#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:২০
কারো উষ্ণ পরশে ঘুম ভেঙ্গে গেল স্নিগ্ধতার, ঘুমঘুম চোখে পাশ ফিরে তাকাতেই ঘুমন্ত স্তব্ধকে দেখতে পেয়ে মুচকি হাসলো।স্তব্ধ সোফায় শুয়ে ছিল কিন্তু স্নিগ্ধতা ঘুমিয়ে যেতেই আবার স্নিগ্ধতার পাশে এসে শুয়েছে।স্নিগ্ধতা তাকিয়ে স্তব্ধের মাথায় হাত রাখতেই স্তব্ধ বলল,
– এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে জামাইকে দেখতে হবে কেন? তুমি চাইলে সামনাসামনি তাকিয়ে আমায় দেখতে পারো।
– আপনি ঘুমাননি?
– উহু।
– কেন?
– ঘুম আসছে না।
– ওহ।
– ছাদে যাবে?
– এত রাতে!
– কেন ভয় লাগে?
– একটু একটু।
– আমি আছি তো কোনো ভয় নেই।
– যাব না ঘুমান।
বলেই স্নিগ্ধতা অন্যদিকে ফিরে চোখ বন্ধ করে নিলো। স্তব্ধ তো ছাড়ার পাত্র নয় শোয়া থেকে উঠে স্নিগ্ধতাকে কোলে তুলে নিয়ে বারান্দায় চলে গেল।স্নিগ্ধতা হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছে স্তব্ধ বিরক্ত কন্ঠে বলল,
– তোমার মতো চালের বস্তা কোলে উঠে লাফালাফি করলে আমি তো এবার পড়ে যাব, হাত-পাও ভেঙ্গে যাবে তখন কিন্তু তোমাকেই সবাই বলবে স্নিগ্ধতা তোর হাজব্যান্ড দেখতে বাজে।
স্নিগ্ধতা শব্দ করে হেসে দিল,স্তব্ধ মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখতে লাগল আর মনে মনে বলল,’মানুষের হাসি এতটাও সুন্দর হয়?’
স্নিগ্ধতা ব্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল,
– এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
– তোমাকে দেখছি।
– কি দেখলেন?
– একটা মেয়ে এতটা সুন্দর হয় কিভাবে?
– শুধু আপনার কাছেই।
– আর কারো কাছে সুন্দর হওয়ার দরকার নেই তোমার সৌন্দর্য শুধু আমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে আমিই শুধু তোমাকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখব।
– কেন?
– কারণ তুমি শুধুই স্তব্ধের স্নিগ্ধতা।
স্নিগ্ধতা আবারও হাসলো,স্তব্ধ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে বলল,
– এভাবে হেসো না পাগল হয়ে যাব।
– ঠিক আছে এখন নিচে নামান।
– যদি চলে যাও?
– আমি আপনার মতো না যে ছেড়ে চলে যাব।
স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে নিচে নামিয়ে বলল
– আমি তোমায় ছাড়িনি শুধু তখনকার পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সাইন করেছিলাম তবে তোমায় ছাড়া আমি ভালো ছিলাম না মমকে উপেক্ষা করেই তোমায় ফিরিয়ে আনতে ছুটে গিয়েছিলাম।
এই মুহূর্তটাকে বিষিয়ে দিতে চায় না স্নিগ্ধতা তাই কথা ঘুরিয়ে বলল,
– ছাদে যাবেন বলেছিলেন তাহলে বেলকোনিতে এলেন কেন?
– ছাদে যাওয়া ক্যান্সেল।
– কেন?
– জ্বীনে যদি আমার এই পরীটাকে নিয়ে যায় তখন আমার কি হবে! তাই প্রেম করার জন্য এটাই পারফেক্ট জায়গা।
স্তব্ধের কথায় স্নিগ্ধতার আজ শুধু হাসি পাচ্ছে আর স্তব্ধেরও স্নিগ্ধতার হাসিতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।বেশ কিছুক্ষণ দু’জনে একসঙ্গে দাড়িয়ে আকাশ দেখল,স্নিগ্ধতা এবার স্তব্ধের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
– একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
স্তব্ধ দুষ্টুমি করে বলল,
– একটা কেন তুমি চাইলে অনেকগুলো কথা জিজ্ঞেস করতে পারো।
– সঠিক উওর দিবেন তো?
– জানা থাকলে অবশ্যই দিব।
– আদ্রিককে কেন মে’রেছেন?
স্তব্ধ ভরকে গেল,স্নিগ্ধতা উওরের অপেক্ষায় স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে আছে। স্তব্ধের নিরবতা দেখে স্নিগ্ধতা বলল,
– বলছেন না কেন?
– মা’রার কাজ করেছে তাই মে’রেছি।
– এটা আমার প্রশ্নের উওর নয় কি করেছে তাই জানতে চাইছি।
স্তব্ধ বেলকোনির রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে কঠোর গলায় বলল,
– আমার কাছে তোমাকে চেয়েছে তাও আবার এক রাতের জন্য।
মনটা বিষাদে ভরে গেছে মনে মনে ভাবছে স্নিগ্ধতা, ‘একটা মানুষের চিন্তা ধারা এত নোংরা কিভাবে হতে পারে? কিভাবে একটা মানুষ এত খারাপ হয়।’
স্তব্ধ স্নিগ্ধতার চুল নাড়াচাড়া করতে করতে বলল,
– মন খারাপ হয়ে গেছে?
– আপনার একবারও জানতে ইচ্ছে হয়নি কেন আদ্রিক আমার পেছনে পড়ে আছে কেন আপনাকে এসব বলেছে? কি সম্পর্ক আমাদের?
– না।
– কেন? সন্দেহ তো হবার কথা নিজের ওয়াইফের সম্পর্কে কেউ নোংরা কথা বলেছে যে কারো মনেই তো প্রশ্ন জাগার কথা।
– সন্দেহ করার মতো কিছু পাইনি,আদ্রিকের সঙ্গে তোমার কোনো সম্পর্ক থাকলে তুমি নিশ্চই এত সহজে আমাদের সম্পর্ক মেনে নিতে না আর আদ্রিকও ব্যক্তিত্বহীনের মতো আমার কাছে এত নোংরা প্রস্তাব দিত না।
স্নিগ্ধতা আলগোছে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল,স্তব্ধ যে এত সহজে ব্যাপারটা বুঝবে স্নিগ্ধতা ভাবতেই পারেনি।স্নিগ্ধতা স্তব্ধের হাত জড়িয়ে ধরে বলল,
– আপনার সবটা জানা উচিত মানুষের মন সবসময় একরকম থাকে না কখনও মনের কোনো এক জায়গায় প্রশ্ন জম্মাতে পারে।
– তোমার সমস্যা না থাকলে বলতে পারো কিন্তু আমি জোর করছি না।
স্নিগ্ধতা বলতে লাগলো,
– আদ্রিক আর আমি এক ভার্সিটিতে পড়তাম, আদ্রিক আমার দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিল ভার্সিটির সবাই তাকে এক নামে চিনতো বন্ধুদের নিয়ে মারামারি,রেগিং, মেয়েদের বিরক্ত করা ছিল প্রধান কাজ কেউ প্রতিবাদ করতো না শুধুমাত্র ধনীর পাওয়ারফুল ছেলে বলে, কিভাবে যেন আমি তার নজরে পড়ে যাই তারপর থেকেই আমার পেছনে ঘুরঘুর করা শুরু করে দেয় আমি দেখেও না দেখার ভান করেই থাকতাম কিন্তু একদিন আমার সামনে এসে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আমি সরাসরি না করে দেই তবুও তিনি আমায় বিরক্ত করতেন তারপর একদিন তো সব সীমা অতিক্রম করে ফেললেন সবার সামনে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে খারাপ আচরণ করলেন।
শেষ কথাটা বলতে গিয়ে স্নিগ্ধতার মুখে আঁধার নেমে এলো।স্নিগ্ধতা আবারও বলতে লাগলো,
– প্রথম কোনো ছেলে আমায় বাজে ভাবে স্পর্শ করেছিল রাগে আর ঘৃণায় থাপ্পড় মে’রে দিয়েছিলাম এই থাপ্পড় আদ্রিকের সহ্য হয়নি তাই শোধ নেওয়ার জন্য আমার পেছনে পড়ে আছে শেষে বাধ্য হয়ে পুলিশেও কমপ্লেইন করেছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি,একটা মানুষ এত খারাপ হয় কিভাবে?এরা অন্যায় করবে কেউ যদি প্রতিবাদ করে তাহলে তার পিছনেই পড়ে থাকে আমার কি দোষ ছিল আমি তো যেচে আদ্রিকের কাছে যাইনি উনি আগ বাড়িয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন আমি শুধু প্রতিবাদ করেছি আর এটাই আমার দোষ?
স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– তোমার কোনো দোষ নেই আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু খারাপ পুরুষ আছে যারা মেয়েদের ভোগপণ্য এবং দুর্বল মনে করে তবে একটা কথা অতীতের কথা মনে করে কষ্ট পাওয়ার দরকার নেই বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।
– আপনি এত ভালো কেন?
– আমি ভালো!
– হুম।
– অথচ তুমি আমাকে একবার খারাপ বলেছিলে।
– ওইটা তো রাগ করে বলেছিলাম।
স্তব্ধ মুচকি হাসলো স্নিগ্ধতা মন খারাপ করে বলল,
– আমার কারণে আদ্রিকের সঙ্গে আপনার শত্রুতা হয়ে গেল আপনার আন্টির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হলো তাই না? আমি আপনার জীবনে না আসলে হয়তো এতকিছু হতো না।
– তোমাকে কে বলেছে এসব?
– কেউ বলেনি আমার মনে হয়েছে এছাড়া কথাগুলো তো সত্য।
– তুমি আমার জীবনে এসেছ বলে আমি বদলে গেছি বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছি ড্যড এর সঙ্গে আমার দূরত্বটা কমেছে নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিতে পেরেছি বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি আর ড্রিংক করা ছাড়াও যে ভালো থাকা যায় খুশী থাকা যায় বুঝতে পেরেছি কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয় যারা চলে গেছে যাক তোমাকে তো পেয়েছি আর কাউকে চাই না আমি।
স্নিগ্ধতা প্রাপ্তির হাসি হেসে একটা মাদুর বিছিয়ে বেলকোনিতে বসে পড়লো স্তব্ধও স্নিগ্ধতার গাঁ ঘেঁষে বসলো।স্নিগ্ধতা স্তব্ধের কাধে মাথা রেখে বলল,
– বাবার কথাটা আমি এখন উপলব্ধি করছি কষ্টের পরেই সুখ আসে আমার জীবনে কষ্ট ছিল বলেই আমি আপনাকে পেয়েছি।
– তারপরেও তো খুশি হয়ে একটা চুমু দেও না।
– চুমু ছাড়া কি আপনি কিছু বুঝেন না?
– না।
বলেই স্নিগ্ধতার গালে একটা চুমু খেল স্তব্ধ,স্নিগ্ধতা লজ্জায় দৃষ্টি নত করে ফেলল।
_______________
এ ক’দিন রাহেলা বেগমের সঙ্গে তেমন কথা না হওয়ায় সকালে নাস্তা করেই রাহেলা বেগমের ঘরে গেল স্নিগ্ধতা। স্নিগ্ধতাকে দেখতেই রাহেলা বেগম খুশি হয়ে গেলেন, স্নিগ্ধতা রাহেলা বেগমের পাশে বসে জিজ্ঞেস করল,
– কেমন আছো দিদান?
– এখন এসে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে কেমন আছি?
স্নিগ্ধতা মুখটা অপরাধীর ন্যায় করে রেখেছে। রাহেলা বেগম আদুরে গলায় বললেন,
– শরীরের ব্যথাগুলো ঠিক হয়েছে নাত বউ?
– পুরোপুরি ঠিক হয়নি।
– দাদুভাইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক হয়েছে?
– হুম।
– দাদুভাই তোকে ভালোবাসে কিন্তু এই ভালোবাসাটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে আসলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছু না ভেবেই সাইন করে দিয়েছিল ভাবতে পারেনি এতকিছু হয়ে যাবে।
– উনি আমায় ভালোবাসে!
– এখনও বুঝতে পারিসনি বোকা মেয়ে, বউমা সবার অগোচরে দাদুভাইকে ডেকে নিয়ে তোকে ডিভোর্স দিতে বলেছিল কিন্তু দাদুভাই সাথে সাথে প্রতিবাদ করেছিল কাগজ ছিঁড়েও ফেলেছিল ভালো না বাসলে কি এমন করতো, তোর শাশুড়ি যখন দেখলো দাদুভাই তার কথা শুনছে না তখনি বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিল আসলে কথাটা বলেছিল দাদুভাইকে ভয় দেখানোর জন্য এমনিতে কখনও এমন কাজ করতো না তোর শশুর আগেই সব বলেছে আমায় তাই আমিও কিছু বলিনি নইলে তোর সঙ্গে কোনো অন্যায় হতে দিতাম না, এই ঘটনায় ভালোই হয়েছে তোর শাশুড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে তোকে মেনে নিয়েছে।
– হুম।
– দাদুভাই কোথায়?
– বাবার সঙ্গে অফিসে গেছে।
– তিহান দাদুভাই?
– ভাইয়া কলেজে গেছেন।
– ওহ।
সালেহা হাত মুছতে মুছতে রাহেলা বেগমের ঘরে এসে স্নিগ্ধতাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
– আপনারে ভাবী ডাক পারে এহনি যাইতে বলছে।
সালেহা কথাটা বলে চলে গেল রাহেলা বেগম হেসে বললেন,
– গিয়ে দেখ কেন ডাকছে।
স্নিগ্ধতা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল অরিত্রি শিকদারের ঘরের সামনে দাড়িয়ে বলল,
– মা আসবো?
অরিত্রি শিকদার ভেতর থেকে বললেন,
– হ্যা আসো।
স্নিগ্ধতা ভেতরে প্রবেশ করলো, বিছানায় শাড়ি আর গহনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।অরিত্রি শিকদার হেসে বললেন,
– এখানে বসো।
স্নিগ্ধতা বসতেই অরিত্রি শিকদার বলতে লাগলেন,
– এই শাড়ি গহনা গুলো স্তব্ধের বউয়ের জন্য রেখেছিলাম তিহানের বউয়ের জন্যও আলাদা রাখা আছে যেদিন ওর বউ আসবে সেদিন সব বুঝিয়ে দিব, স্তব্ধের বউ হিসেবে এগুলো সব তোমার নিজের জিনিস নিজের কাছে নিয়ে রাখো।
– আপনার কাছেই থাক মা যখন দরকার হবে নিয়ে নিব।
– তা বললে হয় না নিজের জিনিস নিজের কাছে রাখতে শিখো, তুমি একা নিতে পারবে না চলো দু’জনে মিলে তোমাদের ঘরে নিয়ে যাই।
– কিন্তু মা…
– আমার অবাধ্যতা পছন্দ নয় চলো।
স্নিগ্ধতা আর কিছু বলল না দু’জনে মিলে বিছানায় রাখা সব শাড়ি আর গহনা স্তব্ধের ঘরে নিয়ে গেল।অরিত্রি শিকদার যত্ন সহকারে আলমারিতে সব সাজিয়ে রাখলেন।
_____________
সানজিদ ওয়াজেদ মা’রা গেছেন এক মাস হয়ে গেছে। সবাই শোক কাটিয়ে উঠেছে তবে স্নিগ্ধতা এখনও ঘুমের ঘোরে বাবা বলে চেঁচিয়ে উঠে স্তব্ধই তখন সামলায় তাকে। সানজিদ ওয়াজেদ মা’রা যাওয়ার পর জানা গেছে তিনি তার বেশির ভাগ অর্থ এবং সম্পত্তি স্নিগ্ধতার নামে দিয়ে গেছেন কিন্তু স্নিগ্ধতা কিছুই নেয়নি সব শুভকে দিয়ে দিয়েছে শুভ নিতে চায়নি শেষে বোনের জোরাজুরিতে নিতে বাধ্য হয়েছে। অর্থ বিত্ত সম্পত্তির প্রতি কোনদিন মোহ ছিল না স্নিগ্ধতার শুধু একটু ভালোবাসার দরকার ছিল তবে তার বাবা যে তাকে ভালোবাসতো তা স্নিগ্ধতা সবসময় বুঝতে পারতো।
তবে এখন সব চাওয়া গুলো পূর্ণতা পেয়েছে ভালো একটা পরিবার পেয়েছে পরিবারের মানুষগুলোর ভালোবাসা পাচ্ছে।স্নিগ্ধতা আর বাবার বাড়ি যায়নি কেনই বা যাবে কার জন্য যাবে কিন্তু শুভর সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়।
অরিত্রি শিকদারের সঙ্গে রুশির ঝামেলা হয়েছে দু’বোনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে কিন্তু অরিত্রি শিকদারের এতে আক্ষেপ নেই তিনি বোনকে বলে দিয়েছেন,’তোর থেকেও স্তব্ধ আর স্তব্ধের চাওয়া গুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
চলবে…….