#স্পর্শতায়_তুমি
#পর্ব_০৮
#অধির_রায়
অজান্তা বসে কান্না করতে থাকে৷ অজান্তার কান্না দেখে পূর্নিমার চাঁদও কান্নায় ভেঙে পড়ে। সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কেউ নেই৷ নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে৷ কাউকে ভালোবাসলে কষ্ট পেতে হয় জানা ছিল না৷ দাঁড়ানো শক্তি পাচ্ছে না৷ সব শক্তি গ্রাস করে নিয়েছে ভালোবাসা নামক শব্দটি৷ চোখের জল মুছে উড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল৷ অতি কষ্টে নিজেকে দাঁড় করাতে পারল৷ মুখে জলের ছিঁটা দিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করল৷ ড্রাইভ করে বাসায় ফিরতে হবে৷ অজান্তার চোখ থেকে জলের ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে অনবরত৷ আনমনে ড্রাইভ করে কোন রকমে বাসায় আসে। রুমে এসে নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারল না৷ ফোনে ঋষির ছবি বের করে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে৷ নিজের উপর রাগ করে ফোনটা ছুঁড়ে মা’রে। প্রায় দুই ঘন্টা যাবত শাওয়ার ছেঁড়ে স্নান করে৷ চোখের জল শালওয়ারের জলের সাথে একাকার হয়ে গেছে৷ রাতে ডিনার না করে ঋষির কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে৷
ঋষি নিজেকে হালকা লাগছে৷ সে নিজের জীবনটাকে একটু একটু করে গুছিয়ে নিতে পারছে। নির্ধিদ্বায় অজান্তাকে মনের কথা বলতে পেরেছে৷ তার ক্ষত লাইফে অজান্তাকে জড়াতে পারবে না৷ ঋষি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে৷
— “একটা গোল আর একটা গোল৷ তিথি তুই দেখে নিবি আর্জেন্টিনাই এবার কাপ নিবে৷ মেসি এবার গোল দিবে৷ গোল… ”
পুষ্প স্যার কোমরে হাত দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। গম্ভীর গলায় চিৎকার করে বলল,
“প্রকৃতি কি হচ্ছে এসব? আমাকে লা’থি দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিলে কেন?”
পুষ্প স্যারের রাগী কন্ঠস্বর শুনে প্রকৃতির ঘুম ভেঙে যায়৷ ঘুম ঘুম চোখে পুষ্প স্যারের দিকে তাকিয়ে বলল,
” আপনি মেয়েদের মতো কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে কেন? আপনি নৃত্য করবেন? আমাকে বললে আমি আরও সুন্দর ভাবে আপনাকে নাচ তুলে দিতাম৷”
পুষ্প স্যার গম্ভীর ভয়ংকর রাগী গলায় বলল,
“একদম বা’জে কথা বলবে না৷ তুমি আমাকে লা’থি দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিছো। দিন দিন তোমার স্পর্ধা বেড়েই চলছে৷”
প্রকৃতি বুঝতে পারে ঘুমের মাঝে পুষ্প স্যারকে বল ভেবে গোল দিছে৷ মেসির জায়গায় প্রকৃতি ক্লিক করেছে৷ প্রকৃতি বুঝেও না বুঝার ভান করে। বিছানা থেকে লাফ দিয়ে পুষ্প স্যারের সামনে দাঁড়ায়৷ চোখে চোখ রেখে বলল,
“আমার নামে দোষ চালানোর চেষ্টা করবেন না৷ স্ত্রীর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না? নম্রতা বজায় রেখে কথা বলবেন৷ আপনি আমার শিক্ষক নয় যে আপনার উঁচু কন্ঠ শুনে ভয় পাব।”
পুষ্প স্যার রীতিমতো অবাক৷ হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে৷ তার সাথে কখন উঁচু গলায় কথা বলল। কোমল গলায় বলল,
“প্রকৃতি তুমি লিমিট ক্রস করে ফেলছো৷ একে তো দোষ করেছো তার উপর উঁচু গলা৷”
“আপনার মনে ছিল না কানে ধরে দাঁড় করানোর৷ আমার জায়গায় আপনি থাকলে কি করতেন? আপনার মান সম্মান যায়নি৷ আপনি মান সম্মানের কি বুঝেন? আপনাকে বললাম আমি আপনাকে বিয়ে করব না৷ আপনি সবার সামনে বললেন আমাকে বিয়ে করতে চান। কেন মিথ্যা কথা বলেছেন সবার সামনে?”
পুষ্প স্যার প্রকৃতির হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে৷ তাদের মাঝে চুল পরিমাণও দূরত্ব নেই৷ পুষ্প স্যারের নেশা ভরা কন্ঠে বলল,
“তুমি নিজেই আমাকে বিয়ে করার জন্য পা’গ’ল ছিলে। তোমার সম্মতি না থাকলে বিয়ে করতে না৷ তুমি না করে দিতে৷”
প্রকৃতি আমতা আমতা করে বলল,
“আমি গুরুজনদের সামনে না করতে পারতাম না৷ আমি আপনাকে ভালোবাসি না। কিভাবে আপনার সাথে সংসার করব?”
পুষ্প স্যার প্রকৃতিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে৷ প্রকৃতিকে এই প্রথম কোন পুরুষ স্পর্শ করল। প্রকৃতি কেঁপে নিজেও জড়িয়ে ধরে৷ খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেলে৷ পুষ্প স্যার প্রকৃতির কানে ফিসফিস করে বলল,
“আমাকে ভালো না বাসলে বিয়ে করতে না৷ তোমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আমার কাছে আছে৷ তোমার মেসেঞ্জার দেখলে বুঝা যায়৷ মিথ্যা দিয়ে তুমি উপন্যাস বানিয়ে ফেলতে পারবে৷ আমি বাসর রাতে কিছুই করলাম না। তুমি সবার সামনে আমাকে লু’চু প্রমাণ করেছো।”
প্রকৃতি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। মাঝরাতে অসভ্যতা করছেন কেন? আপনি আমার শিক্ষক। আমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন৷”
পুষ্প স্যারের হাতের বাঁধন হালকা হতেই প্রকৃতি পুষ্প স্যারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়৷ বিছানায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে পড়ে৷ প্রকৃতি ভাবতে থাকে তার বন্ধুদের কি বলেছে?
অর্পি প্রকৃতির কাছে বাসর ঘরের কাহিনি শুনতে চাচ্ছে৷ প্রকৃতি লজ্জমাখা মুখ করে বসে আছে৷ যা তিথির কাছে বিরক্তিকর লাগছে৷ তিথি বিরক্ত কন্ঠে বলল,
“অর্পি তোর মাথায় কবে বুদ্ধি হবে? গম্ভীর স্যারের আবার বাসর৷ স্যার বাসর ঘরে গম্ভীর ভাবে প্রবেশ করে বলেছে মেবি তোমার মতো গা’ধী ছাত্রীকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছা ছিল না৷ পরিবারের চাপে তোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি৷ যাও মাটিতে শুয়ে পড়ো। ছেলেরা এসবই করে৷”
প্রকৃতি লজ্জামাখা কন্ঠে বলল,
“না তিথি! উনি খুব রোমান্টিক। বিয়ে না হলে জানতে পারতাম না৷ আমি সালাম করতে নিলে বলে উঠে, ‘তোমার জায়গা আমার হৃদয়ে৷ আমার পায়ে তোমার কোন জায়গা নেই৷’ আমার কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়৷ আমাকে বুকের সাথে মিশিশে নেয়৷ তারপর অনেক কিছু…”
প্রকৃতির ভাবনার মাঝে পিছন থেকে পুষ্প স্যার জড়িয়ে ধরে। প্রকৃতি কেঁপে পুষ্প স্যারের হাত চেপে ধরে৷ শ্বাস ভারী হয়ে আসে৷ বুকের হার্ড বিট বাড়তে থাকে৷ পুষ্প স্যার কোন কথা না বলে প্রকৃতির কেশে মুখ লুকায়৷ প্রকৃতির ঘাড়ে আলতো করে ভালোবাসার পরশ একে ঘুমিয়ে পড়ে৷
ছোঁয়ার ডাকে ঘুম ভাঙে অজান্তার৷ সারারাত কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলে গেছে৷ নেত্রদ্বয় লাল বর্ণ ধারণ করেছে৷ ছোঁয়া অজান্তার অবস্থা দেখে কিছুটা ভয় পেল৷ অজান্তাকে এমন রুপে ছোঁয়া কখনও দেখেনি৷ ছোঁয়া চকিত হয়ে প্রশ্ন করল,
“কি হয়েছে তোমার? তোমার অবস্থা এমন দেখাচ্ছে কেন?”
ছোঁয়াকে দেখে অজান্তার সব মনে পড়ে যায়৷ ঋষির ভালোবাসা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ অজান্তা ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়৷ ছোঁয়া এবার আর নিজেকে শান্ত রাখতে পারল না৷ ভয়ে ভয়ে বলল,
“অজান্তা কান্না করো কেন? তোমাকে আমি এমন অবস্থায় দেখতে পারছি না৷”
অজান্তা ভেজা কন্ঠে বলল,
“বউদি আমি লাইফে হেরে গেছি৷ আমি নিজের সাথে যুদ্ধ করতে পারছি না৷”
ছোঁয়া চিন্তিত গলায় বলল,
“লাইফে হেরে গেছো মানে? তুমি কি কাউকে ভালোবাসো? তোমার লাইফে কেউ এসেছিল?”
“অজান্তা চোখের জল মুছে বলল,
” বউদি আমি জানি ভালোবাসা হারানো কতো কষ্ট। তুমি কেন নিজের ভালোবাসা থেকে দূরে সরে এলে?”
অজান্তার কথা ছোঁয়ার মনে ছ্যাত করে উঠে৷ ছোঁয়া কাউকে ভালোবাসত ছোঁয়ার শ্বাশুড়ি মা ছাড়া কেউ জানে না। অজান্ত কিভাবে জানল? ঋষির কথা মনে পড়তে ছোঁয়ার চোখ টলমল করতে লাগল। মিথ্যা হাসি দিয়ে বলল,
“তুমি কি বলছো? আমি কাউকে ভালোবাসি না৷ আমার ভালোবাসা ছিল আমার মা বাবা। ভেবেছিলাম বিয়ে করে সংসারী হবো। আমার লাইফে সংসার করা হলো না৷ তবে আমি আমার সংসারে তোমাকে এবং মাকে পেয়ে খুব খুশি৷ তোমাদের সাথে অফিস সামলাচ্ছি। আমার জীবনে তোমরাই সব৷”
“বুকে পাথর চেপে কতো সহজেই কথাগুলো বলে দিলে৷ আমি তোমার সম্পর্কে সব জানি৷ তুমিও একজনকে পা’গ’লের মতো ভালোবাসতে৷”
ছোঁয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করল৷ মিহি কন্ঠে বলল,
“হুম আমি পা’গ’লে’র ভালোবাসি তোমাকে। আমার শ্বাশুড়ি মাকে৷ যাদের জন্য আজ আমি এই বাড়িতে আছি৷”
ছোঁয়ার হাতের উপর হাত রেখে বলল,
“আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল৷ তুমি আমার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না৷ কেন বারবার তোমার চোখ জলে ভিজে উঠছে?”
“পা’গ’ল মেয়ে৷ রান্নার সময় চোখে ধোঁয়া লেগেছে৷ সেজন্য চোখ থেকে জল পড়ছে৷”
“তুমি মি. ঋষি রাজকে ভালোবাসতে না৷ তাকে তুমি নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসাে। কেন আমার কাছ থেকে লুকানোর চেষ্টা করছো?”
ছোঁয়ার বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করে৷ অজান্তার আড়ালে সে ব্যথাকে নিরাময় চেষ্টা করে৷ শাসনের স্বরুপ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“ছি অজান্তা! তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো? ভুলে যেও না আমি তোমার দাদার বউ। আমার নামে বা’জে কথা বলার আগে দুই বার ভাববে৷”
ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলল,
“ইচ্ছা হলে আমাকে মেরে ফেলো৷ তবুও আমি বলব তুমি ঋষি রাজকে ভালোবাসাে৷ কেন তুমি ঋষি রাজকে ছেড়ে দিলে?”
অজান্তার কষ্ট দেখে ছোঁয়াও অনেক কষ্ট হচ্ছে। ছোঁয়া অজান্তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়৷ ভেজা গলায় বলল,
“আমি পরিস্থিতির স্বীকার৷ আমি আজও নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসি ঋষিকে৷ তাকে ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনাও করতে পারিনা। আমার প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস মিশে আছে ঋষি৷ বাকি জীবন তার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই৷”
অজান্তা মনে মনে বলল,
“আমি তোমাদের ভালোবাসার পূর্ণতা দিব৷ তোমাদের আমি এক করব। তোমাদের দু’জনের মুখে হাসি ফুটাব। আমার ভালোবাসা যদি সত্য হয় তাহলে আমি তোমাদের এক করতে পারবই৷ ভালোবাসার কসম।”
“কেন ঋষির কাছে ফিরে যাচ্ছো না? তোমাকে ছাড়া ঋষি দগ্ধে দগ্ধে মারা যাচ্ছে৷”
ভেজা গলায় বলল,
“তা হয়না অজান্তা৷ আমি চাইলেও ঋষির কাছে ফিরে যেতে পারব না৷ আমাদের মাঝে বিশাল দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে৷ সে দেয়াল ভেদ করার ক্ষমতা আমাদের কারোর নেই৷ তোমার ভালোবাসা মানুষ কে?”
“আমার ভালোবাসা সব সময় আমার কাছে আছে৷ ভালোবাসার স্বর্গ থেকে আসে৷ আমার ভালোবাসা স্বর্গে চলে গেলেও আমার মনে আছে৷ আমি তাকে কখনও ভুলতে পারব না৷ জীবনে কাউকে ভালো বাসতেও পারব না৷”
“আমার একটা কথা রাখবে?”
“তোমার কথা রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব৷ তবে তোমাকেও আমার কথা রাখতে হবে৷ বলো কি কথা?
“তোমার দাদাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসো৷ মাকে বলে বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরতে বলো৷ আমি স্ত্রীর দাবি নিয়ে তার সামনে যাব না৷”
“ওকে আমি মায়ের সাথে কথা বলে দেখব৷ আজ আমি অফিস শেষে মায়ের সাথে কথা বলবো। তুমি এখনও তৈরি হয়নি কেন? অফিসে যাবে না৷”
“আমি আজ অফিসে যাব না৷ আমার কাজ ঋষি করে দিবে৷ আমি আজ ভার্সিটিতে যাব৷ অনেকদিন হলো ভার্সিটিতে যাইনা৷”
“ওকে৷ আমি আর মা সব সামলে নিব৷”
অজান্তা খুব খুশি৷ সে তার মাকে আজ সব কিছু বলবে৷ ছোঁয়ার ভালোবাসার পূর্ণতা দেওয়ার জন্য মাকে রাজি করাবে। ঋষি ছোঁয়ার ভালোবাসা এক করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
চার জোড়া চোখ একে অপরকে দেখে যাচ্ছে৷ কারোর মুখে কোন কথা নেই৷ ছোঁয়াকে কাছে পেয়ে তিনজন খুব খুশি৷ ছোঁয়া সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“তিথি তুই কথা বলছিস না কেন? তুই এক মিনিট কথা না বলে থাকতে পারিস না৷ কেন হু’তু’ম্বু’বুর মতো বসে আছিস?”
তিথি জবাবে বলল,
“তুই ভার্সিটিতে আসছিস বলে তোকে নিয়ে নৃত্য করব৷ তুই কেন আসলি ভার্সিটিতে? তোকে আর পড়তে হবে না৷ তুই তোর স্বামী কালাচাঁদের সাথে সংসার কর৷”
ছোঁয়া মুচকি হেঁসে বলল,
“আমার উপর তোদের এতো অভিযোগ। আমার লাইফে থেকে সব রং হারিয়ে গেছে। লেখাপড়া, সংসার এসব দিয়ে কি হবে? প্রকৃতি চুপ করে বসে আছিস কেন?”
প্রকৃতি কোমল গলায় বলল,
“আজ রাতে পুষ্প স্যারকে লা’থি দিয়ে আর্জেন্টিনা পাঠিয়ে দিয়েছি৷ আমার ভয় হচ্ছে। উনি ক্লাসে যদি আমাকে ব্রাজিল পাঠিয়ে দেয়৷ আমি আর্জেন্টিনা ছাড়া কোথাও যাব না৷”
উপস্থিতি সবাই হেঁসে উঠে প্রকৃতির কথা শুনে৷ অর্পির হাসি থামার কোন নাম গন্ধ নেই৷ তিথি হাসতে হাসতে বলল,
“পুষ্প দুলাভাইয়ের জীবনটাকে তুই তেজপাতা বানিয়ে দিলি৷ তুই লা’থি দিছিস৷”
চলবে…..