স্পর্শতায় তুমি পর্ব-১০

0
810

#স্পর্শতায়_তুমি
#পর্ব_১০
#অধির_রায়

নিজের গতিতে বয়ে যাচ্ছে সময়৷ কেটে যাচ্ছে দিন৷ ঋষি ছোঁয়ার সম্পর্কের উন্নতি হলেও কেউ কারোর সাথে সহজভাবে কথা বলতে পারে না৷ ছোঁয়া রুমে বসে অফিসের কাজ করছিল৷ ছোঁয়ার রুমে ছোঁয়ার শাশুড়ী মা আসেন৷ তাদের কথা শুনার জন্য বাহিরে কান পেতে রইল অজান্তা। ছোঁয়ার পাশে বসতে বসতে বলল,

“এখনও কাজ করছো? সারাদিন কাজ নিয়ে ভাবলে হবে নিজেকে নিয়ে কখন ভাবতে? নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য সময় বের করতে হবে৷”

মলিন কন্ঠে বলল,

“মা নিজেকে নিয়ে ভাবার কোন উপায় নেই৷ ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে গেছে৷ পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করলাম সংসারী হওয়ার জন্য। কিন্তু জীবনে কোন কিছুই হতে পারলাম না৷ নিজেকে নিয়ে ভাবতে এখন ভয় লাগে৷”

ছোঁয়া কাঁধে হাত রেখে বলল,

“আমি চাই তুমি নিজেকে নিয়ে ভাবো৷ আমি তোমাকে আবার বিয়ে দিতে চাই৷”

বিয়ের কথা ছোঁয়ার কানে আসতেই ছোঁয়া বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে৷ ছোঁয়ার জীবন থেকে বিয়ে নামক শব্দটা সবকিছু কেঁড়ে নিয়েছে৷ আর কি কেঁড়ে নেওয়ার বাকি আছে? ছোঁয়া চকিত হয়ে বলল,

“না মা! মেয়েরা একবারই বিয়ের পিরিতে বসে৷ আমি আর বিয়ের পিরিতে বসতে পারব না৷”

“কেন? তোমার জীবনের কি কোন গুরুত্ব নেই? তোমাকে অনেক দূরে যেতে হবে৷ তার জন্য তোমার একটা সঙ্গী দরকার৷”

“পারব না আর কিছু হারাতে৷ আপনার বাসায় বুঝা হলে বলতে পারেন৷ আমি এখান থেকে চলে যাব।”

গম্ভীর রাগী গলায় বলল,

“কোথায় যাবে? তোমাদের বাসায় গেলে তোমার ছোট বোন আছে৷ তোমাদের বাসায় গেলে লোক সমাজ তোমাকে বাঁচতে দিবে না৷ সবাই বলবে শ্বশুর বাড়িতেও জায়গা হলো না৷ কে করবে তোমার ছোট বোনকে বিয়ে? তুমি এখানে থাকতে পারো৷ তুমি আমার মেয়ের মতোন৷”

ছোঁয়ার চোখ থেকে টলমল করে অশ্রু ঝড়ে যাচ্ছে৷ ভেজা গলায় বলল,

“মেয়ের মতো কিন্তু মেয়ে নয়৷ আপনি আমাকে কখনও মেয়ে ভাবেন নি৷ মেয়ে ভাবলে আমার বিয়ের কথা বলতে পারতেন না৷ অজান্তা তো আছেই৷ অজান্তা আমার থেকে বয়সে বড়৷ তার বিয়ের কথা কোন দিন শুনিনি আপনার মুখে৷”

“অজান্তা বিয়ে, ভালোবাসা, প্রেম এসবে বিশ্বাসী নয়৷ তাকে বিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করছি৷ তুমি আমাকে নিজের মা ভাবলে আমার মুখের উপর বলে দিতে না আমি তোমার মা নয়৷ তোমার মা হয়ে তোমার কাছে আবদার নিয়ে আসছিলাম৷”

ছোঁয়া নিরবে নিভৃতে কান্না করে যাচ্ছে৷ অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছে৷ শ্বাশুড়ি মায়ের কথা কানে বাজছে৷ তোমাকে আবার বিয়ে দিব৷ ছোঁয়া করুন কন্ঠে বলল,

” মা আমি বাকি জীবন ভালোবাসার মানুষের স্মৃতি ধরে বাঁচতে চাই৷ আমি কাউকে নিজের জীবনে জড়াতে পারব না৷ আমার জীবনের সব থেকে দামী জিনিস হলো ভালোবাসা। তাকে মনে রেখেই বাঁচতে চাই৷”

“আমি তোমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিব৷ তোমাদের ভালোবাসার মানুষের হাতেই আমি তোমাকে তুলে দিব৷ তোমার ভালোবাসার মানুষ কে?”

“আমার জীবন কারোর জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে৷ আমি কিছুতেই তার কাছে ফিরে যেতে পারব না৷ আমি তার কাছে ফিরে গেলে লোক সমাজে তার মাথা নিচু হয়ে যাবে৷ আমি বেঁচে থাকতে কিছুতেই তার মাথা নিচু হতে দিব না৷”

অজান্তা রুমে প্রবেশ করতে করতে বলল,

“তোমাকে ছাড়া তোমার ভালোবাসার মানুষ ভালো নেই৷ প্রতিনিয়ত তোমার বিহনে দগ্ধে দগ্ধে মা-রা যাচ্ছে৷ তোমার চোখে কি একবারও পড়েনি! তাকে তুমি প্রতিনিয়ত দেখে যাচ্ছো৷”

অজান্তার মা অজান্তার দিকে তাকিয়ে বলল,

“তুমি কার কথা বলছো? কাকে ছোঁয়া প্রতিনিয়ত দেখে যাচ্ছে?”

অজান্তা কিছু বলার আগে ছোঁয়া বলল,

“অজান্তা ভুল বকে যাচ্ছে৷ তার কথা বিশ্বাস করবেন না৷ আমার জীবন নিয়ে তোমার কিছু বলার নেই অজান্তা৷ আমার জীবনের যা সিদ্ধান্ত আমি নিব৷ তুমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ না৷”

“আজ আমাকে থামাতে পারবে না তুমি৷ আমার বিয়ের কথা বললে আমিও বিয়ে করব৷ তবুও তোমাকে ঋষিকে বিয়ে করতে হবে৷ ঋষি তোমার জন্য প্রতিনিয়ত মা-রা যাচ্ছে। তোমার চোখে ঋষির কষ্ট পড়ে না৷ তোমাকে দেখার জন্য সে দিনের পর দিন আমাদের অফিসে পড়ে আছে৷ তোমাকে এক নজর দেখবে বলে বিসিএস পরীক্ষা অব্ধি দেয়নি৷ তার সমস্ত সুখ তোমার মাঝে নিহিত। কাকে কি বলব? তুমি ভালোবাসার মানে কিছু বুঝ? তুমি মনে করছো তোমার জন্য ঋষির মাথা নিচু হয়ে যাবে৷ তোমার জন্য কখনও ঋষির মাথা নিচু হবে না৷ তোমার জন্য সে এক কথায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারে৷ সত্য বলতে তুমি কখনও ঋষিকে ভালোবাসো নি৷ তোমার ভালোবাসা খাঁটি হলে তুমি ঋষির দুঃখ বুঝতে৷ তুমি সেই পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে ঋষির হাত ছেড়ে দিলে৷ আজ সেই পরিবার তোমাকে ঋষির হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে৷ সেদিন পরিবারকে বড় করে দেখলে আজ তোমার কাছে পরিবার ছোট হয়ে গেল৷ তুমি ঋষিকে বাধ্য করেছিলে নিজের জীবন থেকে দূরে যেতে৷ ঋষি তোমার হাত কখনও ছাড়েনি৷ তোমাকে নিয়ে দূর দেশে পাড়ি জমাতে চেয়েছিল৷ তোমার জন্য তার পরিবারের বিরুদ্ধে একবারও যায়নি৷ তোমাকে ঋষির বউ করার জন্য প্রকৃতি তোমার মায়ের পা ধরে ভিক্ষা চেয়েছে৷ শুধু প্রকৃতি নয়৷ ঋষির বন্ধু অর্পণ নিজের সমস্ত প্রোপার্টি লিখে দিতে চেয়েছিল৷ তুমি এসব কিছুই জানো না৷ প্রকৃতি হাজার অপমাণিত হওয়ার পরও তোমার সঙ্গ ছাড়েনি। তোমাকে প্রতিনিয়ত সাহস দিয়ে গেছে৷ আমি জোর দিয়ে বলতে পারব তোমার ভালোবাসা ছিল মোহ৷ তুমি কখনও ঋষিকে ভালোবাসাে নি..।”
অনবরত কথাগুলো বলে যাচ্ছে৷ আরও কিছু বলার আগেই ছোঁয়া অজান্তার গালে থাপ্পড় দিয়ে বলল,

“ব্যাস অজান্তা৷ আমার ভালোবাসার নামে একটাও বাজে কথা বলবে না৷ আমার পবিত্র ভালোবাসাকে তুমি অপবিত্র করবে না৷ আমার কাছে আমার ভালোবাসা সবার ঊর্ধ্বে। আমি ঋষির হাত কখনও ছাড়িনি৷ ঋষি যেন অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমি ঋষির লাইফ থেকে দূরে সরে এসেছি৷”

অজান্তার মা কিছু বলতে নিলে অজান্তা থামিয়ে দেয়৷ অজান্তার ফর্সা গাল লাল টকবক করছে৷ একটি টুকা দিলেই যেন রক্ত বেরিয়ে আসবে৷ চোখের জল মুখে বলল,

“আমার বিয়ের নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না৷ আমি ঋষির বন্ধু অর্পণকে বিয়ে করব৷ তুমি জেনে কষ্ট পাবে বলে আমি সব চেপে গেছি৷ আমিও নিজের জীবনের থেকে বেশি ঋষিকে ভালোবাসি৷ কিন্তু ঋষি আমাকে এক মুহুর্তের জন্য ভালোবাসেনি৷ আমি ঋষিকে কখনও কষ্ট পেতে দিব না৷ আমার জীবনে ভালোবাসার বীজ উৎপন্ন করেছে ঋষি৷ তাকে দেখে বুঝতে পারি ভালোবাসার মানে৷ তোমার যদি কোন দিন আমাকে নিয়ে সন্দেহ হয় সেজন্য আমি অর্পণকে বিয়ে করতে রাজি৷ অর্পনের সাথে প্রাইভেট পড়তাম৷ তখন থেকে অর্পন আমাকে পছন্দ করে৷ আমার মনে কখনও ভালোবাসার ফুল ফুটাতে পারেনি৷ আমি খুঁজ নিয়ে জানতে পারি ঋষির একমাত্র বন্ধু অর্পণ। আমার বিয়ে নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে বলতে পারো৷”

ছোঁয়া অজান্তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ ছোঁয়ার জন্য অজান্তা অনেক কিছু করছে। নিজের ভালোবাসা কুরবানি দিয়েছে ছোঁয়াকে ঋষির কাছে ফিরিয়ে দিতে৷ ছোঁয়া ভেজা গলায় বলল,

“আমাকে ক্ষমা করে দাও৷ আমি বুঝতে পারিনি৷ আমি না জেনেই তোমার গায়ে হাত তুলেছি৷ প্লিজ কিছু মনে করো না৷ আমি ঋষিকে আর কষ্ট পেতে দিব না৷ আমি ঋষির সাথে ঘর বাঁধতে রাজি৷”

অজান্তার মা বলে উঠল,

“আমি ঋষিকে অফিসের বড় কোন পদে নিযুক্ত করব৷ তুমি অফিসের এমডি আছো, আর চিরকাল থাকবে৷ আমার মেয়ের যতটুকু অধিকার আছে৷ তোমারও ততটুকু অধিকার আছে৷”

অজান্তা, ছোঁয়া তাদের মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ অজান্তা ভেজা গলায় বলল,

“মা দাদাকে ক্ষমা করে দাও৷ তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসো৷ আমাদের বাড়িতে আবার হাসি ফিরে আসবে৷ আমরা আবার এক হয়ে বাঁচব।”

মুচকি হেঁসে বললেন,

“আমি স্বচ্ছের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম৷ তাকে তোমরা বাড়িতে ফিরে আসতে বলো। আমি তার কাছে অপরাধী৷ আমি স্বচ্ছ আর আমার বউমাকে বাড়িতে দেখতে চাই৷”

অজান্তা দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়৷ ফোন নিয়ে স্বচ্ছকে ফোন দিয়ে সব কিছু জানিয়ে দেয়৷ ফোন রেখে ভাবতে থাকে ঋষিকে কিভাবে বিয়েতে রাজি করাবে? ঋষি বিয়েতে রাজি হবে কি? অজান্তা ফোন দিয়ে প্রকৃতি আর অর্পনকে নিজ বাসায় আসতে বলে৷

প্রকৃতি পড়ার টেবিলে বসে নিজের পড়া কমপ্লিট করে যাচ্ছে৷ পুষ্প স্যার সন্ধ্যার পর থেকে বাড়িতে নেই৷ পুষ্প স্যারের খুঁজ জানার জন্য প্রকৃতি ফোন দিলে অপর পাশ থেকে বলে উঠল,

“আমি বিজি আছি৷ তোমার সাথে পরে কথা বলব৷”

প্রকৃতি মুখ গোমড়া করে নিজের পড়া পড়ে যাচ্ছে৷ প্রকৃতির পড়ার মাঝে পুষ্প স্যার রুমে প্রবেশ করে৷ প্রকৃতির দিকে না তাকিয়ে টি শার্ট, টু কোয়াটার নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়৷ আড় চোখে সবকিছু দেখে যাচ্ছে প্রকৃতি।

প্রকৃতি মনে মনে বলল,

“আমার স্বামী আমাকে একটুও ভালোবাসে না৷ মুভিতে দেখি স্বামীরা বাহির থেকে এসে বউকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে পৃথিবীর সকল সুখ খুঁজে পাই৷ আমার স্বামী নিজ থেকে তো কোনদিন কথাই বলে না৷ আবার কি’না জড়িয়ে ধরবে৷ হে সৃষ্টি কর্তা আমার স্বামীকে একটু রোমান্টিক বানিয়ে দাও৷ এমন আনরোমাটিক বর থাকলে কোনদিন মা ডাক শুনতে পারব না৷”

পুষ্প স্যার ওয়াসরুম থেকে বের হতেই প্রকৃতি ছোট বাচ্চাদের মতো চিৎকার করে পড়া শুরু করে৷ আজ কিছুতেই পুষ্প স্যারেট সাথে কথা বলবে না৷ পুষ্প স্যার বিছানায় বসে প্রকৃতির দিকে অবাক চোখে তাকায়৷ প্রকৃতির মনে উত্তাল ঢেউ বয়ে যাচ্ছে৷ আজ তার স্বামী তার দিকে তাকিয়ে আছে৷ পুষ্প স্যার কাশি দিয়ে বলল,

“জল এনে দিব৷ জোরে জোরে পড়তে পড়তে তোমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে৷”

পুষ্প স্যারের কথায় প্রকৃতির অনেক রাগ হয়৷ প্রকৃতি বই রেখে তেড়ে কাছে আসে৷ প্রকৃতি তেড়ে আসতেই প্রকৃতির হাত ধরে পুষ্প স্যার নিজের কোলে বসায়৷ প্রকৃতি উড়তে নিলেই পেটে হাত দিয়ে প্রকৃতিকে চেপে ধরে৷ চুলে মুখ গুছে নেশা ভরা কন্ঠে বলল,

“আমার উপর তোমার এতো অভিমান৷ আমাকে মে’রে ফেললে বর কোথায় পাবে?”

“লজ্জা করে না স্যার হয়ে ছাত্রীর সাথে অসভ্যতামী করতে৷ ছাড়েন আমাকে৷”

“আমি ভার্সিটিতে তোমার স্যার৷ এখন তোমার স্বামী৷ তোমার উপর আমার অধিকার আছে।”

“অধিকার দেখাতে আসবেন না৷ আপনি কি স্বামী হওয়ার কোন কর্তব্য পালন করেছেন?”

“ওকে আজ থেকে স্বামী হওয়ার কর্তব্য পালন করব। সেজন্য চোখ বন্ধ করতে হবে।”

“পারব না চোখ বন্ধ করতে৷ চোখ বন্ধ করলে আপনি আমার সাথে কি না’কি করেন?”

প্রকৃতির ঘাড়ে ভালোবাসার পরশ একে বলল,

“চোখ বন্ধ না করলে এভাবেই বসে থাকো৷ আমার ভালোই লাগছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে রাখতে৷”

“ওকে ফাইন। আমি চোখ বন্ধ করছি।”

প্রকৃতি চোখ বন্ধ করতেই পুষ্প স্যার প্রকৃতির হাতে নুপুর দেয়৷ প্রকৃতি চোখ মেলে নুপুর দেখে খুব খুশি৷ পুষ্প স্যারের কাছ থেকে প্রথম উপহার খুব খুশি।

“ভালো হয়নি৷ এভাবে দেখছো কেন? তোমায় পায়ে মানাবে না?”

“খুব সুন্দর হয়েছে৷ কিন্তু আমার পায়ে পড়ানোর মানুষ নেই৷ কাল ভার্সিটিতে যাওয়ার পর পড়বো৷ ভার্সিটিতে অনেক বন্ধু আছে৷ তাদের বললে পড়িয়ে দিবে৷”

বন্ধু কথাটা হজম করতে পারল না পুষ্প স্যার৷ নুপুর হাতে নিয়ে প্রকৃতির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। প্রকৃতির পা নিজের উরুতে রেখে নুপুর পড়িয়ে দেয়৷ পুষ্প স্যারের স্পর্শে প্রকৃতি কেঁপে উঠে৷ খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেলে। প্রকৃতিকে নুপুর পড়ানোর পর প্রকৃতির দুই চোখে আলতো করে ভালোবাসার পরশ একে দেয়৷

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে