স্বপ্ন হলেও সত্যি পর্বঃ-১৭

1
1537

স্বপ্ন হলেও সত্যি পর্বঃ-১৭
আফসানা মিমি

সময় তার নিজ গতিতে চলতে লাগলো। আমিও আমার মতো করেই চলতে লাগলাম সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। কারণ সময় যখন কারো জন্য অপেক্ষা করে না তেমনি আমারও উচিত নয় কারো জন্য অপেক্ষা করা। শ্রাবণের জন্য অপেক্ষা করে থেকে আমি আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাই না। সে তো নিজের মতো ভালোই আছে আমাকে ছাড়া। তবে আমি কেন তার অপেক্ষায় থাকবো? আস্তে আস্তে শ্রাবণকে আমি ভুলার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু আমি তাতে সফল হতাম না। বারবার ব্যর্থ হতাম। সে তো আমাকে ভুলে ভালোই আছে। তবে আমি কেন তাকে ভুলতে পারছি না? নাহ্! আমাকে পারতেই হবে। শ্রাবণের মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।

আমি পুরোদমে লেখাপড়ার প্রতি মনযোগ দিলাম। ভাইয়া আর ফাল্গুনী আপুর ব্যাপারটা মিটমাট করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভাইয়া কেন যেন কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। সে বারবার আপুকে ফিরিয়ে দিতে লাগলো। একদিকে ছোট বোন হয়ে ভাইয়াকেও জোর করতে পারছিলাম না। অপরদিকে আপুর কষ্টটাও মেনে নিতে পারছিলাম না। কী করা যায় তা ভেবে দিন রাত পার করতে লাগলাম।

এর মাঝেই একদিন আপুর ফোন আসলো। বললো বাসা থেকে নাকি বিয়ের কথা বলছে। উপায় না পেয়ে আমি আম্মুর কাছে গেলাম। গিয়ে আম্মুকে তাড়া দিয়ে বললাম
—” আম্মু প্লিজ কিছু একটা তো করো! ভাইয়াকে প্লিজ যেভাবেই হোক রাজি করাও না! আপুর বাসায় নাকি বিয়ের কথা চলছে।”
আম্মু আনমনা হয়ে উত্তর দিল
—“কার মতো যে হয়েছে আমার ছেলেটা! এত চাপা স্বভাবও কারো হয়! আর এত অভিমান করে আছে কেন সে? মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে তার চোখে কী পড়ছে না? না হয় একটা ভুল করে ফেলেছে, তার শাস্তি এভাবে দিতে হবে?”

—” তুমি আসলেই আমার মা তো?”
পিছন থেকে ভাইয়ার গলা শুনতে পেয়ে চমকে উঠলাম আমরা দুজনেই। কখন এসে দাঁড়ালো আমরা টেরও পাইনি। আম্মু কিছুটা মিইয়ে যাওয়া গলায় বললো
—“কি বলছিস তুই এটা?”

ভাইয়া হতাশ গলায় বললো
—“আমার ভিতরের কষ্টটা তোমাদের চোখে পড়ছে না মা? আজকে ওই মেয়েটা তোমাদের আপন হয়ে গেল? আর আমি পর? তুমিই তো একদিন বলেছিলে, যে তোমার ছেলের এই অবস্থা করেছে তাকে কখনো ক্ষমা করবে না। তবে আজ যে বড় ওর হয়ে কথা বলছো! ভুলে গেলে মা সেই দিনগুলো?”
আম্মু ভাইয়া কে বোঝানোর চেষ্টা করলো
—“দ্যাখ সুহৃদ, মানুষ মাত্রই ভুল। ও না হয় না বুঝে একটা ভুল করে ফেলেছে। তাই বলে তুই ক্ষমা করবি না! ক্ষমা কিন্তু মহৎ গুণ।”
—” বাহ মা! কি সুন্দর ওর কষ্টটা বুঝলে! অথচ মা হয়ে ছেলের কষ্টটা বুঝতে পারলে না! আমি এত মহান হতে পারবো না মা। কারন আমি মহাপুরুষ নই। আমি সাধারণ একটা মানুষ। আমারও রাগ অভিমান থাকতে পারে। সেই অধিকারটা অন্তত কেড়ে নিও না।”
—“কিন্তু এভাবে আর কতদিন সুহৃদ! বিয়ে করতে হবে না তোকে! জীবনে থিতু হতে হবে না! এভাবে কী জীবন চলবে!”
ভাইয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো
—“এতই যেহেতু আমাকে বিয়ে করানোর সখ, বিয়ে না হয় করলাম তোমাদের ইচ্ছায়।”
আম্মু কেমন অভিমানী গলায় বললো
—“ও আমাদের ইচ্ছা! তোর কোন ইচ্ছে নাই, না?”
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো ভাইয়া। হাসিটা আমার কাছে কেমন যেন লাগলো। তারপর বললো
—“আমার ইচ্ছের দাম তোমাদের কাছে আছে মা? থাকলে এমন করতে না আমার সাথে। যাইহোক এত কথা বলে লাভ নাই। তোমাদের বৌমা খোঁজা শুরু করো। বিয়ের ডেট ফিক্স করে আমাকে বলো। বিয়ে করে তোমাদের সাধ পূরণ করবো।” বলেই চলে যেতে নিচ্ছিল ভাইয়া। আম্মুর কথা শুনে থেমে গেল।

আম্মু উচ্ছ্বাসিত হয়ে বলতে লাগলো
—“মেয়ে তো দেখা-ই আছে। রূপে গুণে কোন দিক দিয়ে কম না। আমার তো বেশ পছন্দ হয়েছে। দেখবি তুই সুখী হবি ওর সাথে।”
ভাইয়া ঘুরে বললো
—“আগে থেকেই এত গ্যারান্টি দিয়ে কিভাবে বলছো? আর কার কথা বলছো তুমি?”
আম্মু বলার জন্য মুখ খুলতে নিচ্ছিল। আমি ইশারা দিলাম এখনই কিছু না বলতে। কিন্তু আম্মু আমাকে পাত্তা না দিয়ে গড়গড় করে বলতে লাগলো
—“বুচ্ছিস, ফাল্গুনীর বাসায় নাকি বিয়ের কথা চলছে ওর। তাই আমি ভাবলাম যেহেতু তোরও বিয়ে করতে হবে, এজন্য আমি তোর জন্য ফাল্গুনীর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব। যেহেতু মেয়ে আমাদের চেনা পরিচিত। তাই কোন সমস্যা হবে না।”

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


ভাইয়া কেমন থমকে দাঁড়িয়ে রইলো কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর ধাতস্থ হয়ে বললো
—“তোমাদের সমস্যা না হতে পারে। কিন্তু আমার সমস্যা হবে। আমি ওকে বিয়ে করবো না কিছুতেই। অন্য যেকোন মেয়ে খুঁজো, বাট ওকে না।”
—“আশ্চর্য! ওর মাঝে সমস্যাটা কোথায়, আমাকে বল? বিয়েই তো করবি নাকি? তাহলে অন্য মেয়ে কেন? ওকে কেন না? আর এত জলদি এমন ভালো মেয়ে খুঁজে পাব কই? দেখা যাবে অন্য মেয়ে পছন্দ করলাম আর তার চরিত্র খারাপ। অথচ আমরা জানি না। তবে কী ভালো হবে খুব?”
ভাইয়া বিরক্তির সাথে বললো
—“এত জলদি কোথায়? সময় আছে না? আমি তো আর পালিয়ে যাচ্ছি না কোথাও। তাহলে এভাবে যাকে তাকে আমার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছো কেন তোমরা?”
—“আর কত দেরি করবো? বয়সটা কী কম হয়েছে তোর? জানিস এ বয়সে……”
আম্মুর কথার মাঝখানেই ভাইয়া বলে উঠলো
—“এখন প্লিজ এটা বোলো না যে এ বয়সে আব্বু এক সন্তানের বাপ হয়ে গিয়েছিল!”
—“সত্যি বলতে দোষ কোথায়?”
ভাইয়া হাত জোর করে বললো
—“আম্মু প্লিজ একটু রেহাই দাও। ভালো লাগছে না এসব। এভাবে জোর করে কাউকে চাপিয়ে দিও না আমার ওপর। নয়তো পরে দেখবে নিরুদ্দেশ হয়ে যাব একদম। শত খুঁজেও আমার টিকিটির দেখাও পাবে না।” বলেই গটগট করে সেখান থেকে চলে গেল।

এতক্ষণ আমি নীরব দর্শক এবং শ্রোতার ভূমিকা পালন করছিলাম। বড়দের কথার মাঝখানে কথা বলার স্বভাব আমার নেই। সেই শিক্ষা আমরা দুই ভাইবোনকে আব্বু-আম্মু দেননি। কিছু বলতে মন চায়ছিল ভাইয়াকে। কিন্তু বেয়াদবি হবে বলে বলতে পারিনি। তবে একাকী ভাইয়াকে বু্ঝাতে হবে। দেখি আমার সাথে কী বলে!

—“ভাইয়া আসবো?”
ভাইয়া বিছানায় হেলান দিয়ে বসে মোবাইলে কী যেন করছে।
—“কিরে তুই? আয়। তুই আসতে আবার অনুমতি লাগবে নাকি?”
—“তবুও প্রাইভেট মোমেন্ট বলে কিছু আছে না?”
ভাইয়া হালকা হেসে বললো
—“আমার আবার প্রাইভেট মোমেন্ট! এমন তো নয় যে বিয়ে করেছি, বউয়ের সাথে বিজি থাকবো। আচ্ছা সেসব বাদ দে। কেন এসেছিস সেটা বল। কোন দরকার?”
বিছানার এককোণে বসে বললাম
—“আমার একটা কথা রাখবে?”
ভাইয়া মোবাইলে মুখ গুঁজেই বললো
—“কী কথা?”
ইতস্তত করে বললাম
—“আম্মুর কথাটা মেনে নাও না ভাইয়া!”
—“আচ্ছা।” আগের মতো করেই বললো
—“আচ্ছা? তার মানে তুমি রাজী?”
—“হুম।”
এতক্ষণে বুঝতে পারলাম ভাইয়ার পুরো মনযোগ মোবাইলের দিকে। আমার কথা না বুঝেই হ্যাঁ বলে দিয়েছে। রেগে গিয়ে উঠে মোবাইলটা কেড়ে বিছানায় ধপ করে ফেলে চলে আসতে নিলাম।
—“তুমি থাকো তোমার মোবাইল নিয়ে। আমি চললাম। আজই আপুদের বাসায় চলে যাব আমি। আমার কথার কোন দামই নেই তোমার কাছে।”
ভাইয়া খপ করে আমার হাতটা ধরে অনুনয় করে বললো
—“এই এই স্যরি স্যরি। ভুল হয়ে গেছে। আর ধরবো না মোবাইল। এবার বল মনযোগ দিয়ে শুনবো।”
আমি আগের মতোই গোঁ ধরে বললাম
—“দরকার নেই। আমি চলে যাচ্ছি। কেউ আমাকে ভালবাসে না।”
ভাইয়া তার পাশে আমাকে জোর করে বসিয়ে তার ডান হাতটা আমার কাঁধে রেখে বললো
—“আরে আফু ক্ষমা চাইছি তো। মাফ করে দে না লক্ষ্মী বোন আমার!”
আমি সুযোগ পেয়ে বললাম
—“ক্ষমা করতে পারি এক শর্তে।”
ভাইয়া মুচকি হেসে বললো
—“বুঝেছি। আমার পকেট ফাঁকা করার ধান্দা। তা বল কয় বক্স আইসক্রীম চাই?”
আমি আর্তনাদ করে বললাম
—“ভাইয়া! তুমি আমাকে এতই খাদক ভাবো?”
ভাইয়া ভ্রুজোড়া কুঞ্চিত করে বললো
—“আইসক্রীম চাই না? তাহলে কী চাই?”
—“যেহেতু আইসক্রীমের কথা নিজে থেকে বলেছো না করি কী করে! তা ছাড়াও আরেকটা আবদার রাখতে হবে আমার।”
—“আচ্ছা বল আগে শুনি।”
মনে মনে কথা গুছিয়ে তারপর বললাম
—“ফাল্গুনী আপুকে বিয়ে করে নাও না ভাইয়া! এ কয়েকমাসে আপুকে যতটুকু দেখেছি, চিনেছি তাতে বুঝে গেছি সে তোমাকে এখনও খুব ভালবাসে। প্রায়শই নীরবে কান্না করে। আপুকে আপন করে নাও না ভাইয়া!”

ভাইয়া আমার দিকে কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে বিছানা থেকে নেমে পূর্বপাশের বড় জানালাটার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। অদূরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থেমে থেমে বলতে লাগলো
—“একটা কাচের গ্লাস ভেঙে গেলে তা সহজে জোড়া লাগানো যায় না। আর সেই অসাধ্যটা যদি কেউ সাধন করতে পারে তবুও কিন্তু দাগগুলো রয়ে যায় স্পষ্টতরভাবে। জোড়া লাগানো গ্লাসটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। বিশ্বাস জিনিসটাও আংশিকভাবে ঠিক কাচের গ্লাসের মতোই। একবার ভেঙে গেলে জোড়া লাগানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এই ক্ষতের দাগ কিন্তু সারাজীবনই রয়ে যায়। আমার হৃদয়টাও বিশ্বাস ভাঙার যন্ত্রণায় আজও পুড়ে। ভুলতে পারি না সেই দিনগুলো। যেই দিনগুলোতে বিরহের অনলে জ্বলেছি প্রতিনিয়ত। তোরা তো এর সাক্ষী ছিলি, তাই না? এখন যখন নিজেকে সামলে উঠতে সফল হয়েছি, তখন ও আবারো কেন আমার জীবনে আসতে চায়ছে? একবার ভেঙেচুরে চলে গিয়ে ক্ষান্ত হয়নি? এবার কী ধ্বংস করে তবে ক্ষান্ত হবে?” কথাগুলো শেষ করে আমার দিকে ফিরে তাকালো ভাইয়া। কিন্তু আমার দিকে না তাকিয়ে নির্নিমেষ চেয়ে রইলো আমার পিছনে। ভাইয়ার দৃষ্টি অনুসরণ করে আমিও তাকালাম পিছন ফিরে। তাকিয়েই অবাক হয়ে গেলাম। আপু স্তব্ধ হয়ে অশ্রুসিক্ত চোখ মেলে তাকিয়ে আছে। আপুর দিকে পা বাড়াবার আগেই সেখান থেকে সে দৌড়ে চলে গেল। ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম

—“দ্যাখো ভাইয়া, মানুষের চোখের পানি কখনো মিথ্যে হতে পারে না। হ্যাঁ, আমি মানছি আপু ভুল করেছিল। যখন ভালবাসার গভীরতা কেউ উপলব্ধি করতে না পারে, তখন ভালবাসা জিনিসটা মানুষের কাছে একপ্রকার মূল্যহীনই ঠেকে। তখন ভুলে কী করে বসে নিজেও জানে না। কিন্তু সে যদি নিজের সমস্ত ভুল বুঝে আবারো ফিরে আসে তাহলে মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?”
—“এমনভাবে বলছিস যেন ভালবাসার ওপর পিএইচডি করেছিস? কিরে, কাউকে ভালবাসিস নাকি? ভালবাসার ব্যাপারে এতকিছু জানিস কী করে?”
থতমত খেয়ে গেলাম আমি। ভাইয়া হঠাৎ আমাকে এসব জিজ্ঞেস করছে কেন? আমি সম্পূর্ণ তা এড়িয়ে গিয়ে বললাম
—“এসব বলতে কাউকে ভালবাসা লাগে নাকি? এগুলো মন থেকে আপনাতেই আসে। সবার জীবনে কিন্তু সঠিক মানুষ আসে না ভাইয়া। তোমার জীবনে যেহেতু দ্বিতীয়বারের মতো এসে ধরা দিয়েছে তাকে ফিরিয়ে দিও না প্লিজ। একবার তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো। চোখ কখনো মানুষকে মিথ্যে বলে না। আপুর চোখে যেমন অপরাধবোধে জর্জরিত হয়ে যাওয়াটা দেখেছি। তেমনি দেখেছি তোমার প্রতি তার সীমাহীন ভালবাসা। যে ভালবাসায় তুমি ডুবে মরবে। সহজে রেহাই পাবে না এর থেকে।”
—“বেশ বড় হয়ে গেছিস তো তুই! তোর আপুকে যেহেতু এতটা বুঝিস, আমাকেও একটু বুঝার চেষ্টা কর। নিজের ভাইয়ের কষ্টটা একবার বুঝার চেষ্টা করবি না? আমার ভিতরে কী চলছে তা কী তুই জানিস? প্লিজ জোর করিস না আমাকে। আমার কথা আমি জানিয়ে দিয়েছি। এখন প্লিজ যা। একটু একা থাকতে দে।” কপালে দুই আঙুল দিয়ে স্লাইড করে বললো ভাইয়া।

আমিও অভিমানী কণ্ঠে বললাম
—“হ্যাঁ, চলেই যাচ্ছি। বলেছিলে আমার শর্তটা রাখবে। এখন যেহেতু তা রাখছোই না আমারও তোমার বাসায় থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। আমি আপুর কাছেই চলে যাব। তোমাকে আর কখনো জ্বালাতে আসবো না।”
—“দ্যাখ আফু, প্লিজ জেদ ধরিস না। আমার….”
ভাইয়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে আসলাম রুম থেকে। পিছন থেকে ভাইয়া ডেকেই যাচ্ছে। কিন্তু আমি কোন প্রত্যুত্তর না করে নিজের রুমে চলে আসলাম।

চলবে………

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে