আজকাল বাংলা সিনেমা একটু বেশিই দেখো মনে হচ্ছে?শোনো ও সব সিনেমাতেই হয় বাস্তবে নয় যাই হোক থাকো আর আন্টির দিকে খেয়াল রেখো যাচ্ছি বলেই গাড়িতে ওঠে বসে।ড্রাইভার কে নির্দেশ দিতেই গাড়ি স্টার্ট দিলো।গাড়ি চলছে বাসস্টান্ড এর উদ্দেশ্যে।
মেহরাব সব সময়ই কাছের কিংবা দূরের পথ হোক নিজের গাড়ি নিয়েই যাতায়াত করে।কিন্তু আজ ফুলপুরে নিজের গাড়িতে করে নয় বাসে যাবে।খুব ইচ্ছে হয়েছে ওর ,গ্রামে সেই ছোটো বেলায় গিয়েছে আর এই পরিপূর্ণ বয়সে এসে এই প্রথম ও নানু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

জন্ম,বেড়ে ওঠা আর দাদু বাড়ি সবমিলিয়ে ওর সবটাই এই শহরে।কিন্তু ওর মায়ের বাবা বাড়ি ফুলপুর গ্রামে।একদম ছোটো বেলায় গিয়েছিলো আর যাওয়া হয়নি।এক দূর্ঘটনায় বাবা মা পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়।হয়তো তারা বেচে থাকলে সবসময় যাওয়া আসা হতো।নানু বাড়িতে বলতে গেলে কেউ নেই।একমাএ মামা সেও বিদেশ থাকে তার সাথে ফোনেই আলাপ হয় ওর।

গাড়ি এসে বাসস্টান্ড থামে আগের দিনে করা টিকিট অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাসে ওঠে পরে মেহরাব।ড্রাইভার ওর লাগেজ ও ব্যাগ উঠিয়ে দিয়ে চলে যায়।বাসের বাম পাশের দ্বিতীয় সারিতে ওর দুটো সিট বুক করা।কাধের ছোটো ব্যাগটি পাশের সিটে রেখে জানালার পাশে বসে পরে।গাড়ি ছারতে আর মাএ দশ মিনিট।সঙ্গে করে আনা ব্যাগ থেকে খবরের কাগজ বের করে এক মনে পড়তে লাগলো।কিছু ক্ষণ পরে কারোর ডাকে সামনে থেকে খবরের কাগজটি সরিয়ে ব্রু কুচকে জানতে চাইলো কি হয়েছে?সে জানায় ওদের বাসের সব টিকিট বুক হয়ে গেছে কিন্তু একজন বয়স্ক লোক টিকিট পাচ্ছে না।আর তার এই মুহূর্তে যাওয়াটা খুবই দরকার।পরের গাড়ি যেতে বিকেল হবে।এ সব শুনে মেহরাব বললো”তো আমি কি করতে পারি?আর আপনি কে?

লোকটি জানায় সে এই বাসের কন্টাকটার আর ওর দুটো সিটের একটি যদি ঐ বয়স্ক লোককে দেয় তো তার জন্য খুবই উপকার হবে।যেহেতু মেহরাব একাই দুটো টিকিট নিয়েছে আর এমনিতেও সিটটি সারা পথ ফাঁকা যাবে।আর এটাও জানায় সিটের যা ভারা সেটাও দিয়ে দিবে।মেহরাব কিছু একটা ভেবে লোকটিকে জানায়

“ঠিক আছে আমি একটি সিট ছেরে দিচ্ছি আর হা আমি সিটের টাকা ফেরত নিচ্ছি না”বলে আবার পেপার পড়ায় মনোযোগ দেয়।কন্টাকটার হাস্যোজ্জল মুখে নিচে নেমে মিনিট দুয়েক পরে একজন বয়স্ক মানুষকে সাথে করে এনে মেহরাবের পাশে বসায়।
কিছুক্ষণ পরে বাসটি তার রুটিন মাফিক চলতে লাগলো।আস্তে আস্তে চেনা শহর রেখে একের পর এক নতুন নতুন জায়গা দিয়ে বাসটি চলতে লাগলো।মেহরাব খবরের কাগজটি সামনে থেকে সরিয়ে ভাজ করে যথা স্থানে রেখে দিলো।এতোক্ষণ ওর খেয়ালে ছিলো না পাশে যে একজন আছে।
পাশ ফিরে দেখলো একজন বয়স্ক লোক যার বয়স আনুমানিক ষাটের উর্ধে হবে।চেহারা দেখে মনে হলো একসময় বেশ সুদর্শন ছিলো বটে।কিন্তু বয়সের ভারে ও সেটা ভালোই বুঝা যাচ্ছে।এমন একজন পাশে আর ও কথা না বলে থাকবে এমন মানুষ মেহরাব নয়।তাইতো ভদ্রতা বজায় রেখে লোকটিকে সালাম দিয়ে ডান হাত এগিয়ে দেয় মেহরাব।বেশ নমনীয় কন্ঠে ওর সালামের প্রতিউওর দিয়ে সেও হাত বাড়িয়ে করমর্দন করে নেয়।”আমি মীর মেহরাব হুসাইন।

লোকটি ওর আচরনে যে খুশি হয়েছে সেটা তার হাস্যোজ্জল চেহারা দেখেই বুঝা গেছে।
“মা শাহ আল্লাহ আপনি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আপনার নামটাও সুন্দর।আর আমি আসলাম তালুকদার।তার কথা শুনে মেহরাব ও বলে ওঠে “আপনি ও এ বয়সে যথেষ্ট হ্যান্ডসাম আর নামের মধ্যেও জোশ আছে কিন্তু।

ওর কথা শুনে বৃদ্ধ লোকটি হেসে দিয়ে বললো “ভালো মজার মানুষ তো আপনি।তা আপনি কোন জায়গায় যাবেন?
বৃদ্বার কথা শুনে মেহরাব বলতে লাগলো”আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন আমার ভালো লাগবে আর আমি ফুলপুর গ্রামে যাবো আপনি?
লোকটি বললো আমি চন্দন নগর গ্রামে থাকি আর ফুলপুর সে তো আমার গ্রামের পাশের গ্রাম।তবে এটা বলেই তার মুখটা কেমন অন্ধকারে ছেয়ে গেলো।মেহরাব কারনটা জানতে চাইলে সে কিছু না বলে এরিয়ে যায়।মেহরাব ও আর কিছু বলে না।
সে আবার বলতে লাগলো”সেখানে কে থাকে?

এবার মেহরাব বলতে লাগলো”আমার নানুবাড়ি ওখানে আসলে আমার আপন বলতে কেউ নেই সেখানে।এক মামা সেও বিদেশে স্যাটেল।নানুর অনেক সম্পওি সেখান থেকে মায়ের ভাগের যে সম্পওি ওটা আমি পেয়েছি।এতোদিন জানতাম না এসবের কিছু।হঠাৎই খবর পাই আর মামাও জানায় এটাও বলে আমি যা পেয়েছি সে গুলো যেনো আমি দেখে শুনে রাখি।মায়ের থেকে পাওয়া আর এসবের মালিক এখন থেকে আমি তাই দেখতে যাচ্ছি।

“ওহ আচ্ছা।
“হুম তবে আমার এ সবের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে তাই আমি ঠিক করেছি এসব সম্পওি গৃহহীন গরিবদের জন্য বাসস্থান তৈরি করে দিবো।অন্তত কয়েকজন পরিবার তো স্থায়ি ভাবে বসবাস করতে পারবে।”কথা গুলো শুনে বৃদ্ধ লোকটির মন ভরে গেলো ।
“সত্যিই তুমি একজন সৎ ও উদার মনের মানুষ।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুজনের মাঝে অনেক কথাবার্তা চলে।মেহরাবের প্রথমে একটু মন খারাপ হয় ফিরোজ না আসাতে।হয়তো ও আসেনি তাই পুরো পথ ওকে একাই বোরিং সময় পার করতে হবে বলে।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে না সময়টা খুব ভালো ই কেটেছে।দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবে প্রায় একটা সময় বৃদ্ধ লোকটির গন্তব্য স্থান আগে চলে আসলে মেহরাবের থেকে বিদায় নিয়ে নেমে যায়।মেহরাব জানালার বাইরে মাথা বের করে যতোদূর পর্যন্ত লোকটিকে দেখতে পেয়েছে দেখেছে।ওর মনে হলো এ মানুষটা ওর অনেক দিনের চেনা জানা কেউ একজন।এটা নিছকই ওর মনের ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয়।

ফুলপুর স্টান্ডে এসে নেমে পরে মেহরাব।কয়েক মিনিট বাদে একজন মাঝ বয়সী লোক এসে ওর নাম মেহরাব কিনা জিজ্ঞেস করলে মেহরাব সালাম দিয়ে বলে কলিমউল্লাহ মামু ?
লোকটি খুশি হয়ে মাথা নাড়ায়।আর বলে
“পথে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো বাবা?
“একদমই না অনেক ভালো একটা জার্নি ছিলো মামু।চলো এবার যাওয়া যাক।

কলিমউল্লাহর সাথে এর আগে কয়েকবার মেহরাবের সাথে ফোনে কথা হয়েছে।নিজ মামার মাধ্যমে পরিচয় ওর।গ্রামের নামডাক ওয়ালা লোকদের মধ্যে সে একজন।মেহরাবের নানু বাড়ির সাথে তার অনেক আগ থেকেই একটা গভির সম্পর্ক সে জন্যই ওর মামার অনুপস্থিতিতে সব কিছুর দায়িত্ব কলিমউল্লাহর ওপর ন্যাস্ত আছে।কলিমউল্লাহর আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো।এক সময় সে কলেজ এর প্রফেসর ছিলো অনেক আগেই চাকুরি থেকে অবসরে এসেছেন।তবে নিজের গ্রাম সহ আসে পাশের অনেক গ্রামের লোকজন তাকে অনেক মান্য করে।কোথাও কোনো সমস্যা বিচার শালিস এর জন্য এসব জায়গাতেও তার ডাক পরে।
মূলত কলিমউল্লাহ মেহরাবের মায়ের যে সব সম্পওি সে গুলো বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটাও তার ওপর পরেছে।আর আজ অন্য লোক না পাঠিয়ে নিজেই মেহরাব কে নিতে স্টান্ডে এসেছে।

গ্রাম হলেও এখানে সিএনজি,অটো,অটো ভ্যান ,রিক্সা সবই চলে।ওরা একটা সিএনজি নিয়ে ওঠে পরে।এই অল্প সময়ে গ্রামের যতোটুকু দেখেছে তাতেই মেহরাবের বেশ ভালো লাগছে।মায়ের জন্মস্থান বলে কথা ,আজ মা নেই তারপরেও এই শূন্যতা ওর মনে কোনে একটা পূর্ণতার প্রশান্তি অনুভব করতে পারছে এটাই কম কিসের।আধঘন্টা পরেই ওর নানু বাড়ি পৌছে যায়।

———

রাতের খাবার শেষ করে কাশেম মিয়া চৌকির ওপর গিয়ে বসে।আয়মন স্বামীর পাশে গিয়ে বসে।আয়মনের মুখ দেখে কাশেম মিয়া বুঝতে পারে আয়মন কিছু বলতে চায়।কাশেম মিয়া জিজ্ঞেস করলে বেশ নরম গলায় বলে “মাইয়া বড়োডার তো বিয়ার বয়স পার হইয়া যাইতাছে এহোন বিয়া দেওয়া দরকার নইলে এর পরে কিন্তু বিয়া দিতে মেলা কষ্ট হইবো।
কাশেম মিয়া বউয়ের কথায় বেশি একটা খুশি হতে পারে না।তারপর ও অনিচ্ছা স্বত্বেও বলে”এহোনই এইসব আমি ভাবি নাই সময় হোক তারপরই বিয়া দিমুনে।

কিন্তু আয়মন যেনো নাছোড়বান্দা সে বলে”আপনের ভাবা লাগতো না যা ভাবার আমিই ভাইব্যা রাখছি সময় হলেই দেখবেন।বলেই স্বামীর পাশ থেকে ওঠে যায়।কাশেম মিয়া আর এসবে কান না দিয়া শুয়ে পরে।এমনিতেই শরির ভালো নেই তারওপর বউ মানসিক ভাবে চিন্তায় রাখে।
মায়া বাইরে বের হতে গিয়ে এ সব কথা ওর কানে যায় ।পুষ্প ও পাশ থেকে এসব শুনে।বেনের দিকে তাকালে মায়া কিছু বলে না নিঃশব্দে বাইরে বের হয়।বোন কে অনুসরন করে পুষ্প ও বের হয়ে যায়।উঠানোর পাশে সফেদা গাছের সাথে লাগোয়া একটি কাঠের বসার জায়গা বানানো আছে।মায়া সেখানে গিয়ে বসে আজ পূর্ণ জোস্না রাত।এ সময়টা মায়ার বেশ প্রিয় ,মন খারাপ আর ভালো যেটাই থাকুক না কেনো ও এই সময়টা একান্ত ভাবে জোস্নাবিলাস করে থাকে।তবে মাঝে মাঝে পুষ্প ওর সঙ্গি হয়।আজও পুষ্প ওর পাশে এসে বসে।

“বুবু”মায়া হু বলে বোনের ডাকে সারা দেয়
“একটু জড়াইয়া ধরি তোমারে?
মায়া হা সূচক মাথা নাড়ালে পুষ্প ওকে জড়িয়ে ধরে রাখে।এই একটা মানুষকে ও ওর জীবনে পেয়েছে যার স্পর্শে ওর সমস্ত দুঃখ কষ্ট বিলীন হয়ে যায়।ও জানে বোনের মন ভালো করতে কথা নয় এতোটুকু স্পর্শই ওর জন্য যথেষ্ট।
“বুবু” আমি তোমারে হারাতে চাই না।ও জানে কেনো পুষ্প এসব বলছে তাই বোনের কথার প্রেক্ষিতে মায়ার কিছু বলার ক্ষমতা এই মুহূর্তে নেই।কি বলবে আর কি বা বলার আছে।নিয়তি আর ভাগ্যে যে ওর সহায়ক নয়।শুধু আকাশের দিকে নিষ্পলক চোখে একমনে চেয়ে থাকে।

“সারাদিনের রৌদ্রতেজে পুড়ে দিনের শেষে চাঁদের রূপালি জোস্না যেমন মোলায়েম এক শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়,তেমনি সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে প্রিয়জনের মুখের ঐ একটু হাসি ,সমস্ত বিষাদ মুছে দেয়।
মায়ার জীবনে কি এমন একজন আসবে ?যে কিনা ওর জীবনে এই রূপালি চাঁদের জোস্না হয়ে ধরা দিবে।যে কিনা মুছে দিতে পারবে ওর সমস্ত দুঃখ কষ্ট গুলো কে?পারবে ওর মুখে পৃথিবীর সমস্ত হাসি এনে জড়ো করে দিতে?হয়তো উপর ওয়ালা চাইলে সবটা সম্ভব শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

চলবে…….

(ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে