#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১১
‘শুধুমাত্র এক রাতের জন্য স্নিগ্ধতা ওয়াজেদকে আমার চাই তাকে পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি তুমি আমার ইচ্ছেটা পূরণ করে দাও স্তব্ধ বিনিময়ে যা চাইবে তাই দিব।’
কথাটা শেষ হতেই চেয়ার থেকে আদ্রিক ছিটকে নিচে পড়ে গেল নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে গেছে।নাকে হাত দিয়ে সামনে তাকাতেই কলিজা কেঁপে উঠলো, স্তব্ধ চোয়াল শক্ত করে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে দাড়িয়ে আছে কপালের রগ ফুলে গেছে চোখ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। স্তব্ধ আদ্রিকের কলার ধরে টেনে উঠিয়ে আরও তিন চারটে ঘুষি মে’রে কর্কশ কন্ঠে বলল,
– আমার স্নিগ্ধকে নিয়ে এত বাজে কথা বলার সাহস হয় কিভাবে তোর?
আদ্রিক নিজেকে স্তব্ধের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে,
– স্তব্ধ শান্ত হও রাগের মাথায় কিন্তু নিজের বিপদ ডেকে আনছো।
– নিজের বিপদ তুই ডেকে এনেছিস আমার প্রপার্টির দিকে নজর দিয়েছিস তোকে আমি..
স্তব্ধ ছটফট করছে চঞ্চল দৃষ্টিতে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে আদ্রিককে আঘাত করতে লাগল। আদ্রিকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে জ্ঞান হারানোর উপক্রম তবুও স্তব্ধ থামছে না আদ্রিকের চেঁচানোর শব্দ শুনে কিছু স্টাফ ভেতরে এসে স্তব্ধকে থামানোর চেষ্টা করছে। স্তব্ধ কারো কথা শুনছে না ইচ্ছে করছে আদ্রিককে মে’রে ফেলতে মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজায় হাত দিতে চেয়েছে।
অনেক চেষ্টার পর কয়েকজন স্তব্ধকে অনেক কষ্টে আটকালো বাকি কয়েকজন এম্বুলেন্সে খবর দিয়ে আদ্রিককে নিয়ে বাহিরে চলে গেল এতক্ষণে আদ্রিক জ্ঞান হারিয়েছে রাগের বসে জায়গায় বেজায়গায় আঘাত করেছে স্তব্ধ।
স্তব্ধ চেয়ারে ঢপ করে বসে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে টেবিলে রাখা পানির গ্লাস খালি করে ফেলল। তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
– এখনও এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন? নিজেদের কাজে যান।
স্তব্ধের ধমকে সবাই ভয় পেয়ে দ্রুত স্তব্ধের কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল। স্তব্ধ চেয়ারে শরীর এলিয়ে দিয়ে এসিটা বাড়িয়ে দিল। বারবার চেষ্টা করেও রাগ কমাতে পারছে না স্নিগ্ধতার কথা মনে পড়ছে, মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হয়েছে বসা থেকে উঠে গাড়ির চাবি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল স্তব্ধ।
অরিত্রি শিকদার,রুশি,নাতাশা তিনজন গোল হয়ে বসে আছে।রুশির হাতে ডিভোর্স পেপার নাতাশা উৎফুল্ল কন্ঠে বলল,
– আমার ভাবতেই হ্যাপি লাগছে এই কাগজে সাইন হয়ে গেলেই স্তব্ধের জীবন থেকে স্নিগ্ধতা নামক মেয়েটি দূর হবে।
– আস্তে বল কেউ শুনে ফেলবে তো।(রুশি)
নাতাশা মুখে আঙ্গুল দিয়ে সতর্ক হয়ে গেল,অরিত্রি শিকদার মনমরা হয়ে কিছু ভাবছেন, রুশি বোনের কাধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করল,
– কি রে আপা তোর আবার কি হলো? কি ভাবছিস?
– স্নিগ্ধতা মেয়েটা অনেক ভালো কি সুন্দর করে সবার সঙ্গে কথা বলে আচ্ছা আমরা ওর সঙ্গে অন্যায় করছি না তো?
– কোনো অন্যায় হচ্ছে না স্তব্ধ এবং নাতাশার বিয়ে আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি স্নিগ্ধতা মাঝখানে চলে এসেছিল তবে সমস্যা নেই যাওয়ার সময় হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিব।
অরিত্রি শিকদার খুশি হতে পারলেন না। দাড়িয়ে গিয়ে বললেন,
– সবাই এসময় ঘরে বসে থাকলে মা সন্দেহ করতে পারে চল নিচে যাই।
– হুম চল আপা এমনিতেও এটা আমার চা খাওয়ার সময়।
সবাই হল ঘরে গিয়ে বসলো,অরিত্রি শিকদার রাহেলা বেগমকেও নিয়ে এসে সোফায় বসালেন।স্নিগ্ধতা চা বানিয়ে এনে সবাইকে দিতেই অরিত্রি শিকদার চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বললেন,
– সালেহাকে বলো তো মায়ের বিছানা গুছিয়ে দিয়ে আসতে।
– সালেহা আন্টি তো রাতের খাবার তৈরি করছে আমি গুছিয়ে দিয়ে আসছি মা।
স্নিগ্ধতা হাস্যজ্জল মুখে চলে গেল রাহেলা বেগমের ঘরের দিকে। সবাই চা খাচ্ছে আর খোশ মেজাজে গল্প করছে রাতুল শিকদার আসতে আসতে রাত হবে। কলিং বেল বাজতে লাগল সালেহা গিয়ে দরজা খুলে দিতেই স্তব্ধ ভেতরে প্রবেশ করল। সবার দৃষ্টি স্তব্ধের দিকে,স্তব্ধকে এলোমেলো লাগছে টাই ঢিলে হয়ে আছে ঠোঁটের কোণে অল্প কিছু রক্ত শুকিয়ে আছে।অরিত্রি শিকদার প্রশ্ন করলেন,
– স্তব্ধ বাবু তোকে এমন দেখতে লাগছে কেন? ঠোঁটের কোণে রক্ত কেন? কি হয়েছে?
– আমি ঠিক আছি স্নিগ্ধ কোথায় ওকে ঘরে পাঠিয়ে দিও।
কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা ঘরে চলে গেল স্তব্ধ।রুশি নাতাশাকে ইশারায় কিছু বলতেই নাতাশা চায়ের কাপ টেবিলে রেখে চলে গেল।
স্তব্ধ কোট আর টাই খুলে এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিল। কারো পায়ের আওয়াজ শুনে পেছনে ঘুরতেই নাতাশাকে দেখে মুখটা পূর্বের ন্যায় মলিন হয়ে গেল।নাতাশা স্তব্ধকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলল,
– হেই স্তব্ধ কেমন আছো? অনেকদিন পর দেখা হলো অথচ আমার সঙ্গে কথা বললে না।
– মন মেজাজ ভালো না কি বলতে কি বলে দিব ঠিক নেই তাই এখান থেকে যাও পরে কথা হবে।
– মন ভালো না কেন? আমায় বলো আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
– এই ক্ষমতা তোমার নেই যেতে বলেছি তোমায়।
স্নিগ্ধতা রাহেলা বেগমের ঘর গুছিয়ে হল ঘরে এলো। রুশি মৃদু হেসে বলল,
– তুমি অনেক ভালো চা বানাও আমার জন্য আরেক কাপ চা বানিয়ে দিবে?
– অবশ্যই আমি নিয়ে আসছি।
রাহেলা বেগম বাধা দিয়ে বললেন,
– বেশি চা খাওয়া ভালো না রুচি নষ্ট হয়ে যায় নাত বউ ঘরে যা দাদুভাই এসেছে দেখ কি লাগবে।
স্তব্ধের কথা শুনে স্নিগ্ধতার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে মাথা নাড়িয়ে দ্রুত ঘরের দিকে হাঁটা ধরলো। দরজার সামনে দাড়াতেই স্নিগ্ধতার চোখটা ঝাপসা হয়ে এলো মুখের হাসি মিলিয়ে গেল, স্তব্ধকে নাতাশা জড়িয়ে ধরে আছে স্তব্ধও নিরব। দরজার দিকে মুখ ঘুরে ছিল বলে স্নিগ্ধতাকে দেখতে সময় লাগেনি স্তব্ধের। চোখাচোখি হতেই স্নিগ্ধতা সেখান থেকে রান্নাঘরে চলে গেল।
স্তব্ধ নাতাশাকে নিজের থেকে কিছুটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে,
– এখন আমি বিবাহিত যখন তখন এভাবে আমার কাছে আসবে না নইলে আমি এমন ব্যবস্থা করবো যা তোমার কল্পনার বাইরে নাউ গেট আউট।
স্তব্ধের এমন ব্যবহারে নাতাশা হতভম্ব হয়ে গেল। স্তব্ধের দৃষ্টিতে রাগ স্পষ্ট ভয়ে নাতাশা স্তব্ধের ঘর ত্যাগ করল।স্তব্ধ আলমারি থেকে পোশাক বের করে ফ্রেশ হতে চলে গেল।
সালেহার সঙ্গে স্নিগ্ধতা রাতের খাবার তৈরি করছে মনে বিষাদের ছায়া পড়েছে দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠছে অনেক অভিমান হচ্ছে নিজের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য নিজেই নিজেকে বলছে,’উনার বাবা যদি উনাকে বাধ্য না করতো তাহলে তো আজ আমার জায়গায় নাতাশার থাকার কথা ছিল এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক আমার প্রতি উনার কোনো ভালোবাসা নেই,কেন কষ্ট পাচ্ছি আমি আমার কষ্টের মূল্য কারো কাছেই নেই।’
হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুছে কাজে মন দিল স্নিগ্ধতা।
_____________
রাতুল শিকদার বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়েছে আজকে। বাড়িতে ঢুকেই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ডাকতে লাগলেন,
– স্তব্ধ….স্তব্ধ..
রাতুল শিকদারের চিৎকারে সবাই হল ঘরে চলে এসেছে। রাতুল শিকদার রেগে আছেন স্তব্ধকে দেখে রাগের পরিমাণ বেড়ে গেছে, স্তব্ধ চুপচাপ মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।অরিত্রি শিকদার জানতে চাইলেন,
– এসেই চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছ কেন?
অরিত্রি শিকদারের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে স্তব্ধের সামনে গিয়ে কঠোর গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
– আদ্রিক খাঁনকে কেন মে’রেছিস?
স্তব্ধ নিরুও্যর, রাতুল শিকদার পুনরায় চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,
– উওর দিচ্ছিস না কেন? কেন মে’রেছিস?
এবারো স্তব্ধ কিছু বলল না অন্য দিকে দৃষ্টি স্থির করে দাড়িয়ে আছে। রাতুল শিকদার রাগে কাঁপতে কাঁপতে কষিয়ে একটা চড় দিলেন স্তব্ধকে, উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে গেছে স্নিগ্ধতা রাহেলা বেগমের ঘরে ছিল, রাতুল শিকদারের ক্ষিপ্ত স্বর শুনে হল ঘরে আসতেই এমন ঘটনা নিজ চোখে দেখে সেও থমকে গেছে।
স্তব্ধ ভাবলেশহীন ভাবে আগের মতো দাড়িয়ে আছে যেন কিছুই হয়নি এখানে,অরিত্রি শিকদার রাতুল শিকদারের মুখোমুখি দাড়িয়ে,
– এত বড় ছেলের গায়ে তুমি হাত তুললে? আজ পর্যন্ত ওর গায়ে কখনও কেউ আমরা হাত তুলিনি আর আজ তুমি!
– এটাই সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলাম যার পরিণতি আজ আমায় ভোগ করতে হচ্ছে ছোটবেলা থেকে শাসনে রাখলে এমন বিগড়াতো না।
– কি এমন করেছে স্তব্ধ?
– আশরাফ খাঁনেকে চেনো না তার ছেলে আদ্রিক খাঁনকে তোমার ছেলে মে’রেছে, এতটা নির্মম ভাবে মে’রেছে ছেলেটার এখনও জ্ঞান ফেরেনি আইসিইউতে ভর্তি আশরাফ খাঁন আমাকে শাসিয়ে পর্যন্ত গেছে।
যাই করুক না কেন কখনও কোনো ঝামেলা কিংবা কারো সঙ্গে মারপিট পর্যন্ত করেনি স্তব্ধ কেউ ভাবতেও পারছে না স্তব্ধ এমন একটা কাজ করেছে।অরিত্রি শিকদার ছেলের সামনে গিয়ে শান্ত গলায় বললেন,
– তোর ড্যড কি বলছে সত্যি সত্যি তুই আদ্রিককে মে’রেছিস?
স্তব্ধ এখনও শান্ত কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব নিয়ে সোফায় গিয়ে বসলো শরীর এলিয়ে দিয়ে বলল,
– হুম মে’রেছি।
– কেন মে’রেছিস?(রাতুল শিকদার)
– মা’র খাওয়ার কাজ করেছিল তাই মে’রেছি।
– সেটাই জানতে চাচ্ছি কি এমন করেছে যে তুই নির্মম ভাবে মে’রেছিস?
– বলতে ইচ্ছুক নই।
– অরিত্রি ছেলেকে কিছু বলো রাগে কিন্তু আমার প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে।
রাতুল শিকদারের এমন রাগ দেখে অরিত্রি শিকদারেরও ভয় করছে নিজের ভয়কে লুকিয়ে রাখার মিথ্যে চেষ্টা করে,
– স্তব্ধ তোর ড্যড যা জিজ্ঞেস করছে তার উওর দে।
– উওর দেওয়ার মতো প্রশ্ন করলে উওর ঠিকই দিতাম।
– আশরাফ খাঁনের পাওয়ার আমাদের থেকে কোনো অংশে কম নয় এই ঘটনা কোন পর্যায়ে যেতে পারে তোর কোনো ধারণা আছে?
– তোমার ভয় পাওয়ার দরকার নেই আমার ব্যাপার আমি বুঝে নিব।
বলেই স্তব্ধ দাড়িয়ে গেল স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বলল,
– এখানে দাড়িয়ে আছো কেন? ঘরে আসো।
কারো দিকে না তাকিয়ে ঘরে চলে গেল স্তব্ধ, স্নিগ্ধতাও স্তব্ধের পেছনে ছুট লাগালো। রাতুল শিকদার ক্ষিপ্ত স্বরে বললেন,
– দিনে দিনে ছেলে বিগড়ে যাচ্ছে আশরাফ খাঁনকে এখন কি বলবো।
স্নিগ্ধতা ঘরে প্রবেশ করে বিছানার একপাশে বসলো স্তব্ধকে কেন জানি খুব ভয় লাগছে তার কাছে।স্তব্ধ দরজা আটকে দিয়ে লাইট নিভিয়ে দিল স্নিগ্ধতার বুকটা ধড়াস ধড়াস করছে ভয়ে। স্নিগ্ধতা এখনও বসে আছে এসির নিচে থাকার পরেও ঘামছে, আচমকা স্তব্ধ স্নিগ্ধতার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো এতে স্নিগ্ধতা কেঁপে উঠলো। স্তব্ধ স্নিগ্ধতার একটা হাত শক্ত করে ধরে চুমু খেয়ে বলল,
– মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে একটু হাত বুলিয়ে দিবে?
– হুম।
স্নিগ্ধতা যত্ন সহকারে স্তব্ধের চুলে বিলি কেটে দিতে লাগল,স্তব্ধ চোখ বন্ধ করে শীতল কন্ঠে বলল,
– আমাকে তোমার ভয় লাগছে?
– উহু।
– তাহলে কাঁপছো কেন?
স্নিগ্ধতা চুপ এই স্তব্ধের সঙ্গে সে পরিচিত নয় আজ এক অন্যরকম স্তব্ধকে দেখছে সে। মনে একটা প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে,’স্তব্ধ আদ্রিককে কেন মা’রলো?’ কিন্তু সাহসের অভাবে জিজ্ঞেস করা হলো না।
সব রাগ উধাও হয়ে গেছে স্তব্ধ স্নিগ্ধতার কোলে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে।স্নিগ্ধতার চোখে ঘুম নেই ডিম লাইটের আবছা আলোয় স্তব্ধের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
_____________
আঘাত অনেক গুরুতর হওয়ায় আদ্রিকের এখনও জ্ঞান ফেরেনি।আশরাফ খাঁন আইসিইউর সামনে বসে আছেন,আদ্রিকের মা পাশেই ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
রুশি ছটফট করতে করতে অরিত্রি শিকদারকে বললেন,
– আপা ডিভোর্স পেপারে সাইন করাবে কখন?
– এখন এগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল রাতুল অনেক রেগে আছে স্তব্ধও অপ্রত্যাশিত একটা কাজ করল এখন এগুলো নিয়ে কথা বললে হিতে বিপরীত হবে পরিস্থিতি ঠান্ডা হোক তারপর সব হবে।
নাতাশা মুখ ভার করে,
– আরও অপেক্ষা করতে হবে আন্টি?
– ভালো কিছুর জন্য একটু অপেক্ষা করতে হয়।
চলবে…..